Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

সম্পাদকীয়

Election: প্রচারে সৌজন্য

প্রসূন গুপ্ত: স্বাধীনতা উত্তর যুগে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সৌজন্যতা ভীষন ভাবেই ছিল। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু মনে করতেন স্বাধীনতা সংগ্রামে সবারই দান আছে। অন্যদিকে এ রাজ্যে দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়ও ঐ একই ভাবনায় বিশ্বাস করতেন। এ কারণে দুটি জায়গা থেকে দুই ভবিষ্যতের নেতার পরিচিতি হয়েছিল। একজন অটল বিহারী বাজপেয়ী অন্যজন জ্যোতি বসু।

আইনসভায় বা ভোটের সময় যতই এক দল অন্য দলকে আক্রমন করুক না কেন ব্যক্তিগত কুৎসা কখনও হতো না। এটির জন্ম ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে। বাংলাদেশ যুদ্ধের পরে ইন্দিরা কিংবদন্তী হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই হয়ে গেলেন বিরোধীদের ঘৃণার পাত্রী। কারণও ছিল, ঐ সময় নতুন আইন চালু করে ইন্দিরা, বিরোধীদের জেলে পরেছিলেন। কাজেই বিষয়টি শত্রুতায় পরিনত হলো। ১৯৭৭ এর লোকসভা ভোট থেকে রাজনৈতিক দলগুলি ইন্দিরাকে প্রচারে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে দলীয় আক্রমনে তুলোধনা করেছিল। ৭৭ এ হেরে ফের ক্ষমতায় ফের ইন্দিরা কংগ্রেস এবং ঐ সময় থেকে কংগ্রেসও বিরোধীদের ভয়ঙ্কর প্রচারে নাস্তানাবুদ করেছিল। এটা পরিবর্তিত হয় রাজীবের আমলে। পরে নরসিমা রাও, অটলবিহারী বা ড. মনমোহন সিং কিন্তু যথেষ্ট সৌজন্য দেখান বিরোধীদের।

কিন্তু এ বাংলায় বামেরা ৭৭এ ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্র তথা রাজ্যের বিরোধীদের যে ভাষা ব্যবহার করতো তা বোধকরি বটতলা নিষিদ্ধ বইয়ের ভাষাকে লজ্জা দেবে। আজকে শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের ভাষা আক্রমন বিন্দুমাত্র কমে নি। সংস্কৃতি হাত বদল হয়। ২০১১ এ ক্ষমতায় এসে ভাষা আক্রমনে তৃণমূল যেন ৩৪ বছরের ক্রোধ উসুল করে নিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী আসনে বিজেপি। মোদী জমানা থেকে কেন্দ্র বা রাজ্যে বিজেপি বিরোধীদের একপ্রকার পাত্তাই দেয় না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন ভোট প্রচারে ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক। এদের স্ট্র্যাটেজিই তাই। এ রাজ্যে কুবচন যেন এক সংস্কৃতি। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদী কিন্তু যথেষ্ট সংযত। ব্যক্তি আক্রমণে যাচ্ছেন না মোটেই। বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি ফের ক্ষমতায় ফিরছেন কাজেই হালকা ভাষনে ব্যস্ত থাকছেন।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের নানান কেন্দ্রে সৌজন্যের প্রচার দেখা যাচ্ছে। হুগলি কেন্দ্রে দুই বন্ধু লকেট ও রচনা কেউ কারও বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নি। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে পার্থ ভৌমিক বা অর্জুন সিং প্রচারে পরস্পরকে "বন্ধু" বলছন। যাদবপুর কেন্দ্রে অনির্বাণ বা সায়নী পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছেন। কিন্তু ব্যাতিক্রমও আছে। তমলুক কেন্দ্রে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী ও তৃণমূলের দেবাংশু তীব্র আক্রমনেই রয়েছেন।সৌজন্যের রাজনীতি আজ আর কোথায়।

a month ago
BJP: কৌস্তভ কি এবারে বিজেপিতে?

প্রসূন গুপ্তঃ কৌস্তভ বাগচী যদিও কংগ্রেস সংস্কৃতির প্রথম সারির নেতা কোনও দিনও নন, কিন্তু অনেকেই বলেন যে, মিডিয়া কৌস্তভকে বিখ্যাত করে তুলেছে অন্তত একবার গ্রেফতার হওয়ার পরে। অবিশ্যি কংগ্রেসের অন্যতম মুখ সুমন রায়চৌধুরী গতকালই এই প্রতিবেদককে জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশই কৌস্তভকে জনপ্রিয় করেছে। আদতে তিনি একজন আইনজীবী এবং ভয়ঙ্কর তৃণমূল বিরোধী। যদিও তিনি সম্প্রতি একটু অন্যরকম কথা বলেছেন।

ঘটনা এই রকম, কোনও একটি মিডিয়ার সামনে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন বিধানসভার বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নানকে কৌস্তভ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে, তিনি তেমন ভাবে ওঁকে চেনেন না। তিনি বলেন যে, এঁরা সব নতুন এসেছে। বাস্তবিকই তাই বটে। কিন্তু কৌস্তভ, মান্নানের উক্তি ভালোভাবে নেননি। তিনি প্রায় এমন কথা বলেছেন যে, এদের কি অবদান আছে কংগ্রেসে?

তিনি মমতার উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, ওঁরা (মান্নান) কি এমন আন্দোলন করেছে? তিনি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর উদাহরণ টেনে জানান যে, ওঁর মতো নেতা নাকি আন্দোলনের একটি উদাহরণ। এক সময়ে কৌস্তভ রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র ছিলেন কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অবিশ্যি কৌস্তভ নিজের মতো করে নিয়মিত মিডিয়াতে মন্তব্য করেওছেন যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে দাবি কংগ্রেসের একাংশের। কৌস্তভ পরোয়া করেননি। ইদানিং তাঁকে তাঁর দলের কাজেও ডাকা হয় না।

বুধবারেই রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে দলের পক্ষ থেকে মমতার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। অধীর অনেকটাই চুপ। কিন্তু বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে এক মিছিলে কৌস্তভকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। যদিও কৌস্তভ জানিয়েছেন ওই মিছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে মিছিল সরকারের বিরুদ্ধে হয় এবং যে মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী, যিনি বিজেপির অন্যতম মুখ, তাঁর মিছিলে কৌস্তভ যায় কি হিসাবে? অধীর বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

কৌস্তভ জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর মতোই চলেছেন। কার্যত প্রশ্ন উঠেছে দলে কোনঠাসা কৌস্তভ কি বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে? নব্য বিজেপির এক নেতা জানালেন, বিজেপি একটি রেজিমেন্টেড দল, কৌস্তভ এই দলে এসে নিজের মর্জিতে মোটেই চলতে পারবেন না। এবারে লক্ষ টাকার প্রশ্ন, তিনি মাথা কমিয়ে ন্যাড়া হয় রয়েছেন, শর্ত মমতা ক্ষমতার বাইরে গেলে তিনি ফের চুল রাখবেন কিন্তু স্বপ্নটা কঠিন বলেই ধারণা আম জনতার।

7 months ago