
সৌমেন সুর: বাংলা ও বাঙালির আত্মার আত্মীয় সত্যজিৎ রায়। দেখতে দেখতে তাঁর প্রয়াণের তিন দশক পেরিয়ে এলাম, মজার কথা আজও সাহিত্য সংস্কৃতির যে কোনও প্রসঙ্গ থেকে সত্যজিৎকে মানসিকভাবে এক মুহুর্তের জন্য ছাড়তে চাই না। তাঁর বর্ণময় কর্মকাণ্ডে আমাদের প্রাপ্তির ভাণ্ডারটি বেশ বড়ই। চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে অথবা অসাধারণ সব সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি বাণিজ্যিক চিত্রকলা, ছোটদের পত্রিকা সম্পাদনা কিংবা অনবদ্য সুর সৃষ্টি এবং চমৎকার প্রচ্ছদ পরিকল্পনা, এই সবকিছুই এক গভীর মননের পরিচায়ক।
আজ তাঁর প্রয়াণের ৩০ বছর অতিক্রান্ত, কিন্তু যে মানুষটি সারাজীবন আমাদের বহু কিছু দিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু আমরা তাঁর স্মৃতিতে কতটা কি করতে পেরেছি। কলকাতার বাইপাসে বাঘা যতীনের কাছে ভারত সরকারের তথ্য মন্ত্রকের অধীন, ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট 'সত্যজিৎ রায়ের' নামে করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র সংক্রান্ত এই শিক্ষাকেন্দ্রের নাম যথাযোগ্য ব্যক্তির নামে হওয়ায় সর্বভারতীয় স্তরে এটা অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য শ্রদ্ধার্ঘ্য। বিশিষ্ট সত্যজিৎপ্রেমী, সরকারি আধিকারিক প্রয়াত প্রবোধ মৈত্র, বহু পরিশ্রম করে নন্দনে দীর্ঘসময় ধরে গড়ে তুলেছিলেন 'সত্যজিৎ আর্কাইভ'। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত নানা তথ্য, তাঁর সম্পর্কিত বই, তাঁর লেখা বই, চিত্রনাট্য, কিছু মূল পান্ডুলিপি, সত্যজিতের তৈরি সিনেমার মূল প্রিন্ট এবং সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত দেশ বিদেশের নানা আলোচনাপত্র। পত্রিকার কাটিং ইত্যাদি সবকিছুই সযত্নে রক্ষিত এই আর্কাইভে।