কুলতলী (Kultali) ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Kaikhali Primary Health Centre)। যেখানে মূলত মানুষেরা যান স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা রোগ নিরাময়ের জন্য। তবে এখানে চিত্রটাই অন্যরকম। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ঢুকলেই দেখা যাবে সেখানে চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"। কিন্তু কেন এই অবস্থা? রোগীদের দেখাই বা মিলছে না কেন?
কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসকেও পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য ১২ কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় স্থানীয় রোগীদের। এমনকি, হাসপাতালের গর্ভবতী মায়েদের চেকআপের ঘরেরও ছাদ থেকে টপ টপ করে পড়ছে জল। এখানে ওখানে সিলিং-এর চাঙর ভেঙে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নজর নেই স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। একাধিকবার বলেও মেলেনি সুরাহা।
তবে হ্যাঁ! এই অব্যবহৃত ঘরগুলিতে দেদার হচ্ছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। ঘরগুলিতে ঢুকতেই দেখা যাবে সিলিং-য়ে ঝুলছে একাধিক প্লাস্টিকের গ্লাস। যেটা মূলত মাইক ভেবে রিহার্সাল দেওয়া হয় যাত্রাপালায়। কিন্তু হুঁশ কোথায় প্রশাসনের? প্রশ্ন তুলে সরব স্থানীয়রা। তাঁরা চান গ্রামের মধ্যেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে গড়ে তোলা হোক সুষ্ঠভাবে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) অনুব্রত মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার আসানসোলে নিয়ে যায়। কিন্তু এদিন সকালে যখন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) যখন গ্রেফতার করে তখন লোকে-লোকারণ্য তাঁর বোলপুরের বাড়ি। কিন্তু বেলা গড়াতেই শুনশান হয়ে যায় সেই এলাকা। পাশাপাশি তালা পড়ে অনুব্রতর বাড়ি এবং অফিসে। কিন্তু সেই ফাঁকা বাড়ির সময় ঘুরতে দেখা যায় এক গরুকে। কিছুক্ষণ সেই গরু, অনুব্রতর বাড়ির মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়েও থাকে। আবার রাস্তায় নেমে হাঁটতে শুরু করে।
এদিকে, বীরভূম থেকে অনুব্রতকে যখন আসানসোল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন রাস্তায় একাধিকবার তাঁকে গরু চোর কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এমনকি, আসানসোল আদালতেও বিক্ষোভ দেখায় বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁর উদ্দেশে ছোড়া হয় জুতোও।
এদিন তাঁকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই অনুব্রতকে আনা হয়েছে কলকাতায়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কলকাতা আসার পথে একাধিকবার তাঁর কনভয় দাঁড়ায়। তাঁর কাছে গিয়ে সংবাদমাধ্যম কিছু জানতে চাইলে অনুব্রত মণ্ডল কিছুই জানাবেন না বলে হাত নেড়ে জানিয়ে দিন।
চলতি মরশুমে সেভাবে বৃষ্টিপাত (Rain) পায়নি দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। অবশেষে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে স্বস্তি ফিরেছে কিছুটা। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিলেও তার দেখা মেলেনি। মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ,শুক্রবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
অন্যদিকে, ১৩ অগাস্ট শনিবার সকালের উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিন পাঁচেকে তাপমাত্রার হেরফের হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ মেধলা থাকবে। সঙ্গে কয়েক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার পুরনো বাড়ির ছাদে হোমযজ্ঞ করে নতুন বাড়িতে (New House) 'গৃহপ্রবেশ' করার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁর অনুপস্থিতে কি আদৌ হবে ওই হোমযজ্ঞ, উঠছে প্রশ্ন। অনুব্রতর বাড়ির ছাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে বিশাল প্যান্ডেল (Pandel)। কিন্তু প্যান্ডেল কেন? কোনও কি অনুষ্ঠান (Ceremony) হয়ে গিয়েছে? না, উত্তরটা দিলেন তাঁরই এক প্রতিবেশী। তিনি বললেন, ওখানেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। পাশেই নতুন বাড়ির জন্য গৃহপ্রবেশ উপলক্ষ্যে ছাদেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন কে জানত, তার ঠিক তিনদিন আগে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে। ফলে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান যে আপাতত স্থগিত হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিরোধীরা এই সুযোগকে লুফে নিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একটা কেন, অনেক বাড়িরই মালিক হতে পারে। আর পাপ করে তা থেকে মুক্তির জন্যই তিনি বরাবর হোমযজ্ঞে বিশ্বাসী, কটাক্ষ জেলার বিজেপি নেতার।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে (Indefinite Leave) গেলেন বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Dr Chandranath Adhikary)।
গত মঙ্গলবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি সুপারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মন্তব্য করেন, তাঁকে ১৪ দিনের জন্য সাদা কাগজে ছুটি লিখে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসবের পরেই যখন বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেন, তারপর তিনি নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাছাড়া তিনি মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বিশদে আর কী কী বললেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আগামি ২০ অগাস্ট অর্থাৎ ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ধৃত বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আবেদন না করলেও, সিবিআই হেফাজত কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি আদালতকে বলেন, 'যতটা সম্ভব কমানো হোক তাঁর মক্কেলের সিবিআই হেফাজত। আমরা সহযোগিতা করতে রাজি।' এরপরেই ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
এই মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন আছে। এদিন এই সওয়াল সিবিআইয়ের তরফে করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এদিন এজলাসে বলেন, 'তাঁর ফিস্টুলার সমস্যা আছে। বুকে ব্যথা-সহ নানা শারীরিক ব্যাধি রয়েছে। তাই মহামান্য আদালত যাতে তাঁর দিকটা বিচার করেন।'
তবে এদিন বিকেলে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়, তখন এজলাসে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন পুলিসকর্মীরা। কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের বের করে ভিতর থেকে কোর্ট গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কোর্ট চত্বরে উপস্থিত পুলিস আধিকারিক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পরিবেশও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি এই শুনানি চলাকালীন।
কয়েকদিন আগে মাথাভাঙায় খাদ্য দফতরের অফিসে রাতে কাজ হওয়ায় গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, দুর্নীতির নথিপত্র সরাতেই রাত জেগে কাজ হচ্ছিল অফিসে।
এবার একই ঘটনা ঘটল পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayet Office)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের আমবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধিদল (Central Team)। এরই মাঝে বুধবার অনেক রাত পর্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চলছিল কাজকর্ম। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে কর্মীদের রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে বিক্ষোভে (Agitation) শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতে যেভাবে দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে, তাই বিভিন্ন নথিপত্র ও কাগজপত্র রাতে কাজ করে এদিক ওদিক করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সারাদিন থাকতে কেন এত রাতে পঞ্চায়েত অফিসে কাজ হবে? প্রশ্ন তুলে এলাকার মানুষ এদিন অফিসে কর্মীদের তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিক কোনও সঠিক উত্তর না দেওয়ার কারণে বিক্ষোভ চলতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস। স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরে পুলিস কোনওভাবে অফিসের তালা খুলে পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীদের সেখান থেকে বের করে বাড়ির উদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
তবে এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের নির্মাণ সহায়িকা মল্লিকা বসু বলেন, রাজ্য জুড়ে ২০১১ ও ১২ সালের কাজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমার এক বছরের বেশি হয়েছে এখানে আসা। তাই সব কাগজ গুছিয়ে রাখতে হচ্ছে।
শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডল। নকুলদানা, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক- এমন সব ডায়লগে একটা সময় ভোটের বাজার গরম করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সেই সব ডায়লগ নিয়ে বাজার গরমের পাশাপাশি বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। আজ সেই নেতা সিবিআইয়ের জালে।
তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উল্লাস বিজেপির। আসানসোল কোর্ট মোড়ে অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা নকুল দানা বিতরণ করলেন পথচলতি মানুষ ও বাসযাত্রীদের। পাশাপাশি শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপি নেত্রী।
বর্ধমানের কার্জন গেটেও উল্লাস বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিজয় উল্লাসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সামের নেতৃত্বে কার্জন গেট চত্বরে ঢাক বাজিয়ে বিজয় উল্লাস। পথ চলতি সাধারণ মানুষকে করানো হল মিষ্টিমুখ। দেওয়া হল গুড়, বাতাসা ও নকুলদানা।
অনুব্রতর গ্রেফতারে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে। সেখানে বাজল চড়াম চড়াম ঢাক। বিলি করা হল গুড় বাতাসা, নকুলদানা। বৃহঃস্পতিবার সকালেই বীরভূমের বাহুবলি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পথচলতি মানুষ থেকে স্থানীয় দোকানদারদের বিলি করা হল গুড়বাতাসা ও নকুলদানা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কেশিয়ারি মোড়ে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর রাস্তায় আসা সাধারণ মানুষজনদের নকুলদানা এবং বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিন পা্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন চোর চোর বলে।
অনুব্রতর গ্রেফতারিতে উৎসবের আমেজ গেরুয়া শিবিরে। গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিলি করে মেদিনীপুর শহরের রিং রোডে উৎসব পালন জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। কেষ্টর গ্রেফতারির খুশিতে মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানকেও গুড় বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মীরা। একসময় গুড় বাতাসা আর নকুলদানার নিদান দিয়েছিলেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। রীতিমতো গুড় বাতাসা বিলি করে উৎসবে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা। শুধু গুড় বাতাসাই নয় সঙ্গে রয়েছে নকুলদানাও। এদিনের এই কর্মসূচি থেকে শাসকশিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানাও করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।
ভুল করে এক সদ্যোজাতকে একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয় কোতুলপুর থানার পুলিসকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ভুল করে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হলেও শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণিপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসমা খাতুন গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। রোগীর পরিবারের দাবি, প্রসবের পর গতকাল সদ্যোজাতকে প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে হাসপাতালের তরফে প্রসুতির নাম ধরে ডাকলে পরিবারের লোকজন সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের কাছে যান। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত এক নার্স শিশুটিকে পুনরায় সেই টিকা দিতে উদ্যোগী হলে পরিবারের লোকজন ওই নার্সকে গতকালের ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তারপরও টিকার কার্ড না দেখেই কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে পুনরায় ওই টিকা দেন বলে পরিবারের অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সরা রোগীর পরিবারকে বিষয়টি অন্যত্র না জানানোর জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ।
এরপরই শিশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কর্তব্যরত ওই নার্সের শাস্তির দাবি তোলেন শিশুর পরিবারের লোকজন। শিশুর পরিবারের আশঙ্কা, টিকার ডাবল ডোজের প্রভাবে শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ডাবল ডোজ প্রয়োগ হলেও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তা সত্বেও ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কুলতলি ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Primary Health Centre)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনিতেই বেহাল দশা। চারদিক ভরে উঠেছে আগাছা এবং জঙ্গলে। বহু ঘরেরই দরজা, জানালা নেই। সর্বত্রই জার্ণতার ছাপ। আর তারই মধ্যে ১৫-১৬ বছর ধরে ঘর দখল করে রয়েছে একটি যাত্রা কোম্পানি (Jatra Company)। চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল (Rehearsal)। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"।
অথচ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসককে পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য বারো কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের জমি দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানেই জমি দখল করে চলছে চাষবাস ইত্যাদি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, একটি ঘরের মধ্যেই বড় বড় ট্রাঙ্কে রয়েছে যাত্রার সরঞ্জাম। রয়েছে আলো, সাউন্ড সিস্টেম সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালে যেখানে চিকিত্সা পরিষেবাই ঠিকমতো পাওয়া যায় না, সেখানে কীভাবে হাসপাতালের ঘর দখল করে একটি যাত্রাপালা গোষ্ঠী তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে। যাঁরা ঘর দখল করে এসব করছেন, তাঁদের অবশ্য এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
এক সময় এখানে সবই ছিল। কোয়ার্টারগুলিও সব ভর্তি ছিল। কিন্তু কোনও একটি ঘটনার পর সব ফাঁকা হয়ে যায়। এখন ডাক্তার, নার্স আসেন বটে, তবে ওই নাম কা ওয়াস্তে। এখানে যে এভাবে যাত্রাপালার রিহার্সাল চলে, তা সবারই জানা, জাক্তাররাও জানেন, দাবি এক কর্মীর।
কয়লা-কাণ্ডে (Coal CAse) এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা (IPS in Bengal)। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। ইডি যখন তদন্তের গতি বাড়াতে কয়লা পাচার-কাণ্ডে কোমর বাঁধছে, তখন গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে চলেছে তল্লাশি।
বুধবার অনুব্রতকে দশমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এ নিয়ে মোট ৯ বার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরেই এদিন সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতির বোলপুরের বাড়ি ঘিরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই।
অবশেষে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি নবারই হাজিরা এড়িয়েছেন।
এবার অনুব্রতর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI)। আজ সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়।বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর।তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের ভিড়। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির আশঙ্কা করে এবার সুপ্রিম দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর ছিল।
সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরা এড়ানোর পরেই আরও তত্পর সিবিআই(CBI)। বুধবার গভীর রাতে(night) উচ্চপদস্থ সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল বোলপুর পৌঁছয়। একাধিকবার হাজিরা এড়ানোয় পরবর্তী পদক্ষেপ (next step)ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক সারেন তাঁরা । সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি(house) যেতে পারেন। সূত্রের খবর, মোট ৫টি গাড়িতে(car) সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতে বোলপুরে এসে পৌঁছন৷ এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে ও দু’টি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে এসেছে । বোলপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের গেস্ট হাউস(guest house) রতনকুঠিতে উঠেছেন সিবিআই কর্তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে(central force) সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গেছে প্রায় ৩০ জনের বেশি সিবিআই কর্তারা এসেছেন বোলপুরে।
গরু পাচার মামলায় নতুন করে তল্লাশির সম্ভাবনা উছঠে আসছে। যে গেস্ট হাউসে সিবিআই আধিকারিকরা আছেন সেখানে এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বোলপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে বেরোবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বুধবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হলেও দশম বারের জন্য তিনি এই হাজিরা এড়িয়ে যান। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি পৌঁছননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের কাছে ১৪ দিনের সময়ও চেয়ে নেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি সূত্রের খবর, যে চিকিৎসা করাতে তিনি দক্ষিণ ভারতে যেতে পারেন।
অন্যদিকে , অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানোয় ক্ষুব্ধ অ্যা সোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস চিকিৎসক সংগঠন। সংগঠনের তরফে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্য সচিব ছাড়াও,এই চিঠিটি স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক অশান্তির(domestic violence) জেরে একই পরিবারের ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র (sharp weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুনের(murder) অভিযোগ হাওড়ায়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া থানা এলাকার এম সি ঘোষ লেনে। অভিযোগের তিরে এক ভাই দেবরাজ ঘোষ ও ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষের বিরুদ্ধে। পুলিস(police) সূত্রে জানানো হয়েছে মৃতরা সম্পর্কে অভিযুক্ত পল্লবী ঘোষের মেজো ভাসুর, ভাসুরের স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়ি। মৃতরা হলেন, শ্বাশুড়ি মাধবী ঘোষ (৬০), ভাসুর দেবাশিস ঘোষ ( ৩৬), ভাসুরের স্ত্রী রেখা ঘোষ (৩০), ভাসুরের নাবালিকা মেয়ে ( ১৩)। এই ঘটনার পর থেকে দেবরাজ ঘোষ পলাতক। হাওড়ার সিটি পুলিসের আধিকারিকরা পল্লবী ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারও বাঁ হাতে জখম রয়েছে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যান হাওড়া থানার পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং সিটি পুলিসের(city police) গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। তারা বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেঝের উপরে ছড়িয়ে চিত্ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেহগুলি। দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত (death)বলে ঘোষণা করেন।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু না জানা গেলেও প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি(property) নিয়ে অশান্তি চলছিল । মাঝে মধ্যে সেই বিবাদ চরমে উঠত। প্রতিবেশীরা তার মধ্যস্থতাও করেছেন একাধিকবার। দেবরাজের সঙ্গে দেবাশিসের বুধবার সকাল থেকেই অশান্তি হচ্ছিল। দুপুরের পর আবার তা ঠিকও হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর আবারও অশান্তি বাড়ে। প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন। সেই অশান্তির জেরে এই ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
পলাতক দেবরাজ ঘোষের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন হাওড়া সিটি পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।
নিম্নচাপ(depression) শক্তি হারিয়ে পূর্ব মধ্যপ্রদেশে অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপ সরে গেলেও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে(gangetic West Bengal) একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি (rain)চলবে । শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টি (heavy rain)হবে। এছাড়া হাওড়া ও কলকাতার কয়েকটি জায়গায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ,পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম একটু বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফের ১৪ আগস্ট দক্ষিণবঙ্গের জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তরবঙ্গে যদিও খুব বেশি বৃষ্টিপাত নেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে কয়েক দিন। মৎস্যজীবীদের (fisherman) ১১ তারিখ পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য রয়েছে লাল সতর্কতা(red alert)। আগামীকাল অর্থাত্ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। এর ফলে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
কলকাতায় দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদও। এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জোড়া প্রভাবে কলকাতা শহর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।