Share this link via
Or copy link
অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটেই চলেছে। অতি সঙ্কটজনক তিনি। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিটে তাঁর প্রয়াণের খবর জানা গেল। শোকের ছায়া পুরো সঙ্গীত জগতে।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, রশিদ খানকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ আইসিইউ-র ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল সম্পূর্ণ অক্সিজেনের সাহায্যে। হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিল্পীর পালস রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিল। শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক ছিল যে কাজ হচ্ছিল না ভেন্টিলেশনেও। জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসেছিল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হলেও মঙ্গলবার তাঁর এতটা অবনতি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। এর পরই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, শেষ রক্ষা আর হল না। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
একমাসেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হাসপাতালে ভর্তি। অতীতে তাঁর প্রস্টেট ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু পরে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় তাঁকে পিয়ারলেসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাতেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে পড়েছে সারা রাজ্যজুড়ে।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি।