দুয়ারে রেশনের বদলে দেওয়া হচ্ছে টাকা। এমনই অভিযোগ উঠল খড়িবাড়ির ৩৭ নম্বর রেশন দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। প্রাপ্য় রেশন সামগ্রী না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, পিএইচএইচ কার্ডে মাসে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল ও ২ কেজি আটা দেওয়া হয়। আরকেএসওয়াই-১ কার্ডে মাথাপিছু ৫ কেজি এবং আরকেএসওয়াই-২ কার্ডে মাথাপিছু ২ কেজি চাল দেওয়ার কথা। এছাড়াও AAY কার্ডে পরিবার পিছু ২১ কেজি চাল ও ১৪ প্যাকেট আটা বিনামূল্যে উপভোক্তাদের দেওয়ার কথা। কিন্তু দুয়ারের রেশন ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, খড়িবাড়ির বদরাজোতের ৩৭ নম্বর ডিলার ঝন্টু সরকার উপভোক্তাদের চাল-আটার পরিবর্তে দিচ্ছে নগদ টাকা। এদিন চালের দাম কেজি প্রতি ২৮ টাকা এবং আটা কেজি প্রতি ২০ টাকা করে উপভোক্তাদের টাকা দিচ্ছিলেন রেশন ডিলার ঝন্টু সরকার।
রেশনে চাল-আটার পরিবর্তে টাকা দেওয়ার বিষয়ে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে উপস্থিত গ্রাহকরা। গ্রাহকদের দাবি, গত মার্চ মাসে ডিলার রেশন দেয়নি। শুধু স্লিপ দিয়েছিল। এদিন এপ্রিল মাসের রেশনের বরাদ্দ চাল-আটার সঙ্গে গত মাসের বকেয়া রেশন সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অবশ্য রেশন ডিলার ঝন্টু সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেন। তাঁর দাবি, তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন কর্মচারীরা রেশন দিচ্ছিলেন। মার্চ মাসের রেশন সামগ্রী দোকানে কম রয়েছে। তাই গত মাসের সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খাদ্য দফতরকেও জানানো হয়নি।