আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
কথা মতোই কাজ। শুক্রবারই নয়া দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অর্জুন সিং এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী। বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুনের। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আরও এক বড় নেতা যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুন।
ভোটের মুখে আবারও বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাপসের পর এবার অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এদিন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবারও তিনি ব্য়ারাকপুরে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ দলের তরফে তাঁদের আনুষ্ঠানিক যোগদানের কথা জানানো হয়। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তারপরই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে।
বর্তমানে অর্জুন রয়েছেন সাংসদ পদে। আর বিজেপির টিকিটে জিতেই এই পদে আসীন হয়েছিলেন অর্জুন। পরে দল বদলে ফেরেন তৃণমূলে। ৫ বছরের মধ্যে আবার পাল্টি! ফের গেরুয়া শিবিরে তিনি।
২০২৪-র লোকসভা ভোট কবে? অবশেষে সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে, এমনটাই শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার বিকেল ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণা হবে। সেই সঙ্গে সম্ভবত অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিমের বিধানসভা ভোটের দিনও জানা যাবে। প্রসঙ্গত, একদফায় রাজ্যে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির আশঙ্কায় প্রতিবার সবচেয়ে বেশি দফায় ভোট হয় পশ্চিমবঙ্গে। এবার কত দফায় ভোট হবে সেটাই দেখার।
এদিকে মোদী সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব পেশ করেছে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে কি বিজেপি সরকার সেই পথে পা বাড়াবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে সব রাজনৈতিক দলই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবার ৪০০ আসনে ভোটে জেতার দাবি করেছে বিজেপি।
আজই দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। লোকসভা ভোটের আগেই এই ঐতিহাসিক ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর কেটে যায়। অবশেষে চালু হল সিএএ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই আইনের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।
আজই দেশজুড়ে চালু হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। আর কিছুক্ষণ পরই ঐতিহাসিক ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় লাগু হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর সেই উপলক্ষে মহিলাদের জন্য বিশেষ উপহার মোদী সরকারের তরফে। এক ধাক্কায় ১০০ টাকা রান্নার গ্যাসের দাম কমাল কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবে বড় চমক নরেন্দ্র মোদীর। শুক্রবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এরফলে কয়েক লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই উজ্জ্বলা প্রকল্পে ভর্তুকি আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি পান গ্রাহকরা। এরপরেই গৃহস্থ্যের ঘরে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শুক্রবার থেকেই নয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকেই সম্ভবত দেশে ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটে ৪০০ পারের টার্গেট নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু একাধিক ইস্যুর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি বড় চ্যালেঞ্জ দিল্লির মোদী সরকারের কাছে। সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।
এমনকি রান্নার গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা। আর এই বিষয়টিকে নিয়ে বারবার কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় রান্নার গ্যাসের দাম কমানো বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাও আবার মহিলা দিবসের দিনেই ১০০ টাকা গ্যাসের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখছেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা কমাবে। বিশেষ করে দেশের নারী শক্তি উপকৃত হবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে বলেও টুইট প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ৮ ঘণ্টা পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দিল্লির ইডি দফতর থেকে বেরোলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। বুধবার সকাল ১১টায় গরু পাচার মামলায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
হাসিমুখেই রাজধানীর প্রবর্তন ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আমি হাসতে হাসতে গেছি, হাসতে হাসতে বেরোলাম। আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক। যতবার ডাকবে ততবার আসবো। যত রকম ভাবে পারব সহযোগিতা করবো।' যদিও কোন মামলায় তিনি এদিন ইডির মুখোমুখি হলেন? সিএন-এর করা এই প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে গেলেন।
দিল্লিতে ইডির দফতরে ঢোকার আগেও তিনি বলেছিলেন, আমি কোনও চুরি করিনি, তাই ভয় পাইনা। ইডি যতবার তলব করবে ততবার আসব। তবে যদি শ্যুটিংয়ে বড় কিছু কাজ থাকে তাহলেই এই না আসার কথা জানাব। অর্থাৎ ইডির সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা দেব।
এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। আন্তর্জাতিক বললেও আসলে এই দিবসের প্রণেতা ওপার বাংলার রক্তস্নাত বাঙালির আন্দোলনের ফলাফল। ২১ ফেব্রুয়ারী। লড়াই করে এই ভাষার লড়াইয়ে একটি দেশের জন্ম হয়েছিল কালেকালে 'বাংলাদেশ"। বাংলা ভাষা এবং বাঙালি নিয়ে লিখতে গেলে হয়তো দশ পাতা লেখা হয়ে যাবে। তাই প্রবাদপ্রতিম সমস্ত বাঙালিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ বহু পরিচিত প্রয়াত দুই বাঙালির কিছু কথা লিখতে বসেছি যা হয়তো অনেকেই জানে না। শচীন দেববর্মন ও পুত্র রাহুল দেববর্মন।
শচীন কর্তা ছিলেন অবিভক্ত ত্রিপুরার রাজ্ পরিবারের ছেলে। কুমিল্লায় মূল বাড়ি ছিল তাঁর। অবিশ্যি ত্রিপুরাতেও ছিল। এই বংশের ছেলে হলেও প্রশাসনের দিকে কোনও ঝোঁক ছিল না তাঁর। বিবাহ হয় আরেক পূর্ববঙ্গীয় মীরার সঙ্গে। তারপরেই বাড়ির অমতে গান বাজনা নিয়েই জীবন। চলে এলেন কলকাতায়। স্ত্রী এবং পুত্র টুবলু বা পঞ্চম অথবা রাহুলকে নিয়ে। এ বাংলায় বহু গান করে ছবিতে সুর দিয়ে চলে যান মুম্বই। রাহুল তখন কিশোর বয়সী।
শচীন দ্রুত দারুণ নাম করে ফেললেন মুম্বইয়ের চলচ্চিত্রে সুর দিয়ে। ধীরে ধীরে ষাটের দশকে রাহুলও সুর দিতে শুরু করেন। হিন্দি গানের সঙ্গে, সিনেমার সঙ্গে থাকলেও শচীন কর্তা নিয়মিত বাংলা গান করতেন। তাঁর দুটি অদ্ভুত বিষয় ছিল প্রথমত তিনি বাঙাল ভাষা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই চাইতেন না। হয়তো কাজের খাতিরে হিন্দি বলতে হতো ঠিকই কিন্তু সে হৃদি ছিল বাংলা মিশ্রিত। শচীন কর্তার সুর মানেই বাংলার ভাটিয়ালি সংগীত থাকবেই হিন্দি গানে। তাঁর মহড়ার সময়ে তিনি নির্দ্বিধায় টিমের সঙ্গে বাংলাতে কথা বলতেন । তাঁর প্রধান সহযোগী ছিলেন মান্না দে। ঘটি বাড়ির মান্না বাধ্য হয়েই বাঙাল ভাষা রপ্ত করেছিলেন। লতা মঙ্গেশকরকে ডাকতেন লোতা বলে, কিশোর কুমারকে ডাকতেন কিশুর বলে। দেব আনন্দকে ডাকতেন দ্যাভ বলে ইত্যাদি। নড়ানো যায় নি। ধুতি পাঞ্জাবি ছাড়া পড়তেন না। ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলে মান্না দেকে দিয়ে এক ডজন জর্দা পান কিনে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতেন। পুত্র রাহুল সর্বকালের সেরা সুরকার হওয়া সত্বেও ভালো করে হিন্দি বলতে বা লিখতে পারতেন না। গীতিকার হিন্দিতে গান লিখলে সেটিকে বাংলা হরফে লিখে সুর দিতেন বলে জানিয়েছিলেন বন্ধু গুলজার এবং জাভেদ আখতার।
আসলে পিতাপুত্র মনেপ্রাণে বাঙালি ছিলেন এবং প্রবাসে থেকেও নিজের ভাষার প্রতি এই অগাধ শ্রদ্ধা কজনেরই বা ছিল বা আছে?
ইডির তলবে সাড়া দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। গরু পাচার মামলায় আজ, বুধবার দেবকে তলব করেছিল ইডি। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য হাজিরা দিলেন দেব। দিল্লির ইডি দফতর অর্থাৎ প্রবর্তন ভবনে সকাল ১১টায় প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে যতবার তাঁকে তলব করা হয়েছে তিনি তদন্তে সহযোগীতা করেছেন। দেব নিজেও জানিয়েছেন, তাঁকে যতবার ডাকা হবে ততবারই তিনি হাজির হবেন। এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
দেব আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর কোনও ভয় নেই। তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যতবার তাঁকে ডাকবে ততবার তিনি যাবেন।
প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা নির্বাচনের আর মাস দুয়েকও নেই। কিন্তু ২০১৯-এর বিজেপি তথা এনডিএর বিশাল জয় এবং একই সাথে ইন্ডিয়া জোটের হতশ্রী অবস্থা দেখে বিভিন্ন দল থেকে সাংসদ-বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা বিজেপিতে যেতে চাইছে। যাচ্ছেও বটে। একটা সময়ে এই বিজেপি দল ছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। মূলত আরএসএস করা কর্মী এবং প্রচারকরা জনসঙ্ঘতে আসতো। এটিই দস্তুর ছিল। পরে ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার পরে গোটা দলটাই নব নির্মিত জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। জনতা পার্টি ভেঙে যায় '৭৯ তেই। তৈরি হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তখন পুরাতন জনসঙ্ঘ ছাড়াও অনেকেই এই দলে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সঙ্ঘ পরিবারের হাতেই অনেকটা নিয়মাবলী ছিল।
১৯৯৮-তে প্রথম বিজেপির নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতায় আসে এক নতুন জোট নাম এনডিএ। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স। এই জোটে বহু দলের সমন্বয় ছিল। এখানে যেমন সোশ্যালিস্ট পার্টির একটি অংশ ছিল তেমনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান্ধীবাদী কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন দলও ছিল। সময় পাল্টেছে ফের গত ১০ বছর ক্ষমতায় সেই এনডিএ। তবে তা নামমাত্র। আসলে বিজেপি একাই একক শক্তি নিয়ে ক্ষমতায়। একটু ভুল হলো, আসলে এটি মোদী সরকার। এখানে প্রবল প্রতাপান্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে অমিত শাহ। প্রশাসন মোদীর হাতে সংগঠন শাহের কব্জায়। ইতিমধ্যে রাজ্যে রাজ্যে ভোট হয়েছে বহুবার। সব জায়গাতেই বিজেপি জিতেছে এমন নয় কিন্তু যেখানেই যে দল জিতুক না কেন লোকসভা ভোট এলেই ফের মোদী।
ব্যতিক্রম নয় এবারেও। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিভিন্ন দল ভেঙে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। বিরোধীরা বলছে যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির চাপে নাকি এই বদল কিন্তু অন্য বিষয়ও আছে। কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীরা বুঝেছে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসা অসম্ভব না হলেও কঠিন কাজেই ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে গেলে বিজেপিতে যাওয়া দরকার।
বিজেপি তাদের দলে নিচ্ছেও কিন্তু এই ভাবে বিভিন্ন মতবাদের মানুষ নিয়ে বৃহৎ দল তৈরি করলে বিপদও আছে। একটা সময় আসবে যখন নানা মুনির নানা মতে দলে ভাঙন লাগতে পারে। যা হয়েছিল ১৯৭৭ বা ১৯৮৯ এ। এতো দলের মধ্যেই উপদল হয়ে যাবে। শাহের মাথায় আছে কি তা?
প্রসূন গুপ্ত: ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ অবধি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। অবিশ্যি এর মধ্যে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়ানে তিনিই প্রথম রাজ্যসভা থেকে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে নেহেরু/গান্ধী পরিবার থেকে আর কেউ রাজ্যসভায় দাঁড়ান নি। এবারে ইন্দিরার পুত্রবধূ সনিয়া রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সনিয়া হঠাৎ রাজ্যসভায় কেন? দাঁড়ালে কোথা থেকে এবং তাঁদের পারিবারিক কেন্দ্র রায়বেরিলিতে কে দাঁড়াবে?
আপাতত ঠিক হয়েছে সনিয়া গান্ধী রাজস্থান থেকে দাঁড়াচ্ছেন। সেখানকার সদ্য বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, সনিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট। এই রাজস্থান থেকেই সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি আর সরাসরি রাজনীতিতে থাকছেন না বলেই খবর। অন্যদিকে পরে থাকে রায়বেরিলি।
সূত্রের খবর এবার প্রথম এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এতদিন খোদ সনিয়ার আপত্তিতে প্রিয়াঙ্কা ভোটে আসেন নি। তিনি কিন্তু প্রচারে ছিলেন বহুদিন। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাহুলের উপর আস্থা নেই তাঁর মায়ের?
বিষয়টি ভিন্ন। একসময় ভোট যাদুগর প্রশান্ত কিশোর গান্ধী পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, প্রিয়াঙ্কাকে প্রোজেক্ট করতে। তাঁর মধ্যে নাকি ঠাকুমা ইন্দিরার লক্ষন ইতিবাচক রয়েছে। কিন্তু সনিয়া বা রাহুল বিষয়টিকে আমল দেন নি। এখন শেষ মুহূর্তে বদল কি পিকের টোটকা?
প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদী কিন্তু সময়ে সময়ে এই পরিবারকে কটাক্ষ করেছেন পরিবারতন্ত্র নিয়ে। কংগ্রেসের বক্তব্য ঐ কারনেই আরও বেশি করে বিরোধীতা করবে তারা। তাই কি প্রিয়াঙ্কাকে ভোটে নিয়ে আসা? সময় জবাব দেবে।
প্রসূন গুপ্তঃ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেট অধিবেশন শুরু। যদিও সামনেই লোকসভা নির্বাচন কাজেই এই বাজেট নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন হিসাবেই থাকবে। এদিকে বাজেট যাই হোক না কেন, সোমবার রাজ্যপাল আনন্দ বোস বাজেটের আগে তাঁর সরকারের এক বছরের কাজের খতিয়ান দেবেন এবং সেই সময়ে উপস্থিত থাকবেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ঠিক এই সময়ে এমন কি জরুরি তলব দিল্লি থেকে তাঁর কাছে এলো যে , শুভেন্দু তড়িঘড়ি দিল্লিতে রবিবার রাতেই রওনা হয়ে গেলেন! শোনা গিয়েছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকেই তাঁর দিল্লি গমন। সোমবার বৈঠক হবে অমিতের সাথে।
সূত্র মারফত যতটুকু জানা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন নিয়েই নাকি আলোচনা। লোকসভা তো পরের বিষয়, কিন্তু আগামী মার্চে বাংলার রাজ্যসভার ৫টি আসন খালি হচ্ছে। নিঃসন্দেহে ৪টি আসন জিততে চলেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি আসন পাবে বিজেপি। এবারে এই একটি আসনের জন্য অনেক নাম ঘোরাফেরা করছে বাজারে। শোনা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম, রঙিন দুনিয়ার আরও কিছু নামও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক করবেন ওই অমিত শাহই। এমন কোনও নাম আসতে পারে, যাকে আসন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজেই শুভেন্দুর সঙ্গে এই বিষয় প্রাথমিক আলোচনা করতে চাইছেন শাহ।
যদিও তিনি একই বিষয় রাজ্যের অন্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোমবার সকালের বিমানেই দিল্লি চলে গিয়েছেন। জানা নেই যে, শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত থাকবেন কি না। এমনিতেই রাজ্য বিজেপিতে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শাহ বারবার সে বিষয় সাবধান করার পরেও সংযত হওয়ার তেমন কোনও বার্তা নেই। তবুও অমিত চাইছেন, যে ভাবেই হোক ভোটের আগে বাংলায় সকলে একসাথে কাজ করুক। এই কারণে নতুন একটি কমিটি হয়েছে যেখানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকে। শুভেন্দু, সুকান্ত না ফেরা অবধি জানা যাবে না এই জরুরি তলব কেন!
জমি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন চম্পাই সোরেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ রাঁচির রাজভবনে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
৬৭ বছর বয়সে চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ বৃহস্পতিবার চম্পাইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। তারপরই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ গড়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপর রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা চম্পাই সোরেন, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসাবে বিবেচিত হন। নয়া মুখ্য়মন্ত্রীর আসন পান তিনি। জেএমএম আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর, চম্পাই সোরেন বলেন, আমি আমার বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতাম। এখন ভাগ্য আমাকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করার সুযোগ দিয়েছে।
হেমন্তের জায়গায় চম্পাইকে বেছে নেন জেএনএম। বুধাবার রাতে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর চম্পাই রাজভবনে গিয়ে নতুন সরকার নিয়োগ দাবি জানিয়ে এসেছেন। রাজভবনের সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাকরণের ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। অল্প বয়সি মেয়েদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সার্ভাইক্যাল ক্যানসার। আর সেই কারণেই ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা হবে। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত।
নির্মলা বলেন, "সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করবে আমাদের সরকার।" তবে কোন পদ্ধতিতে হবে টিকাকরণ, কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে, এখনও পর্যন্ত বিশদ তথ্য খোলসা করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
এদিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় উন্নয়নের জন্যও বিশেষ উদ্যোগের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে চান। সেই লক্ষ্যপূরণ করতেই বিভিন্ন হাসপাতালের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আরও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।” শিশুদের স্বাস্থ্য খাতেও বিশেষ প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে।
প্রথমে রাঁচি হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্ট। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে হেমন্ত সোরেনে। তাঁর হয়ে সওয়াল করবেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দোসরা ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন তালিকাভুক্ত করতে সম্মতি দিয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক ভাবে রাঁচি হাইকোর্টে হেমন্ত সোরেন আবেদন করলেও পরে প্রত্যাহার করেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল।
সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারির আগে হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, সম্ভবত ইডি আজ আমাকে গ্রেফতার করবে। তবে আমি চিন্তিত নই, কারণ আমি শিবু সোরেনের ছেলে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা আমাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে মামলার সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই। এখনও কোন প্রমাণ তারা হাতে পায়নি। আমার দিল্লির বাসভবনে অভিযান চালিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের এখন নতুন করে লড়াই করতে হবে যারা দরিদ্র, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকী, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট হার মানবো না।
এদিকে জেএমএম সূত্রে খবর, ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতে শাসক জোটের বিধায়কদের হায়দরাবাদে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বিশেষ চার্টার্ড বিমানে তাঁদের হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। বুধবার জেএমএম দাবি করে তাদের সঙ্গে ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ৩৫ জন শাসক জোটের বিধায়ককে পাঠানো হবে নিজামের শহরে। হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ কিছু বিধায়ক কেবল রাঁচিতে থাকতে পারেন বলেই খবর। বৃহস্পতিবার সকালেই আদালতে পেশ করা হয় ধৃত হেমন্ত সোরেনকে। ১০-১২ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।