Share this link via
Or copy link
বেজেছে যুদ্ধের দামামা। এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পাকিস্তান। পড়শি দেশে বালোচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিকে নিশানা করেছে পাক ফৌজ বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। এই ঘটনার কার্যত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে পালটা হামলার দাবি পাকিস্তানের। তবে তেহরানের কোথায় এই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এই হামলায় চারজন শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
তবে সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে পাকিস্তানের বাহিনী। যদিও ইরানের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের বিষয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তবে পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপ কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে না তো? ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের বুকে ইরানের হামলার পরেই কার্যত ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ইসলামাবাদ। এমনকি এহেন পদক্ষেপ বেআইনি বলেও দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানের এহেন কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যার পরিণতির পুরো দায়ভার ইরানের ওপর বর্তাবে বলেও বার্তা দেয় সে দেশ। আর এরপরেই ইরানের আকাশসীমা পার করল পাকিস্তানের মিসাইল। এমনটাই দাবি পাক সংবাদমাধ্যমের। বলে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানের দাবি, ইরানে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি , বালোচিস্তান লিবারেশন ফোর্স এর মতো একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। আর এই সংগঠনগুলি পাকিস্তানের বুকে নাশকতা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
সেই সমস্ত সংগঠনের ক্যাম্পগুলিতেও কি আঘাত হেনেছে পাকিস্তান? সে বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সরকারি স্তরে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, বুধবার বালোচিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে তেহরান ফোর্স। ড্রোনের মাধ্যমে মিসাইল ছুঁড়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক ক্যাম্প। আর এই ঘটনায় পাকিস্তানের দুই শিশু'র মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনা ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্ককে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকবে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। স্পষ্ট দাবি, আত্মরক্ষা করতেই কোনও রাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ যে নেয় তা আমরা বুঝি। দুর্নীতির প্রশ্নে ভারত সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি নেয় বলেও দাবি মোদী সরকারের।