তাপমাত্রার পারদ যেন বেড়েই চলেছে। আগামী তিনদিনে আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে রাজ্যের তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসে স্বস্তি নেই। তীব্র দাবদাহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গ। সপ্তাহজুড়ে চলবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে তাপমাত্রা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া এই পাঁচ জেলাতে। চরম তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে। বেলা বাড়লে জেলাগুলিতে রীতিমতো লু বইবার সম্ভাবনা।
অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের নিচের দিকে জেলাগুলিতেও চলবে তাপপ্রবাহ। এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। নিচের দিকে তিন জেলাতে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও থাকবে তাপপ্রবাহ। আগামী শুক্রবার থেকে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা। হলুদ সতর্কবার্তা শুধু উত্তর দিনাজপুরে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১° সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮° সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তাপপ্রবাহের সঙ্গে শুকনো গরম ও অস্বস্তি পরিস্থিতি থাকবে। আরও বাড়বে তাপমাত্রা। বেলা বাড়লে মিলবে গরম হাওয়ার দাপট। উইকেন্ডে চরমে উঠবে আবহাওয়া, আশঙ্কা আবহবিদদের।
প্রসূন গুপ্ত: প্রবল দাবদাহের মধ্যে দিয়ে চলছে একেবারে ডুয়ার্স অঞ্চল বাদ দিয়ে সর্বত্র। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। এটা এক আজব বিষয় যে আমাদের দেশের এবং রাজ্যের নির্বাচনগুলি সর্বদা এই প্রচন্ড গরমেই হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিন , উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য বহু জায়গায় তাপমান ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
যখন মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারে না তখন ভোট অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে কী করে ? মানবিকতা নামক একটা বিষয় তো আছে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। অন্যদিকে প্রচারও তো একটি অঙ্গ ভোটের। বুধবার প্রচার করতে গিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, প্রবল গরম এবং তিনি যে হেলিকপ্টারে আসছেন তাঁর অন্দরের তাপমান নাকি ৫০ ডিগ্রি। তিনি আবেদন করলেন যে, যাদের বাড়িতে শীতাতপ মেশিন আছে তাঁরা যেন ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামেন কারণ বিদ্যুত খরচ হচ্ছে। দাবদাহের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণেও উঠে এসেছে। কিন্তু কেউই এটা বলছেন না যে, এই প্রায় দু মাস ধরে এই বিষাক্ত গরমে ভোট কেন ? এতো গেলো একটি দিক।
অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি জানালেন তা। গরম হাওয়ার রাজ্যগুলিতে মে জুন মাসে এমনিতেই স্কুল ছুটি থাকে। আমাদের রাজ্যে আবার পুজোর ছুটি আছে প্রায় এক মাস কাজেই ছুটি বেশি। একদিকে যেমন সরকারি স্কুলগুলি ছুটি তেমন বেসরকারি স্কুলে কিন্তু ক্লাস চলেছে। অবিশ্যি কারণ আছে। এদের অধিকাংশই সিবিএসসি বা আইসিএসসির কোর্স পোড়ানো হয়ে থাকে। এদের বাৎসরিক পরীক্ষা হয় মার্চ থেকে এপ্রিলে।
নতুন ক্লাস শুরু হয় এপ্রিলেই কাজেই ছুটির প্রশ্ন নেই। এই স্কুলগুলিতে বেতন দিয়ে পড়ানো হয় এবং আজকাল তো অনেক স্কুলে শীততাপ যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু স্কুল যাতায়াতের প্রশ্নও তো রয়েছে। ওই সময়ে ঠান্ডা থেকে গরমে এসে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী অনায়াসেই আবেদন রাখতে পারেন স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার। ব্রাত্যবাবু ভাববেন কি ?
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। বুধবার এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে নথি-সহ সিবিআই দফতরে আসেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগকারীদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
গত মঙ্গলবারও অভিযোগকারী ১৬ জনকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। এই অবস্থায় বুধবার সন্দেশখালির সুন্দরীখালি এলাকা থেকে নথি-সহ সিবিআই-এর সদর দফতর নিজাম প্যালেসে এলেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁদের জমি জোর করে দখল করেছিল শেখ শাহজাহান। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই-এর কাছে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষিতেই বুধবার নথি সমেত সিবিআই দফতরে হাজির হন ৩ ব্যক্তি।
এদিকে, বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ডের কাজ। এরপর এই বয়ানের কপি জমা করা হবে কলকাতা হাইকোর্টে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই সক্রিয়তায় সন্দেশখালির মানুষরা তাদের হারানো জমি ফিরে পান কিনা, সেটাই এখন দেখার।
যাদবপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বাতিল করল রাজভবন। রাজভবন সূত্রে খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখেই স্থগিত এই কনভোকেশন বা সমাবর্তন। যদিও ওয়েবকুপার দাবি রাজ্যের চাপেই এই বেআইনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে এই কনভোকেশন বাতিলের কথা জানানো হয় রাজভবনের তরফে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ এপ্রিল এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার হওয়ার কথা ছিল। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যকে না জানিয়েই রাজ্যপাল নিয়োজিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি এই কনভোকেশন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। এরপরেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ওই সমাবর্তনকে বেআইনি বলে দাবি করা করা হয়। এরপর রাজভবনের তরফেও ওই সমাবর্তন বাতিল করা হয়েছে। লোকসভা ভোট সম্পন্ন হওয়া অবধি স্থগিত পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান, এমনটাই সূত্রের খবর।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি জানালেন, ভোটের জন্যই স্থগিত করা হয়েছে সমাবর্তন। ভোট ছাড়া অন্য কারণ নেই। যদিও ওয়েবকুপার রাজ্য সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য জানিয়েছে অস্থায়ী উপাচার্যের সময়কালে কোনও কনভোকেশনই বৈধ নয়।
সমগ্র ঘটনায় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার দাবি একপ্রকার রাজ্যের চাপেই এই বেআইনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন রাজ্যপাল। যদিও এই তত্ব মানতে নারাজ রাজভবন। তাঁদের দাবি নির্বাচনের কারণেই স্থগিত সমাবর্তন। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় যে ফের একবার কি প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত? সমাবর্তনের সঙ্গে জুড়ে পড়ুয়াদের ভবিষৎ। এবার কনভোকেশন বাতিল হওয়ায় কি বঞ্চিত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা?
বিজ্রের উপর বাইক রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ মারল যুবক। বুধবার সাত সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে হাওড়ার বালি ব্রিজে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে বালি থানার পুলিস। এখনও পর্যন্ত জলে তলিয়ে যাওয়া ওই যুবকের কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
সূত্র মারফত খবর, সকাল থেকে প্রচুর মানুষই প্রাতঃভ্রমণ করেন এই বালি ব্রিজে। এর ফলে বাইকে বসে থাকা যুবককে দেখে কারোর সন্দেহ হয়নি। হঠাৎ প্রাতঃ ভ্রমণকারীরা দেখেন, ওই যুবক বাইকের উপর উঠে গঙ্গায় ঝাঁপ মারেন। তারপর স্থানীয়রা খবর দেন বালি থানার পুলিসকে। এরপর বালি থানার তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় দক্ষিণেশ্বর থানা এবং রিভাক ট্রাফিক পুলিসকে।
ইতিমধ্য়ে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া ওই যুবকের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। পাশাপাশি ঠিক কী কারণে ওই যুবক আত্মঘাতীর সিদ্ধান্ত নিলেন সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। সকাল হতেই দেখা মিলছে সূর্যের প্রখর চোখ রাঙানি। আর তাতেই জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। বুধবার থেকে আবার দাবদাহে জ্বলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গ। সপ্তাহজুড়ে চলবে তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে ফের দক্ষিণবঙ্গে ফের শুরু হবে তীব্র তাপপ্রবাহ। একাধিক জেলাতে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে তাপমাত্রা। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া এই চার জেলাতে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে রীতিমত লু বইবার সম্ভাবনা। শুক্রবার ও শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তাই এই গরমে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত রোদে না থাকার পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। উপরের দিকে জেলাগুলিতে ক্রমশ বৃষ্টি কমে যাবে, বাড়বে তাপমাত্রা। ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। নিচের দিকের তিন জেলাতে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই তিন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা এবং হলুদ সতর্কবার্তা শুধু উত্তর দিনাজপুরে।
বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৩৫ থেকে ৭৭ শতাংশ। গতকাল, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি পর্যন্ত।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বৃদ্ধকে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ব্য়ক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৬০)। ধৃতের নাম পরিতোষ দাস।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত ১১ নাগাদ অভিযুক্ত পরিতোষ বিশ্বাসের বাড়ি লুকিয়ে ঢোকেন রবীন্দ্রনাথ। অভিযোগ, বাড়ি ঢুকে উঁকি মারছিলেন সে। তখন তাঁকে দেখতে পেয়ে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারতে শুরু করে পরিতোষ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত পরিতোষের স্ত্রী কাকলী দাস বলেন, রবীন্দ্রনাথের তাঁর দিকে দীর্ঘদিনের কু'নজর ছিল। যা লক্ষ করেছিল তাঁর স্বামী পরিতোষ। কাকলির দাবি, এরপর রাতে বাড়ি ঢুকে রবীন্দ্রনাথ উঁকি মারতেই তাঁর উপর কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায় তাঁর স্বামী পরিতোষ।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। মৃতের স্ত্রী সবিতা মণ্ডল বলেন, তাঁর স্বামী তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। রাস্তায় বেরোলেই চোখমুখ যেন ঝলসে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরম হাওয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা যেন আরও করুণ। ওয়ার্ডের গুটিকয়েক পাখার হাওয়ায় গরমের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার্থে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নজির সৃষ্টি করল দঃ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল। পুরুষ বিভাগের রোগীদের থাকার জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন পুরুষ ওয়ার্ডে। কিন্তু ওয়ার্ডটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় গরমে কষ্টে পাচ্ছিলেন রোগীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবাও। এরপরই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের।
দুই ট্রাক চালকের মধ্য়ে বচসার জেরে প্রাণ গেল এক চালকের। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুন করা হয় ট্রাক চালককে। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম মইনুদ্দিন মণ্ডল (৪১)। নদীয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, দু'জন চালকই একই মালিকের গাড়ি চালাত। সোমবার রাতে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায় ওই দুই ট্রাক চালকের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। তখনই মইনুদ্দিন মণ্ডল নামের ওই ট্রাক চালককে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় আরেক চালক। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়ে অভিযুক্ত চালকের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তবে কী কারণে বচসা হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি।
তীব্র দহনে পুড়ছে বাংলা। গরমে একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর। এখনই কমবে না তাপমাত্রা বরং আরও বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। আগামী বুধবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলাতে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতাতেও। অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গে এতদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে এবার পাহাড়েও গরম পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টিতে ভিজতে পারে সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং। তবে উত্তরবঙ্গ সমতলের জেলাগুলিতে, শুষ্ক আবহাওয়া এবং তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি থাকবে। তাপমাত্রা বাড়বে মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। এর ফলে বেশ গরম থাকবে আগামী কয়েকদিনে।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি কাছাকাছি হতে পারে। পাশাপাশি দিনভর গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। সোমবার সকালে ওই দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হলে জয়পুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশাখা দে ও গৌতম দে। বাড়ি ওন্দা থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, জয়পুরের জঙ্গলে দম্পতির মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। পাশেই পড়ে ছিল বিষের বোতল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেয়েই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিন সকালে ওন্দা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন দম্পতির ছেলে অপূর্ব দে। অপূর্ব দে র দাবি, রবিবার সামান্য পারিবারিক অশান্তি হয়। এরপরই বাবা ও মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়ে পুলিসে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন অপূর্ব দে।
সকাল থেকে খানিক যেন রোদের তীব্রতা কমেছে শহর কলকাতায়। দিনের তাপমাত্রা অন্যান্য দিনের থেকে কিছুটা স্বস্তিজনক। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সুখবর শোনাল মহানগরবাসীকে। আজ, সোমবার ও মঙ্গলবার তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিলবে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বুধবার থেকে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। শুরু হবে তাপপ্রবাহও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। কিন্তু এরফলে তাপপ্রবাহ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি রয়েছে। তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। ওইদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম লু বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গ নিচের দিকে তিন জেলাতে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। সোম ও মঙ্গলবার মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বুধবার থেকে সেই সম্ভাবনাও কমবে। বুধবার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এদিকে, আগামী কয়েকদিন সিকিম, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীরেও।
হাওড়ার দাসনগরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। সোমবার ভোর রাতে দাসনগর থানার অন্তর্গত বিরাজময়ী রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসনগর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার রাম (৫৫)। তিনি দাসনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ট্রলি ভ্যান চালক। ক্যাটারিং-এর বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যেতেন। রবিবার রাতে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের পর সেখান থেকে বাসনপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সোমবার ভোর রাতে স্থানীয়দের থেকে তাঁর স্ত্রী খবর পান যে রাজকুমার সিড়ির পাশে পড়ে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দাসনগর থানার পুলিস। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পুলিস উদ্ধার করে হাওড়া হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আবারও অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের লোকপুর থানার পুলিস বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী সগড়ভাঙ্গা জঙ্গলে বস্তা ভর্তি প্রায় ১১ টন মজুদ করা অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। পাশাপাশি পাঁচ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, সোমবার আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে লোকপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তদের নাম, বিজ্ঞান গোপ, গণেশ বাগদী, বিকাশ বাউরি, চন্ডী বাউরি ও রাজু ঘোষ। রাজু ভেলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল একসঙ্গে দুটি শিশুর। মৃত দুজন সম্পর্কে বোন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর হেঁতালখালি গ্রামে। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিস শিশু দুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে খেলা করছিল ওই দুটি শিশু। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন । পুকুর পাড়ে দুই বোনের জুতো দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। পুকুরে নেমে খুঁজতেই ওই দুই শিশুর দেহই মেলে। এরপর তড়িঘড়ি তাদেরকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।