সন্তানের জন্মের আগে যেমন হবু মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। তেমনই সন্তানের জন্মের পরও নতুন মায়েদের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মা হওয়ার প্রথম ধাপ থেকে মা হওয়ার পর যতদিন বাচ্চারা ব্রেস্টফিড করছে, ততদিন পর্যন্ত মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা বিশেষভাবে ভাবা দরকার। এছাড়াও শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মায়েদের সুস্থ থাকতেই হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মা ও সন্তান দুইয়ের স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে তার জন্য খাদ্য়তালিকায় যোগ করা উচিত বাদাম। শরীরের পুষ্টির জন্য বাদামের (Nuts) জুড়ি মেলা ভার। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুর জন্য বাদাম খুবই উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, মা ও গর্ভের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদাম কার্যকর। কোন কোন বাদাম কেন খাওয়া উচিত জানুন।
কাজুবাদাম: স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রন সমৃদ্ধ হল কাজুবাদাম। নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় কাজু যোগ করা উচিত। কারণ এটি মায়ের দুধের মাধ্যমে আপনার শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি, বিকাশে সহায়তা করতে করবে। আবার আপনাকে ফিট ও সক্রিয় রাখতে শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতেও সাহায্য করবে।
আমন্ড: স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন বহন করে আমন্ড। এছাড়াও আপনার শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে এবং মা ও শিশুর সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী আমন্ড।
এপ্রিকোট: এপ্রিকট ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমে সহায়তা করতে পারে।
কিসমিশ: আয়রনের দুর্দান্ত উৎস যা আপনার শরীরের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়, মায়েদের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময় খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত কিসমিশ।