
আবারও চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনাপুর থানার রানাঘাট ২ নাম্বার ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম, সায়ন দাস (১৮)। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। এরপর পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালে আটকে রাখার পর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। অযথা এই সময় নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিবারের।
এরপর চাকদহ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে। কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাস নামে ওই যুবকের। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। আর সেখানে এসে যদি যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া যায় তবে কি হবে সাধারণ মাানুষের..?
বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই অকালে মৃত্য়ুবরণ করতে হল দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রের। একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে পুত্রশোকে গোটা পরিবার।
দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল টয় ট্রেন। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই যাত্রা শুরু করে টয় ট্রেনটি। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। তারপরেই বিকট শব্দে থেমে যায় ট্রেনটি।
এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেল। এদিকে এই ঘটনার পর অনেক যাত্রীই আর টয় ট্রেনে চাপতে পারেননি।
পুরো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন উত্তর পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, যাত্রীদের কাছে বিকল্প ট্রেনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেই আবেদনে সাড়া দেননি। যাঁরা ট্রেনে চড়তে পারেননি তাঁদের পুরো টিকিট ফেরত দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ব্য়ক্তির মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া রোডের হিজুলি এলাকায়। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম জয়নাল শেখ (৪০)। মৃতের পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তি চাষের জমিতে দিনমজুরের কাজ করত। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয়ে সারারাত বাড়িতে ফেরেনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার খুব সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে হিজুলি এলাকার রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জয়নাল শেখ। এরপর ঘটনাস্থলে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জয়নাল শেখের পরিবার সহ প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিস।
অভিযোগ, সারারাত ওই রাস্তাতে পুলিস টলদারি চালানোর পরেও একটি মৃতদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকে কি করে..? অন্যদিকে পরিবারের দাবি, জয়নাল শেখকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে যারা যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে আকাশের মুখ ভার। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে তিলোত্তমা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি জারি রয়েছে সকাল থেকেই। তারমধ্যেই শনিবার বিকেলে টর্নেডোর দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে উপকূলের সুন্দরবন এলাকা। ২ মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়েই কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে সুন্দরবন। সূত্রের খবর, এই টর্নেডোতে বহু বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে, বেশ কিছুজন আহতও হয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে , নিম্নচাপের প্রভাবে হুগলির কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাভারুই গ্রাম এবং মগরা-ত্রিবেণী এলাকায় শনিবার আচমকা ঘূর্ণিঝড় হয়। যার জেরে বিস্তর ক্ষতির মুখে গোটা এলাকা। পাশাপাশি আবহাওয়া সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই গভীর নিন্মচাপে পরিণত হওয়া শুরু হয়েছে। ফলত আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ সহ উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া ওই দুই দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্য় জুড়ে চলছে ডেঙ্গির ভয়াবহতা। দিনের পর দিন ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক এবার কলকাতা পুরসভার। ডেঙ্গির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সচেতনতায় নামল কলকাতা পুরসভা। শনিবার শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে চলবে সচেতনতা প্রচার। জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেঙ্গিরোধে স্বচ্ছ অভিযানে নেমেছে পুরসভার ওয়ার্ডগুলি।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। সামনে বোরো অফিস থাকার পরেও সেখানের বাসিন্দাদের কাছে অসহনীয় যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্গাপুরে এম.এ.এম.সি টাউনশিপের বিটি থ্রি সহ আশপাশ এলাকায় জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। নতুন ড্রেন হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে সেই নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে নিকাশি নালার জল বেরোনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় উপর উঠে আসে নোংরা জল। আর সেই জল আবাসনের সামনে এসে হাজির হয়। আর সেই নোংরা জমা জলেই বাড়ছে মশার উৎপাত।
অভিযোগ, বারংবার দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো অফিসে জানিয়েও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এম.এ.এম.সি টাউনশিপের তিন নম্বর বোরো অফিসের স্থানীয়রা বলছেন সামনে বোরো অফিস থাকার পরেও একবারও মশার তেল স্প্রে করতে আসেনা কেউ। দিন কয়েক আগে জেলা শাসক ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে ডেঙ্গি নিধনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই দিনের বৈঠকে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সচেতন রয়েছে পুরসভা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বলছেন তৎপরতার সঙ্গে জেলা প্রশাসন কাজ করবে। স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন তো বটেই ধাপে সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলবে ডেঙ্গি নিধনে কাজ।
শনিবার জলপাইগুড়ির করলা নদী সংলগ্ন বাবুঘাটে হয় এই ডেঙ্গু নিস্পত্তির স্বচ্ছ অভিযান। জলপাইগুড়িতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। গত জানুয়ারি মাস থেকে এখোনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০০। এছাড়াও এই বৃষ্টির মরশুমে মশাবাহিত এবং জলবাহিত নানারাকম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যার ফলে বাবুঘাটেও চলেছে এই স্বচ্ছ অভিযান।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর বালুরঘাট পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেঙ্গুরোধে তৎপর বালুরঘাট পৌরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে মশা নিধনকারী তেল স্প্রে, এছাড়াও বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৫৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র বালুরঘাট শহরে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ৮ জন এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ৩ জন, অর্থাৎ জেলায় এই মুহুর্তে মোট ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বালুরঘাট পুরসভার কাউন্সিলর প্রবীর দত্ত জানান, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে পুরসভা ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সাফাই অভিযানের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি শুরু হয়েছে সার্ভে। কোথাও জল জমে না থাকে তা দেখা হচ্ছে।
একসময় বলা হত, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দাপটেই বীরভূমে (Birbhum) বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যটা একেবারেই উল্টো। দেখা গিয়েছে, তাঁরই ছবি সরানো হচ্ছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে। বিগত কয়েকদিন থেকেই এই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। আর এই ছবি মুছে ফেলার নেপথ্যে রয়েছেন কাজল শেখ। প্রায় এক বছর ধরে গরু পাচারকাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঠিকানা এখন তিহাড় জেল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অস্তিত্ব ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে 'বীরভূম বাঘ'-এর।
গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেল অনুব্রত মণ্ডলের এখন ঠিকানা হলেও এখনও তাঁকে তার পদ অর্থাৎ বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি। কিন্তু তাঁকে দল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ সম্প্রতি নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মোছা হয়েছে তাঁর ছবি। দেখা গিয়েছে, হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা রয়েছে ও তাঁর পাশেই স্থান পেয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের ছবিও। তার নীচেও লেখা ছিল, অনুব্রত মণ্ডল, কেষ্টা জিন্দাবাদ। কিন্তু সেই ছবিই এখন সাদা রং-এ ঢেকে ফেলা হয়েছে। অথচ তৃণমূল নেত্রীর ছবি অক্ষতই রয়েছে। আর এর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে যে, তবে কি তাঁকে দল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে!
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, এমনটা করার পিছনে কাজল শেখের হাত রয়েছে। কিন্তু কাজল ঘনিষ্ঠরা এই দাবি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বীরভূম থেকে কেষ্টর দাপট 'ফিকে' হয়ে যাচ্ছে, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
অবশেষে জট কাটিয়ে শপথ নিতে চলেছেন ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এতেও মিটেছে না রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্ক। সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার পরিবর্তে উপস্থিত থাকতে পারেন বিধানসভায় শাসকদলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। ৮ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু আটকে ছিল তাঁর শপথগ্রহণ। গত শনিবার নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে তাঁর ধূপগুড়ির বাড়িতে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিষদীয় দফতর সেই শপথগ্রহণের অনুমোদন না দেওয়ায় নতুন বিধায়কের শপথ আটকে যায়।
তার পরেও রাজ্যপাল স্বয়ং তফসিলি বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, রাজভবনের দরজা সব সম্প্রদায়ের জন্য খোলা, জনমানসে সেই বার্তা দিতেই তফসিলি বিধায়ককে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেযেছিলেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিধানসভায় সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। তাই প্রয়োজনে আপনি বিধানসভায় এসে ধূপগুড়ির বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে যান।’’ যদিও এই পর্বে পরিষদীয় দফতরও চেয়েছিল উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে বিধানসভাতেই শপথগ্রহণ করান স্পিকার। নিজেদের সেই মনোভাবের কথা রাজভবনকেও বুঝিয়ে দিয়েছিল পরিষদীয় দফতর।
কিন্তু শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রে জানা যায়, রাজ্যপাল নিজেই ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাবেন।
মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাকাদহের বোড়ামারা গ্রামে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে একটি বাড়ির পাশে বসে খেলা করছিল মৃত ওই তিন শিশু। বৃষ্টির কারণে মাটির দেওয়াল ভিজে যাওয়ায় আচমকা সেই বাড়ির মাটির দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শিশুদের উপর। এরপরেই এলাকায় মানুষজন ও শিশুর পরিবারের লোকজন ওই তিন শিশুকে মাটির বাড়ির দেওয়াল সরিয়ে উদ্ধার করে। তারপর তড়িঘড়ি তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিন শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার জেরে শোকাহত হয়ে পড়েছে ওই তিন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বৃষ্টির কারণে দেওয়াল জলে ভিজে যায়। আর তার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
কথাই ছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে দুটি দিন দলের কর্মীদের সাথে অবস্থান আন্দোলন করবেন। শেষ সময়ে বিভিন্ন বাঁধা আসতে দেখা গেলো। প্রসঙ্গত অভিষেকের এই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ এবং ২৮ অগাস্ট ছাত্র সমাবেশে ঘোষণাই করেছিলেন অতএব এটি নিঃসন্দেহে পূর্ব নির্ধারিত। কিন্তু সমস্যা হয়েছে দুটি। প্রথমত কোর্টের নির্দেশে ইডি অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে ৩ অক্টোবর, যেদিন তাঁর দিল্লির আন্দোলনে থাকার কথা। অভিষেককে অবিশ্যি এর আগেও 'ইন্ডিয়া' জোটের শেষ বৈঠকের দিনেই ডাকা হয়েছিল এবং তিনি গিয়েওছিলেন। এবারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, থাকতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত অভিষেকের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি দিল্লি সফরের জন্য একটি বিশেষ ট্রেন বুক করেছিলেন, যে গাড়িতে তাঁর দলের অনুগামীদের যাওয়ার কথা কিন্তু শুক্রবার শেষ মুহূর্তে রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে যে, ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার অভিষেক নেতাজি ইনডোরে দলের দিল্লি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মিডিয়ার সামনে জানালেন যে, টাকা জমা সত্বেও ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং দাবি করেন যে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত। তিনি এও বলেন যে, যে ভাবেই হোক দিল্লি যাওয়া হবেই কারণ কয়েক হাজার মহিলা পুরুষ অপেক্ষা করছে।
রাতারাতি ব্যবস্থা যতটুকু করা হল তা এই রকম, প্রচুর বাস ভাড়া করা হয়েছে। সেগুলি যে ভলভো এমন নয়। তবে স্লীপার কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা শুয়ে বসে যেতে পারে। দূরত্ব অনেকটাই। সম্পূর্ণ বিহার, উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে দিল্লি। শনিবার বেলায় যে বাস ছাড়লো তা দিল্লি পৌঁছাতে অন্তত দুটি রাত লেগে যাবে। অন্যদিকে দলের নেতা মন্ত্রীদের অনেকেই রাজধানী এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন এমনটিই জানা গেলো মন্ত্রী শশী পাঁজার সূত্র মাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এখন এই দিল্লি যাত্রা বড় খবর সারা দেশের কাছে। লক্ষণীয় বিষয়ে থাকবে গান্ধী জয়ন্তী।
জোড়া নিম্নচাপের কাঁটা। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার ব্যাপক রদবদল। আরব সাগর, বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ আছে। আগামী দুই দিনে এই জোড়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়াবে। তার জেরেই শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায়। আগামী ৪-৫ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে শনিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ২ অক্টোবরের পর বৃষ্টি বাড়বে অন্য জেলাগুলিতেও। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়াতেও ভারী বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। উপকূল অঞ্চলে শনিবারের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনি ও রবিবার নতুন করে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হবে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতেও। ভারী বৃষ্টির জেরে পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামতে পারে।
ট্রেন ভাড়া চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু রেল তৃণমূল কংগ্রেসের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। শুক্রবার রাতে নেতাজি ইন্ডোরে এসে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণ পরই জানিয়ে দেওয়া হয়, শনিবার সকাল ৯টা ধর্মতলা থেকে বাসেই দিল্লি রওনা দেবেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শেষ মুহূর্তে ট্রেন না পাওয়ায় বাসে যাবেন তৃণমূল কর্মী, দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষেদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি-সহ একাধিক পদাধিকারীরা। সব মিলিয়ে মোট আড়াই থেকে ৩ হাজার কর্মী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলে এসেছেন। কতগুলি বাসের ব্যবস্থা করছে দল, তা যদিও বলা হয়নি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যতগুলি বাস প্রয়োজন হবে, তার ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও বিশেষ ট্রেন দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আসেন অভিষেক। তিনি জানান, "ট্রেন বাতিল করে আমাদের আটকানো যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা করে নেব। বাংলার বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর দিল্লিতে পৌঁছবেই।"
পুরুলিয়া, নদিয়া। একই দিনে ফিল্মি কায়দায় দুই জেলার, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছিল। দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীকে বন্দুক তাক করে গুলি করে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায়। ডাকাতির সময়ের রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সবেমাত্র দোকান খুলেছিলেন সোনার দোকানের মালিক আশিস দত্ত। ঠিক সেই সময় চার দুষ্কৃতী ক্রেতার পরিচয়ে জিনিস কেনার বাহানায় দোকানে ঢোকে। যদিও দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহও হয়। এরপর শুরু হয় লুঠপাট। যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলেই দোকান মালিকের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। বুক ও পেটের মাঝখানে গুলি লাগে ব্যবসায়ীর, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীদের ছুরির ঘায়ে আহত হন দোকানের কর্মচারিরাও। সামনে পুজো, তার আগেই যদি এধরনের ঘটনা ঘটে তবে কিভাবে নির্ভয়ে ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা? পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যবসায়ীমহলের।
গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে সোনার দোকানগুলিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। বারংবার কেন টার্গেট করা হচ্ছে সোনার দোকানে? তবুও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের ? ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সরকার সতর্ক আছে বলে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন কল্যাণী ঘোষ, চেয়ারপার্সন, খড়গপুর পুরসভা।
বাংলায় কেষ্টপর্ব আপাতত অতীত। কিন্তু তাঁর দেখানো পথ, পদ্ধতি অতীত হয়নি। আসানসোল থেকে গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরতেই নতুন পন্থায় রমরমা গরু পাচারে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় গরু পাচারের নতুন রুট বা সেফ করিডর হয়ে উঠছে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের আসানসোল জাতীয় সড়ক।
বৃহস্পতিবার রাতে অন্ধকারে পাচার করতে গিয়ে ৩৮ টি গরু বোঝাই বড় লরি ধরা পড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। জামুরিয়ার স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেলেন সেই লরি। আসানসোলের নিঘার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গরু বোঝাই লরি আটক করে জামুরিয়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
সীমান্তে রাজ্য পুলিস সহ সিভিক মোতায়েন থাকার পরও, নাকা চেকিং চলার পরও কীভাবে গরু পাচার চলছে সেই সব থেকে বড় প্রশ্ন। গত জুন মাসেই আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল নিজে ভগত সিং মোড়ে গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান ধরেন। পর্যাপ্ত কাগজপত্র দেখতে না পারায় পুলিসের হাতে গরুগুলি তুলে দেন।
রহস্যের এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, রাত বাড়লেই রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারেই চলে পাচার থেকে তোলা আদায়। কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে এলেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মানুষ বিপদে পড়লে বা অনৈতিক কিছু দেখলে পুলিসের কাছে যায়। সেখানে পুলিস নিজেই যদি অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে মানুষ যাবে কোথায়? আন্তঃরাজ্য সীমান্তে পুলিসের কর্মকাণ্ডের খবর কিছুই কি জানে না পুলিসের উপরমহল? নাকি পকেট ভরলেই সব ঠাণ্ডা?
কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া। নিখোঁজের একদিন পর রহস্যজনকভাবে রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম বিতান ঘোষ (১৭)। দুর্গাপুরের অমরাবতী সিআরপিএফ গ্রুপ সেন্টারের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর একটি ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিতান সিটি সেন্টারের ওই কোচিং সেন্টারে যায়। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে বিকেলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় বিতান। তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বিতান বাড়ি ফিরছে না দেখে বিতানের মা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত গড়িয়ে এলেও বিতান বাড়ি না ফেরায় দুর্গাপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয় বিতানের মা এবং পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই কোচিং সেন্টারের পরীক্ষায় বিতানের রেজাল্ট খারাপ হয়। বুধবার বিতানের মায়ের কাছে খবর পৌঁছতেই বিতানকে বকুনি দেয় তাঁর মা। তারপর বৃহস্পতিবার সকালেও কোচিং সেন্টারে যায় বিতান। এরপর শুক্রবার সকালে কোচিং সেন্টারের ড্রেস পড়ে থাকা অবস্থায় বিতানের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজের রেল লাইনের পাশ থেকে। দুর্গাপুর রেল পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে কিভাবে বিতানের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে বেশ দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য.. পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে মাঝ রাস্তায় নিখোঁজ রাজ্য়ের এক পরিযায়ী শ্রমিক। বীরভূমের পাড়ুই থানার সাত্তর অঞ্চলের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা রূপকুমার বাউরী গ্রামের এক প্রতিবেশির সঙ্গে মুম্বই যাচ্ছিলেন। নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার বীরভূমের পাড়ুই থানায় অভিযোগ করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি পরিবারের।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার রূপকুমার বাউরীর শ্বশুরবাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত পালিটা গ্রামের প্রতিবেশী কুমার সর্দারের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে ট্রেনে করে মুম্বই যাচ্ছিল। এরপর বম্বে ঢোকার আগে আচমকায় নিখোঁজ হয় রূপকুমার বাউরী। নিখোঁজের পর চার দিন কেটে গেলেও কোনও খবর পাওয়া যায়নি তাঁর। যার ফলে ওই নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার স্বাভাবিকভাবে চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
মুখ্য়মন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবলেও বীরভূমের পাড়ুই থানার পুলিস কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের। যদিও এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মনোহরপুর গ্রাম জুড়ে।