কবি নোবেল পুরস্কার আগে পেয়েছেন, নাকি নোবেলের আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় ডি.লিট উপাধি আগে পেয়েছেন। এ নিয়ে দ্বিমত আছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্বজ্জন সমাজের মধ্য়ে দুটি দল তৈরি হয়েছে। একদল বলে নোবেল আগে, আর এক দল বলে ডিলিট আগে। রবীন্দ্রনাথের ডিলিট প্রাপ্তি সম্পর্কে রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্য়ায় বলেন, পৌষ উৎসবের অব্য়বহিত পরে রবীন্দ্রনাথকে কলিকাতা যাইতে হইল। সেখানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় সেনেটের বিশেষ এক অধিবেশনে (২৬ শে ডিসেম্বর, ১৯১৩) রবীন্দ্রনাথকে ডক্টর অব লিটারেচার উপাধি দান করিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হইয়াছিল। সুতরাং নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হইবার পর কবিকে সম্মানিত করিবার জন্য় দেশবাসী ব্য়গ্র হয়। এ অভিযোগ ঐতিহাসিক সত্য় নহে। সুপন্ডিত ড: সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত 'তে হি নো দিবস' গ্রন্থে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাগজপত্র কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনেন।
অত্য়ন্ত জঘন্য় ভাষায় স্য়ার আশুতোষকে চৌর্যপরাধে অভিযুক্ত করেন। তিনি লিখেছেন, 'সেনেটের যে সভায় রবীন্দ্রনাথকে ডিলিট দেওয়ার প্রস্তাব ঘোষিত হয়, তা বসে ১৫ নভেম্বর, ১৯১৩। ওই সভার বিবরণী পাওয়া যায় যে, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাবার পর তাড়াহুড়ো করে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরপর উনি বলেন, যে সকল তথ্য় এখানে উত্থাপিত হইল তাহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্য়ায় মিথ্য় অভিসন্ধিমূলক প্রচার অভিযানের শিকার হইয়াছেন। তথ্য়ঋণ দীনেশ চন্দ্র সিংহ