সপ্তাহের শুরুতেই নির্মীয়মান বহুতল ধসে বিপত্তি গার্ডেনরিচে। বহুতল ভেঙে বিপর্যয়ের ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্তের পর এখনও অব্যাহত উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের জোরকদমে কাজ শুরু করেছে NDRF কর্মী বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও ২ জন আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে NDRF এর তরফে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে দুটি স্নিফার্স ডগ আনা হয়েছে ধ্বংসস্তুপে মৃতদেহের খোঁজ পেতে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯ জন। যার মধ্যে ৭ জনের পোস্টমর্টেম করা হয়ে গেছে। আর ৫ জনের মৃতদেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয়ের ঘটনায় অবৈধ নির্মাণের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই এবার অতি সক্রিয় প্রশাসন। শহরে কোথায় কত বেআইনি নির্মাণ রয়েছে, তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব লালবাজারের। প্রতিটি বেআইনি নির্মাণের ছবি সহ রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে লালবাজারে। ওই বেআইনি নির্মাণের নেপথ্যে কোন কোন প্রোমোটার বা গোষ্ঠী কাজ করেছে তার সমস্ত তথ্য়।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের তৎপর কলকাতা পৌরসংস্থা। ভেঙে যাওয়া বাড়ির আশেপাশে ৬ টি বাড়িকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সেই নোটিশ দেন কলকাতা পৌরসংস্থার বিল্ডিং বিভাগ। তারপর সেই নোটিশ দেওয়া ৬ টি বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেবেন পুর আধিকারিকরা।
একই সঙ্গে সোমবার গার্ডেনরিচ থানায় পুলিসের পক্ষ থেকে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, একটি বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে যে যে ছাড়পত্র প্রয়োজন বা যে যে দফতরের থেকে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন তার কোনোটাই ছিল না ওই বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে।
পুকুর বুজিয়ে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ। অভিযোগ বেআইনি নির্মাণের। যার ফলে চলে গেল কিছু অসহায় মানুষের প্রাণ। নির্মীয়মাণ ইমারত ভেঙে পড়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বাড়ছে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ, জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেআইনি নির্মাণের কথা মেনে নিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং। স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিয়েছেন আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু ততক্ষণে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে কীভাবে মিললো বেআইনি নির্মাণের ছাড়পত্র? ইতিমধ্যে ঘটনায় কলকাতা পুরসভা শোকজ করেছে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার- কে।
রবিবার রাতে পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকাদের উদ্ধার এখনও জারি। ২০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। ওই এলাকাটি ১৫ নম্বর বোরো এলাকার অন্তর্গত। গার্ডেনরিচের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জন প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় প্রোমোটার-সহ অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডেল দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এটা তৃণমূলের তৈরি বিপর্যয়। তিনি পোস্টে স্পষ্টভাবে লিখেছেন গার্ডেনরিচ এলাকায় ২০১০ সাল থেকে ৫ হাজারে বেশি এরকম বেআইনিভাবে জলাজমি ভরাট করে অন্তত ৮০০টি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। যার নেপথ্যে সরাসরি তিনি কলকাতা পুরসভা ও মেয়রকেই দায়ী করেছেন। তৃণমূল ও পুলিসের যোগসাজশেই ভরাটের অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। ফিরহাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিযেছেন। গোটা এলাকায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হোম টার্ফ। ফিরহাদ হাকিম কি এর দায় এড়াতে পারেন? মেয়রের নাকের নিচে অবৈধ নির্মাণের ধারণা ছিল না? এদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। এখানেই থামেননি শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
মৃতদের ৫ লক্ষ, আহতদের ১ লক্ষ ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়। কারণ এটি একটি TMC-র তৈরী বিপর্যয়। মৃতদের ৫০লক্ষ, আহতদের ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগও আনেন শুভেন্দু। তিনি প্রশ্ন তোলেন ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচন বিধি। মুখ্যমন্ত্রী বা মেয়র প্রত্যেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও কীভাবে প্রকাশ্যে তাঁরা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন? তাই এ ব্যাপারে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
গার্ডেনরিচের ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের দুর্ঘটনাকে ‘তৃণমূলের তৈরি বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করে এভাবেই মেয়র, মুখ্যমন্ত্রী, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা সরব হন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে।
লোকসভা নির্বাচনের আবহেই মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েন। যার কারণে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে সংঘ পরিবার। এবার মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়েও পারস্পরিক বিরোধিতা গড়াল আদালত পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিস। যার ফলে আদালতের দ্বারস্থ শান্তনু। আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় মামলার করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চে দ্বারস্থ হন। আগামী বুধবার মামলার শুনানির সম্ভবনা।
সন্দেশখালির পর ফের হামলা সংবাদ মাধ্যমের ওপর। সন্দেশখালির পর এবার সত্য খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে গার্ডেনরিচে আক্রান্ত হতে হল সিএন-কে। রবিবার মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল নির্মাণের ঘটনা, বিস্তারিত সম্প্রচার করে সিএন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে, হাসপাতালে পৌঁছে- সব জায়গা থেকে মানুষের কাছে ঘটনার খবর মুহূর্তে ,মূহুর্তে পৌঁছে দিলো সিএন। সেখানে ফের ধেয়ে এল বাধা।
লাইভ সম্প্রচারে থাকাকালীন হঠাৎ চিত্র সাংবাদিককে ক্যামেরা বন্ধ করতে বলা হয়। তারপরেই হাত থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্যামেরা। সিএন-এর চিত্র সাংবাদিক বাধা দিতে গেলে তাঁদের গায়েও হাত তোলে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে জড়ো হওয়া কিছু যুবক।
সকাল থেকেই সেখানে থাকা সিএন-এর আরেক চিত্র সাংবাদিক সঞ্জীব চক্রবর্তীর ওপরেও চালানো হয় হামলা। প্রাণভয়ে এক ক্লাব ঘরে আশ্রয় নিলে, সেখানেও পৌঁছে যায় হামলাকারীরা।
২০২৪ এর শুরুতেই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে যাওয়ায় শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক-সহ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও। তখনও আক্রান্ত হয়েছিওল সিএন। এবারেও, ঘটল একই ঘটনা। বেআইনি বহুতলের রহস্যভেদ হয়ে যাওয়ার জন্যই কি রাগ সংবাদ মাধ্যমের ওপর? এই আক্রমণকারীরাই বা কারা? প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতির প্রশ্ন উঠছেই। সঙ্গে রাজ্যে নির্ভীক ভাবে খবর করতে গেলে সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের থাকতে হবে প্রাণভয়ে? এই প্রশ্নও উঠছে।
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সকালে ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছে বলে খবর। প্রতিবেদবন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাজ্য বিপর্যট মোকাবিলা দল, দমকল, পুলিস এক যোগে উদ্ধারকাজ করছে।
গভীর রাতে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর পুরএলাকায় হঠাৎই একটি নির্মীয়মান বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। সকলেই প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সেসময়। রমজান মাসের কারণে তাড়াতাড়িই এলাকার বাসিন্দারা ঘুমিয়ে পড়েন। কারণ ভোর থেকে আবার শুরু হয়ে যায় রমজানের উপবাস। তার মাঝে হঠাৎ এই ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা।
ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজ শুরু হতে দেরি হয়। রাতের অন্ধকারেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ১৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মাঝে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের অক্সিজেন স্যালাইন পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে সকালেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেয়র ফিহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রী দুজনেই মেনে নিয়েছেন বেআইনি নির্মাণের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। মেয়রের নিজের এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যান্ডেজ মাথায় নিয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং দোষীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের এক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়।
মাঝরাতে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা। সকাল হতেই মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ৯টার একটু পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান গার্ডেনরিচের ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই এলাকায়। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই এলাকা পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবার পিছু ৫লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসায় ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। রাতেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”রমজান মাসে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা এটা এবং বেআইনি কাজের জন্য এই ঘটনা ঘটল। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া অ্য়াকশন নেওয়া হোক। উদ্ধারকাজ দ্রুত হচ্ছে।”
সাতসকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন বেআইনি ভাবে তৈরি করা হচ্ছিল বহুতল সেকারণেই এই ঘটনা।
মেয়র জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি না নিয়েই প্রমোটার বহুতলটি নির্মাণ করছিল। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। তবে আগে ঘটনাস্থল থেকে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা জরুরি। কিন্তু কীভাবে পুরসভার নজর এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে গার্ডেনরিচ মেয়রের নিজের এলাকা। সেখানে এই ধরনের ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
ফিরহাদ হাকিম বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে উদ্ধারকাজ আগে শেষ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় সেখানে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের পৌঁছতে সময় লেগেছে। স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছিল। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, বাম আমল থেকেই বেআইনি ভাবে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এলাকায়। এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে পরিস্থিতি। তারপরেও কোন গলিতে কে বেআইনিভাবে নির্মাণ করছে তা বোঝা অত্যন্ত কঠিন। দোতলার অনুমোদন নিয়ে পাঁচ তলা বাড়ি বানানো হচ্ছিল। সেকারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
মধ্যরাতে শহর কলকাতার বুকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে বিপত্তি। ঝুপড়ির উপরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতলটি। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও অবধি জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। তাদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন। ২ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। অনেকেই বহুতলের ভিতরে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। রাত থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রমোটারদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
হঠাৎ করে মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে দুর্ঘটনা। গোটা শহর যখন ঘুমন্ত ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। ঝুপড়িতে সেসময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সকলে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বহু।
ইতিমধ্যেই দমকল এবং পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ২ জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ২ জনেই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুরোটাই বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেকারণে তাঁরা সেটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। স্থানীয়রা চারতলার পরের কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাসিন্দাদের কথায় কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন প্রমোটার এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। বহুতল লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা মেয়রকে সামনে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল রাজভবন। শনিবার জলদর্শন কর্মসূচি শেষে রাজ্যপাল বোস, রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, বাংলায় কোনভাবেই হিংসা এবং দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। পঞ্চায়েত-এর রেশ টেনে তিনি আরও বলেন, এরাজ্যে মানুষের রক্তে আর কোনও রাজনৈতিক হোলি খেলতে দেবেন না।সূত্রের খবর, ভোটপর্বে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজভবনের তরফে রাজ্য পুলিসকে পরিচিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের হিংসা রুখতে রাজভবনে একটি পিস রুম চালু করা হয়। সেই পিস রুমের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করা হয়।ইতিমধ্যে, সেই তালিকাও গোপনে রাজ্য পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুষ্কৃতীদের শণাক্ত করতে রাজভবন সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত চালাচ্ছে।এমনটাই সূত্রের খবর।
লোকসভা ভোট চলাকালীন ২৮শে এপ্রিল শুরু হতে চলেছে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা। আরও একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১লক্ষ ৪২হাজার ৬৯২জন। অন্যদিকে, ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াই। দেশের সবথেকে বড় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কী করে সুষ্ঠুভাবে জয়েন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। এবিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি।
হিংসা এবং সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করাতে ১লা মার্চ রাজ্যে এসেছে ১৫০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। তাদের রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে। ফলে শিকেয় উঠেছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটপর্বে মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। ৪৭দিন ধরে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে আরও বেশি শিক্ষাভবনের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য জয়েন্ট-এর পরীক্ষার জন্যেও শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হবে। এরকম পরিস্থিতিতে দু'দিক কীভাবে সামলাবে রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও প্রশ্ন তুলেছেন।
এবিষয় রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার বিকাশ ভবন এবং নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবারের মতো রবিবারেও একইভাবে রেল বিভ্রাট শিয়ালদহ উত্তর শাখায়। দমদমে নন ইন্টারলকিং-এর কাজের জেরে শনিবার থেকে বাতিল করা হয়েছে ১৪৩ টি লোকাল ট্রেন। এদিন সকাল থেকে বিপর্যস্ত শিয়ালদহ-বনগাঁ, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ ও শিয়ালদহ ডানকুনি শাখার ট্রেন চলাচল। এরফলে গন্তব্য পৌছঁতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা তো বটেই ভোগান্তির শিকার বাংলাদেশ থেকেও কাজের সূত্রে কলকাতায় আসা বহু যাত্রী।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের লাইনে প্রযুক্তিগত কাজের জন্য থমকে গিয়েছে ট্রেন পরিষেবা, বাতিল একাধিক ট্রেন। এই পরিস্থিতি তৈরির আগেই কেন যাত্রীদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হল না? রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন যাত্রীরা। পরপর সব ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। শিয়ালদহ মেন লাইন মোটের উপর স্বাভাবিক। বনগাঁ, ডানকুনি, হাসনাবাদ, এসব শাখার ট্রেনগুলি দমদম ক্যান্ট অবধি যাচ্ছে। শিয়ালদহ যেতে পারছে না।
হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন রয়েছে যাত্রীদের জন্য। যে ট্রেন গুলিরও নেই নির্দিষ্ট সময়ের বালাই। বাধ্য হয়ে অনেকেই ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।ফলে ট্রেনে যেমন ভীড় বাড়ছে। তেমনই নিত্যযাত্রীদের ভীড় বেড়েছে অন্যান্য গাড়িতেও। তবে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং-র কাজ। ১৬ মার্চ শনিবার রাত ১২টা থেকে ১৮ মার্চ সোমবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত এই কাজ চলবে। সোমবারের পর থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন পরিষেবা , সেই আশাতেই রয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ৩। গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেইমত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয় শেখ আলমগীর। গত বৃহস্পতিবার তাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় আলমগীর।
তারপর ফের শনিবার তাকে তলব করে সিবিআই। আর তার সঙ্গেই তলব করা হয় সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফুজার মোল্লা ও অপর তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। টানা ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। ইডির ওপর হামলার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখ আলমগীর। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।পাশাপাশি গ্রেফতার অপর ২ তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার সন্দেশখালি গিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে তলবের নোটিস দিয়ে এসেছেন। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিস গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার সিবিআইয়ের জালে তার ভাই আলমগীরও।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
সপ্তাহের শেষ দিনে চরম রেল বিভ্রাট। শনিবার সকাল থেকেই ব্য়হত শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল ট্রেন। এছাড়াও বাতিল হয়েছে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় একাধিক ট্রেন। এর ফলে স্টেশন গুলোতে পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। রেল বিভ্রাটে চরম হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রীদের।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং কাজের প্রয়োজন। সেই কারণে আজ, শনিবার রাত বারোটা থেকে এই কাজ শুরু হবে। এরফলে এদিন ও রবিবার প্রায় ১৪৩ টি লোকাল ট্রেল বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৪ টের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন ও বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুর পথে চালানো হবে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য়, যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়নি সেগুলিও দেড়িতে চলায় এবং যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে। এরই মধ্যে শনিবার রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের চাকরির পরীক্ষা ছিল। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও।
এমনিতেই শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর কাছে একটি ঐতিহাসিক এবং স্মরণীয় দিন। এই দিনই প্রথম গঙ্গার তলা দিয়ে ভারতের বুকে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলল মেট্রো। আবার এই শুক্রবারই চালু হল বহু প্রতীক্ষিত অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো।
প্রাথমিক ভাবে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু হলো মেট্রোর তরফে। শুক্রবার সকাল ৯'টায় প্রথমবার এই রুটে যাত্রী নিয়ে কবি সুভাষ স্টেশন থেকে পাড়ি দিল মেট্রো। প্রথম যাত্রার সাক্ষী থাকতে এদিন মেট্রো ভ্রমণ করলেন বহু মানুষ। যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় খুশির আবহ যাত্রীদের মধ্যে।
অরেঞ্জ লাইনে কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত চলবে মেট্রো। কিন্তু আপাতত চারটি স্টেশন নিয়ে চালু এই পরিষেবা। ধীরে ধীরে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছুটবে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো। তবে মেট্রো সূত্রে খবর, সোমবার থেকে শনিবার ২০ মিনিটের ব্যবধানে চলবে এই মেট্রো। তবে শনি ও রবিবার কোনও পরিষেবা থাকবে না। তবে একই দিনে দুই স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দের আবহ শহরবাসীর মধ্যে।
রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?