
বৃহস্পতিবার রাতে সকলের নজর কেড়ে নেয় অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) ও 'AAP' নেতা রাঘব চাড্ডা। চুপিসারে নৈশভোজে (Dinner Date) গিয়েছিলেন দুজনে। সেখানেই শেষ নয়, পরের দিন লাঞ্চ করতেও যান তাঁরা। আর সেই ছবিই ধরা পড়েছে পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। শোনা যায়, তাঁরা দুজন (Raghav-Parineeti) নাকি পুরনো বন্ধু। দুজনেই বিদেশে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। যদিও রাঘব 'লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস'-এর প্রাক্তনী। কিন্তু তাঁদের এই 'ডেট'-এ যাওয়া, সকলের মনে নতুন করে প্রশ্নের সঞ্চার করেছে। তাঁরা কি এখনও কেবল ভালো বন্ধুই রয়ে গিয়েছেন? নাকি বন্ধুত্ব এগিয়েছে ভালোবাসার দিকে?
বুধবার রাতে রাঘব ও পরিণীতি গুরগাঁওয়ের হোটেলে গিয়েছিলেন ডিনার করতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের আরও একবার বান্দ্রার রেস্তোরাঁয় দেখতে পাওয়া যায়। পরিণীতি পরেছিলেন কালো ক্যাজুয়াল পোশাক, রাঘবকেও দেখা যায় ক্যাজুয়াল পোশাকে। আবার সাদা শার্টেও টুইনিং করেছিলেন পরিণীতি ও রাঘব। পড়াশোনা করতে গিয়ে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন দুজনে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী পরিণীতি। রাঘব চাড্ডাও রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির পঞ্জাবের সাংসদ। দুজনেরই পছন্দের বিষয় ভ্রমণ। দুজনে নাকি আন্তর্জাতিক ট্রিপ নিয়ে বহু আলোচনা করেন।
শুক্রবার সংসদ ভবনে ঢোকার মুখে রাঘবকে সাংবাদিকরা এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমাকে পরিণীতি নয়, রাজনীতির বিষয়ে প্রশ্ন করুন।' সাংবাদিকরা এতেও সন্তুষ্ট না হলে আপ নেতা বলেন, 'আমি ও পরিণীতি বিয়ে করলে আপনাদের নিশ্চয় জানাবো।' তবে এই সময় দেখার মতো ছিল রাঘবের চেহারা। স্মিত হাসিতে যেন সন্তুষ্টি, একই সঙ্গে লুকোতেও চাইছেন কিছু। নেটিজেনরা বলছেন এই রটনা যদি মিথ্যে হত, তাহলে রাঘব সরাসরি না বলে দিতেন। অর্থাৎ রাঘবের বক্তব্যে জল্পনার নিরসন হল না কিছুই। আরও যেন পালে হাওয়া লাগল।
সম্প্রতি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর ও সমাজবাদী পার্টির নেতা ফাহাদ আহমেদ বিয়ে করেন। বলিউড ও রাজনীতি কি আবারও হাত মেলাতে পারে? স্বরার পথেই কি হাঁটবেন পরিণীতি? এই সবই এখন জল্পনা। যদিও পরিণীতি এবং রাঘব কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে কথায় আছে না 'যা রটে, তার কতকটা তো বটে।'
ভক্তদের একপ্রকার অবাক করে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর দিলেন গায়ক আতিফ আসলাম (Atif Aslam)। কন্যাকে (baby Girl) পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই খুশির খবর ভাগ করে নিলেন সকল ভক্ত ও বন্ধুদের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে সদ্যজাতর একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি, যদিও ঢেকে রেখেছিলেন মেয়ের ছোট্ট চোখগুলি। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন একইসঙ্গে। কন্যাসন্তানের জন্মের পর কেমন আছেন তাঁর স্ত্রী 'সারা' (Sarah) সেকথাও জানিয়েছেন। তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্স শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
গায়ক এদিন ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'সব অপেক্ষা শেষ আমার হৃদয়ের নতুন রানী এসে গিয়েছে। বাচ্চা এবং সারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে।' একইসঙ্গে গায়ক তাদের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলেছেন। গায়কের পোস্টে তাঁর বহু বন্ধু এবং ভক্তরা কমেন্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আতিফের স্ত্রী 'সারা' শিক্ষাবিদ। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ বিয়ে করেন দু'জনে। আব্দুল আহাদ ও আরিয়ান আসলাম তাঁদের দুই ছেলে। একসময় ভারতে একের পর এক প্লে ব্যাক গেয়েছেন আতিফ। এখনও সেই গানগুলি শ্রোতাদের প্লে লিস্টে প্রিয় হয়ে রয়েছে।
গানের জগতকে যেমন ভাবে সাজিয়েছেন, তেমনভাবে সেজে উঠছে পরিবারও। স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে এবার জমাটি সংসার করবেন গায়ক।
দীর্ঘকাল অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার ভোর রাত ৩টে নাগাদ প্রয়াত বলিউডের প্রবাদপ্রতিম পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। তাঁর পরিচালনায় হিট হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে আজও সমান জনপ্রিয় সঈফ আলি খান ও বিদ্যা বালন অভিনীত 'পরিণীতা' (Parineeta)। তাঁর পরিচালনায় পারদর্শিতার জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এক ঝাঁক অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন পরিচালক। আজ তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলি মহল। টুইটে শোকজ্ঞাপন করলেন তারকারা। সিনেমা নির্মাতা হনসল মেহেতা (Hansal Mehta) সবার প্রথম পরিচালকের প্রয়াণের খবর টুইটে প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, 'প্রদীপ সরকার। দাদা শান্তিতে থাকুন।'
অজয় দেবগন টুইটে লেখেন, প্রদীপ সরকারের প্রয়াণের খবর মেনে নেওয়া আমাদের মতো কিছুজনের জন্য কঠিন। আমার গভীর সমবেদনা এবং প্রার্থনা রইল যে জন চলে গিয়েছে, তাঁর জন্য ও তাঁর পরিবারের জন্য। শান্তিতে থাকুন দাদা। '
অভিষেক বচ্চন টুইটে লিখেছেন, 'ঘুম ভেঙেই মর্মান্তিক খবর। শান্তিতে থাকবেন দাদা। ধন্যবাদ ভালোবাসার জন্য। আপনার জীবনে আমাকে একটি ছোট্ট অংশ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে খুব মনে পড়বে।'
অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী হনসল মেহেতার পোস্ট রিটুইট করে লিখেছেন, 'উফফ, এ মেনে নেওয়া যায় না, শান্তিতে থাকুন দাদা !'
অভিনেত্রী পত্রলেখা টুইটে লিখেছেন, 'বিদায় দাদা , আপনাকে খুব মনে পড়বে। মূল্যবান স্মৃতিগুলোর জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ভালোবাসা এবং সম্মান সর্বদা।'
অভিনেতা নীল নিতিন মুকেশ লিখেছেন, 'দাদা কেন? আপনার সজীব, শিশু সুলভ হৃদয় যা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে তাঁকে সর্বদা মনে রাখব। আপনার সৃষ্টি 'লাফাঙ্গে পরিন্দে'কে সবসময় আমার হৃদয়ের কাছের হয়ে থাকবে। পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা।'
সুরকার স্বনন্দ কিরকিরে টুইটে শোক জ্ঞাপন করে লিখেছেন, 'চিত্র পরিচালক এবং আমার প্রিয় বন্ধু প্রদীপ সরকার, পাগল মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে আজ সকালে। শান্তিতে থাকবেন দাদা। সিনেমার শিল্পকলার প্রতি আপনার আবেগ, আপনার সিনেমায় রয়ে যাবে। সারা পৃথিবীর মাটি এক করার মানুষ, আজ স্বর্গের মাটি বাক্সবন্দী করুন। ধন্যবাদ আমাকে এবং আমার শব্দগুলোকে ভালোবাসার জন্য।'
Film maker and dearest friend Pradeep Sarkar the mad man left us this morning . Rest in peace Dada your passion for the art of cinema will stay in your works ! Duniya bhar ki mitti ikatthi karte the ab jannat ki mitti dibiya mein bharna .Thank you for loving me and my words 🙏🏽
— Swanand Kirkire (@swanandkirkire) March 24, 2023
প্রদীপ সরকার পরিচালিত 'পরিনীতা', 'লাগা চুনরি ম্যায় দাগ', 'মর্দানি' এবং 'হেলিকপ্টার ইলা' সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত। 'কোল্ড লস্যি এবং চিকেন মশলা', 'ফরবিডেন লাভ এন্ড এরেঞ্জ ম্যারেজ' এর মতো ওয়েবসিরিজও তিনি পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন, স্মৃতিচারণ করেছেন, সহকর্মী অভিনেতা ও বন্ধুমহল।
ইতিহাস তৈরি করেছে কার্তিকী গনসালভেস পরিচালিত 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' (The Elephant Whisperers)। স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে এটি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় তথ্যচিত্র অস্কার (Oscar) জিতল। আর এবারে এই অস্কারের ট্রফি সেই আসল মানুষের হাতে তুলে দিলেন পরিচালক ও প্রযোজক। বোমান ও বেলি (Bomman and Belli), এই দম্পতির কথা এখন শুধুমাত্র দেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে ছেয়ে গিয়েছে। আর বলাই বাহুল্য যে, এই মাহুত দম্পতির জীবন কাহিনীর হাত ধরেই ভারতে এসেছে অস্কার। তাঁদের হাতে অস্কারের ট্রফি তুলে দিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক। বৃহস্পতিবার এই ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করতেই তাঁদের হাসি যেন নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সঙ্গে বয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা।
দেশে ফিরেই পরিচালক কার্তিকী অস্কার তুলে দিয়েছেন বোমান ও বেলির হাতে। পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে বোমান এবং বেলি হাতে ধরে রয়েছেন অস্কার, আর সঙ্গে চওড়া হাসি। কোথায় যেন এই হাসি ট্রফির উজ্জ্বল ভাবকেও ফিকে করে দিচ্ছে। ফলে এই হাসির সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না। এই ছবি শেয়ার করে পরিচালক লেখেন, 'প্রায় চার মাস হয়ে গেল যে আমি ওনাদের থেকে আলাদা ছিলাম। এবার মনে হচ্ছে যেন আমি বাড়ি ফিরে এলাম।'
অন্যদিকে একই ছবি পোস্ট করেছেন প্রযোজক গুণীত মোঙ্গাও। ক্যাপশনে লেখেন, 'সকাল সকাল এই হাসিটারই প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ, বোমান ও বেলি, 'এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স', তোমাদের অসাধারণ এই গল্প সকলকে বলতে দেওয়ার জন্য! অনেক ভালোবাসা আমাদের নিষ্পাপ দুই জায়েন্ট, রঘু ও আম্মুকে।'
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের একটি অনাথ হস্তীশাবক রঘুর গল্প দেখানো হয়েছে ছবিতে। রঘুকে যেন এক নতুন জীবন দিয়েছেন এই দম্পতি। রঘুর পর আরও এক হস্তীশাবক আম্মুকেও দেখানো হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। এছাড়াও তুলে ধরা হয়েছে বোমান এবং বেলির জীবন যুদ্ধের কথাও।
বক্স অফিসে সুপার-ডুপার হিট হয়েছে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) ও দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) অভিনীত 'পাঠান' (Pathaan)। রেকর্ড ভেঙেছে সাম্প্রতিক বলিউড সিনেমাগুলির। 'পাঠান'এর গানগুলিও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে। 'বেশরম রং', 'ঝুমে যো পাঠান' বর্তমানে শ্রোতাদের প্রিয় গানের লিস্টে সংযোজিত হয়েছে। কিন্তু এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খোদ শাহরুখ খান। সম্প্রতি তিনি বলেছেন 'ঝুমে যো পাঠান' গান থেকে অনায়াসে দীপিকাকে সরিয়ে দিতে পারতেন। কিং খানের এই মন্তব্য বর্তমানে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কেন এমন কথা বললেন?
একটি ভিডিওতে এক মহিলার উদ্দেশে শাহরুখকে আসলেই এই কথা বলতে শোনা যায়। দিন কয়েক আগে কিং খান সামাজিক মাধ্যমে আসেন ভক্তদের কিছু প্রশ্ন ও ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া দিতে। সেই সময় শাহরুখের নজরে 'ঝুমে যো পাঠান' গানের একটি ভিডিও চোখে পড়ে। ওই গানে নেচে এক মহিলা ভিডিও দিয়ে ট্যাগ করেছিলেন 'কিং খান'কে, এই ভিডিও মনে ধরে তাঁর। শাহরুখকে বলতে শোনা যায়, 'এই ভিডিও সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় যাওয়া, সুন্দর। ধন্যবাদ মীনা-জি এই ভিডিওটি করার জন্য। আমি যদি আপনাকে আগে দেখতাম, তাহলে দীপিকাকে এই নাচটি করতে বারণ করতাম, তাঁর বদলে আপনাকে নাচটি করতে বলতাম। আমি নিশ্চিত দীপিকা কিছু মনে করতেন না।'
ছোট পর্দা বা বড় পর্দায় যে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রতিনিয়ত বিনোদন (Entertainment) করে চলেছে, তাঁরাও রক্ত মাংসের মানুষ। শোক,দুঃখ, রাগ,অভিমান তাঁদেরও আছে। কিন্তু দিনের পর দিন সেই অনুভূতি চেপেই তাঁরা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সামনে দাঁড়াচ্ছেন। এতদিন তাঁদের বাস্তব জীবন-অনুভূতি জানতেই পারতেন না সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমান সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা সক্রিয় ভাবে 'রিয়েল মি'কে তুলে ধরেন। অর্থাৎ এখন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মনের নাগাল পাওয়া না গেলেও কতকটা আভাস পাওয়া যায়। অভিনেত্রী ম্রুনাল ঠাকুরও (Mrunal Thakur) সামাজিক মাধ্যমে নিজের মনের কথা প্রকাশ করলেন।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি আপলোড করেন ম্রুনাল। ছবি থেকে স্পষ্ট তাঁর বিষণ্ণতা। চোখ ফুলে গিয়েছে, ম্রুনাল তাঁর এই ভেঙে পড়ার ছবি দিয়ে লিখেছেন 'গতকাল কঠিন ছিল কিন্তু আজ আমি দৃঢ় এবং খুশি।'
অভিনেত্রীর এই ভেঙে পড়া দেখে প্রিয় বান্ধবীকে সামলে নিতে এগিয়ে আসেন মৌনি রায় (Mouni Roy)। ম্রুনালের সঙ্গে কাটানো সুখী দিনের একটি ছবি দেন। সেই ছবিতে সাদা পোশাকে দেখা যায় মৌনিকে, ম্রুনাল পরেছিলেন লাল একটি পোশাক। ছবি থেকে স্পষ্ট তাঁরা দুজনেই সুন্দর দিন কাটিয়েছিলেন একসঙ্গে। এই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে মৌনি লেখেন, 'এই দিনটি মনে আছে? আমার প্রিয়তম ম্রুনালকে অন্তরঙ্গ আলিঙ্গন ও এক বালতি ভালোবাসা পাঠাচ্ছি।'
বলিউডের আরও এক দীপ নিভে গেল। ৬৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। টুইটারে তাঁর প্রয়াণের খবর প্রথম দেন ছবি নির্মাতা হনসল মেহেতা (Hansal Mehta)। সামাজিক মাধ্যমে প্রয়াত পরিচালকের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, 'প্রদীপ সরকার দাদা, শান্তিতে থাকবেন। এই টুইট দেখে অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee) বিস্ময় ও শোক প্রকাশ করে লেখেন, 'কি চমকে দেওয়া খবর! শান্তিতে থাকবেন দাদা।'
পরিচালক প্রদীপ সরকার বলিউডে ডেবিউ করেন ২০০৫ সালে 'পরিণীতা' সিনেমা দিয়ে। সঈফ আলী খান, বিদ্যা বালন ও সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ছবিটি আজও হিট। ২০০৭ সালে তাঁর পরিচালিত সিনেমা 'লাগা চুনরি ম্যায় দাগ' মুক্তি পায়। ২০১০ সালে মুক্তি পায় 'লাফাঙ্গে পরিন্দে'। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় 'মর্দানি', কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রানী মুখার্জি। সেই সিনেমাটিও প্রশংসা পায়। ২০১৮ সালে কাজল ও ঋদ্ধি সেন অভিনীত 'হেলিকপ্টার ইলা' মুক্তি পায় প্রদীপ সরকারের পরিচালনায়।
The news of Pradeep Sarkar’s demise, ‘Dada’ to some of us is still hard to digest.
— Ajay Devgn (@ajaydevgn) March 24, 2023
My deepest condolences 💐. My prayers are with the departed and his family. RIP Dada 🙏
পরিচালক অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ ভোর রাত ৩ টে নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতা অজয় দেবগন, হনসল মেহেতা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সিনেমার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও পরিচালনা করেছেন। পরিণীতার জন্য একাধিক পুরস্কার পান তিনি।
তারকাদের বাড়িতে চুরির ঘটনার যেন সিরিজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্যর বাড়িতে চুরির ঘটনার পর এবার সোনু নিগমের (Sonu Nigam) বাড়িতেও চুরি। প্রকাশ্য দিবালোকে সোনু নিগমের বাবা, অগম কুমার নিগমের বাড়ি থেকে গায়েব (theft) ৭২ লক্ষ টাকা। একদিনে নয়, পরপর দুই দিনে গায়েব হয়েছে এই অর্থ। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোনু নিগমের বাবা প্রখ্যাত গজল গায়ক অগম কুমার নিগম, বয়স ৭৬। থাকেন মুম্বইয়ের ওশিওয়ারার উইন্ডসোর গ্র্যান্ড বিল্ডিং আবাসনে। রবিবার অর্থাৎ ১৯ মার্চ, তিনি মেয়ে নিকিতার ভারসোভার বাড়িতে গিয়েছিলেন দুপুরের খাবার সারতে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে লকার খুলে দেখেন হিসেব মিলছে না। টাকা গুনে দেখেন ৪০ লক্ষ টাকা সেখানে নেই। অথচ লকার দেখে মনেই হচ্ছে না কেউ তাতে হাত দিয়েছে। মেয়েকে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে সে কথা জানান তিনি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
সোমবার, ২০ মার্চ সোনুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন লকারে নেই ৩২ লক্ষ টাকা। কিন্তু আগের দিনের মতোই লকার অক্ষত রয়েছে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায়, অগম কুমার নিগমের প্রাক্তন গাড়ি চালক দুই দিনই একটি বড় ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। সোনুর বোন নিকিতা থানায় ওই চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, 'রেহান' নামক ওই গাড়ি চালককে নিয়োগ করেছিলেন অগম কুমার নিগম। কিন্তু রেহানের গাড়ি চালানো সন্তোষজনক না হলে ৮ মাস পর তাঁকে বিতাড়িত করা হয়। সেই প্রতিশোধেই বাড়ির নকল চাবি দিয়ে প্রাক্তন গাড়ি চালক ওই কাজ ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন সোনুর বাবা।
'আরআরআর' (RRR) সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের শ্যুটিং শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। দক্ষিণী ছবি পাড়ায় কান পাতলে আপাতত সেই গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। এসএস রাজামৌলি (SS Rajamouli) পরিচালিত 'আরআরআর' ছবির প্রথম পর্ব ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। ঠিক যেভাবে বাহুবলীর দ্বিতীয় পর্ব এসেছিল, সেভাবেই এই ছবিরও দ্বিতীয় পর্ব আসবে বলে মনে করছেন দর্শকরা। ২০২২ সালেই 'RRR' সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের চিত্রনাট্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।চলতি বছরে শ্যুটিং শুরু হবে বলে কানাঘুষো।
গত এক বছর ধরে রাজামৌলী পরিচালিত 'আরআরআর' সুনাম অর্জন করেছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, বিশ্ব দরবারেও প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। গোল্ডেন গ্লোব, দাদা সাহেব ফালকে, অস্কারের মতো পুরস্কার রয়েছে এই সিনেমার ঝুলিতে। প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে 'নাটু নাটু' গানটি। সেই গানের কোরিওগ্রাফার প্রেম রক্ষিত আবারও সিনেমার পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি তবে আগামী দুই মাসেই শুরু হতে পারে সিনেমার শ্যুটিং। এবারে কোন গানে পা মেলাতে দেখা যাবে এনটিআর জুনিয়র ও রাম চরণ তেজাকে? সিনেমায় কোন চমক লুকিয়ে থাকবে? তা জানতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন দর্শকেরা। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক। মুখ খোলেননি অভিনেতারাও।
কিছুদিন আগেই কঙ্গনার (Kangana Ranut) জন্মদিন (BirthDay) নিয়ে জোর তরজা চলেছিল। উইকিপিডিয়াতে অভিনেত্রীর জন্মদিনের তারিখ ভুল থাকায় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন বামেদের। ভুল শুধরে দিয়ে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন তাঁর জন্মদিন ২০ মার্চ নয়, ২৩ মার্চ। আজ সেই দিন। পদ্মশ্রী (Padmashree) কঙ্গনা রানাউতের জন্মদিন। নেট মাধ্যমে আজও তিনি নিজের সক্রিয় উপস্থিতি রাখলেন। একটি ভিডিও আপলোড করে তাতেই জন্মদিনে নিজের মনের কথা জানালেন। তবে আজ কঙ্গনা আক্রমণাত্মক নয়, বরং বিনয়ীভাবেই ভক্তদের উদ্দেশে নিজের বার্তা পাঠালেন।
জন্মদিনে কঙ্গনা বেছে নিয়েছিলেন গোলাপি পাড় ও সবুজ সিল্কের শাড়ি। সঙ্গে পরেছিলেন ভারী সোনার হার ও কানের দুল। গা কাপড় দিয়ে ঢেকে পর্দার 'থালাইভি' যেন বাস্তবের মাটিতে নেমেছেন। করজোড়ে সকলের থেকে আশীর্বাদ চাইলেন তিনি। ক্ষমাও চাইলেন করজোড়ে। সামাজিক মাধ্যমে কঙ্গনা একটি ভিডিও পোস্ট করে বললেন, 'আজ নিজের জন্মদিনের মুহূর্তে আমি আমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যাক্ত করতে চাই। আমার কুলদেবী অম্বিকাজিকেও প্রণাম, যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন। আমার সব গুরু, বিশেষত আমার আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী সদগুরুজি, স্বামী বিবেকানন্দজি, আমার সকল প্রশংসক, শুভাকাঙ্খী যারা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন যাদের কারণে আমি এত সাফল্য পেয়েছি। আমার পরিবার-বন্ধু-ভক্তরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যাক্ত করছি।'
তবে জন্মদিনে ভুলে গেলেন না নিজের সমালোচকদের। তাঁদের উদ্দেশে কঙ্গনা বললেন, 'আমার সকল শত্রু। যারা আজও আমাকে শান্তি দেয় না। আমি যতই সফলতা অর্জন করি না কেন, আমাকে সফলতার পথে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছে তাঁদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।' কঙ্গনা আরও বলেন, তিনি সরল, তাঁর চিন্তাধারা সরল। তিনি সর্বদাই সকলের ভালো চাইবেন। অন্য সময় কঙ্গনাকে যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়, আজ যেন তাঁকে অন্যভাবে দেখা গেল। জন্মদিনে কি তাহলে অভিনেত্রী কোনও সংকল্প নিলেন? তা অবশ্য কঙ্গনা জানাননি।
চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যেন বিরাট কোহলির (Virat Kohli) পুনরুত্থানের গল্প। ফাইনাল টেস্ট ম্যাচে ভালোই ফলাফল করেছেন কিং কোহলি। সাধারণত কোহলি মাঠে নামলে বিনোদনের কোনও ত্রুটি হয় না। কখনও চারে, কখনও ছক্কায় 'পাঞ্জাবি মুন্ডা' বিরাট নেচেই ময়দান মাতান। এবার বিরাট 'নাটু নাটু' (Naatu Naatu Song) গানের স্টেপে পা মেলালেন।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ওয়ান ডে সিরিজের লাইভ স্ট্রিমিং'এ এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন বিরাটের অগণিত ভক্তরা। বিরাটের সতীর্থ মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজের দারুন পারফরমেন্স দেখে খুশি হন কোহলি। বিরাটচিত স্টাইলে সদ্য অস্কার পাওয়া 'নাটু নাটু' গানের স্টেপে পা নাচাতে দেখা যায় তাঁকে।
'আরআরআর' সিনেমায় ঠিক যেভাবে নায়কেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে 'নাটু নাটু' গানে নেচে তাক লাগিয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবেই যেন অস্ট্রেলিয়ার সামনে ভারতের ভালো ফলের উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেল কোহলির নাচে। পর্দার ইংরেজ ও ভারতীয়দের লড়াই ও জয়ের আনন্দ যেন প্রকাশ পেল বাস্তবের মাটিতে। রিল-রিয়েল মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল, বলছেন বিরাটের ভক্তরা।
রাজামৌলি পরিচালিত 'আরআরআর' সিনেমার 'নাটু নাটু' গানটি প্রায় এক বছর ধরে ইন্টারনেট মাতিয়ে চলেছে। ইন্সটাগ্রাম কিংবা ফেসবুক এই গানের রিলিস'এ ছেয়ে গিয়েছে। এই গানটির এবং গানের নাচের ভক্ত সংখ্যা অনেক। বিরাট কোহলিও যে এই গানের ভক্ত তা বোঝা গেল তাঁর নাচেই। 'নাটু নাটু' গানের আনন্দে যে সেলিব্রিটি ক্রিকেটাররাও সামিল, তাও স্পষ্ট।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবার বিপাকে। বক্স অফিসে চলল না তাঁর ছবি। এবার ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁর থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করলেন ডিস্ট্রিবিউটাররা। বলিউড ইন্ডাষ্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয়-চর্চিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কারণে অকারণে তিনি সর্বদাই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন পদ্মশ্রী (Padmashree)। কিন্তু তিনি যেন বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছেন বক্স অফিসে। তাঁর বিগত বেশ কিছু ছবি কেবলমাত্র আলোচনা-সমালোচনাতেই থেকে গেল। সাফল্যের মুখ দেখতে পেল না। এইবার তারই খেসারত দিতে হতে পারে অভিনেত্রীকে।
কঙ্গনার শেষ ছবি 'ধাকড়' মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবিটিও বক্স অফিসে ব্যৰ্থ হয়েছিল। অভিনেত্রী অভিযোগ তোলেন, তাঁকে ইচ্ছাকৃত কোণঠাসা করা হচ্ছে। বলিউডের একাংশ প্রভাবশালীদের কাঠগড়ায় তোলেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, বলিউডে স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত কঙ্গনা। একসময় বলিউডে নেপোটিজমের অভিযোগও তোলেন তিনি। বংশানুক্রমিকভাবে অভিনয় জগতে আসেননি, তাই তাঁকে এককোণে রাখা হয়, এমন কথা বলেছিলেন তিনি। বলিউডের পরিচালকরা তাঁকে ছবি করতে নেন না, এমন বিস্ফোরক কথাও বলেছেন সমাজমাধ্যমে। এইবার আবারও তিনি চর্চায় উঠে এলেন।
২০২১ সালে জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন কঙ্গনা। হিন্দি, তামিল ও তেলেগু তিনটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কঙ্গনার অভিনয় প্রশংসিত হয়, কিন্তু বক্স অফিসে তেমন সংগ্রহ করতে পারেনি ছবিটি। ডিস্ট্রিবিউটারদের দাবি, ছবিটি থেকে তাঁদের বিশেষ লাভ হয়নি। তাই ক্ষতিপূরণবাবদ কঙ্গনার থেকেই ৬ কোটি টাকা দাবি করলেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
রানী মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherjee), এই নামটি বললেই আর কোনও পরিচয়ের দরকার পড়ে না। এর মধ্যেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে'। বক্স অফিসে দারুন সাড়া ফেলেছে ছবিটি। এমনকি দর্শকদের মনও জয় করে নিয়েছে সিনেমাটি। সম্প্রতি রানী মুখোপাধ্যায় একটি সাক্ষাৎকারে এমন এক অবাক করা ঘটনার কথা জানিয়েছেন যা শুনে আকাশ থেকে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। এই গল্প যেন হার মানাবে কোনও ছবির গল্পকেও। তবে কী এমন বললেন তিনি!
রানী জানিয়েছেন, তিনি নাকি তাঁর জন্মের পরই তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। শুনে অবাক হলেন তো! আসল গল্প হল, রানী জন্মের পর হাসপাতালেই অন্য এক শিশুর সঙ্গে অদল-বদল হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর হাসপাতালে হইহই পড়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এক পঞ্জাবি পরিবারে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
রানী আরও জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর মা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় তাঁকে খুঁজে বের করেছিলেন। তিনি জানান, যখন হাসপাতালে তাঁর মায়ের কোলে অন্য শিশুকে দেওয়া হয়, তখনই তিনি বুঝতে পারেন, এটি তাঁর নিজের সন্তান নয়। ফলে শুরু হয় খোঁজাখুজি। এরপর তাঁর মা রানীর চোখ দেখে তাঁকে চিনতে পারেন। কারণ রানীর চোখের রং বাদামি। সেই মুহূর্তে ঠিক রানীর চোখই যেন হয়ে ওঠে তাঁর পরিচয়! ফলে মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে যে সন্তানের কোথাও চলে যাওয়া এত সহজ নয়, তা ফের প্রমাণিত। রানী আরও জানিয়েছেন, এই কোলবদলের কাহিনীর জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে এখনও ঠাট্টা-মশকরা করেন।
রশ্মিকা মন্দনা (Rashmika Mandanna), দক্ষিণী সিনেমার জগতে নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছিলেন আগেই। তাঁর অভিনয়, অভিব্যক্তি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা এনে দিচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু একটি গান তাঁর জীবন রাতারাতি বদলে দেয়। 'পুষ্পা-দ্য রাইজ' (Pushpa-The Rise) ছবিতে 'স্বামী স্বামী' গানে নাচতে দেখা গিয়েছিল রশ্মিকাকে। হুক স্টেপ ও রশ্মিকার মুখের ভাব নিমেষেই ঝড় তোলে বিনোদন জগতে। দর্শক বুঁদ হয়ে যায় 'স্বামী স্বামী'র নেশায়। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ছেয়ে যায় রশ্মিকার নাচের ভিডিওতে।
এরপর থেকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হোক কিংবা রিয়েলিটি শো, রশ্মিকা উপস্থিত রয়েছেন মানেই তাঁকে 'স্বামী স্বামী' গানে নাচ করার অনুরোধ করা হয়েছে। রশ্মিকাও সেই অনুরোধ রেখে এসেছেন এতদিন। এমনকি অন্য সিনেমার প্রচারে গিয়েও এই গানে নাচ করার অনুরোধ করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। কিন্তু এইবার থেকে আর হয়তো অনুরোধ রাখবেন না রশ্মিকা।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে অংশ নেন রশ্মিকা। সেইখানেই এক ভক্ত লেখেন, তিনি রশ্মিকার সঙ্গে 'স্বামী স্বামী' গানে নাচতে চান। উত্তরে অভিনেত্রী বলেন,'আমি এই গানে অনেক বার নেচেছি, আর এই গানে নাচব না।' রশ্মিকা কি পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন, এইবার তাঁকে এই গানে নাচ করার অনুরোধ করলেই তিনি সেই অনুরোধ রাখবেন না!
প্রসঙ্গত এই গানটিই 'দক্ষিণী অভিনেত্রী'র তকমা ঘুচিয়ে, সর্বভারতীয় অভিনেত্রী করে তুলেছে তাঁকে। বলিউডে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে তাঁর ডেবিউ হয় 'গুডবাই' ছবি দিয়ে। কিন্তু যেই 'স্বামী স্বামী' গানের প্রচারের আলোয় রশ্মিকার উত্তরণ, সেই আলোতেই যেন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলেন কোথাও। তাই বোধহয় 'পুষ্পার' বাইরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে স্বপ্রণোদিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন রশ্মিকা।
দক্ষিণী সিনেমা জগতের প্রতাপশালী অভিনেতার মেয়ের গয়না চুরি! তাও আবার 'থালাইভা' রজনীকান্ত (Rajnikanth) কন্যা ঐশ্বর্যর। আজ থেকে নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে এই চৌর্যবৃত্তি। চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে যে গয়না ও টাকা উধাও হচ্ছে তা টের পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য (Aishwariya), এরপরেই পদক্ষেপ করেন তিনি। ঐশ্বর্য বুঝতে পারেন তাঁর লকারে ৬০ টি সোনার গয়না ও একটি হিরের নেকলেস যথা স্থানে নেই। আর দেরি করেননি রজনী কন্যা। টেনামপেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রথম থেকেই ঐশ্বর্যর সন্দেহ ছিল, এই কাজ তাঁর পরিচারিকারাই করেছেন। কারণ চেন্নাইয়ের বাড়িতে একমাত্র তাঁদের অবাধ যাতায়াত ছিল। ঐশ্বর্যর চুরি যাওয়া গয়নার মধ্যে ছিল হিরের সেট, নবরত্নম সেট, প্রাচীন সোনার টুকরো, চুড়ি-সহ ৬০ টি বহুমূল্য গয়না। যার বর্তমান বাজার দর প্রায় ৩.৬০ লক্ষ টাকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন পুলিস। এই ঘটনায় পুলিস গ্রেফতার করেন ঐশ্বর্যর বাড়ির পরিচারিকা ঈশ্বরীকে। পুলিস তাঁকে জেরা করতে শুরু করলে, তাঁর স্বামীর নামও উঠে আসে। পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখলে কিছু অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পান পুলিস।
জেরায় ওই পরিচারিকা স্বীকার করে নেন ২০১৯ সাল থেকে ঐশ্বর্যর লকার থেকে কিছু কিছু করে গয়না সরাতে থাকেন তিনি। পাছে ধরা পড়ে যায়, তাই সেই গয়না বিক্রি করে টাকায় রূপান্তরিত করে তা জমাতে থাকেন ব্যাঙ্কে। ঈশ্বরী জেরায় আরও স্বীকার করেছেন যে, ঐশ্বর্যর সেন্ট মেরিস রোডের বাসভবন, রজনীকান্তের পোয়েস গার্ডেনের বাসভবন এমনকি ধনুশের বাড়ি মান্দাভেলি থেকেও গয়না চুরি করেছেন তিনি। রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্য পুলিসকে জানান, ধনুশের সঙ্গে বিয়ের পর সেন্ট মেরি রোডের বাড়িতেই গয়নার এই লকার ছিল। পরে ধনুশের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় রজনীকান্তের পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতে সেই গয়না ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৯ সালে ঐশ্বর্য বোনের বিয়েতে শেষবার এই গয়না পরেছিলেন। এরপর আর তিনি ওই গয়না পরেননি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। রজনীকান্তের মতো সুপারস্টারের বাড়িতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকা উচিৎ। সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এত বছর ধরে কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঈশ্বরী কীভাবে ওই গয়না পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন, সকলের নজর এড়িয়ে কীভাবে গয়না সরিয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।