ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত প্রলয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ওমান এবং বেহরিনে। বড় রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সর্বত্র জলে ডুবে গিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতেই এই অবস্থা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও বহু জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলিতে। একেবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে।
গত কয়েক দশকে এমন বর্ষণের সাক্ষী থাকেননি দুবাই বাসী। রাস্তা দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের মতো জল। শপিং মলের ছাদ বেয়ে নামছে জলের ধারা। উঁচু উঁচু হাইরাইজ বিল্ডিং ঝড়ের দাপটে অস্থির। সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো থরহরি কম্প অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে দুবাইয়ে। এতটাই বর্ষণ হয়েছে সেখানে। এর আগে কখনও এমন বৃষ্টির কথা ভাবতেই পারেনি দুবাই। রুক্ষ-শুষ্ক মরু অঞ্চল দুবাই। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে অসংখ্য ভারতীয় থাকেন। প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া বহু বিমান উড়তে পারছে না। অনেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভারতে আসার জন্য যাঁরা বিমানবন্দরে আটকে রয়ছেন তাঁদের সুবিধার্থেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ভারতীয় পর্যটকরা আটকে রয়েছেন সেখানে তাঁদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার তো লক্ষণই নেই। এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি ইরানের। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যা এর আগে কখনও ব্যবহার করেনি এবার সেরকম অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইরান।
গত তিন দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ না করায় পাল্টা ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে ইরান। গত কয়েক মাস ধরে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপরে প্রথমে আক্রমণ শুরু করে। তারপরেই পাল্টা প্যালেস্তাইনে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ।
এদিকে ইজরায়েলকে বারবার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জও ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়নি তারা। গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তাই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। গতকাল থেকে লাগাতার ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে তারা ইরানের সব হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও আনতে পারেন তাঁরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতকানিয়াহু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে অশান্তি তৈরি হবে।
পাকিস্তানে ফের এক টার্গেট কিলিং। সেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তম্বাকে লাহোরে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা। আমির সরফরাজ তম্বা লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা এবং ছাব্বিশ এগারোয় মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পাকিস্তানের লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় আমির সরফরাজ তম্বার ওপরে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী হামলাকারী।
আমির সরফরাজ তম্বাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমির সরফরাজ তম্বার বাবা সরফরাজ জাভেদও লস্কর প্রতিষ্ঠাতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেখানকার লক্ষপত কারাগারে থাকা সরবজিৎ সিংয়ের ওপরে আমির সরফরাজ তম্বা এবং অন্য বন্দিরা হামলা চালিয়েছিল। ইট ও লোহার রড দিয়ে সেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ছিল। প্রায় একসপ্তাহ সংজ্ঞাহীন থাকার পরে ২০১৩ সালের ২ মে লাহোরের জিন্না হাসপাতালে সরবজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের ভিখিবিন্দের বাসিন্দা সরবজিৎ সিং দুর্ঘটনাবশত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁকে ১৯৯০ সালে পঞ্জাব প্রদেশে হওয়া বোমা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও সেই অভিযোগ বারে বারে অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। পাকিস্তানের জেলে ২০ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন সরবজিৎ সিং। তাঁর বোন দলবীর কাউর ভাইকে সেখান থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াই করেছিলেন। তিনি বারে বারেই বলেছিলেন, সরবজিৎ সিং নির্দোষ। ভুল বশত পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দলবীর কাউরও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে সরবজিৎ সিং আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁকে জেলের মধ্যে স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে। ব্যথার ওষুধ চাইলে, জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। জেলে তাঁকে নির্জন সেলে রাখার অভিযোগও করেছিলেন সরবজিৎ সিং।
আশঙ্কা ছিল, হুমকিও ছিল হামলার। শনিবার গভীর রাতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালালো ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে, 'অপারেশন ট্রু প্রমিসে'র আওতায় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলের ওপর আছড়ে পড়ে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, ১৮৫টি টি একমুখী "আত্মঘাতী" ড্রোন, ১১০টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬টি ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইরানের তরফে। তবে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সেই হামলা অনেকটাই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করছে মার্কিন সেনারাও। ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বাজার শব্দ শোনা গিয়েছে। হামলার এই ঘটনায় ইজরায়েলের এক শিশু আহত হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরানের এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ লেবানন স্থিত ইরানের সেনাঘাঁটিতে জোরদার হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত আল-হাজ রাদওয়ান ফোর্সের একটি সামরিক কম্পাউন্ডে বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে খবর। ইজরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পরে IDF-এর তরফে এটাই প্রথম আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসের ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই হামলার জবাবেই ইরানের এই আক্রমণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো এবং হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
পবিত্র রমজান শেষে খুশির ইদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের সেই পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ভোটাভুটি হয়। আর সেখানেই সোমবার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘে।
যা একেবারে নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম এমন পদক্ষেপ। মত বিশ্লেষকদের। যদিও আমেরিকা তথা ইউনাইটেড স্টেটস এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় অনুপস্থিত ছিল। তবে এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেই আমেরিকাকে টার্গেট ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র।
মার্কিন কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত প্রতিনিধিদের ওয়াশিংটন থেকে ফেরত আসার কথা বলা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে গাজায় সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অন্যদিকে শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি নয়, একই সঙ্গে হামাস যাঁদের বন্দি করে রেখেছে, তাঁদের মুক্ত করার দাবিও রাখা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যে অতর্কিতে হামলা চালায়, সেই সময়েই পণবন্দি করা হয় বেশ কয়েকজনকে। শুরু হয়ে গিয়েছে রমজান। আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রমজান। তার মধ্যেই পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে জাতিসংঘে। সম্প্রতি আমেরিকা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব এনেছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
প্রস্তাবে কেন আমেরিকা অনুপস্থিত থাকল, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকার দাবি, প্রস্তাবে যা যা বলা হয়েছে, তার সবকটিতে তাদের সম্মতি নেই। এছাড়াও আমেরিকার দাবি, হামাসের জন্যই বারবার আটকে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি। আমেরিকা যা যা যোগ করতে চেয়েছে প্রস্তাবে, তা গুরুত্ব পায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে কর্তব্যরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুটেরেস এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, সোমবার যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে, অন্যথায় ক্ষমা করা হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। গাজা নিয়ে ইজরায়েলের কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়েই কথা বলতে চেয়েছেন বাইডেন।
ভারতরত্নে সম্মানিত হতে চলেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এলকে আডবানি ১৯৯০-এর দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্মের অন্যতম রূপকার তিনি।
লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্ন দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি আবেগঘন মুহূর্ত বলে জানান তিনি। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৯৬ বছর বয়সী ওই নেতার সঙ্গে তাঁর দুটি ছবি ট্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনজীবনে আডবানিজির দীর্ঘ সেবা স্বচ্ছ্বতা আর সততায় ভরা। রাজনীতির নীতিশাস্ত্রে যা অনুকরণীয় মান স্থাপন করেছে বলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন,আডবানিজির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, "তিনি আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনেতা। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী পদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ভূমিকাও পালন করেছেন তিনি। সংসদীয় ক্রিয়াকলাপে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।”
ইরান ও পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। তাই সেই প্রসঙ্গে এবার মন্তব্য় পেশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার হক। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় ইরান-পাকিস্তান সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর পাকিস্তানের বালুচিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাল্টা ইরানের সীমান্তে পাকিস্তানের হানায় পরিস্থিতি হয়ে উঠে উত্তপ্ত।
এরপর দুই দেশের অবনতি হয় খানিকটা। আবার নতুন করে যুদ্ধের সম্ভাবনা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ায়। তারপর পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ইরান বায়ুসেনারা মহড়া শুরু করে দিয়েছিল। যদিও মত বদল করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বর্তমান তদারকি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে অনুমান করা হচ্ছে হামলার পথ অনুসরণ করতে চাইছে না তারা।
কারণ ইরানের হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের পাল্টা হামলার সময়ে দেশে ছিলেন না আনওয়ার। সংঘর্ষের আবহ পাওয়া মাত্রই ইসলামবাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি জানান, তাঁর দেশ পাকিস্তান অত্য়ন্ত শান্তিপ্রিয়। তাই তাঁর দেশ সমস্ত পড়শি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তান কখনও সম্পর্ক তিক্ত করতে চায় না। এখনও পর্যন্ত ইরানের সঙ্গে ছোটো বড়ো যা যা ঝামেলা অশান্তি হয়েছে তা কথাবার্তার মাধ্য়মে মিটিয়ে নোওয়া হবে।
সূত্রের খবর, ইরান ও পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রথমদিনে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের লক্ষ্য় ছিল, সীমান্তে জঙ্গি সংগঠন তৈরী করা। ইরানের হামলায় পাকিস্তানের দুই শিশুর মৃত্যু হয় বলে দাবি পাকিস্তানীদের। এরপর বৃহস্পতিবার ইরানের উপর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। ইরানের দাবি, পাক হামলায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টা আক্রমণের জেরে সংঘর্ষ বিশাল আকার ধারণ করেছিল। তবে সংঘাতের শেষে মত বদলেছে পাকিস্তান।
বেজেছে যুদ্ধের দামামা। এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পাকিস্তান। পড়শি দেশে বালোচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিকে নিশানা করেছে পাক ফৌজ বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। এই ঘটনার কার্যত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে পালটা হামলার দাবি পাকিস্তানের। তবে তেহরানের কোথায় এই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এই হামলায় চারজন শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
তবে সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে পাকিস্তানের বাহিনী। যদিও ইরানের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের বিষয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তবে পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপ কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে না তো? ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের বুকে ইরানের হামলার পরেই কার্যত ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ইসলামাবাদ। এমনকি এহেন পদক্ষেপ বেআইনি বলেও দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানের এহেন কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যার পরিণতির পুরো দায়ভার ইরানের ওপর বর্তাবে বলেও বার্তা দেয় সে দেশ। আর এরপরেই ইরানের আকাশসীমা পার করল পাকিস্তানের মিসাইল। এমনটাই দাবি পাক সংবাদমাধ্যমের। বলে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানের দাবি, ইরানে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি , বালোচিস্তান লিবারেশন ফোর্স এর মতো একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। আর এই সংগঠনগুলি পাকিস্তানের বুকে নাশকতা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
সেই সমস্ত সংগঠনের ক্যাম্পগুলিতেও কি আঘাত হেনেছে পাকিস্তান? সে বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সরকারি স্তরে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, বুধবার বালোচিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে তেহরান ফোর্স। ড্রোনের মাধ্যমে মিসাইল ছুঁড়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক ক্যাম্প। আর এই ঘটনায় পাকিস্তানের দুই শিশু'র মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনা ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্ককে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকবে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। স্পষ্ট দাবি, আত্মরক্ষা করতেই কোনও রাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ যে নেয় তা আমরা বুঝি। দুর্নীতির প্রশ্নে ভারত সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি নেয় বলেও দাবি মোদী সরকারের।
প্রসূন গুপ্ত: তিনটি স্থান আছে বাঙালিদের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দেখেছি, নিয়মিত হারে ফলস ভোট ও বুথ দখলের ট্রেডিশন নানান ভোটে, ত্রিপুরাতেও একই ঘটনা। যদিও তৃণমূল জমানায় যত অভিযোগ সবই পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে। সাধারণ নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছে নির্বাচন কমিশনার। ত্রিপুরাতে তো বাম থেকে আজকের জমানাতে সমস্ত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ বুথ দখল বা জাল ভোট দেওয়ার। বাংলাদেশ কিন্তু ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে এই বাতাবরণটি ধরে রাখলো। মূলত অভিযোগ শাসক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি ভোট হলো ৩০০ আসনে। বাংলাদেশে ৩৫০টি সংসদীয় আসন কিন্তু ভোট হয় ৩০০ আসনে, বাকি ৫০ আসন অনেকটা আমাদের দেশের মতো বিধান পরিষদীয় পদ্ধতিতে ভোট হয়।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি ভোট বয়কট করেছে। বয়কট করেছে প্রধান বাম দলগুলি যদিও বামপন্থী একটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছে। এ ছাড়া অনেকগুলি ইসলামিক দল ও নিরপেক্ষ দল ভোটে অংশ নিয়েছে। শোনা গিয়েছিলো যে জাল ভোট বা গাজোয়ারী করে ভোট করতে পারে হাসিনার দল। পারদপক্ষে সেটাই হয়েছে তবে বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে! ওখানকার টিভি চ্যানেলগুলির বক্তব্য জাল ভোট ফেলা হয়েছে এবং বহু বুথে এজেন্ট বসতেই দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া অবিশ্যি শনিবার এবং রবিবার প্রতিবাদ স্বরূপ হরতালের ডাক দিয়েছেন। কোথাও কোথাও সারা ফেলেছে কিন্তু ভোটটি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খবর যা ৪০/৫০ শতাংশ ভোট বড়োজোর পড়তে পারে।
এই ভোটার আগে আমেরিকা সহ ন্যাটো গোষ্ঠী অবাধ নির্বাচন করার হুমকি দিয়েছিলো হাসিনা সরকারকে। বাস্তবে, প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় এখনও চলে কাজেই এমন দাবি হাস্যকর দাবি খালেদার। ভোট শেষ হতেই প্রতিটি বুথে গণনা শুরু হয়েছে। ওখানে ব্যালটে ভোট হয় সুতরাং সময় লাগবে। মঙ্গলবারের আগেই চিত্র পরিষ্কার হবে বলেই ধারণা।
প্রসূন গুপ্তঃ মাঝে আর একটি দিন, তারপরেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ৫ বছর আগে হলে নিশ্চিন্তে বলা যেত শেখ হাসিনা তাঁর সংগঠন দিয়ে ভোটে জিতে আসবে। আজ কিন্তু সেরকমটি বলা যাচ্ছে না। বাঙালি অধুষ্যিত তিন জায়গায় ভোট নিয়ে অশান্তির ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রশাসন যার জয় তার, এমন বাক্যটিই চলে আসছে। আমাদের এই বাংলায় ভোটে বুথ দখল থেকে ভোট কেন্দ্রের হুজ্জুতির শুরু কিন্তু ১৯৮২ তে বাম জমানা থেকেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও রাখা যায়নি।
২০০৬ বাম ২৩৫ টি আসন পায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল কিন্তু তারই মধ্যে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী ভোট করেছিল নিজেদের প্রয়াসে। কেন্দ্রে তখন বাম সমর্থিত সরকার কাজেই দেখেও না দেখার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলো পুলিশ। পরবর্তীতে তৃণমূলের রেকর্ডও ওই প্রকার। যদিও লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে গন্ডগোল হলেও বুথ দখল হয় নি। একই ফর্মুলা প্রয়োগ হয়েছে দিনের পর দিন ত্রিপুরাতে বাম নেতৃত্বে। বর্তমান সরকার বিজেপির। তারাও ওই একই খেলা শিখেছে প্রথম দিন থেকেই। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে ৯৫ শতাংশ বুথ দখল করে রেকর্ড করেছিল তারা বলে দাবি বিরোধীদের। তৃতীয় বাংলা মানে বাংলাদেশ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনে কি ভাবে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ বা নৌকা বাহিনী। একই চিত্র তিন বাংলাতে।
এবারে সাধারণ নির্বাচন রবিবার অর্থাৎ আর দুটি দিন বাদেই। এবারেও একই ফর্মুলাতে হাসিনা বাহিনী কিন্তু সমস্যা বা চাপে রয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আমেরিকা সহ ন্যাটো দেশগুলি হুমকি দিয়েছে আসন্ন নির্বাচন যদি অবাধ না হয় তবে গুরুতর ব্যবস্থা নেবে তারা। মিডিয়াও সুর পাল্টিয়েছে। তবে হাসিনা পাশে পাচ্ছে চীনকে কিন্তু ভারত এখনও চুপ ভোটার বিষয়ে। বাস্তব সত্যি হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বা খালেদা জিয়ার দল সরাসরি ভোটে নেই কিন্তু তৃণমূল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি নাম দিয়ে জামাতের সহযোগিতায় ভোটে দাঁড়াচ্ছে। ৩৫০ আসনের সংসদে ৩০০ আসনে ভোট তাতে আওয়ামী ৬টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে এসেছে। এছাড়াও গোড়া ইসলামিক দল রয়েছে প্রায় ৮/৯টি। সব মিলিয়ে ২৮টি দল ভোট লড়ছে। ওদের ওখানে সব দলেরই সমর্থক আছে তাই তুড়ি মেরে বলা যাবে না যে আওয়ামী লীগ ফের আসছে। ভারতীয়রা কিন্তু হাসিনার জয় চায়। তাই ভোটের অশান্তি নিয়ে ভারতের কোনও মন্তব্য নেই। যা শেষ খবর, হাসিনা কিন্তু এবারেও বেপরোয়া। ইসলামিক দেশ হলেও এই হাসিনার আমলে দুর্গাপূজো থেকে দোল উৎসব কিন্তু দারুন ভাবেই উৎযাপিত হয়। তাই সংখ্যালঘু (হিন্দু) স্বার্থে ভারত হাসিনার জয় চায়।
নববর্ষের দিনে উত্তর-মধ্য জাপানে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৬। ভূমিকম্পের পরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। যার ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে জাপানের ভূ-কম্পনে কেঁপে ওঠার একটি ভিডিও এই মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্য়মের পাতায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জোরে জোরে কাঁপছে রেলস্টেশন সহ মেট্রো রেল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Footage from the local Shinkansen station in Ishikawa prefecture, extremely powerful shaking! #japan #earthquake pic.twitter.com/moNwOIH7xp
— MEER YASIR (@MEERYASIR0056) January 1, 2024
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এদিন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে উত্তর-মধ্য জাপানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬ মাত্রা। এর ফলে তৈরী হয়েছে সুনামির সম্ভাবনা। তাই ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামা প্রিফেকচারের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি এখনো পর্যন্ত।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়িঘর। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রোষে এখনও পর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জন। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ কেঁপে উঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। ধ্বংসস্তূপের নীচে যারা আটকে পড়েছেন বহু। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে ওঠে গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌ থেকে ১০০ কিমি দূরে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে।
উল্লেখ্য, আফটার শক হয় বেশ কয়েকটি জায়গায়। জোরালো এই ভূমিকম্পে চিনে জল ও বিদ্যুতের লাইনের পাশাপাশি পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভূমিকম্পে গানসু সহ কুইনঘাই প্রদেশের ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি। রাতে ভূমিকম্প হওয়ার সতর্কতার সুযোগ পায়নি মানুষ। ঘুমের মধ্যে ঘর বাড়ি চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে করাচির হাসপাতালে ভর্তি মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী তথা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। তাঁকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ার অসমর্থিত প্রতিবেদন সূত্রে খবর। যদিও এ বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা হাসপাতাল।
সূত্রের খবর, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাকিস্তান জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সতর্কতা জারি ইসলামাবাদে। তবে সরকারিভাবে দাউদের অসুস্থতা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই দাউদের অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল।
৬৫ বছর বয়সী দাউদ গত ২ দিন ধরে করাচির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। হঠাৎ কেন অসুস্থ হয়ে পড়ল? বয়সজনিত কারণ নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দাবি করেছেন, বিষক্রিয়ার জেরে দাউদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। যেখানে দাউদকে ভর্তি রাখা হয়েছে, তার আশেপাশে অন্য কোনও রোগীকে রাখা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে লড়াই করবেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লিগের হয়ে লড়াই করবেন শাকিব। নিজের ঘরের আসন মাগুরা-১ থেকে নির্বাচনে লড়বেন শাকিব। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন।
গত ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচে আঙুলে চোট পান শাকিব। কবে জাতীয় দলে ফিরবেন, তা এখনও অনিশ্চিত। মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর শুরু। ওয়ানডে থেকে নেতৃত্ব ছাড়লেও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি টিমের অধিনায়ক শাকিবই। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি -টোয়েন্টি সিরিজ। ওই সময় নির্বাচনের প্রচারও জোরকদমে চলবে। তাই শাকিব কি করবেন, তা নিয়ে ধন্দ সব মহলেই।
এর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফে মোর্তাজা নির্বাচনে লড়াই করে সাংসদ হয়েছিলেন। সেই পথেই এগোলেন শাকিব। এবারও টিকিট পেয়েছেন মোর্তাজা। পাশাপাশি জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌসকেও প্রার্থী করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও এবার তৃণমূল। আগামী বছরের সাত জানুয়ারি হবে দেশের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে সামনে এল নতুন এই রাজনৈতিক দল। যার নাম তৃণমূল বিএনপি। যেখানে যোগ দিয়েছেন শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের নেতা, কর্মীরা।
২০১৫ সালে প্রথমবার খালেদা জিয়ার বিএনপি ভেঙে বাইরে চলে আসেন সমশের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকার। দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাঁদের এই দলকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই সপ্তাহ থেকে ভোটে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ইচ্ছুকদের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে তৃণমূল বিএনপি। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লিগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সাংসদ নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেশ কিছু অরাজনৈতিক সংগঠনও।