
গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের জানালা ভেঙে চুরির (stolen) ঘটনা। হরিপালের (Hooghly) নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে হরিপাল থানার (Haripal Police) পুলিস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের উন্নয়নকে বদনাম করতে বিরোধীরা এই ধরনের চক্রান্ত করেছে, অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। পঞ্চায়েতের একাধিক দুর্নীতি লোপাট করতেই নিজেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পাল্টা দাবি বামেদের।
জানা গিয়েছে, গত ৬ বছরে দু'বার চুরির ঘটনা ঘটল হরিপালের নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সাফাই কর্মী এসে দেখেন এক তলার জানলা ভাঙা। তিনি তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েতের সদস্যদের খবর দেন। এরপর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান সহ সমস্ত সদস্যরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে দেখেন দোতলার তিনটে ঘরেরই তালা ভাঙা। একটি ঘরের পাঁচটি আলমারির লক ভেঙে নথিপত্র তছনছ করা হয়েছ। এমনকি চুরি করা হয়েছে প্রধানের ঘরের টিভিও।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মেহেনাজ হালদার বলেন, 'ছয় বছর আগেও চুরি হয়েছিল। কী উদ্দ্যেশে এই ঘটনা ঘটছে তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান, সামনে পঞ্চায়েত ভোট তাই বিরোধীরা পঞ্চায়েতকে বদনাম করার জন্যই এটা করতে চাইছে। বিরোধীরা চুরি করে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। নালিকুল পশ্চিম আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন চলছে সেটা সহ্য করতে না পেরে বিরোধীরা সরকারি অফিসেও একটা চক্রান্ত করতে চাইছে। পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে বিরোধীরা, বলেলেন তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি।'
তবে এই বিষয়ে সিপিআইএম হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা বলেন, নালিকুল পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের যে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটা শাসকদলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পঞ্চায়েত প্রধান নিজে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু নথি চুরি করিয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করা যাবে না। আর ভোটের সময় এর যোগ্য জবাব দেবন গ্রামবাসীরা।
জেল খাটতে হলে চেয়ারম্যান (Chairman) খাটবে, কাউন্সিলর খাটবে, বিধায়ক খাটবে, এমপি খাটবে, কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। মন্তব্য কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার। কিন্তু কেন এমন বললেন তিনি? কারণ, অয়ন শীল (Ayan Shil) গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে ৭০টি পুরসভার। অয়নকে গ্রেফতারির পর মধ্যখানে কেটে গিয়েছে ৩-৪টে দিন। বিতর্কের মাঝেই কামারহাটি পুরসভায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্বেতা চক্রবর্তী। আগেই জানিয়েছিলাম, শ্বেতা কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। সেই পদেই নিজের কাজে যোগ দেন তিনি। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন খোদ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
শুক্রবার মদন মিত্র শ্বেতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর, শ্বেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে শ্বেতা জানান, 'উনি আমাদের বিধায়ক, উনি আসতেই পারেন।' পাশাপাশি শুক্রবার নিয়োগ বিতর্কে শ্বেতার নাম জড়ানোয়, ওই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, 'যদি জেল খাটতে হয়, চেয়ারম্যান খাটবেন, কাউন্সিলর খাটবেন, বিধায়ক খাটবেন, এমপি খাটবেন। কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবেন। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। যদি অন্যায় আমরা করে থাকি তাহলে শাস্তি আমাদেরই হবে। প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।' কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা আরও বলেন, 'হাসিমুখে কাজ করুন। সাধারণ মানুষকে তাঁদের পরিষেবাটা দিন।'
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে (Wife) অস্বীকার করায় স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় মহিলা। মহিলার অভিযোগে ঘটনাস্থলে পুলিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহেশতলা (Mahestala) থানা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, চকমির মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে নোয়াপাড়ার বাসিন্দা সাবিনা খাতুনের বিয়ে হয়। সাবিনা খাতুনের অভিযোগ, প্রায় চার বছর ধরে তাঁদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর সাবিনা বাপের বাড়ি থাকতেন। তাঁকে কোনওদিন শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসেনি তাঁর স্বামী।
বর্তমানে সাবিনা অন্তঃসত্ত্বা। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী মইনুল ইসলাম মোল্লা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। বৃহস্পতিবার সাবিনা বলেন, 'মইনুল অন্যান্য নম্বর থেকে ফোন করে আমার বাবা, মা, পরিবারকে হুমকি দেন।' তাঁর আরও অভিযোগ, সাবিনাকে তাঁর সন্তান নষ্ট করার কথা বলা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই, সাবিনা তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলার জন্য চকমির মোল্লাপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে। সেই দেখে এলাকার লোকজন ভিড় জমাতে থাকে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে শ্বশুরবাড়ির সামনেই বসে থাকে সাবিনা খাতুন। গোটা ঘটনা নিয়ে মইনুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে, সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে কেউই বাড়ির দরজা খোলেননি।
ফের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ খোদ কলকাতা (Kolkata) শহরে। এবার চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধার ( Grandmother )। অভিযোগ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যে ছটা থেকে উত্তর কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে (Hospital ) পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড না থাকার কারণে, রোগীকে রাতভর পড়ে থাকতে হলো হাসপাতালের মাটিতে। সেই চিত্র ধরা পরল সিএন -এর ক্যামেরায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগনার জ্যাংরার বাসিন্দা, ৪২ বছর বয়সী কৃষ্ণা শীল, বাড়িতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
রোগীর পরিবারের তরফে, ওই সরকারি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করার পরে মাটিতেই ফেলে রেখে দেয়, এমনই অভিযোগ উঠে আসলো। তাঁদের অভিযোগ বারবার ডাকার পরেও সারা মেলেনি কোনো চিকিৎসকের। রোগীর পরিবার জানান, হাসপাতালে শয্যা খালি থাকা সত্ত্বেও বেড নেই বলে রোগিনীকে ভর্তি করেনি বলে অভিযোগ, ' মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা খুবই ভালো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড থাকে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ' চিকিৎসা পরিষেবা এতটাই ভালো যে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে।' প্রশ্ন থাকছে একটাই ? কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের ?
এখনই বৃষ্টি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না রাজ্যবাসী। এমনটাই খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। আগামী বুধবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে ঝড়-বৃষ্টি (Rain)। রবিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই কয়েকদিন কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা (Temperature) আপাতত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather)। আপাতত মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে।
অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তর-পূর্ব এবং মধ্য ভারতের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এমনকি সপ্তাহের শেষে প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মূলত জম্মু, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং রাজস্থানে শুক্রবার দুপুর থেকেই ভারী বর্ষণ হতে পারে। শনিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ডে। আর সপ্তাহের শেষে শিলা বৃষ্টি হতে পারে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে।
উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। দু'দিন সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই।
গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক মৎস্যজীবীর। আনুমানিক শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার (Fraserganj Coastal Police) পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত মৎস্যজীবীর নাম দুলাল প্রামাণিক। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার অন্তর্গত দক্ষিণ শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যান্য মৎস্যজীবীদের থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২১শে মার্চ মঙ্গলবার মৎস্য শিকারের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে রওনা দেন দুলাল। তিনি এফবি রিয়া নামের একটি ট্রলারে করে সহকর্মী মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সমুদ্রে যান। তারপর গভীর সমুদ্রের মধ্যে ট্রলারে থাকাকালীনই বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন দুলাল প্রামাণিক। তখনই তড়িঘড়ি করে দুলাল প্রামাণিককে নিয়ে এফবি রিয়া নামের ট্রলারটি উপকূলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার ট্রালারটি উপকূলে পৌঁছতেই বাকি মৎস্যজীবীরা অসুস্থ দুলাল প্রামাণিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ মৃতর পরিবার সহ অন্যান্য মৎস্যজীবীরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩ কেজি সোনার (Gold) বাট সহ ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল রেল (Rail police) পুলিস। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কলকাতা (kolkata) স্টেশন থেকে আটক করা হয় বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, ' বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে সোনা পাচারের খবর আমরা পাই, খবর পেয়েই একটি স্পেশাল টিমকে কাজে লাগিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ' পুলিস আরও জানিয়েছে, দুই পাচারকারীর থেকে বিভিন্ন আকারের বিস্কুটের মত ৩ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। শুক্রবার রেল পুলিশের ওই রেঞ্জের ডিআইজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ' প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে রাজস্থান থেকে তারা সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল। ' আজ তাদের আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল পুলিস।
মাটি ফেলে প্রায় আড়াই একর জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ বাগদা (Bagda) থানার আষারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোবা এলাকার ঘটনা। দিন কয়েক ধরে আষারু বাশঘাটা সড়কের পাশে এই জলাভূমি (Water Body) ভরাট নিয়ে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ স্থানীয় গোপীবল্লভ নাথ ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, 'স্থানীয় কার্তিক পাল দলিল জাল করে নিজের নামে ওই জলাজমি বেআইনিভাবে ভরাট করছেন৷ আমরা একটি কোম্পানিকে দিয়েছিলাম। সেই কোম্পানি উঠে যাওয়ায় সেই জমি আমাদের নামেই রেকর্ড রয়েছে৷ বাগদা ভূমি রাজস্ব অফিসেও জানিয়েছে বিষয়টি৷' এমনকি ভরাটে বাধা দিলে ভয়-হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷
বৃহস্পতিবার সকালে বাসিন্দারা ওই এলাকায় গেলে মাটি ফেলার কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা৷ অভিযোগ, 'ওই জলাভূমিতে চাষিরা পাট জাগ দেয়। এলাকার জল আসে এখানে, পাশাপাশি চাষিরাও এখানকার জল নিয়ে ক্ষেতের কাজ করেন৷ জলাভূমি ভরাট করলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরাই৷' ভরাটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাধিক স্থানীয় কৃষক৷ এদিন কার্তিক পালকে বাড়ি না পাওয়া গেলেও তার ছেলে বলেন, 'ওই জমির কাগজপত্র আমাদের আছে এবং বিএলআরও অফিসের অনুমতি নিয়েই ভরাট করা হচ্ছিল।' যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য, 'বিএলআরও অফিসের অনুমতি ছাড়াই ভরাট করছে ওই ব্যক্তি৷'
ঘনঘন হাতির হামলায় জঙ্গলমহলে মৃত্যুর প্রতিবাদ (Elephant Attack) ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। আট দফা দাবি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন (Deputation) জমা। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরির দাবি রয়েছে এই ডেপুটেশনে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমন দাবিও উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা ডেপুটেশনে।
খবর, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে নিত্যদিন হাতির হামলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার নেতা অশোক মাহাতো ডেপুটেশন দেওয়ার পর বলেন, 'জঙ্গলমহলজুড়ে হাতির হামলায় প্রায় প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। এমনকি প্রতিদিন ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষতিও করছে হাতির দল। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারবর্গকে চাকরি দেওয়ার দাবি এবং হাতির দল যাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি করছে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে।'
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় সন্দেহভাজন তিনজনকে প্রথমে আটক করে ফরাক্কা থানা। তারপর তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের থেকে উদ্ধার হয় ৪০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। মাদক উদ্ধারের পরেই তাদের গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানায় নিয়ে আসে পুলিস। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিষেক ভাস্কর, মোহাম্মদ আমির খান, নবীন রজক।
প্রত্যেকের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। ধৃতদের হেফাজতে পাঠিয়েছে জঙ্গিপুর আদালত। আর এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
দুই যুবককে ধরে ক্লাব ঘরে বেঁধে, আটকে রেখে নির্যাতনের (Beaten) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক ডাব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গাইঘাটা (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত ধর্মপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুইপাড়া এলাকায়। ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিস (Gaighata Police) এসে ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এলাকারই এক বাসিন্দা নিত্যানন্দ দাস। পেশায় তিনি একজন ডাব ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ঘর থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তবে কিছুতেই চোর ধরা যাচ্ছিল না। তাই চোর ধরার জন্যে বুধবার রাতে নিত্যানন্দ দাস বাড়িতে তালা লাগিয়ে বাড়ির পাশের একটি জাগায় লুকিয়ে ছিল। সেই সময় তাহির বিশ্বাস, বিপ্লব পারুই নামের দুই যুবক, তাঁর বাড়ির সামনে গেলে তাদেরকে সন্দেহের বশে ধরা হয়। বেশ কিছু যুবকদের নিয়ে তাদের এলাকারই এক ক্লাব ঘরে আটকে রাখেন নিত্যানন্দবাবু-সহ স্থানীয়রা।তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি জোর করে টাকা চুরির ঘটনাও স্বীকার করানোর চেষ্টাও চলে বলে অভিযোগ।
তবে এই বিষয়ে ডাব ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ দাস জানান, 'ওই দুই যুবককে তালা ভাঙতে দেখে লাইট জ্বালালেই পালানোর চেষ্টা করে। পরে কয়েকজনকে ডেকে ওই দুই জনকে ধরে ক্লাবের মধ্যে রাখা হয়। আমি ডাবের ব্যবসা করে টাকা জমিয়েছি। সেই জমানো টাকা থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।'
তবে এবিষয়ে ধর্মপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল ঘোষ জানান, 'নিত্যানন্দ দাস একজন ডাব ব্যাবসায়ী। তাঁর দীর্ঘদিনের অভিযোগ তাঁর বাড়ি থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে। সেই মোতাবেক নিত্যানন্দ একটু পাহাড়ায় থাকতেন। সেই মতো সন্দেহের বশে ওই দুই যুবককে ধরে তিনি ক্লাবে আটকে রাখেন। খবরটা আমাদের কাছে আসতেই আমরা গায়ে হাত না তোলার কথা বলি। এমনকি আমি ওই দুই জনকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতেও বলেছি।'
কয়লাকাণ্ডে বীরভূমের এক পুলিস আধিকারিককে ফের তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। মঙ্গলবার শেখ মহম্মদ আলি নামে ওই পুলিস আধিকারিককে ডাকা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে ওই পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআইয়ের সূত্রে খবর। ২৫ শে মার্চ তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও একবার তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। শেখ মহম্মদ বর্তমানে সিউড়ি থানায় আইসি হিসাবে কর্মরত। এর আগে তিনি ছিলেন মহম্মদবাজার থানার ওসি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন থানার দায়িত্বেও ছিলেন। কোটি কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে আবার শেখ মহম্মদকে তলব করেছে সিবিআই।
কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে ইতিমধ্যেই লালাকে চিহ্নিত করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। তাঁর একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। উদ্ধার হয় বহু নথিও। সেই লালা বর্তমানে অবশ্য রয়েছেন শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচে। গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচারকাণ্ডেও অভিযুক্ত বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বর্তমানে তিহার জেলে। তারই মধ্যে কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে নয়া পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। ২৫ মার্চ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব।
উল্লেখ্য, সিবিআই সূত্রে খবর, ওই পুলিসকর্তা ছাড়াও আসানসোল জেলের জেলারকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের আয়করের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের (Ranaghat Mahakuma Hospital) ভিতরে বিড়াল! এমনকি হাসপাতালের ভিতরে রীতিমতো ঘোরাঘুরিও করছে তারা (Cat's)। কখনও তো আবার রোগীর বেডের মধ্যেই বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালের শৌচালয়, পানীয় জলের কলের থেকে জল খেতেও দেখা যায় তাদের। সবমিলিয়ে এই হাসপাতালের মধ্যে যেন বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছে তারা। তবে বিড়ালের এই উত্পাতে অতিষ্ট হাসপাতলের রোগী থেকে শুরু করে চিকিত্সকরাও। তাই হাসপাতালকে বিড়ালমুক্ত করতে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ। ওই বিড়ালগুলিকে ধরে উপযুক্ত স্থানে ছেড়ে আসার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডঃ প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, 'এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিড়ালের উৎপাত ছিল এবং তা আগে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বিভিন্ন অ্যানিমেল রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করি, বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করি। অবশেষে আমরা একটা এনজিও পেয়েছি, তাঁরা বলেছেন বিড়ালগুলি ধরে দেবে কিন্তু রিহ্যাবিলেটেড করতে হবে আমাদের নিজেদেরকেই। এই কাজ করার জন্য ২৫০ টাকা করে তাঁদেরকে দিতে হবে। এটা আমরা কার্যকর করেছি এবং এখন আমাদের হাসপাতালে বিড়াল অনেকটাই কম। বেশিরভাগ বিড়ালই ধরা হয়ে গিয়েছে আর হয়তো দু-একটা এদিক ওদিক লুকিয়ে আছে। সেইগুলিও অতি শীঘ্রই ধরে ফেলা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিড়ালগুলিকে আমরা সুরক্ষিত জায়গায় ছেড়ে এসেছি। সেখানে ওদের খাওয়ারও কোনও অসুবিধা হবে না।'
এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের (Life Sentence) আদেশ কাকদ্বীপ (Kakdwip Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের। এক মহিলাকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সমর পাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক তপন কুমার মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পাতি বুনিয়ার বাসিন্দা।
কাকদ্বীপ কোর্টের সরকারি আইনজীবী এই কেসের পিপি ইনচার্জ অমিতাভ রায় জানান, 'ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকায় ১২/০৪/২০১৮-তে একটি কেস রেজিস্টার্ড হয়। অভিযুক্তর নামে কেস নম্বর ৩০/২০১৮, আইপিসি-র আন্ডার সেকশন ৩০২ ধারায় একটি মামালা রুজু হয়। নামখানা থানার দারিদ্রনগরের এক গরীব পরিবারের মেয়ে দুর্গা মাঝিকে লোভ দেখিয়ে বকখালির মৌমিতা হোটেলে নিয়ে যায় সমর পাত্র। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে আসামি।'
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় সে। প্রায় দেড় মাস পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১৮ জন সাক্ষী ও ৬৩টি ডকুমেন্টস পেশ করা হয় আদালতে।
সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তপন কুমার মণ্ডল অভিযুক্ত সমর পাত্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। তবে এই রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর পাত্রর পরিবার। সমর পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক পোস্ট মাষ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর এলাকায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) পোস্ট অফিস গ্রাহকদের। ঘটনাস্থলে হরিহরপাড়া থানার পুলিস এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পোস্ট মাস্টারের নাম প্রদ্যুত তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পোস্ট অফিসেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। তখনই এলাকার গ্রাহকেরা ভিড় করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। যদিও পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দাবি, যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেওয়া হবে, ততক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকবে বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগ, সাত বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ম্যাচিওরিটির টাকা এখনও পাইনি। দশ হাজার টাকা রেখে সুদ সহ আমার একুশ হাজারের বেশি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তাও সে টাকা হাতে পাইনি।