Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

অন্যান্য

Kapoor: বাংলার সঙ্গে কাপুরদের যোগ আত্মিক, সেভাবে বাঙালির মতোন এঁরাও যথেষ্ট খাদ্যরসিক

প্রসূন গুপ্ত: পৃথ্বিরাজ কাপুর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কলকাতায় চলে আসেন। খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন, এখানে টুকিটাকি কাজ করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় যোগ দেন। কলকাতার নানা খাবারে তখন ঝোঁক ছিল অসম্ভব। একদিকে জন্মসূত্রে পাঞ্জাবি, তাই পাঞ্জাবি খানা এবং পরে কলকাতায় থেকে মাছ থেকে খাঁসির মাংস, মিষ্টির প্রতি পৃথ্বিরাজের আগ্রহ বাড়ে। একই খাবারের আকর্ষণ ছিল রাজ কাপুরের। তিনিও বাংলা জানতেন, শাম্মি বা শশী এত ভালো বাংলা না জানলেও খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ তাঁদেরও এই কলকাতার সূত্রে।

শুধু খাবারই নয় বিদেশী সুরার প্রতিও আকর্ষণ ছিল কাপুরদের। রাজ বা তাঁর বংশধরাও নানান ডিশ খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। এদের মুম্বাইয়ের বাড়িতে বা আরকে স্টুডিওতে প্রায়ই খানাপিনার আসর বসতো। সিনেমা জগৎ বলে শুধু নয় সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতা বা মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের নিমন্ত্রণ থাকতো কাপুরদের আসরে। দোল হোলিতে আরকে স্টুডিওতে ৫০০ অতিথির নিমন্ত্রণ থাকতো কম করে।

ঋষি কাপুর খেতে এবং মদ্যপান করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। তিনি যখন নায়কের চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, তখন স্ত্রী নিতু সিং অনেকটাই তাঁকে কন্ট্রোল করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিতু জানিয়েছেন, ঋষি নাকি ৩০ দিনে ৩০ রকম ডিশের বায়না করতেন। করোনা আবহে তিনি মদের দোকান বন্ধ ছিল বলে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।

কিন্তু এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ রণবীর কাপুর কিন্তু একবারেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক। সকালে ফ্রুট জুস্, ডিমের সাদা অংশ-সহ একটি টোস্ট এবং ফল। 

দুপুরে প্রায় কিছুই নয়। খিদে পেলে  হেলথ বিস্কুট, রাতে সবুজ সবজি, সেদ্ধ মাংস এবং একটি রুটি। রণবীর জানে তাঁর বাজার এবং চেহারা ধরে রাখতে হবে।

2 years ago
Haradhan Saha: ১১৩ বছর বয়সেও বাড়িতে পতাকা উত্তোলন

জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে পা মেলানো কাঁকসার (Kanksha) জঙ্গলমহলের সরস্বতীগঞ্জের ১১৩ বছরের হারাধন সাহার (Haradhan Saha) চোখে এখনও স্পষ্ট ব্রিটিশদের অত্যাচাররের স্মৃতি। ১৯৪৭ সালের আগে দেশের মানুষকে ইংরেজদের বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। এরপর দেশকে স্বাধীন করার জন্য দেশপ্রেমীরা উঠেপড়ে লেগেছিলেন। সেই সময় ইংরেজরা অবিভক্ত বর্ধমান-দুর্গাপুরের (Durgapur) বিভিন্ন প্রান্তে ঘাঁটি গেড়েছিল। সগড়ভাঙা ও লাউদোহার বিভিন্ন প্রান্তে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়েছিল। সেই ব্রিটিশদের অত্যাচার রুখতে শিল্পাঞ্চলেও এক সময় এসেছিলেন গান্ধীজি (Gandhiji), নেতাজি, জওহরলাল নেহরু সহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী। 

স্বদেশপ্রেমী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতেন কাঁকসার জঙ্গলমহলের বহু মানুষ। সেই সময় আন্দোলনে গিয়েছিলেন কাঁকসার জঙ্গলমহলের ১১৩ বছরের হারাধন সাহা। আন্দোলনে যাওয়ার সময়ও বিভিন্নরকমভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন তাঁরা। তবুও তাঁরা বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়েই এগিয়ে যেতেন। 

শোনা যায়, কাঁকসার জঙ্গলমহলেও বিভিন্ন প্রান্তে স্বদেশপ্রেমীরা আত্মগোপন করতেন। জঙ্গলমহলের বহু মানুষও গিয়েছিলেন স্বদেশপ্রেমীদের সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে। গান্ধীজি, নেতাজি ও জওহরলাল নেহরুর পরামর্শ নিতেন স্বদেশপ্রেমীরা দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনটাও শোনা যায়। সেই সময় জওহরলাল নেহরুর আন্দোলনের সঙ্গেই পা মিলিয়েছিলেন হারাধন সাহা। বর্তমানে ১১৩ বছর বয়স, তবু যেন এখনও নবীন তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে বাড়ির বাগানে পতাকা উত্তোলন করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। শুভেচ্ছা জানালেন দেশবাসীকে ১১৩ বছরের জেলার অন্যতম প্রবীণ হারাধন সাহা।

2 years ago
Durga puja: অন্য পুজো, ভাঁড়ে জমানো টাকা দিয়েই ৫০ জন মহিলার উমার আরাধনা

আকাশে-বাতাসে এখন মা উমার আগমনী বার্তার সুর। আনন্দের জোয়ারে ভেসে যেতে এখন অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু উৎসবপ্ৰিয় বাঙালির। দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের উত্তরপল্লির পুজো একটা আলাদা ছন্দে অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর (Durga puja) উদ্যোক্তা ৫০ জন মহিলা। করোনার (covid 19) ভয়ঙ্কর থাবায় মানুষের পকেটে টান পড়েছিল, পুজো নমো নমো করে হয়েছিল গত দু বছর। করোনার ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তিকে হেলায় হারানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন গত বছরই তাঁরা। আনন্দের আবহে হেলায় হারাতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। 

প্রতিজ্ঞার সেই সংঘবদ্ধ লড়াইয়ে তাঁরা ঠিক করেছিলেন, আর চাঁদা তুলে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে পুজোর আয়োজন করবেন না তাঁরা। মহিলারা সেদিন নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন এই পুজোর দায়িত্ব। সংকল্প করেন প্রতিদিন একটু একটু করে ভাঁড়ে জমানো টাকা দিয়ে হবে পুজোর আয়োজন। কোনও একটি দিনকে বেছে একসাথে পঞ্চাশটি ভাঁড় ভাঙা হবে। আর কষ্টার্জিত সেই জমানো টাকা দিয়ে হবে মা উমার পুজোর আয়োজন। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের বিধাননগরের উত্তরপল্লি পুজো কমিটির এই মহিলাদের বেশিরভাগই গৃহবধূ। রবিবার ছিল সেই মহেন্দ্রক্ষণ, এলাকার মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে এই পঞ্চাশজন গৃহবধূ একসঙ্গে পঞ্চাশটি ভাঁড় ভাঙলেন। আর সেই সঞ্চিত টাকা দিয়ে বরাত দিলেন পুজোর আয়োজনের। পুজোর প্রস্তুতির শুভ সূচনা হল আজ থেকেই। হাই বাজেট নয়, নজর কাড়া কোনও থিমও নয়, বিধাননগরের উত্তরপল্লির পুজো মা উমার আগমনী বার্তার সুরে যেন এক নতুন ভাষা খুঁজে পাবে। পাবে এক নতুন দিশা, আর সেই অর্থেই আজ থেকেই শুরু অপেক্ষার প্রহর গোনা।

2 years ago


Food: রাজ কাপুর-উত্তম কুমাররা খাদ্যরসিক ছিলেন, কবজি ডুবিয়ে খেতেন এবং খাওয়াতেন

প্রসূন গুপ্ত: এক সময়ে শোনা যেত উত্তমকুমার খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। খুব যে একটা পেটভরে খেতেন এমন নয়, কিন্তু নানা স্বাদের খাওয়ার অল্প অল্প করে খেতেন। তাঁর স্টুডিওর খাবারের প্রতি খুব একটা ঝোঁক ছিল না। স্টুডিওতে শুটিংয়ের ফাঁকে বারবার ভাঁড়ের চা খেতেন। মহানায়কের দুপুরের খাবার আসতো তাঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে। নিজে হাতে রান্না করে ডেচকি ভরে খাবার পাঠাতেন সুপ্রিয়া দেবী। কোনও দিন ইলিশ মাছ, কখনও চিংড়ি, কখনও চিকেনের পাতলা ঝাল ঝোল। উত্তমবাবু একা খেতেন না, অন্য শিল্পীদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে ভালোবাসতেন। সুপ্রিয়া দেবী যেহেতু পূর্ববঙ্গের মেয়ে ছিলেন, তাই তাঁর হাতের বাঙাল রান্নার উপর ঝোঁক ছিল উত্তমের।

এ ছাড়া প্রায় রাতে জমিয়ে ডিনার চলতো বিদেশী স্কচ সহযোগে। বিকেলের দিকে শুটিংয়ের পরে তিনি কখনও ভবানীপুরের বাড়িতে গেলে স্থানীয় এক তেলেভাজার দোকান থেকে তেলেভাজা আসতো। মুড়ি লঙ্কা ও চা সহযোগে তাই জমিয়ে খেতেন। কিন্তু আজকের দিন উত্তমকুমারের নয়, রাজ কাপুরদেরও নয়।

রাজ কাপুরদের ট্র্যাডিশন ছিল মাসের ৩০দিন ৩০ রকমের ডিশের। সেই প্রথা আজ তাঁর নাতি-নাতনি রণবীর, করিশ্মা বা করিনা, কেউ মানেন না। আজকাল অভিনেতারা শরীর সচেতন। বহু অভিনেতা আছেন যাঁরা মদ সিগারেট কিছুই খান না। যেমন অক্ষয় কুমার শুধু ফলের রস ও একটি টোস্ট খেয়ে কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে সামান্য সেদ্ধ চিকেন এবং ফল। রাতের খাবার যে ভাবেই হোক ৮টার মধ্যে সেরে ফেলবেনই আর সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘুম। ডিনারে সেদ্ধ সবুজ সবজি, একটি রুটি, কখনও আবার চিকেন রোস্ট।

শাহরুখ খানের পছন্দ আবার রোস্ট করা মাংসের দিকে, কিন্তু মোটেই ভাজাভুজি নয়। আজকের নায়ক নায়িকারা ভাজাভুজি একেবারেই খান না। কেউ কেউ খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন। গ্রিল্ড ফিশারের প্রতি আকর্ষণ অনেকের আছে। রানী মুখার্জি তো জানিয়েছেন তাঁর প্রিয় খাদ্য মাছের ঝোল। দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পীরা কিন্তু ভাত বা চাল-ডাল সহযোগে খেয়ে থাকেন রসম টক দই। আসলে কোটি কোটি টাকার মালিক চলচিত্রশিল্পীরা খাওয়া নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না।

2 years ago