রাখিবন্ধনকে (Rakhi Bandhan) সামনে রেখে মৈত্রীর বার্তা ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh) সীমান্তের পেট্রাপোলে (Petrapole)। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sk Hassina) জন্য পাঠানো হল কচুরিপানা দিয়ে তৈরি রাখি এবং মিষ্টি।
সামনে রাখিবন্ধন উৎসব। আর এই রাখিবন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি রাখি এবং মিষ্টি পাঠানো হল বাংলাদেশে, যা পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। বুধবার বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে যশোরের এমপি শেখ আফিলুদ্দিনের হাতে রাখি এবং মিষ্টি তুলে দেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। আগামী দিনে ভারত থেকে বাংলাদেশে এই রাখি রফতানি হতে পারে, বার্তা যশোরের এমপি শেখ আফিলুদ্দিনের।
প্রসঙ্গত, ইছামতি নদীর কচুরিপানা দিয়ে রাখি তৈরির পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল বনগাঁ পুরসভা। ইতিমধ্যে সেই রাখি পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কদের কাছে। রাখিবন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে মৈত্রীর বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের।
পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজই হয়নি। অথচ রাতারাতি কাজের ফলক বসিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এমনই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘি গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে টাকা আত্মসাতের।
রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘি সহ বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়নের জন্য ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করার কথা ছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। মাটি খনন, রাস্তা এবং শ্মশান সংস্কারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাটি খনন করা হয়নি, হয়নি শ্মশান সংস্কার কিংবা রাস্তা নির্মাণের কাজ। অথচ মঙ্গলবার রাতে আচমকা কাজ না হওয়া প্রকল্পগুলির জন্য সমাপ্তির ফলক লাগিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একটি টোটোতে দুজন লোক এসে তিনটি কাজের ফলক লাগিয়ে দিয়ে ক্যামেরায় তার ছবিও তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামে গিয়ে বাস্তব চিত্রটা দেখা গেল অন্যরকম। শ্মশান সংস্কার কিংবা রাস্তা নির্মান বা মাটি খনন কোনও কাজই হয়নি। অথচ কাজ সমাপ্তির ফলক বসানো হয়ে গিয়েছে। কাজ না হলেও কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই ৬ নম্বর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাত থেকে দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। দাবি উঠেছে আগে কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, তারপরে কাজের ফলক লাগানো হোক। কাজ সম্পূর্ণ না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুমকি দিয়েছেন ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমুল পরিচালিত জেলার প্রতিটা পঞ্চায়েতে এমন দুর্নীতি হয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য আসার কারণেই দুর্নীতি ঢাকতে এমনভাবে রাতারাতি ফলক বসানোর কার করছে পঞ্চায়েতগুলি। এধরনের দুর্নীতি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। যার কারণে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
যদিও রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম সরকার জানিয়েছেন, এই পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে ছিল। সেসময় কোনও কাজই হয়নি। তৃণমূল পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসার পর অনেক কাজ হয়েছে। কাজ হয়েছে বলেই কিছু ফলক লাগানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তিনি৷
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় এবার সিবিআই (CBI) গ্রেফতার (Arrest) করল এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁদের প্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এসপি সিনহা সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন। এমনকী তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই যে প্রয়োজনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, সেকথাও হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।
মালদায় বিস্ফোরণের (Maldaha Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তের (NIA Investigation) আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে (High Court)। আবেদনকারী জানান, এখনও এই মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিস। কিন্তু তদন্ত এগোয়নি একটুও। তাই এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। আজকের মতো সেই মামলার শুনানি (Hearing) শেষ। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
আবেদনকারী আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। পাঁচজন শিশু জখম হয়। পুলিসের তরফ থেকে কোনও স্বতঃপ্রণোদিত কেস করা হয়নি। একজন ক্ষতিগ্রস্তের আত্মীয় অভিযোগ করার পর তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এফআইআর হয় ২৫ এপ্রিল দুপুর ১২ টার পর। যদিও ঘটনা ঘটে ২৪ এপ্রিল দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে। অথচ আইনে আছে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তদন্তকারী সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারে। কিন্তু রাজ্য পুলিসের তদন্তকারী অফিসার সেদিন কিচ্ছু করেননি। এলাকায় অপরাধ বেড়েছে বহুদিন। পুলিসের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। এটা সীমান্ত এলাকা এবং অপরাধের আঁতুড়ঘর। পুলিসেরই রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছে, ওখানে মাঝে মাঝেই বোমা পাওয়া যায়। এলকাবাসী সুরক্ষিত নয়। তাই এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।
রাজ্যের আইনিজীবী অনির্বাণ রায় বলেন, আমরা তদন্ত করছি, কোথা থেকে এল অত পরিমাণে বিস্ফোরক। ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মামলাটি এলে তদন্ত দেরি হবে। অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারে।
রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আরও জানান, এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। রাজ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সমস্ত সিডিউল অফেন্স এনআইএ সংস্থা তদন্ত করে। সার্বভৌমিকতা, দেশের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় জড়িত থাকলে তবেই। সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে, এমন ঘটনা হলেই তারা তদন্ত করে।
সংসারের নিত্য অভাব এবং অশান্তিকে সঙ্গী করে আজও ভারোত্তলক তৈরির প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন দেউলপুরের দ্রোণাচার্য অষ্টম দাস। গত কয়েকদিনে পাঁচলা (Panchla) বিধানসভার দেউলপুর গ্রামের নাম মানুষের মুখে মুখে। কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) সোনার পদক জিতেছেন দেউলপুরের বাসিন্দা অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Shiuli)। সোনার ছেলে অচিন্ত্যর প্রথম কোচ (coach) স্থানীয় দ্রোণাচার্য অষ্টম দাস।
এক ভ্যান রিক্সাচালকের ছেলের এই লম্বা যাত্রায় অষ্টম দাসের অবদান অনেকটাই। নিজের সংসারের অভাবের কথা না ভেবেই, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে প্রয়োজনে সুদে টাকা ধার করেও এগিয়ে আসতে পিছুপা হননি তিনি। ছেলেরা মেডেল জেতে, চাকরি পায়, তাঁদের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হলেও আজ পর্যন্ত কোনও সাহায্যই পাননি দ্রোণাচার্য অষ্টম দাস। তাঁর প্রিয় ছাত্র বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তলনে সোনা জেতায় খুশি হলেও, কিছুটা আক্ষেপ জমে রয়েছে মনের কোণে।
তৃণমূল জমানায় ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁকে প্রশিক্ষকের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষ পর্যন্ত তা অধরাই রয়েছে। সেই আক্ষেপেই মঙ্গলবার দেউলপুরে সমবায় মন্ত্রীর প্রিয় ছাত্র অচিন্ত্যকে দেওয়া সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন তিনি। যদিও বিকেলে স্থানীয় ক্লাব আয়োজিত শোভাযাত্রায় মান-অভিমান সরিয়ে রেখে প্রিয় ছাত্রের পাশে দেখা যায় তাঁকে।
অষ্টম দাসের থেকে হাতেখড়ি করে অনেক ভারোত্তলক আজকে জেলা, রাজ্যে এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এখন তাঁর অনেক ছাত্র-ছাত্রীর ঝুলিতে একাধিক পদক। তাঁদের অনেকেই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাঁর জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ। প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাওয়ার খরচ, তো কাউকে প্রতিযোগিতার জন্যে প্রয়োজনীয় পোষাক পরিচ্ছদ দেওয়া, এমনকি কারও জন্যে পুষ্টিকর খাওয়ার যোগানো, সবরকমভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছেন দেউলপুরের দ্রোণাচার্যকে। তাঁর এই পরিস্থিতির কথা জানা স্বত্তেও, যেসব কৃতীরা আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত, তাঁরা কখনও এগিয়ে আসেনি।
সেই আক্ষেপও বেদনা দেয়। একজনের জায়গা ভাড়া নিয়েই অষ্টম দাস তাঁর অনুশীলন কেন্দ্র চালান। অভাবের সংসারে এসব নিয়ে লেগে থাকে নিত্য অশান্তি। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে প্রিয় ছাত্রকে আনতে গিয়েও যথেষ্টই অপদস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। ঘরে ফিরেও মেলেনি শান্তি। তবুও আগামীদিনে চ্যাম্পিয়ন তৈরির কাজ চালিয়ে যাবেন অষ্টমবাবু, কারণ এটাতেই তাঁর আনন্দ।
দিদি নাকি মোদি কে এগিয়ে তা তো বোঝা যাবে ১১ ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসবের (Rakhi bandhan festival) দিনেই। তবে আপাতত দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বলেই জানা যায়। ভাবছেন কীসের কথা বলা হচ্ছে? ১১-ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসব। এবছর বাজারে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি দেওয়া রাখি। আর এই রাখির চাহিদা ভালোই রয়েছে বলে জানালেন বালুরঘাটের রাখি বিক্রেতারা। যদিও অন্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি কিছুটা কম।
রাখি বন্ধন উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) সদর শহর বালুরঘাটের নিউমার্কেট, ডানলপ মোড়, বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকায় রাখির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন অলংকারিক রাখির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রং-এর রাখি। বিশেষ বিশেষ রংয়ের রাখি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধারণত এই উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া রাখি। তবে কে এগিয়ে তা কিন্তু খোলসা করে বলতে চাননি বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বাজারে। তবে এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি, তাই বলা সম্ভব নয় বিক্রিতে কে এগিয়ে থাকবে। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মুখ লাগানো রাখির বাইরে অন্য সাধারণ বা আলঙ্কারিক রাখি বেশি কিনতে আগ্রহী সাধারণ মানুষ।
ফের অসুস্থতার (Illness) কথা জানিয়ে এবার দশমবারের জন্য সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি ফের দু সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে খবর। তবে এবার অসুস্থতাকে ঢাল করতে গিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন অনুব্রত। এদিন আরও মারাত্মক বিষয় সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের (CBI) হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখনও নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন।
এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তখনই তিনি বুঝে গেলেন, এসএসকেএমে তাঁর আর কোনও প্রভাব কাজ করছে না। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের গড় বোলপুরের বাড়িতে। আর এখানে আসার পরই খাটাতে শুরু করেন তাঁর প্রভাব।
সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারকে তিনি নির্দেশ দেন, তাঁর বাড়িতে টিম পাঠিয়ে চিকিত্সা করানোর জন্য। চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারী অকপটে স্বীকারও করেছেন যে, তিনি হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন টিম নিয়ে। চন্দ্রনাথ মণ্ডল ছুটিতে ছিলেন। এমনকী ছুটিতে সুপারও (Super)। সেই অবস্থাতেই সুপার তাঁকে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিত্সকের টিম পাঠানোর কথা বলেন। ওই চিকিত্সক তখন সুপারকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আসতে বলুন। সরকারি হাসপাতালের টিম কেন কারও বাড়িতে যাবে? সুপার এর উত্তরে জানিয়ে দেন, সরকারি হাসপাতালের কোনও প্রেসক্রিপশনের দরকার নেই। সাদা কাগজে লিখলেই হবে।
এরপর আসে অনুব্রতর পালা। সেখানেও চাপ। তাঁরই কথামতো ওই চিকিত্সক লিখে দিলেন ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা। যদিও ওই চিকিত্সকই একান্তে স্বীকার করেছেন, অনুব্রতর কলকাতায় যাওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে।
১৯ বছরের একটি জলজ্যান্ত মেয়ে জিম (gym) করতে গিয়েই মারা (death) যাবে, ভাবতেও পারছে না পরিবার (family)। মঙ্গলবারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও শোকাহত পরিবার। অভিযোগের তির জিম কর্তৃপক্ষের দিকে। প্রত্যেক দিনের মত মঙ্গলবারও বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) সোনালী পার্কের একটি জিম সেন্টারে জিম করতে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা দাস। হঠাৎই জিম করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান এবং সেখান থেকে হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে এবার জিম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার জিমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋত্বিকাকে। তখন চিকিত্সরা জানান, অনেকক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন ঋত্বিকা। আর এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অজ্ঞান হওয়া অবস্থায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি জিম সেন্টারেই পড়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। কিন্তু কেন এরকম গাফিলতি কর্তৃপক্ষের? কেন জিম কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল না ঋত্বিকাকে। কেন জিম সেন্টারে অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা করেনি? এইরকম যদি আবার হয়, তার দায় কে নেবে?
তবে এই প্রশ্নের পর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জিম কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death)। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় গত দুদিনে শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি (rain)। আর তাতেই ঘটে গেল অঘটন। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর থানা এলাকার নরেন্দ্রপুর পশ্চিম পাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকার।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তৃষা ধক। বয়স ১৩ বছর। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের খুটি থেকে তড়িতাহত হয় ওই নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ায় আমতা হাসপাতালে (hospital)। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস (police)। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে যে আর্থিং এর তার রয়েছে, সেটি দীর্ঘদিন মাটিতেই পড়েছিল। গ্রামের মানুষের আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের লোকেদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
পুলিস সূত্রে আরও জানা যায়, এই ঘটনার পর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মীরা গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং বিদ্যুতের খুঁটিতে যে সমস্যা ছিল তা ঠিক করে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে জগৎবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ জানিয়েছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা এবং দুঃখজনক ঘটনা। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মীরা প্রতিনিয়তই এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে নজরদারির সঙ্গে মেরামতের কাজ চালু রাখেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাঁরাও নজরদারি রাখেন।
তবে গ্রামেগঞ্জে গাছপালার সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সামান্য ঝড়, বৃষ্টিতে গাছের ডালপালা তারের ওপরে পরে অনেক সময়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গাছের ডালপালা ছাঁটা হলেও একদিকের কাজ শেষ হয়তো অন্য দিকে বেড়ে যায়। এটা একটি সমস্যা।
হাওয়া অফিস সূত্রে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, দক্ষিণবঙ্গে ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ। তবে নিম্নচাপ (Low Pressure) নিয়ে যতটা পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বর্ষণ ততটা হয়নি এবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অভাব সেই রয়েই গেল। আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে বলা হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া (Howrah), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম (Jhargram) এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেইভাবে দেখা মেলেনি বৃষ্টির।
হাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, বুধবার সকালে ওড়িশা ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি অবস্থান করেছে। ভুবনেশ্বর থেকে এর অবস্থান ছিল ৭০ কিমি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে। তবে পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা শক্তি হারাবে এবং ১০ অগাস্ট তা ছত্তিশগড় এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে অবস্থান করবে। ১১ ই আগস্টের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় আবার ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই বলেও জানানো হয়েছে।
তবে ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তায় দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১০ আগস্টের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কলকাতা ও হাওড়ায় এই দমকা হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ স্বাভাবিকভাবেই মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বীরভূমের (Birbhum Aciident) মল্লারপুরে সরকারি বাসের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৯ জন (Death) অটোযাত্রীর। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের তেলডা গ্রামের। স্থানীয়দের দাবি, মৃতদের মধ্যে অটোর চালকও রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রামপুরহাট থানার বিশাল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বীরভূমের পুলিস সুপার এবং জেলা শাসক। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্তে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোয় চেপে খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নয় জন। সেই সময় রামপুরহাট থেকে সিউড়ির দিকে আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ঘাতক বাসটি। তার সঙ্গেই ধাক্কা লাগে অটোর। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অটোর সকল যাত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অটোচালককে প্রথমে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের পারকান্দি গ্রামে। তাঁরা দলবেঁধে ধান পোঁতার কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন। ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে রেলমন্ত্রকের (Rail ministry) কাছ থেকে উপহার পেতে চলেছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ি। আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে দার্জিলিং মেল। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক(Indian Rail Board)। খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে।
এবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) হয়ে শিয়ালদহ যাবে দার্জিলিং মেল। এত দিন শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং মেল ছেড়ে এনজেপি পর্যন্ত আসত। এ বার থেকে দার্জিলিং মেল এনজেপির বদলে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি পর্যন্ত যাবে। এবং দার্জিলিং মেল হলদিবাড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যাবে।
এর আগে দার্জিলিং মেলের দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত আসত। বিকেলে ফের সেই দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে এনজেপি পর্যন্ত যেত। এরপর সেই দুটি কামরা মূল দার্জিলিং মেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হত শিয়ালদহ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই ব্যবস্থা চলছিল। এই দুই এলাকার মানুষের আবেগের সঙ্গে জূড়ে গিয়েছিল দার্জিলিং মেল। অতিমারির সময় সমস্ত ট্রেনের সঙ্গে এই ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়। কিন্তু দার্জিলিং মেলের কোচ দুটি আর চালু হয়নি। ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর উত্তরপূর্ব রেলওয়ের তরফের নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০২০ সালের ১০ই এপ্রিলের পর থেকে স্থায়ীভাবে ওই দুটি কোচ তুলে নেওয়া হবে। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় দার্জিলিং মেলের পরিষেবা। ক্ষোভ দানা বাঁধে মানুষের মধ্যে। ফের দার্জিলিং মেল চালু করার দাবি নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন করে বাম, তৃমমূল এবং বিভিন্ন গণ সংগঠন, নাগরিক মঞ্চগুলি। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও একাধিকবার রেল মন্ত্রক এবং রেল দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। তার চেস্টা এতদিনে সফল হল।
৮ই আগস্ট রাতে দিল্লি থেকে সাংসদ জানান, ১৫ই আগস্ট থেকে ফের চালু হতে চলেছে দার্জিলিং মেল। এর থেকেও বড় বিষয় দুটি কোচ নয়, পুরো দার্জিলিং মেলটাই এবার শিয়ালদহ -হলদিবাড়ি আপ-ডাউন করবে। সবগুলি কোচই হবে অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ। স্বাভাবিক ভাবেই এই খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে। সাধারণ মানুষ থেকে নাগরিক মঞ্চ সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন রেলের এই উপহারকে।
তবে ট্রেন চালানোর কৃতিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, সাংসদের ক্রমাগত তদবিরেই ফের দার্জিলিং মেল চালু হয়েছে । অন্যদিকে, তৃণমুলের দাবি, তাদের আন্দোলনের জেরেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে রাজনৈতিক তরজা চলতে থাকুক । সাধারণ মানুষ শুধু পরিষেবা পেয়েই খুশি। তাদের কাছে এটা স্বাধীনতা দিবসের উপহার।
দার্জিলিং মেল চালু হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া জলপাইগুড়িতে। এদিন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে, স্টেশন মাস্টার, রেলকর্মী,টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করান বিজেপি নেতৃত্ব।
হুগলির ত্রাস টোটোন বিশ্বাসকে হাসপাতালে(hospital) গুলি মারার(shootout) ঘটনায় মোট ৫ জন গ্রেফতার। গুলিবিদ্ধ টোটোনের দাবি ছিল বাবু পাল তাকে প্রাণে মারার জন্য ছেলে পাঠিয়েছে। পুলিসের(police) অনুমান, ব্যক্তিগত পুরোন শত্রুতার জেরে বাবুর টার্গেট(target) ছিল টোটোন।
ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলি কাণ্ডে ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে(Chinsurah court) পেশ করল পুলিস। গতকাল ৪ দুষ্কৃতীকে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মন্টু চৌধুরী নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া থানার পুলিস। পুলিস সূ্ত্রে খবর, ঘটনার দিন হুগলি থেকে ট্রেনে চেপে কাটোয়া চলে যায় অভিযুক্ত বাবু পাল ও তার সঙ্গীরা। পুলিস মোবাইল(mobile) ট্র্যাক করতে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ স্কুপ কলের মাধ্যমে অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। এবং পুলিসকে ফাঁকি দিতে থাকে। যে কারণে তাদের আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করতে সমস্যায় পড়ে তদন্তকারীরা। কাটোয়া পর্যন্ত ধাওয়া করেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের ।পরে পুলিস জানতে পারে যে বাবু ও তার সঙ্গীরা উত্তরবঙ্গে কোনও জায়গায় আশ্রয়(shelter) নিয়েছে।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যায় চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের একটি দল। এসিপি ডিডির নেতৃত্বে তদন্তকারীরা হানা দেয় জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। সেখানেই আত্মগোপন করেছিল দুষ্কৃতীরা। ধৃতদের জলপাইগুড়ি পুলিসের সাহায্যে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় । এরপর হুগলির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে তদন্তকারী দল ।আজ ভোরে চুঁচুড়া থানায় পৌঁছন তারা। আজ ধৃত ৫ জনকে আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। টোটনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করার পর চুঁচুড়া থেকে কলকাতায় রেফার করা হয় টোটনকে। অ্যাম্বুলান্সে ওঠার আগে টোটন সংবাদমাধ্যমকে জানায় বাবু পাল তাকে মারার জন্য লোক পাঠিয়েছিল। এরপরই পুলিস বাবু পালের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। জানা গেছে, রবীন্দ্রনগরে যে এলাকায় টোটনের বাড়ি সেই এলাকাতেই বাবু পালেরও বাড়ি। একসময় টোটন বিশ্বাসের দলেই ছিল বাবু পাল। টোটন বাবুকে মারধর করায় পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। টোটন বাবু দুজনেই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়ে হুগলি জেলে বন্দিও ছিল। বাবু জামিনে মুক্ত হলেও টোটন মাদক মামলায় জেলে থেকে যায়। জেল থেকে তোলাবাজির কাজ চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। পুলিস সম্প্রতি হুগলিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মোবাইল ও মাদক উদ্ধার করে। গত সপ্তাহে টোটোনকে চুঁচুড়া থানার পুলিস হেফাজতে নিয়ে আসে।
পুলিস সূত্রে খবর, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় টোটোনের কারবারে হাত বসাতে চায় বাবু। এর জন্য টোটনের যারা শত্রু তাদের সঙ্গে হাত মেলায়। হুগলির কুখ্যাত টোটন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খুন ও তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাকে খুন করার জন্য দুষ্কৃতীরা রোগী সেজে অপেক্ষা করছিল হাসপাতালে। দুষ্কৃতীরা টোটোনের উপর গুলি চালানোর পর সেখান থেকে চম্পট দেয়, ফেলে যায় দুটি পাইপ গান একটি চপার। পুলিস পরে সেগুলো উদ্ধার করে। এই ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই দুষ্কৃতীরা সোজা ট্রেনে চেপে কাটোয়া হয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যায়।
অন্যদিকে বাবু জেরায় জানিয়েছে টোটোনের সঙ্গে তার পুরোন শত্রুতা আছে। সেই শত্রুতার জেরেই টোটোনকে হাসপাতালে মারার চেষ্টা করে সে।
পুলিস জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ হয়েছে। তাদের ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। বাকিদের টিআই প্যারাড করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হবে। হাসপাতালে গুলি চালানোর সময় টোটোনের সঙ্গী সঞ্জয় হালদার ওরফে বিশপাই ছিল। তাকে দিয়ে টিআই প্যারাড করানো হবে বলে সূত্রের খবর।
লাভ তো দুরের কথা, বাস (bus) চালিয়ে উঠছে না খরচ। আর তার জেরে বাঁকুড়া (Bankura) ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার (South Bengal State Corporation) ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হল। বন্ধ হতে পারে আরও কয়েকটি বাস, এমনটাই মিলেছে ইঙ্গিত। ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যধিক হারে বেড়েছে ডিজেলের (Diesel) দাম। আর এই মূল্যবৃদ্ধিতেও বাড়েনি সরকারি বাসের ভাড়া। অন্যদিকে যাত্রীর সংখ্যাও তেমন নেই। আর তার জেরে সরকারি বাসগুলিতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের বহর। লাভের অঙ্ক দূরের কথা খরচই উঠছে না বাসগুলি থেকে।
এই সমস্যায় আপাতত দূরপাল্লা-সহ ৭টি বাস বন্ধ করে দিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো। বাঁকুড়া-মালদা, বাঁকুড়া-ওমরপুর, বাঁকুড়া-লালগোলা, বাঁকুড়া - দুর্গাপুর এসি নন স্টপ-সহ বিভিন্ন সময়ে চলা ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একদিকে যখন খরচ না ওঠায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ওই সংস্থার কর্মীদেরও বেতনে পড়েছে কোপ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কর্মীদের বেতনও কেটে নেওয়া হয়েছে একটা বড় অঙ্কের টাকা। খরচ উঠছে না তাই বন্ধ করা হয়েছে বাসগুলি এমনটায় জানানো হয়েছে ডিপোর তরফে। দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুটের এতগুলি বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরাও।
বিস্ফোরক মন্তব্য আমডাঙার (Amdanga) বিধায়ক রফিকুর রহমানের (Rafiqur Rahman)। সোমবার দারিয়াপুর হাট মালিকের ছেলেকে মারধরের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আমডাঙা থানার আইসি (IC) বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন আমডাঙার বিধায়ক। তবে এই ঘটনায় রাকিবুল হক (ডালিম) নামে এক হিরোইন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আমডাঙা থানার পুলিস। কিন্তু আসল ঘটনা কী?
আমডাঙা থানার হাবরা (Habra) নৈহাটি রোডের উপর দারিয়াপুর এলাকার হাটের মালিকের ছেলেকে দুষ্কৃতীদের মারধরের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কার্যত আমডাঙা থানার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিধায়ক। তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জন দত্ত। যে গাঁজার ব্যবসায়ী পিস্তলের বাট দিয়েছে মেরেছেন, তার কাকাকে তিন চারদিন আগে আইসি সন্ধেবেলা ধরে এবং রফা করে রাতে ছেড়ে দেন। যেদিন এটা হয়েছে সেদিন আমি অ্যাডিশনাল এসপিকে মেসেজ করেছিলাম গোটা বিষয়টা জানিয়ে। এক্ষুণি অপসারণ চাই।"
প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিল সাধারণ মানুষ, সেই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক জানান, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়তার পয়সা পায়। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য দাবি করেন, এই আইসি যদি আমডাঙায় থাকে তাহলে আমডাঙায় শান্তি ফিরবে না। শুধু নেশাই নয়, তিনি আরও দাবি করেন, আমডাঙা থানার আইসি ইন্ধনে চলছে আমডাঙা কলেজের পাশে লোটোর ব্যবসা। স্বাভাবিকভাবে বিধায়কের এই বক্তব্যের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা আমডাঙা জুড়ে। এখন দেখার বিধায়কের এই বক্তব্যের পরে কী ব্যবস্থা নেয় পুলিস-প্রশাসন।