আপনার সন্তানদের কি শুধুমাত্র পড়াশোনার মধ্যেই রেখেছেন? পড়াশোনায় ক্ষতি হবে বলে কোনও সংগীত বা বাদ্যযন্ত্র (Musical Instruments) বাজাতেও দেন না? তবে এটা আপনি কোনও বড় ভুল করছেন না তো! কারণ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সংগীত বা কোনও বাদ্যযন্ত্র কতটা ভালোভাবে প্রভাবিত করতে পারে শিশুদের মস্তিষ্ককে। শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, তার সঙ্গে সে সংগীত বা বাদ্যযন্ত্র যেকোনো একটির নিয়মিত চর্চা করলেই তার মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানো যদি কারোর নিয়মিত চর্চার মধ্যে থাকে, তবে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ তো হয়ই। এর পাশাপাশি মস্তিষ্কের বার্ধক্যও ধীর গতিতে হয়। কথায় আছে, মনের বয়স ঠিক রাখতে মাথার বয়স কে ঠিক রাখা জরুরি। আর 'মাথা' বা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে জরুরি বেশ কয়েকটি অভ্যাসের। ফলে বাদ্যযন্ত্র বাজানোও এক ভালো অভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্ককে যত বেশি খাটাবেন ততই তার কার্যকরী ক্ষমতা বাড়বে ও সতেজ থাকবে। এছাড়াও মস্তিষ্কের পাশাপাশি স্ট্রেস, মানসির অবসাদ কাটাতে, মনকে ভালো রাখতেও আপনি বাদ্যযন্ত্র বা সংগীতের চর্চা করতে পারেন। ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাচ্চা থেকে বয়স্ক প্রত্যেককেই তাঁদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত এসব চর্চার মধ্যে থাকা উচিত।