Breaking News
Abhishek: অভিষেককে ইডির হাজিরা দিতেই হবে! ডিভিশন বেঞ্চে জোর ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের      ED: লিপস এন্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের অভিষেককে তলব ইডির      Dengue: ডেঙ্গির থাবায় মৃত্যু আরও তিন জনের, নয়া পদক্ষেপ নবান্নের      ED: ইডিকে আগেই জানানো উচিত ছিল, অভিষেকের মামলায় মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের      Abhishek: নিজের কথাই রাখছেন অভিষেক, যাচ্ছেন না ইডির তলবে      Delhi: লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে রাজঘাট থেকে তৃণমূলকে বের করে দিল দিল্লি পুলিস      Meeting: একদিকে ইডি, অন্যদিকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সোম-মঙ্গলের প্লান কষতে দিল্লিতে বৈঠকে অভিষেক      Abhishek: দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরে ৩ অক্টোবর      Accident: দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূলের দিল্লিগামী বাস, আশঙ্কাজনক ১১ জন      Justic Sinha: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ! রনংদেহী জাস্টিস সিনহার নির্দেশে মহাফাঁপরে ইডি ও অভিষেক     

অন্যান্য

Maa Sarada: মা সারদার ছোট্টবেলা

সৌমেন সুর: মা সারদা ছিলেন ধৈর্য, সরলতা ও দয়াভাবের প্রতিমূর্তি। তার জন্ম কাহিনী নিয়ে একটা মত প্রচলিত আছে। সারদা মা স্বয়ং এই প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। ' আমার মা শিহরে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। মা ছিলেন অত্যন্ত ভক্তিমতী, নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ। ঠাকুর দেখে ফিরবার সময় হঠাৎ শৌচে যাওয়ার ইচ্ছে হওয়ায় একটা গাছের কাছে যখন যান, তখন শৌচ আর হলো না, মা দেখলেন একটা আলো তাঁর পেটের মধ্যে প্রবেশ করলো, আর দেখলেন, একটা ৫-৬ বছরের একটি মেয়ে গাছ থেকে নেমে আসে, পরনে লাল চেলি। মেয়েটি হাসিমুখে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বললো, 'আমি তোমার ঘরে আসছি মা।' এলে মেয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় আর মা অচৈতন্য হয়ে যায়।

১২৬০ বঙ্গাব্দের ৮ই পৌষ বৃহস্পতিবার রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ঘরে মঙ্গলশঙ্খ বেজে উঠলো। গ্রামবাসীর কাছে খবর পৌঁছালো, রামচন্দ্রের ঘরে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। সকলে শিশুকন্যার মঙ্গল কামনা করতে লাগলেন। এদিকে জন্মপত্রিকা অনুসারে নাম দেওয়া হল ঠাকুরমনি দেবী। লোকবিশ্রুত নাম সারদামনি। পরবর্তীতে নাম হয়ে যায় সারদা। ১২৭১ সালে এ দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষেরা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলে দলে আসতো দুটো ভাতের আশায়। রামচন্দ্র ছিলেন দরিদ্র ব্রাহ্মণ।

মানুষেরা যাতে ফিরে না যায় তার জন্য মরাই থেকে ধান বার করে চাল করে সবাইকে খাইয়েছেন। মা সারদা ওই ছোট্ট বয়সে পরিবেশন করেছেন। কাউকে দুহাত দিয়ে বাতাস করেছেন। বাড়িতে দলে দলে মানুষ। কাউকে ভুখা পেটে ফিরে যেতে হয়নি। এমনই মানুষ ছিলেন মা সারদা। সেই বাল্য বয়সেই বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য কত দয়া! ছোটবেলায় যিনি দিন দুঃখী মানুষদের অন্ন জুগিয়েছেন, তিনি যে জগতের মা হয়ে উঠবেন সেটাই তো স্বাভাবিক।

সেই যুগে সমাজে বাল্যবিবাহ প্রথা ছিল। সারদা দেবীর মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ২২ বছর বয়সের শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের আয়োজন ঈশ্বর আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিলেন। সারদা মায়ের মামার বাড়ির কাছে একটা শিব মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান হয়। মেলা,  যাত্রা আরও কত কি। যাত্রাপালা শেষ হলে এক মহিলা সারদাকে জিজ্ঞাসা করেন, 'এই যে এত লোক এখানে রয়েছে এর মধ্যে কাকে তোর বর করতে পছন্দ?' সারদা দেবী আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যুবক রামকৃষ্ণকে। এখন মা সারা পৃথিবীতে বিরল। আমরা পরম শ্রদ্ধা ভরে মায়ের চরণে শতকোটি প্রণাম জানিয়ে বলি, 'মা, তুমি জগতের মা, তুমি সতেরও মা, অসতেরও মা। তুমি আমাদের রক্ষা করো।'

5 hours ago
Special: রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সহকারীকে চেনেন? এক নিখাদ সম্পর্কের উপাখ্যান পড়ুন

সৌমেন সুর: সেই সময়ের কথা। তখন সদ্য প্রকাশ হয়েছে রবীন্দ্রনাথের 'ঘরে বাইরে' উপন্যাস। অমিয় চক্রবর্তী (Amiya Chakraborty) তখন হেয়ার স্কুলের ছাত্র। বইটি পড়ে তরুণ অমিয় চক্রবর্তী মনে অনেক প্রশ্ন জাগে, রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখলেন। রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath) চিঠি পেয়ে পত্র লেখক কে প্রবীণ মনে করে 'আপনি' সম্বোধন করে চিঠির উত্তর দেন। পরিচয়ের সূত্রপাত হলো এই প্রথম। তারপর অমিয় চক্রবর্তীর সঙ্গে কবির সশরীরে দেখা বালিগঞ্জের মে-ফেয়ার রোডে প্রমথ চৌধুরীর বাড়িতে। তখন কবিকে দেখে আপ্লুত অমিয়। তাঁর প্রভাব অমিয় চক্রবর্তী জীবনকে বদলে দিল। আস্তে আস্তে পরস্পরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। একসময় অমিয়'র শোকের যন্ত্রণা থেকে কিভাবে শান্ত থাকতে হয় সে ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ তাকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপর রবীন্দ্রনাথই তাকে কাছে টেনে নিলেন-করলেন তার সাহিত্য সহকারী।

অমিয়চন্দ্রের কাজ হল রবীন্দ্রনাথের বিদেশী চিঠিপত্রের উত্তর দেওয়া, বইয়ের প্রুফ দেখা, কবিতা কপি করা, অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, বাংলা ও ইংরেজি পান্ডুলিপি প্রকাশের জন্য সাজিয়ে রাখা, ইন্টারভিউ দেওয়া ইত্যাদি। প্রত্যেকটি কাজে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই বিদেশীদের অভ্যর্থনার ভার তার ওপর ছেড়ে দিয়ে কবি নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন।

অমিয়চন্দ্রকে সংসার জীবনে প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ডেনমার্কের বিদূষী রমনী হেয়রডিস সিগরের সঙ্গে তার বিবাহ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কবি এই রমনীর নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী। এই 'হৈমন্তী'ই পরে যথার্থ একজন আশ্রমিকা হয়েছিলেন। এদিকে সাহিত্য সহকারী হিসেবে অমিয়চন্দ্র কবির ভ্রমণ সঙ্গী হবার সুযোগ পেয়েছিলেন বারবার। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রবীন্দ্রনাথের সহকারী হয়েছিলেন অমিয়। বিদেশে ভ্রমণকালে অমিয়চন্দ্রের সেবায় ও সাহচর্যে মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বাহিরে তোমার যা পেয়েছি সেবা/ অন্তরে তাহা রাখি/ কর্মে তাহার শেষ নাহি হয়, প্রেমে তাহা থাকে বাকি।'

১৯৩৩ সালে রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অমিয় চক্রবর্তী অক্সফোর্ডে গবেষণা করতে যান। কর্মসূত্রে যোগ না থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অমিয় চক্রবর্তীর সম্পর্ক আমৃত্যু অটুট ছিল। কবির কাছে অমিয় চক্রবর্তীর সাহচর্য যেমন প্রয়োজন ছিল না তেমনি আবার অমিয় বাবুর জীবনের রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যের ফলে অমিয়চন্দ্র হতে পেরেছেন বিশ্বপথিক-রবীন্দ্রনাথের যথার্থ উত্তর সাধক এবং মানবসন্তান। অমিয় চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন, রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের কাছে যা পেয়েছি তা আমার অন্তরের পাথেয়।

2 days ago
Durga Pujo: রামমোহন থেকে প্যারীমোহন, মনীষীদের পুজোর খাবারের কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

সৌমেন সুরঃ আর কিছুদিন পরে দুর্গাপুজো। পুজোয় ভালোমন্দ খাওয়া দেওয়ার ওপর বাঙালির ভীষণ নজর। পুজোর পাঁচটা দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন পদের খাওয়া দাওয়ায় বাঙালি সর্ব্বোচ্চ স্থানে বিরাজ করছে। এককথায় বলা যায় বাঙালি বড্ড ভোজনরসিক। ভোজন রোশনে প্রিয় খাবারের বৈচিত্রে বাঙালি দু'কদম এগিয়ে। খাওয়া দাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তো আছেই, তবে অবাক হতে হয় কিছু মনীষীদের খাওয়া দাওয়া শুনলে।

শুরু করি রামমোহন রায়কে নিয়ে। তিনি যেমন সুপুরুষ ছিলেন তেমনি খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ছিলেন সবার উপরে। একটা গোটা পাঠা খেয়ে ফেলা তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই ছিল না। দিনে দুধ খেতেন দশ/বারো সের। এছাড়া পঞ্চাশটা আপ আর এক কাদি নারকেল তার কাছে অতি সাধারণ ব্যাপার ছিল। অন্যদিকে প্যারীমোহন সরকার ও বিদ্যাসাগর মশায় ভোজনে কম যান না। প্যারীমোহন জলখাবার সারতেন এক ধামা মুড়ি আর শ'খানেক মূল খেয়ে। কোনও এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে বাজি ধরে-সমস্ত খাওয়া দেওয়ার পর একসের ছানাবড়া খেয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর মশায় ছিলেন তার যোগ্য সহচর। একটা পাঠ দু-বন্ধু মাইল অর্ধেক সাবাড় করে ফেলতেন। অন্যদিকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কম যান না, পেট ভরে পোলাও মাংস খাবার পর দু'সের রসগোল্লা অম্লান বদনে খেয়ে ফেলতেন।

আমিষ ও নিরামিষ দুটোই দুটোতেই বাঙালির রান্নার খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। পরাধীন ভারতের ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড যুবরাজ থাকাকালীন ভারত ভ্রমণের সময় ভবানীপুরে এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে বাঙালির নানা পদের রান্না তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। প্রখ্যাত লেখিকা পার্ল বাক বাঙালির রান্নার প্রশংসা করে গেছেন। শোভাবাজার রাজবাড়িটির রাজা নবকৃষ্ণদেব তাঁর মাতৃশ্রাদ্ধে যে বিপুল খরচ করেছিলেন সেইসময়ে, শুনলেই চক্ষু চড়কগাছ।  খরচ করেছিলেন আনুমানিক দশ লক্ষ টাকা। নিমন্ত্রিত অতিথিদের সব আহার্য কলকাতার সব দোকান থেকে জোগাড় করা হয়েছিল। তাতে কলকাতার সমস্ত মুদির দোকানের চালডাল ফুরিয়ে গিয়েছিল। কুমোরটুলির একটি মাটির হাঁড়িও অবশিষ্ট ছিল না। ছিল না কলাগাছের একটি পাতা। নবকৃষ্ণের এই নিমন্ত্রণ এখনও ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে খাওয়া আর খাওয়ানোর ব্যাপারে বাঙালিদের মতো ভোজন বিলাসী ও ভোজনরসিক জাত সত্যিই বিরল। তবে এখন আর নিমন্ত্রণের তেমন বহর নেই। আছে হারিয়ে যাওয়া কিছু সুখকর স্মৃতি। তবে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে সেই সুখকর স্মৃতিও।

5 days ago


Smile: হাসিটুকু ছাড়া আর আছে কী!

সৌমেন সুরঃ সঙ্গীত শিল্পী তালাত মামুদের কন্ঠে 'যে আঁখিতে এত হাসি লুকানো'- এই গানেই বলে দেয় হাসতে গেলে দাঁতের সাহায্য না পেলেও চলে। চোখও হাসতে জানে। চোখও কথা বলতে জানে। বর্তমানে মানুষের মন থেকে হাসি একেবারে উধাও হয়ে গেছে। চারিদিকে এত সমস্যা এত টেনশন, মানুষ হাসবে কখন? হাসি এখন অস্তাচলে।

একটা গল্প দিয়ে বিষয়বস্তুর ভিতরে যাওয়া যাক। এক মহতী সাধুবাবুর কাছে একদিন একটা লোক দেখা করতে আসে। লোকটি সাধুকে বলে, দেখুন সাধুবাবা, আমি ইদানীং হাসতে ভুলে গেছি। সবসময় আমার মনের মধ্যে রাগ। কাউকে আমার সহ্য হয় না। এই রাগের কারণেই আমার জীবন থেকে সমস্ত সুখ অন্তর্ধান করেছে। আমি যেন সবার কাছে রামগরুরের ছানা। আমার জীবনে হাসিকে কিছুতেই আহ্বান জানাতে পারছি না। কেন? কেন আমার এই দুর্দশা? এর থেকে কি কোনও পরিত্রাণ নেই!

সাধুবাবা সব শুনে বললেন, দেখো বাবা, আমার হাসি আনন্দের রহস্য আমার জানা নেই। তবে আমি তোমার ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি। লোকটি একটা ভালো কিছু শোনার  আশায়, সাধুবাবার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সাধুবাবা বলে ওঠেন, তোমার ব্যাপারে আমি যা ভেবে দেখলাম, তাতে দেখতে পাচ্ছি, তোমার আয়ু মাত্র সাতদিন আছে। এই কথা শুনে লোকটি থম মেরে যায়, তারপর একরাশ চিন্তা নিয়ে ওই স্থান ছেড়ে চলে যায়। এরপর দিন যায় একটার পর একটা। সাতদিনের দিন লোকটি সাধুবাবার কাছে এসে প্রণাম করে বলে, বাবা- আমি আপনার কাছে মৃত্যুর আগে শেষ দেখা করতে এলাম। সাধুবাবা ওর প্রফুল্ল মুখ দেখে প্রশ্ন করেন, এখন কেমন আছো? লোকটি বলে, ভালো আছি। বাবা, আমি ভেবে দেখলাম, আয়ু যখন আমার সামান্য, তখন আর রাগারাগি করে কি লাভ! হাসি আনন্দ নিয়ে বাকি কটা দিন কাটিয়ে দিই। সাধুবাবা মনে মনে হাসলেন।

আসলে সাধুবাবার কৌশলে লোকটির জীবনে হাসি ফিরে এসেছিল। কিন্তু কজনেরই বা এমনই হয়! সবক্ষেত্রে হয় না। সংসারের যাঁতাকলে পড়ে আর অর্থ সংগ্রহের নেশায় আমাদের জীবনে কখনও কখনও হাসি অজ্ঞাতবাসে চলে যায়। জীবনে আমাদের হাসিটুকু ছাড়া কীই বা আছে! জন্মের পর ভাষাহীন মুখে যে নিষ্পাপ হাসিটুকু বর্ষিত হয়েছিল, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি- সেই হাসি যেন সারাটা জীবন বর্ষিত হয়েছিল, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি- সেই হাসি যেন সারাটা জীবন বর্ষিত হয় মানব জীবনে, আর জীবনটা হাসিতেই যেন পূর্ন থাকে। তথ্যঋণ- চন্ডিচরন দাস

7 days ago
DurgaPuja: পুজোর বাজার (পর্ব ১)

প্রসূন গুপ্তঃ বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তা হলেও দুর্গাপুজো মানেই শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরে এই সময়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে বা কখনও কার্তিক মাসেও বাঙালি হিন্দুরা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে থাকে। বলতে দ্বিধা নেই এমন অসাম্প্রদিক উৎসব বোধহয় আর কোথাও দেখা যায় না। পুজো তার নিজের মণ্ডপে কিন্তু বাকি সময়ে হৈচৈ, খাওয়া দাওয়া। বাংলার এমার্জেন্সি কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল কলেজে ছুটি। একই সাথে কলকারখানাতেও থাকে ছুটির মেজাজ। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলিতে পুজোর ৪ দিন অবশ্যই ছুটির মেজাজ। অনেকেই হয়তো মণ্ডপে মণ্ডপে না ঘুরে পরিবারকে সময় দেয় এই চারটি দিন। বাড়িতে রোজগার মতো খাবার তৈরি হয়। আজকাল অনেকেই চার দিনই হয়তো বাইরে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখে অবশ্যই ফের বলতেই হয় পকেটের হাল বুঝেই। অনেকেই পূজোর বোনাস পায়। অবিশ্যি তার অনেকটাই বাড়ির জামাকাপড় ইত্যাদি কেনাকাটাতে খরচ হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী অবাঙালিরাও এই উৎসবে ওই একই মেজাজে হাজির হয়।

আজকাল জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে করে যা ইচ্ছা কেনা হয়তো সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু কেনাকাটাতো করতেই হয়। বাড়ির গিন্নীবান্নিরা কিন্তু অনেকেই সারা বছরের খরচের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখে পূজোতে কেনাকাটার জন্য এবং এটাও বাস্তব আজকের দুর্মূল্যের বাজারে সস্তায় এই শহরগুলিতে নিশ্চিত কেনাকাটা করা যায়।

এক সময়ে পূজোর আগে খবরের কাগজগুলিতে কাপড়ের দোকান থেকে জুতোর দোকানের বিজ্ঞাপন থাকতো প্রায় রোজই কিন্তু আজকে অনেকটাই কমেছে। রেডিও থেকে টিভিতেও বিজ্ঞাপন যা আগে থাকতো তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দর যে অনেক। কলকাতার বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিজ্ঞাপন আজকে খুব একটা দেখা না। তবুও বাঙালির দুর্গা পূজো কিছু না থাকলেও কিছু তো থাকবেই। (চলবে)

a week ago


Special: অরবিন্দ ঘোষের ছেলেবেলা

সৌমেন সুর: জন্মের সময় পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ শিশু অরবিন্দের নাম রাখেন 'অরবিন্দ অ্যাকরয়েড ঘোষ। পরে স্বয়ং অরবিন্দই নিজের নামের থেকে অ্যাকরয়েড শব্দটি বাদ দেন। পিতা কৃষ্ণধন 'অরবিন্দ' নাম রেখেছিলেন পদ্ম- এর নাম অনুসারে। তাঁর সুপ্ত বাসনা ছিল, তাঁর সন্তানেরা এক একজন দেশের শতদল হয়ে ফুটে উঠুক। আলোকে যেমন চেপে রাখা যায় না, তেমনি প্রতিভাকে জোর করে চেপে রাখা যায় না। সেটা অরবিন্দের মেধা দেখে বুঝতে পেরেছিলেন- ল্যাটিন ভাষার সু পণ্ডিত মিঃ ড্রয়েট। শিশু অরবিন্দ অসামান্য মেধায় খুব কম সময়ের মধ্যে শেক্সপিয়ার, শেলী,  কিটস ও  অন্যান্য ইউরোপীয় লেখকের লেখা পড়লেন এবং আত্মস্থ করলেন। এই অসাধারণ মেধা দেখে মিসেস ড্রয়েট চেয়েছিলেন খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে। কিন্তু মিস্টার ড্রয়েট তাঁকে নিরস্ত করেন, যেহেতু শিশু অরবিন্দের ধর্ম ও দর্শনের প্রতি আগ্রহ ছিল না সে সময়।

শিশু অরবিন্দকে যখন লন্ডনে 'সেন্ট পলস স্কুলে' ভর্তি করে দেওয়া হয় তখন স্কুলের হেডমাস্টার অবাক হয়ে গেলেন শিশু অরবিন্দের ল্যাটিন ভাষায় ব্যুৎপত্তি দেখে। উনি এবার চেষ্টা করলেন জটিল গ্রীক ভাষা শেখাতে। কি আশ্চর্য, যে ভাষা শিখতে মানুষের দম ছুটে যায়, সে ভাষা অরবিন্দের কাছে সহজ সরল। জীবনের প্রথম ২১ বছরের মধ্যে শেষ ১৪ বছর কেটেছিল ইংল্যান্ডে। প্রথম সাত বছর ভারতে কাটলে ও তার মধ্যে দু'বছর কেটেছিল কনডেন্ট স্কুলে। ইংল্যান্ডের প্রতি অরবিন্দের কোনও আকর্ষণ জন্মায়নি। শুধুমাত্র সাহিত্য ছাড়া। বরঞ্চকিশোর অরবিন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্রান্স। সেখানকার মানুষের শিক্ষা ও আন্তরিকতার জন্য।

দেশে ফিরে আসার পর কিশোর অরবিন্দের পাশ্চাত্য রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগে। এরপর আমরা পায়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন অরবিন্দকে। তাঁর মুখ থেকে শোনা যায় ভারতীয় সংস্কৃতির কথা। তবে ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিলেও ইউরোপীয় সংস্কৃতিকে অসম্মান করেননি। বরং উভয় সংস্কৃতির মিলনের ফলে মনের গভীরতা আরো উদার হয়। অরবিন্দের পিতা আদ্যোপান্ত সাহেব হলেও নিজেও দেশকে কোনদিন অস্বীকার করেননি। ধীরে ধীরে কিশোর অরবিন্দের মনে যে সব প্রেমের যে বীজ বপন হয় তা তাকে পরবর্তীতে একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক আদর্শ বিপ্লবী রূপে সাহায্য করে।  তথ্যঋণ তীর্থ মিত্র।

a week ago
Cinema: সিনেমার আবির্ভাব কলকাতায় কিভাবে!

সৌমেন সুর: ১৮৯৬ সাল। কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে বাঙালি বাবুদের ভিড়। কি নেই হাতিবাগানে! নাটক, কবিগান, তরজা আরো কত কি! সেই সময় গিরিশচন্দ্র ঘোষ স্টার, তাঁর নাটকের জন্য। শুধু গিরিশচন্দ্র নয়, পাশাপাশি রসরাজ অমৃতলালের নাটক। চারদিকে গুঞ্জন। কোন নাটক কেমন, কাদের অভিনয় ভালো হচ্ছে, এমনি সব আলোচনায় মুখর উত্তর কলকাতা। একদিন স্টার থিয়েটারে স্টিফেন সাহেব এসে হাজির। তার কাঁধে ঢাউস একটা ব্যাগ দেখে কৌতুহল সবার। ওই মত্ত ব্যাগে কি এমন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে সেটা দেখতে চাই উৎসুক সবাই। জানা গেল ওই ব্যাগের যন্ত্রে জীবন্ত ছবি ধরা আছে। যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যাবে।

শুরু হলো বায়োস্কোপ উত্তরের কলকাতায়। স্টার থিয়েটারে নাটকের ফাঁকে ফাঁকে অনেকদিন ধরে বায়োস্কোপ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্রচারে যত চমকেই থাকুক না কেন, স্টিফেন সাহেব যে বায়োস্কোপের প্রথম প্রদর্শক, এই প্রমাণ মেলেনি। তবে টিফিনের আগে কলকাতায় ফাদার লাঁফো প্রথম বায়োস্কোপ প্রদর্শন করেন। তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াতেন। কয়েকজন ছাত্রকে তিনি দেখিয়েছিলেন প্রথম জীবন্ত ছবি। তার প্রচারের তেমন কিছুই ছিল না। তাই তাঁর আয়োজন প্রসার লাভ করতে পারেনি। তবে জীবন্ত ছবি দেখানোর ব্যাপারে দাবিদার প্রথম তিনিই। অর্থাৎ স্টিফেনের আগে। একদিন স্টিফেন সব সরঞ্জাম নিয়ে ফিরে যান নিজের দেশে। একটা ভরা শূন্যস্থানে হঠাৎ চমক দেখা দিলো। হীরালাল সেন জীবন্ত ছবি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরীর কথা ভাবছেন। কিন্তু ক্যামেরা তেমন কোথায়! একদিন একটা বিজ্ঞাপন হীরালালকে উচ্ছ্বসিত করলো। একটা বিদেশি কোম্পানি বায়োস্কোপ ক্যামেরা বিক্রি করবে। অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা জোগাড় করে, বিদেশ থেকে সেই ক্যামেরা নিয়ে এলেন। হীরালালের মনের এই খিদে তৈরি হয়েছিল স্টিফেনের কর্মকান্ড দেখে।

চললো সাধনা। ১৮৯৮ সাল। দেশের সামনে একটা তাৎপর্যময় সময়। হীরালাল ও তার দাদা মতিলাল সেনের উদ্যোগে তৈরি হলো রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি। ১৯০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত ব্যানারে ছবি দেখালেন। ১৯০১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রদর্শিত হয় হীরালাল সেনের ক্যামেরায় বঙ্কিমচন্দ্রের 'সীতারাম' উপন্যাস, এরপর গিরিশচন্দ্রের ' মনের মতন', ক্ষীরোদ প্রসাদের 'আলিবাবা'। সবটাই নির্বাচিত অংশ। ১৯০৪ সালে অনেক মেহনত করার পর হীরালাল সেন দু ঘন্টার একটি কাহিনী চিত্র তৈরি করেন। এরপর ১৯১৭ সালে হীরালাল সেন মারা যান। এর কয়েক মাস আগে দাদা সাহেব ফালকে তৈরি করেন ' সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র। এটিই প্রথম ভারতীয় কাহিনীচিত্র। এর পরিবেশক ছিল ম্যাডান কোমকোম্পানি তবে ১৯১৯ সালে তৈরি হয় প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাহিনী চিত্র বাংলায় - ' বিল্বমঙ্গল'। এটি নির্বাক কাহিনীচিত্র ছিল। এভাবেই অনেক সাধনার মধ্যে দিয়ে কলকাতায় সিনেমার আবির্ভাবে সূচনা হয়।

2 weeks ago
Rabidranath: একটি রাবীন্দ্রিক জার্নি ফিরে দেখা

সৌমেন সুর:  রবীন্দ্রনাথ জীবনের অনেকটা সময় বাংলাদেশের শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে কাটিয়েছেন। এখানে তিনি বহু রচনা করেছেন- যেমন, কবিতা, গল্প এবং পত্রাবলী। কবির বহু রচনায় এই স্থানগুলোর বর্ণনা আমরা পাই। বাংলাদেশের এই জায়গাগুলোয় যেতে ভারত থেকে দুভাবে শিলাইদহ শাহজাদপুর ও পতিসরে যাওয়া যায়। প্রথমতঃ কলকাতা থেকে বেনাপোল যশোর হয়ে বাসে বা ট্রেনে কুষ্টিয়া। এই কুষ্টিয়ায় করুন রাত্রি যাপন। কুষ্টিয়ার ঠাকুরবাড়ি, লালনের আখড়া দেখে দিন। সকালবেলা অটোতে বা ছোট গাড়িতে করে শিলাইদহে কুঠিবাড়ি, কাছারি বাড়ি, পদ্মার ঘাটে ঘুরে আবার চলে আসুন কুষ্টিয়ায়। 

কুষ্টিয়া (ভেড়ামারা) থেকে ট্রেনে নাটোর হয়ে সান্তাহারে নেমে পাশের নওগাঁ শহরে রাত্রিযাপন। নওগাঁ থেকে পরদিন সকালে অটো বা ছোট গাড়িতে করে রানিবাঁধ হয়ে পতিসর যাওয়া যায়। তারপর নওগাঁ থেকে বাসে বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জ, সেখান থেকে আবার বাসে শাহজাদপুর। শাহজাদপুরে কুঠিবাড়ি ও মখদুম মসজিদ দেখে বাসে করে কুষ্টিয়ায় ফিরে আসা। আবার উল্টোদিকে কুষ্টিয়া থেকে বাসে প্রথমে শাহজাদপুর দেখে বগুড়ায় গিয়ে রাত্রিযাপন করতে পারেন। বগুড়া থেকে বাসে রানীবাঁধ গিয়ে ছোট গাড়িতে করে পতিসর দেখে নেওয়া। ফেরার পথে নওগাঁয় অবস্থান করলে পাহাড়পুর দেখে নিতে পারেন। তারপর নওগাঁ বা বগুড়া থেকে সরাসরি বাসে কুষ্টিয়া হয়ে যশোর।

এই জার্নিটা যারা রবীন্দ্রপ্রেমী, তাদের সুবিধার্থে লিখে জানালাম। একবার পৌঁছলে আপনার মনের দরজায় কবি কড়া নাড়বেই, এ আমি হলফ করে বলতে পারি। ভ্রমনপিপাসু যারা তাদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথকে কাছে পাবেনই। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে রবীন্দ্রনাথের বহু সমৃতি জড়িয়ে আছে। এই স্থানে পৌঁছালেই আপনার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

                                                                                                                                                                                                               তথ্যঋণ-নিখিল দাস।

2 weeks ago


Konkan Railway: ভারতীয় রেলের হয়েও নিজস্বতা বজায় করে চলেছে কোঙ্কণ রেল

কোঙ্কণ রেল নামটা শোনা থাকলেও অনেকেই হয়তো জানেন না যে এটি কোথায় বা এটা কি ভারতীয় রেলের কিনা?

আজ আমরা জানব সেরমই কিছু অজানা তথ্য। কোঙ্কন রেল হল ভারতীয় রেলের ১৯ তম জোন । যার সদর দফতর হল মুম্বই-এর বেলাপুর। ভারতের কোঙ্কন উপকূলে তার উপকূলীয় শহর, শহর এবং গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য একটিও রেল যোগাযোগ নেই।


এমনকি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারত শাসনকারী ব্রিটিশরাও এই পথে রেলপথ নির্মাণ করেনি। প্রথম প্রস্তাবটি ১৯২০ সালে জরিপ করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য সমীক্ষা করা হয়েছিল । ১৯৯৮ সালের ২৬ শে জানুয়ারি  মহারাস্ট্রের রোহা থেকে কর্ণাটক রাজ্যের থকুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়।


মোট ৭৫৬.২৫ কিমি এই যাত্রাপথ। মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এর দৈর্ঘ্য ৩৬১ কিলোমিটার (২২৪ মাইল), কর্ণাটক হয়ে ২৩৯ কিলোমিটার (১৪৯ মাইল) এবং গোয়ার মধ্য দিয়ে ১৫৬.২৫ কিলোমিটার (৯৭.০৯ মাইল) ।  রোহা থেকে  থকুর পর্যন্ত বিস্তৃত সমগ্র .৭৪১ কিলোমিটার পথটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুতায়িত হয়েছে । সমগ্র রেলপথটিতে ৯১ টি টানেল ও প্রায় ১৮০০ উপর রেল ব্রিজ রয়েছে।  ১৯তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যা গোয়া ও মুম্বইয়ের  মধ্যে চলাচল করে এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে। 

উক্সি এবং ভোকে স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত কোঙ্কন রেলওয়েতে অবস্থিত কার্বুদে টানেল , ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল। কার্বুদে টানেল হল কোঙ্কন রেললাইনের দীর্ঘতম টানেল। এই পথে মালবাহী ট্রাক রেলে করে পরিবহন করা হয় যা RORO( Roll On/ Roll Off) নামে পরিচিত ।


এই পরিবহন মহারাষ্ট্রের কোলাড থেকে গোয়ার ভারমা পর্যন্ত চলে। এই ট্র্যাকেই অ্যান্টি

কলিশন সিস্টেম চালু করা হয়। বর্তমানে যে সকল ট্রেন চলাচল করে এই পথে তার মধ্যে অন্যতম

ট্রেন নং ১২৪৩২/১২৪৩১ হযরত নিজামুদ্দিন – তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল – হযরত নিজামুদ্দিন রাজধন এক্সপ্রেস (ত্রি-সাপ্তাহিক) ...

ট্রেন নং ১২১৩৩/১২১৩৪ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং – মুম্বাই সিএসটি এক্সপ্রেস (দৈনিক) ট্রেন নং ১২১৩৩ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং এক্সপ্রেস। ...

ট্রেন নম্বর ১৬৩৩৩/১৬৩৩৪ ভেরাভাল - তিরুবনন্তপুরম - ভেরাভাল এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক)



2 weeks ago
Kalpana Dutta: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরকন্যা কল্পনা দত্ত (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: জেল থেকে মুক্তির পর কল্পনা দত্ত রবীন্দ্রনাথ ও দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। উত্তরের রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার চিঠি পেয়ে আমি খুশি হয়েছি। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর তুমি মুক্ত হয়েছ। তুমি এখন দিনে দিনে শান্তি ও শক্তি লাভ করো। আমাদের দেশে অনেক কাজ করার আছে। তার জন্য দৃঢ়তা ও সুনিয়ন্ত্রিত মন থাকা চাই। দুঃখ ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতাই তোমার জীবন পূর্ণতা লাভ করুক। এই আমার আশীর্বাদ তোমার শুভার্থী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।' জেলে থাকাকালীন তিনি সংকল্প করেন দেশের জন্য মাস্টারদা তারকেশ্বর দস্তিদার এবং বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করবেন তিনি।

ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর পুলিশের নির্দেশ জারি হল, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে কলকাতা ছাড়তে হবে। তিনি চট্টগ্রাম ফিরে যেতে বাধ্য হন। চট্টগ্রামে তখন জাপানি বোমা পড়ছে। বার্মা থেকে দলে দলে কেউ হেঁটে, কেউ নৌকায় চেপে ভারতের চলে আসছে। অন্য জেলার লোকও চলে আসছে। এদিকে জীবনযাত্রার মানও গেছে পাল্টে। চট্টগ্রামে যুদ্ধের জন্য ব্রিটিশ-আমেরিকান, আফ্রিকান ও ভারতীয় সৈন্য ছেয়ে গেছে। দিনকে দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মিলিটারি রাস্তা বাধার জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে। এদিকে খাদ্যের সন্ধানে দলে দলে মানুষ শহরের পথে ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। কত মানুষ না খেতে পেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে আছে। দুটো ভাত দাও ফ্যান দাও-এর কান্না ভেজা গলা। বিচলিত মানুষ। এই সবকিছু সাক্ষী কল্পনা দত্ত। পুরোপুরি সেবায় নিয়োজিত করলেন নিজেকে। খাওয়া, চিকিৎসা এমনকি নৈশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা সমস্ত কাজ করতে লাগলেন।

এরপর দেশভাগের পর ভারতে চলে আসতে বাধ্য হলেও এবং চাকরি গ্রহণ ছাড়া বাঁচার পথ না থাকলেও, তিনি শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রুশ ভাষা শিক্ষায়তনের দায়িত্বে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কল্পনা দত্ত পড়াশোনা করতেন বিস্তর। দেশ বিদেশের প্রচুর নামিদামি লেখক এর বই পড়তেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে 'বীরকন্যা' রূপেই চিহ্নিত হয়ে আছেন কল্পনা দত্ত। তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত

2 weeks ago


Kalpana Dutta: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরকন্যা কল্পনা দত্ত (১ম পর্ব)

সৌমেন সুর: ১৯৩২ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবের কাছে পুরুষের বেশে কয়েকজন সঙ্গীসহ আটক করা হয়। পুলিশ তাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহ না করে প্রেমঘটিত ব্যাপার মনে করে। যখন সনাক্ত হন যে তিনি রায়বাহাদুরের নাতনি, তখন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী পুলিশ দ্বিধায় পড়ে যায়। কিন্তু ছেড়ে দেয় না, অপরাধীর মতন ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে জামিন দেয়। এর সাত দিন পর ২৪শে সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ হয় প্রীতিলতা ওয়েদেদারের নেতৃত্বে। এই প্রথম একজন মহিলার নেতৃত্বে বৈপ্লবিক আক্রমণ হলো। এই ঘটনায় সারাদেশের ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ বিরোধী অকুতোভয় যোদ্ধা এবং চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম সদস্যা কল্পনা দত্ত ছিলেন বীর কন্যা। মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রিয়পাত্রী ও রবীন্দ্রনাথের কন্যাসম ছিলেন তিনি। ১০৯ ধারায় মামলা চলাকালীন ডিসেম্বর মাসে মাস্টারদা নির্দেশ পাঠালেন কল্পনা দত্তকে আত্মগোপন করতে হবে। যদি না করে তাহলে তাকে বিনা বিচারে জেলে আটক করবে। এই কথা শোনা মাত্র তার নতুন জীবন শুরু হয়। আজ এ গ্রাম, কাল অন্য গ্রাম করতে থাকে। সুখে থাকা মেয়ে কৃষকের বাড়িতে মোট চালের ভাত খাচ্ছে। ছেঁড়া কাঁথায় ঘুমোচ্ছে। তাঁর জীবনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ১৯৩৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি। গৈরলা গ্রামে ক্ষিরোধ প্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন মাস্টারদার সঙ্গে। রাত ৯টা নাগাদ বুঝতে পারলেন মিলিটারি চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। সবাই বেষ্টনী ভেদ করে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। গুলি বিনিময় শুরু হয়। অবশেষে মাস্টারদা ধরা পড়েন। আর কল্পনা দত্ত পাশের গ্রামে এক কৃষকের ধানের গোলায় আশ্রয় নেন। এদিকে কল্পনা দত্তের বিরক্ত কাহিনী গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩৩ সালে জুন মাসে শুরু হয় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি ট্রাইবুনলি। ১৪ই অগাস্ট রায় হয় সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি। কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দ্বীপান্তর। মৃত্যুদণ্ড না দেবার কারণ তিনি নারী এবং বয়স কম।  তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত

3 weeks ago
Special: অধ্যাত্মিকতাহীন রাজনীতি মানুষকে বিকৃত করে; অসাধু তৈরী করে

সৌমেন সুর: শ্রী রবিশঙ্কর বলেছেন, 'ভালোবাসাই পৃথিবীর চালক। বসুধৈব কুটুম্বকম। কৃষ্ণের ছলনায় ভুলো না। রাধার মতো চালক হও। কৃষ্ণ রাধা থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন না। কারণ রাধার সমস্ত জগৎই ছিল কৃষ্ণময়।' কৃষ্ণ হলেন দিব্যশক্তি। আমাদের মধ্যে রয়েছে সেই কৃষ্ণ, সেই দিব্যশক্তি। তাঁকে খুঁজতে হবে, তাঁকে ধরে থাকতে হবে। তাঁর জন্য আমাদের সংকল্প করতে হবে। পৃথিবীতে সার্বিক সংকল্প হল সেবা। যদি আমাদের জীবনে কোনও ভয় থাকে, তাহলে তা এসেছে সংকল্পের অভাব থেকে।

আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতি, দুটোই মানুষকে নিয়ে কাজ করে। অধ্যাত্মিকতাহীন রাজনীতি মানুষকে বিকৃত করে। অসাধু তৈরী করে এবং আবওহাওয়ায় কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনীতি ও মানবতাহীন রাজনীতি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, অপরাধ প্রবণতা ও অসাধুতা সৃষ্টি করে। কথা হল, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে চলার প্রয়োজন আছে। একমাত্র আধ্যাত্মিকতাই পারে আত্মবিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা তৈরী করতে। প্রশাসনে যারা থাকেন, তাদের জন্য মানবিকতা ও এই মূল্যবোধগুলি বিশেষ প্রয়োজন। যিনি সকলকে সমানভাবে দেখতে পারেন। অর্থাৎ একজন নেতার সমদর্শী হওয়া প্রয়োজন। সত্যাদর্শী সত্য দ্বারা চালিত হন। পারদর্শী তাঁর কাজে স্বচ্ছ হন। দূরদর্শী উদার মনের হন। প্রিয়দর্শিনীর মধ্যে প্রেম করুনার মৈত্রী থাকে। এইসব গুণগুলো প্রশাসনের জন্য জরুরি।

যদি সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকে, আধ্যাত্মিকতার মূল্য না থাকে, তাহলে সেই সমাজকে পরিচালনা করা কঠিন। আধ্যাত্মিকতা মানুষকে সৎ ও দায়বদ্ধ করে। অপরাধ মুক্ত সমাজ তৈরির জন্য এটা প্রয়োজন। যখন ধর্মের নাম অনেক যুদ্ধ হয়, তখন আধ্যাত্মিকতা সাহস দেয়, আত্মবিশ্বাস তৈরী করে। এবং কঠিন সময়েও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে মানুষকে। আজ ধর্ম ও রাজনীতির সংস্করণ দরকার। ধর্মকে অনেক বেশি আধ্যাত্মিক হতে হবে। কলার খোলসটা হল ধর্ম, আর ভিতরের শাঁসটা হল আধ্যাত্মিকতা। স্বাধীনতা দিতে হবে, প্রত্যেকের নিজের ধর্মকে, প্রার্থনাকে। তাহলে পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান ভান্ডারকে এক করা যাবে।  সমস্ত রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহাবস্থান হয় না, তখনই আমরা পাই ছদ্মধর্মীয় নেতাদের। সবশেষে বলি, আধ্যাত্মিকতা জীবন সম্বন্ধে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়। যাতে করে সকলের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। তথ্যঋণ- কোন বসু মিত্র।

3 weeks ago
Vishwakarma: সৃষ্টির দেবতা বিশ্বকর্মা

সৌমেন সুরঃ আর মাত্র সাতদিন পরে অর্থাৎ ১৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলেই তথ্যটা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। বিশ্বকর্মা হলেন সবকিছুর স্রষ্টা। এই বিশ্বের সমস্ত কারিগর শিল্পীর প্রধান প্রতিনিধি তিনি। একসময় এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ছিল অন্ধকারে পূর্ণ। তখন জল, পৃথিবী, বায়ু, তেজ, স্পন্দন, ধ্বনি ছিল না। জীব পদার্থের অস্তিত্ব ছিল না। সবকিছুই অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। একদিন হঠাৎ ধ্বনি জেগে ওঠে। সংকেত হয়- সৃষ্টির সূচনা আরম্ভ হলো। এক উজ্জ্বল আলোকময় দীপ্তির মধ্যে প্রকাশিত হলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। জন্ম হলো জল,মাটি,বায়ু,গ্রহ,নক্ষত্র, দেবতা, দানব, মানব। জগৎকে যিনি সৃষ্টি করলেন তিনি মহাস্রষ্টা বিশ্বকর্মা।

বেদ বেদান্ত, রামায়ণ, মহাভারত বিভিন্ন পুরাণে বিশ্বকর্মার যে ভাবনা জন্ম নিলো উত্তরকালে তার প্রতিফলন দেখা দিলো। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে যখন আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠলো স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন এলো জীবনযাত্রার। সমস্ত শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কাছে তাদের কর্মের দেবতা হয়ে উঠলেন বিশ্বকর্মা। বৈদিক যুগে যা ছিল অরূপে, একালে তারই প্রকাশ হলো রূপে। বর্তমানে মানুষের জীবনে যন্ত্রের ব্যবহার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আর যন্ত্র অর্থে বিশ্বকর্মা। তাই অনেক বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর মতো বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দেবমূর্তি এনে পুজোর আয়োজন করা হয়। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে যন্ত্রসংক্রান্ত বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয় সেখানে বিশ্বকর্মা পুজো হয়।

বিশেকর্মা শুধু যন্ত্র সৃষ্টি করেন না, তিনি জ্ঞানের প্রসারও করেন। কোথাও কোথাও দীপাবলির দিন বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোয় আর এক বৈশিষ্ট্য হলো ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ির মধ্যে দিয়ে মানুষ মেলে ধরে নিজেকে অসীম অনন্তে, যা বিশ্বকর্মার মূল ভাবের প্রতীক। এই বিশ্বকর্মা পুজো শুধু বাংলায় নয়, অসম, ত্রিপুরা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের নানা অঞ্চলে প্রচলন আছে, এমন কি দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু আঞ্চলে এই পুজোর প্রচলন আছে।

3 weeks ago


Android: অ্যান্ড্রয়েডের রিব্র্যান্ডিং করছে গুগল, বদল ভিসুয়াল আইডেন্টিটিও

গত এক দশক ধরে অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার বাড়ছে। একাধিক ব্র্যান্ড অ্যান্ড্রয়েডের উপর কাজ করছে। একের পর এক আপডেট আসছে। এবার অ্যান্ড্রয়েডের রিব্র্যান্ডিং করছে গুগল। ভিসুয়াল আইডেন্টিটি পরিবর্তন হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ডায়নামিক অ্যান্ড্রয়েড রোবট ব্যক্তি, সম্প্রদায় বা কোনও বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গে সংযোগস্থাপন করতে পারবে। নতুন ভিসুয়াল এলিমেন্ট স্বয়ংক্রিয় অভিব্যক্তি, ব্যক্তিগত প্যাশন ও কনটেক্সকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। গুগলের সঙ্গে জোট বেঁধে এই কাজ করছে অ্যান্ড্রয়েড। গুগল অ্যাপের সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্ম ও পরিষেবা সম্পূর্ণ বদলে যাবে। এই যৌথ উদ্যোগের লোগো ঠিক করা হয়েছে ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটার। গুগলের লোগোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই লোগোয় থ্রিডি এফেক্ট আনা হয়েছে। এর নাম বাগড্রয়েড। অ্যান্ড্রয়েড কমিউনিটির জন্য যা অত্যন্ত কার্যকর হতে চলেছে।

আগামী বছর অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই লোগো থ্রিডি রূপে ধরা দিতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে এই ক্যাপিটাল এ লেখা লোগো দেখা যেতে পারে।

4 weeks ago
Teachers' Day: শিক্ষকতা শুধু জীবিকা নয়, এক মহাব্রত

সৌমেন সুর: আমাদের জীবনে এমন কতকগুলো দিন আসে যেগুলো নতুন ভাবে আমাদের উজ্জীবিত করে। অনুপ্রাণিত করে। সেদিন মনে হয় আমাদের অন্তরের শুদ্ধিকরণ হল। জাগরণ হল শ্রদ্ধাবোধের। মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি সেদিন আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন। ৫ই সেপ্টেম্বর এমনই একটা মহান দিন। মহান সাধক ও মহান শিক্ষক সর্বোপরি ড. রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিবস উপলক্ষে ৫ই সেপ্টেম্বর 'শিক্ষক দিবস' রূপে দেশ ও জাতির কাছে চিহ্নিত হয়। শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। তারা সমাজের প্রণম্য। একমাত্র তারাই শিক্ষার্থীর মনের অন্ধকার দূর করে জ্বালিয়ে দেন জ্ঞানের প্রদীপ। শিক্ষকরাই দেশ ও জাতির অগ্রগতির উৎস। সমস্ত বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছে ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখটি উজ্জ্বলতার অনন্য নির্যাস।

১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন অনন্য প্রতি ভাই প্রদীপ্ত সাধক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। ১৯০৫ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে এম. এ। এরপর মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু। তারপর মহীশূর কলেজে অধ্যাপনা। এই মহিশুর এই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৮ সালে। সাক্ষাতের আগেই তার লেখা 'দ্য ফিলোজফি অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর' গ্রন্থের প্রকাশ। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। টানা কুড়ি বছর এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হন।

কথা হলো শিক্ষক হলেন দেশের অন্যতম প্রধান কর্ণধার। রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ শিক্ষক, বিদ্যান, বাগ্মীও জ্ঞান তপস্বী। তার ওপর রাষ্ট্রপ্রধান। তাই ৫ই সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে 'শিক্ষক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। এই পবিত্র দিনের শিক্ষকরাই যে জাতির মেরুদন্ড তা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শিক্ষক শুধু শিক্ষাই দেন না। তিনি শিক্ষার্থীর কোমল মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। চিত্তের প্রসার ঘটান। সাধারণ মানুষ শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবান হোক। এটাই শিক্ষক দিবসের প্রাণের কথা। আবার এই দিনের শিক্ষক সমাজ তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করুক, এটাই শিক্ষক দিবসের মহৎ বার্তা।

4 weeks ago