
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আদালতের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের। এবার এই বিষয়ে এসএসসিকে তুলোধোনা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর। OMR শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি মন্ত্রীর। স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরির ক্ষেত্রে ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ৮৪২ জনের। এর মধ্যে নাম রয়েছে উপভোক্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।
এবার ঘুরিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত ও এসএসসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ওএমআর শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবিও তুললেন তিনি। শনিবার সকালে মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, 'এসএসসির ত্রুটির, অন্যায়ের শিকার হতে হচ্ছে নিরীহদের। যার জন্য অনেক ক্ষেত্রে মানসম্মান খোয়াতে হচ্ছে অনেককে, চাকরির পাঁচ বছর পর কেন ওই ওএমআর সিট প্রকাশ করা হলো? কেন আগেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করল না এসএসসি!' একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে এসএসসি।
মন্ত্রীর ভাইয়ের ওএমআর শিট প্রসঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো জানান, 'আমার ভাই কোনওমতেই ১২ বা ১৩ পেতে পারে না, ও কমপক্ষে ৫০ বা ৫৫-র আশপাশে পাবে। ভাই মিলিয়ে দেখেছে, ওর আত্মবিশ্বাস আছে, ও আরও বেশি পাবে।'
ডাক্তারের দেখা নেই। রোগীদের ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট। অর্থাত্ অসুখ জানাতেই কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিচ্ছেন ফর্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ছবিটা মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। কোথায় গেলেন ডাক্তাররা? কেনই বা ফার্মাসিস্ট ওষুধ দিচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই বেজায় চটে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংবাদমধ্যমের ক্যামেরায় হাত দিয়ে বাধা দেওয়া হয় খবর সংগ্রহে।
ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিতেই হাসপাতালে আসেন ডাক্তাররা। অগত্যা ভরসা ফার্মাসিস্ট। এমনকি কিছু কিছু রোগীরা অন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান।
তবে এই বিষয়ে একজন ফার্মাসিস্ট জানান, হাসপাতালের দুটি ডাক্তারের মধ্যে একজন ট্রেনিং-এ গিয়েছেন এবং অপরজনের শরীর অসুস্থ। স্থানীয়দের অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তুলতেই তিনি জানান, ডাক্তার তো নেই তাই দিতে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে, জানান কান্দি ব্লকের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সাহা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাব। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার। কোথাও ভগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তো কোথাও দেখা নেই চিকিত্সকের। এমন অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সময়ের আগেই এবছর আমের মুকুল (Mango) ধরেছে গাছে। গরমের শুরুতেই আমের রস স্বাদন পাবে বঙ্গবাসী। ফেব্রুয়ারি মাসে ঠান্ডার দাপট এবছর দেখা যায়নি। প্রকৃতির জাদুতে এবছর মালদায় (Malda) সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই আমের মুকুল ধরেছে। এই জেলার সবচেয়ে অর্থকারী ফসল রেকর্ড ভাঙতে পারে এবছর। এদিকে আবার মালদায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চৈত্র শেষের এই বৃষ্টি আম চাষিদের মাথায় আশির্বাদ রূপেই নেমেছে।
আম চাষিরা এই বিষয়ে বলেন, আমরা চাষিরা কান্নাকাটি করছিলাম। বারবার ভগবানের কাছে প্রার্থনাও করছিলাম, যাতে একটু বৃষ্টি হয়। তাই শুক্রবারের বৃষ্টিতে খুব খুশি আম চাষিরা। এই বৃষ্টির জন্য যেভাবে গাছে মুকুল ধরেছিল, আশা করছি ঠিক সেভাবেই ফলন হবে।
এই বিষয়ে মালদহ জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, 'ঝড়, বৃষ্টি, তারতম্য ও বিভিন্ন কারণে গত বছর আমাদের প্রোডাকশনটা মার খেয়েছে। তবে এবছর এখনও অনুকূল আবহাওয়াতে মুকুল পর্যাপ্ত পরিমাণে এসেছে। যদি আগামীতে কালবৈশাখির ঝড়, শিলাবৃষ্টি এইগুলি না ঘটে তাহলে আমরা আশা রাখছি এই প্রোডাকশনটা ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যতে পারে।'
মৌমাছির (Bee Attack) কামড়ে আক্রান্ত এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পড়ুয়ার (HS Student)। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর (Kharagpur) শহরে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর নাম রিচা শর্মা। ছত্রিশগড় হাইস্কুলের ছাত্রী, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
ছাত্রীর মা পুনম শর্মা জানান, 'শনিবার সকালে হিজলী হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই রিচাকে মৌমাছি কামড়ায়। পরে পুলিসের সহযোগিতায় রিচাকে প্রথমে আইআইটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয়। তারপরেই স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। তবে স্কুলের মধ্যে সে আবার অসুস্থতা বোধ করে। তখনই তড়িঘড়ি করে ছাত্রীকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাই হাসপাতের মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় রিচা।'
পূর্বাভাস থাকলেও শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর দেখা পায়নি মহানগরবাসী। শনিবার সকালেও মেঘলা আকাশ রয়েছে। তবে ন্যূনতম তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে এবার তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কোনও কোনও জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) আপাতত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তারপর তিনদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই আবহাওয়া চলতে পারে ২১ মার্চ বুধবার পর্যন্ত। পাশাপাশি, শনিবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজ বাজার থানার (English Bazar Police) পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত ৩২০ কোঠাবাড়ি এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম ঝুমা হালদার (৩৬)। কোঠাবাড়ি এলাকারই বাসিন্দা তিনি। একটি চায়ের দোকান চালাতেন ঝুমা। পরিবারে স্বামী বিপুল হালদার, এক ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন ঝুমা। পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সারারাত পরিবারের সদস্যরা চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেন ঝুমাকে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝুমার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রাই ঝুমার পরিবার এবং পুলিসকে খবর দেন। স্থানীয়দের দাবি, আর্থিক অনটন ছিল পরিবারে। কিন্তু সেরকম কোনও পারিবারিক অশান্তি হত না।
তবে কী কারণে এই ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজি বাজার থানার পুলিস।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (ED RAID) ঘেরাটোপে বলাগড়ে শান্তনুর গেস্ট হাউসের তালা ভেঙে ঢুকলো ইডি, শান্তনুর বিপুল পরিমানে সম্পত্তির হদিশ। শান্তনুর বিরুদ্ধে বহু মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল পূর্বেই, এরপর দল থেকে বহিস্কার হওয়ার পর সামনে আসে কাটমানি না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বালির মোড় সংলগ্ন এলাকায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের নামে কয়েক বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকায় কেনা হয় দোতলা একটি বাড়ি।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর উপর থেকে হাত সরিয়েছে তৃণমূল (TMC), গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন তিনি। দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে যাওয়ার পর সামনে এলো আরও ভয়ানক তথ্য, সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকের নল দেখিয়ে বহু জমি ও বাড়ি দখল করে নিজের নামে করেও নিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের ১১ তারিখই তাঁর বিলাসবহুল গেস্ট হাউসের খোঁজ মিলেছে বলাগড়ে। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ শান্তনুর গ্রেফতারির তিনদিন পর তিন জন দুষ্কৃতী বাইক করে শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে আসে, এবং তাঁরা ওখানে আধ ঘন্টা কাটায় , স্থানীয়দের আরও অভিযোগ যে দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি থেকে শান্তনুর অনেক তথ্য ও নথি পাচার করেছে ,এছাড়া ব্যান্ডেলে সন্ধান মেলে শান্তনুর স্ত্রীয়ের নামে পেল্লায় বাড়ির। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই একের পর এক তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্টুরেন্ট, হোম স্টে, বাগান বাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলছে। ধীরে ধীরে সব সম্পত্তিতে অভিযান চালাবে ইডি, এমনটাই নাকি সূত্রের খবর।
শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে ইডি, বলাগড়-সহ ব্যান্ডেলে তার স্ত্রীর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে ইডি, সকাল থেকেই একযোগে অভিযান চলছে ইডির। ইতিমধ্যে শান্তনুর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে হানা ইডির। এছাড়া একইসঙ্গে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
এক পুলিস(Police) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। হাওড়া কমিশনারেটের একটি থানার ব্যারাকের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় দেহটি(Howrah Police Station)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরেই উদ্ধার করা হয় দেহটি। মৃত পুলিস কর্মীর নাম সুরজিত্ সিংহ রায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া বানিপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়া কমিশনারেটের অধীনে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, পুলিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
চিতাবাঘের (Leopard Attack) হানায় জখম হলেন এক চা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানে। আহতকে অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা গিয়েছে, জখম ওই চা শ্রমিকের নাম টিকে থোকর। ঘটনার দিন বিকেলে টিকে নামের ওই ব্যক্তি চা বাগানে কাজ করছিলেন। আচমকাই তাঁর উপরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। তাঁর চিৎকার শুনে অন্য শ্রমিকরা ছুটে এলে চিতাবাঘটি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, ফের বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল চিতল হরিণ। বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে ৮৬টি চিতল হরিণ নিয়ে এসে বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘেদের খাদ্য ভান্ডার সুনিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত, জানালেন বন দফতর। বন দফতর থেকে আরও জানা যায়, মোট তিনটি কন্টেনারে চাপিয়ে হরিণ গুলিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ধকল কাটিয়ে হরিণ গুলিকে সুস্থ অবস্থাতেই প্রকৃতিতে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার(Cow Sumggling)! পুলিস ধাওয়া করতেই লাইট পোস্টে ধাক্কা গাড়ির। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। গাড়ির চালককে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Parganas)সোনারপুর মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোনারপুর থানার(Sonarpur Police) পুলিস। গাড়িতে থাকা আর দুই ব্যক্তি পালতক। গাড়ির ভিতর থেকে তিনটি গরুকে উদ্ধার করে পুলিস। তিনটি গরুর মধ্যে একটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ইনোভা গাড়ি সোনারপুর মোড় থেকে রাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোনারপুর থানার পিসি পার্টির সন্দেহ হওয়ায় ওই গাড়িকে ধাওয়া করে। পুলিসের গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়া শনি মন্দিরের কাছে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনোভা গাড়ির পিছনের সিট খুলে গরু পাচারের কাজ চলছে। গাড়িটিতে মোট তিনটি গরু ছিল। দুর্ঘটনায় একটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে, পুলিস সুত্রে খবর। বাকি দুটি গরুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, পুলিসের সন্দেহ এড়াতেই ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল।
প্রাথমিক শিক্ষায়(Primary Education) সিভিক ভলান্টিয়ার-কাণ্ডে বাঁকুড়া(Bankura) জেলা পুলিসের(Police) নতুন বিবৃতি। হইচইয়ের পর নবান্ন নড়েচড়ে বসতেই অবস্থান বদল অঙ্কুর প্রকল্পের। অঙ্কুর নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নতুন বিবৃতিতে বলা, কিছু মানুষ এই উদ্যোগকে বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস প্রতিস্থাপনের প্রচেষ্টা হিসাবে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিকৃত, ভুল তথ্য। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাবিজ্ঞানের যে ক্লাসগুলি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোচিং ক্লাসের আকারে বিদ্যালয়ের পশাপাশি ক্লাসের মতো চলবে।
বাঁকুড়া পুলিসের বিবৃতিতে আরও বলেন, বর্তমান উদ্যোগের সঙ্গে বিদ্যালয়ের ক্লাসের কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাসের পরেই এই কোচিং চলবে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ক্লাসগুলি কোনও বিদ্যালয়ে করা হবে না। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের পরে শিশু-শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের সুবিধা অনুসারে নির্বাচিত স্থানগুলি থেকেই পরিচালিত হবে। বাঁকুড়া পুলিস জেলার সাধারণ মানুষদের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাবে। আপনাদের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া সাদরে গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নেওয়া এই অঙ্কুর প্রকল্প ঘিরে বুধবার হইচই বাঁধে রাজ্য রাজনীতিতে। সরকারি স্কুলে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকলে সুযোগ দেওয়া হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক পড়ুয়াদের শিক্ষার মান উন্নতি করতে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। কিন্তু হইচই শুরু হতেই পদক্ষেপ করে নবান্ন।
পূর্বাভাস ছিল কালবৈশাখীর জেরে কিছুটা স্বস্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। শুক্রবারও কলকাতা (Kolkata)-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করেছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরের। তাপমাত্রা আগের থেকে কমলেও ভ্যাপসা গরম (Weather) রয়েই গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু'দিন আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে খবর। তবুও বলা যায়, রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির কারণে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমেছে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দর্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে বসছেন। উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সমস্ত বিধায়ক, সংসদ সহ জেলার উচ্চ নেতৃত্বকে। উত্তর দিনাজপুরের করিম চৌধুরী ছাড়া বাকি সমস্ত নেতাই উপস্থিত থাকবেন বলে সমাচার। এখন প্রশ্ন হলো কী বিষয়ে এই জরুরি তলব।
অনেক বিষয়েই আলোচনা থাকতে পারে। কিন্তু মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। গত পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য ছিল বহু অঞ্চলে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারে নি। এ ছাড়া নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগও ছিল বিস্তর। কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সিংহভাগ আসন দখল করা ছাড়াও সমস্ত জেলায় ক্ষমতায় এসেছিলো। অবশ্য এরপরই ছিল লোকসভা নির্বাচন, যেখানে উঠে আসা বিজেপি ১৮টি আসন দখল করেছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তাদের নৈতিক পরাজয়। কিন্তু আবার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে সঙ্গে ২১৩টি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসে তারা।
এবারের পঞ্চায়েতের আগে স্ট্রাটেজি ঠিক করা দরকার বলেই মনে করেন তৃণমূলের প্রধানরা। সাম্প্রতিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অনৈতিক বাতাবরণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে দলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহু নেতা। রাজ্যে সক্রিয় সিবিআই, ইডি ইত্যাদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি এতেও বদনাম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এ ছাড়া মূল যে বিষয়টি মমতাকে ভাবাছে তা সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়। সংখ্যালঘু অঞ্চলে তৃণমূলের দিক থেকে সংখ্যালঘু ভোট সরে যাওয়াতে চিন্তিত মমতা।
আজকের আলোচনায় উঠে আসবে এই বিষয়গুলি বলেই ধারণা। অনেকেই ভাবছেন হয়তো বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বে বদল আসতে পারে কিন্তু আমাদের ধারণা ভোটের এক মাস এ রকম কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তিনি হয়তো বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারেন কাউকে কাউকে। তবে মনে হয় ফের মমতা নিজেই নিজের হাতে মূল দায়িত্ব রাখবেন এবং তিনিই হবেন মূল চালিকা শক্তি।
অবৈধ কল সেন্টারের(Fake Call Center) পর্দা ফাঁস পুলিসের। রাতের অন্ধকারে কল সেন্টারে হানা দিল শিলিগুড়ির(Siliguri) মাটিগাড়া থানার পুলিস(Police)। ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন গুজরাতের বাসিন্দা, ৫ জন মহিলা। গোটা ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে গুজরাতের দুই বাসিন্দাকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিস। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়৷
উত্তরবঙ্গে শিল্পের প্রসারে শিলিগুড়িতে গড়ে তোলা হয়েছিল আইটি পার্ক। তবে সেই আইটি পার্কটি বর্তমানে অবৈধ কল সেন্টারের হাব হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রের খবরে বুধবার রাতে মাটিগাড়া থানা এলাকার অধীন আইটি পার্কে হানা দেয় পুলিস। অভিযান চালায় ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, সাইবার ক্রাইম, এসওজি এবং মাটিগাড়া থানার পুলিস। অভিযান চালিয়ে একসঙ্গে ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ২০ জনের মধ্যে ২ জন মূল পান্ডা। তাঁরা গুজরাতের বাসিন্দা সুনীল গুপ্তা এবং অভিষেক রাজপুত। গোটা ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে গুজরাতের দুই বাসিন্দাকে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিস। পুলিস আরও জানায়, 'ওই অবৈধ কল সেন্টারের অনলাইন মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল।'
এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বধূকে (Higher Secondary Student) পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ঘটনার জেরে পুলিস (Police) প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থী। পরে পুলিস সেই পরীক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড(Admit Card) ও ব্যাগ-সহ নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছে দেয়।
জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। ফরাক্কা ব্লকের তিলডাঙ্গার বাসিন্দা তিনি। এক বছর আগে বিয়ে হয় ফরাক্কার বিন্দুগ্রামে। তরুণীর অভিযোগ, 'উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবে না শ্বশুরবাড়ির লোক। তাই বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী, শ্বশুর-সহ অন্যরা তাঁকে বাড়িতেই তালাবন্দি করে রাখেন। এমনকি তাঁর অ্যাডমিট কার্ড-সহ সব নথি জঙ্গলে ফেলে দেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই সময়ই সুলতানা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।'
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মেয়ের পড়ার খুবই ইচ্ছা। বুধবার একটা পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার জামাই ও শ্বশুর সুলতানাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে বাড়িতে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। সুলতানা শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে পুলিসকে সব বলে। পরে পুলিসই মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।'
এই বিষয়ে ফারাক্কা থানার আইসি বলেন, 'সরকারি সব সাহায্যই মেয়েটি পেয়েছেন। আমরা ওর পাশে থাকব। আমরা খুশি মেয়েটিকে নিয়ে আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতে সফল হয়েছি। মেয়েটির স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, অ্যাডমিট সব নিয়ে চলে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। পরে আমরা মেয়েটিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাড়ির বাইরে তালাবন্ধ দেখি। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করতে জঙ্গলের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। ব্যাগের মধ্যে থেকে আমরা মেয়েটির অ্যাডমিট কার্ড পাই। কিন্তু স্কুলের ইউনিফর্ম উদ্ধার করতে পরিনি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষককে অনুরোধ জানালে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।'