Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: প্রবল দাবদাহের মধ্যে দিয়ে চলছে একেবারে ডুয়ার্স অঞ্চল বাদ দিয়ে সর্বত্র। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। এটা এক আজব বিষয় যে আমাদের দেশের এবং রাজ্যের নির্বাচনগুলি সর্বদা এই প্রচন্ড গরমেই হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিন , উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য বহু জায়গায় তাপমান ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
যখন মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারে না তখন ভোট অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে কী করে ? মানবিকতা নামক একটা বিষয় তো আছে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। অন্যদিকে প্রচারও তো একটি অঙ্গ ভোটের। বুধবার প্রচার করতে গিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, প্রবল গরম এবং তিনি যে হেলিকপ্টারে আসছেন তাঁর অন্দরের তাপমান নাকি ৫০ ডিগ্রি। তিনি আবেদন করলেন যে, যাদের বাড়িতে শীতাতপ মেশিন আছে তাঁরা যেন ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামেন কারণ বিদ্যুত খরচ হচ্ছে। দাবদাহের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণেও উঠে এসেছে। কিন্তু কেউই এটা বলছেন না যে, এই প্রায় দু মাস ধরে এই বিষাক্ত গরমে ভোট কেন ? এতো গেলো একটি দিক।
অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি জানালেন তা। গরম হাওয়ার রাজ্যগুলিতে মে জুন মাসে এমনিতেই স্কুল ছুটি থাকে। আমাদের রাজ্যে আবার পুজোর ছুটি আছে প্রায় এক মাস কাজেই ছুটি বেশি। একদিকে যেমন সরকারি স্কুলগুলি ছুটি তেমন বেসরকারি স্কুলে কিন্তু ক্লাস চলেছে। অবিশ্যি কারণ আছে। এদের অধিকাংশই সিবিএসসি বা আইসিএসসির কোর্স পোড়ানো হয়ে থাকে। এদের বাৎসরিক পরীক্ষা হয় মার্চ থেকে এপ্রিলে।
নতুন ক্লাস শুরু হয় এপ্রিলেই কাজেই ছুটির প্রশ্ন নেই। এই স্কুলগুলিতে বেতন দিয়ে পড়ানো হয় এবং আজকাল তো অনেক স্কুলে শীততাপ যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু স্কুল যাতায়াতের প্রশ্নও তো রয়েছে। ওই সময়ে ঠান্ডা থেকে গরমে এসে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী অনায়াসেই আবেদন রাখতে পারেন স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার। ব্রাত্যবাবু ভাববেন কি ?