
গ্রীষ্মের তাপে (Heat) যখন পুড়ছে বাংলা (Bengal), তখন সরকার বারবার করে সতর্কতা (Caution) জারি করেছে ঠান্ডা পান করুন। নিষ্প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেরোবেন না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই তেলে ভাজা অর্থাৎ ভাজাটাই এড়িয়ে চলছে। কিন্তু ব্যারাকপুরের চিত্রটা ঠিক উল্টো। তাহলে ব্যারাকপুরের চিত্রটি ঠিক কি?
শনিবারও রাজ্যের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীস্মের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল গতকাল অর্থাৎ শনিবার। শনিবার বিকেলে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেল একটি ফুচকার দোকানে ভীষণ লাইন। গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন সেই সময় ওই ফুচকার দোকানে এত ভিড় দেখে অবাক হওয়ার জোড়। এই ভিড়ের আসল কারণ কি? এগিয়ে খোঁজ নিতে দেখা গেল, এই ফুচকার যে টক জল অর্থাৎ ফুচকার সঙ্গে যে টক জলটি দেওয়া হয় সেটিতে বরফ মেশানো, অর্থাৎ টক জলটি বেশ ঠান্ডা।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালীন বাজারে এই অভিনব উদ্যোগ মন কেড়েছে সকলেরই। ব্যারাকপুরের ওই ফুচকা দোকানীর নাম পবন শাউ। শনিবার পবন সিএন-ডিজিটালের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ফুচকার ওই টক জলে বরফ দেওয়ার কোন বৈজ্ঞানিক কারণ অবশ্য নেই, কিন্তু এই তীব্র গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন, তখন এই বরফ মেশানো টক জলের কুচকায় অনীহা করছেন না কেউই। শনিবার তিনি আরও জানিয়েছেন, ঠান্ডা টক জলের ফলে বিক্রিও অনেকটা বেড়েছে। শনিবার বিকেলে ওখানে ফুচকা খাচ্ছিলেন সুদেষ্ণা চৌধুরী নামের এক তরুণী। তিনি জানান, গরমে কিছু খাওয়াই যাচ্ছে না, কিন্তু ফুচকার সঙ্গে এই ঠান্ডা টক জলের কম্বিনেশনটা দারুন। স্বাদও দারুন। পাশাপাশি ওখানে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন, বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি সুমন সেন, ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুমন শনিবার বলেন, 'ঠান্ডা টক জলের ফুচকা, বেশ দারুন লাগছে।'