অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উপরতলার নির্দেশে এই কাজ করতে হয়েছে। সিএনকে টেলিফোনে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।
ঠিক কী হয়েছিল?
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আগামিকাল তলব করেছে সিবিআই। ইমেইলের পাশাপাশি বোলপুরের বাড়িতে আজ সমন দিয়ে গেল সিবিআই। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে রয়েছে অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন-সহ ১১ জনের নাম।
সূত্রের খবর, এদিন হাসপাতাল ছেড়ে একের পর এক চিকিত্সক বোলপুরে বীরভুমের তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসেন। অনুব্রতের বাড়িতে এসে পৌঁছন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ৪ জনের একটি মেডিক্যাল টিম। এর মধ্যে রয়েছেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী নামে এক চিকিৎসক। সূত্রের খবর, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন।
এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন? যদিও বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু টেলিফোনে জানিয়েছেন, যে সব চিকিত্সক কর্তব্যরত ছিলেন না তাদের পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়।
তবে কলকাতা যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই অনুব্রত মণ্ডলের। জানাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। আপাতত বেড রেস্টে থাকার পরামর্শই দিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য,সোমবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে দশম বারের সমনে কি যাবেন অনুব্রত? উত্তরের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
উত্তপ্ত দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বর। বোমায় হাত উড়ল তরুণের। শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের অন্দরের যুদ্ধে এখন অশান্ত এলাকা। রয়েছে পুলিস মোতায়ন।
এবার প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (inner clash)। পাণ্ডবেশ্বরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে(health centre) তৃণমূলের পার্টি অফিস(party office) করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। গত পরশু থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পার্টি অফিস করছিল বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস করাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাঁধে। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। মূলত, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে খড়ের গাদার মধ্যে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে দেখছিল একজন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেটে যায়। ঝন্টু মণ্ডল নামে ওক তরুণের বাম হাতের কব্জি উড়ে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি মাঠে গিয়ে পড়ে। জখম হন আরও একজন। ঝন্টুকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরে রানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে দুর্গাপুরের রাজবাধের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝন্টু মণ্ডলের ডান হাতের আঙুলও কম বেশি জখম । বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পুলিস রিবন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গোটা ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
একাধিকবার বিভিন্ন বৈঠকে শাসক দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল না করার বার্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই বার্তাকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসে প্রকাশ্যে। যা নিয়ে বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না।
তবে গ্রামের মানুষ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও গ্রামে কোনও অশান্তি চান না তারা। সকলেই চাইছেন গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তারা।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও চাকরির নামে প্রতারণা করার অভিযোগে এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মার স্থানীয় ও প্রতারিতের সদস্যদের। আর সেই মূহুর্তের ভিডিওই ভাইরাল (viral video)। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে জুতো দিয়ে মারা হচ্ছে অভিযুক্তকে। এরপর কামিয়ে দেওয়া হয় মাথার চুলও। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনকি গলায় জুতো ও ঘুটের মালাও পর্যন্ত পরিয়ে দেওয়া হয়। এমনই বর্বরতার সাক্ষী থাকল বর্ধমানের (Burdwan) আউশগ্রামের পুবার গ্রাম। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় কোয়াক ডাক্তার (doctor) সৌকত হেসেন (রাজু) পুবার গ্রামেরই বাসিন্দা। গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে তাঁকে একটি বিদ্যুতের খুটিতে বেঁধে জুতো দিয়ে মারতে দেখা যায় সোশাল মিডিয়াতে (social media) ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে। এমনকি একজন ব্যক্তিকে দেখা যায় রেজার দিয়ে মাথার চুল কামিয়ে দিতেও।
পাশাপাশি যুবককে ঘুঁটে ও জুতোর মালা পর্যন্ত পরিয়ে দেয় ওই গৃহবধূর স্বামী। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আউশগ্রাম থানার পুলিস (police station) ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। সোমবার রাতে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, যে কোনও পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দাবি করেন বিধায়ক। এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিস আলির বাড়ির সামনে দলেরই একাংশ কার্যত তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে । অভিযোগের তিরে তৃণমূলের কুঠিরামপুর এলাকার অঞ্চল সভাপতি মোস্তাফা শেখ। একটি সাংগঠনিক মিটিং চলার সময় এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভগবানগোলা থানার পুলিস। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ ,টাকা দিয়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে ভগবানগোলায়। আর সেই কারণেই আজকের এই পরিণতি। কুঠিরামপুরের অঞ্চল সভাপতিও অভিযোগ করেছেন, অঞ্চল সভাপতি হওয়ার জন্য তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্লক সভাপতি করার জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভগবানগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইদ্রিশ আলির আপ্ত সহায়ক মফিজুল হক। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। অভিযোগকারীদের একটাই দাবি, এই বিধায়ককে তারা চান না। বিধায়ক দলের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি করছেন। এর সমাধান চান তারা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে(deep depression)। তার জেরে আজ, মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। তবে বেশি বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে (Coastal Area)। তাই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেখানে সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায়। মৎস্যজীবীদের(fisherman) জন্য জারি হয়েছে লাল সতর্কতা(red alert)। দিঘায় গত কাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। তার উপর পূর্ণিমার ভরা কোটালে জলোচ্ছ্বাসের(high tide) সম্ভাবনা।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জুলাইয়ে তেমন বৃষ্টি(rain) হয়নি বললেই চলে। যার ফলে চাষের (agriculture)উপরেও এর প্রভাব পড়েছে। নিম্নচাপের প্রভাব যেহেতু অনেকটা অঞ্চল জুড়ে থাকে, তাই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ৯ থেকে ১১ তারিখ বৃষ্টি একটু বাড়বে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপের গতিমুখ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে। অর্থাত্, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের দিকে, আমাদের দিকে নয়। উপকূলবর্তী জেলা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দু-একটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্বাবনা থাকছে। সংলগ্ন কলকাতা ও হাওড়ার দু-একটি জায়গাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
৯ থেকে ১১ তারিখ সমস্ত মত্স্যজীবীকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।