
আইপিএল (IPL) খেলার আগে এক মাস অনুশীলন করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MSD)। সেই সময় থেকেই তাঁর হাঁটুতে চোট। চেন্নাইয়ের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলে ফেললেন সেই চোট নিয়েই। সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং (Fleming) জানালেন সেই চোটের কথা।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩ রানে ম্যাচ হেরে ফ্লেমিং বলেন, 'ধোনির হাঁটুতে চোট রয়েছে। নড়াচড়া করতে অসুবিধা হচ্ছে ওর। নিজের চোট নিয়ে ও যথেষ্ট সতর্ক। আইপিএল শুরু হওয়ার এক মাস আগে চলে এসেছিল ধোনি। রাঁচীতেও অনুশীলন করেছিল ও। চেন্নাই এসেও এক মাস অনুশীলন করেছিল।'
বুধবার সন্দীপ শর্মার শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল। শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল। সেই ইয়র্কারে বাউন্ডারি মারতে পারেননি ধোনি। একটি মাত্র রান নেন। তিন রানে হেরে যায় চেন্নাই। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই থেমে যায় ১৭২ রানে। ফ্লেমিং বলেন, “ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ধোনি। ভাল খেলছে ও। ধোনির মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার চেষ্টা করছে ও।
শুধু ধোনি নন, চেন্নাই দলের একাধিক ক্রিকেটারের চোট। সিসান্ডা মাগালার চোট রয়েছে। তাঁর আঙুলে চোট লাগে। বুধবার মাত্র ২ ওভার বল করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এ ছাড়াও বেন স্টোকস এবং দীপক চহারের চোট রয়েছে। স্টোকসকে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় দলে নেয় চেন্নাই। চহারের যা চোট রয়েছে তাতে এ বারের আইপিএলে তাঁর খেলা মুশকিল। চেন্নাই দলে বোলারের সংখ্যা কমছে। দু’জন বোলার এবং এক জন অলরাউন্ডারের চোট থাকায় এক এক করে নতুন বোলারকে খেলানোর চেষ্টা করছে তারা। ফ্লেমিং বলেন, 'অনেক ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা খেলার পর আইপিএলে এসেছে। সেই কারণে কিছুটা ক্লান্ত রয়েছে তারা।'
বুধবার আকাশ সিংহকে খেলায় চেন্নাই। ফ্লেমিং বলেন, 'আকাশের মতো অনভিজ্ঞ বোলারদের খেলাতে হচ্ছে আমাদের। এটাই এখন আমাদের পরিকল্পনা। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে পরিকল্পনা করে কিছু করাটা মুশকিল।' আকাশের জন্ম রাজস্থানে। ২০ বছরের এই পেসার আগে রাজস্থান রয়্যালসে ছিলেন। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও খেলেছেন। এমন বোলারদের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে চেন্নাইকে।
শ্যামল মিত্রর একটা গান ছিল 'আহা নীলা যেন কারু সয়ে কারুর সয়ে না।' নীলা এমন একটি রত্ন , কথায় আছে এটা সবাই ধারণ করতে পারে না। অবশ্য এসব জ্যোতিষের কথা, তবে ক্রিকেটে ভাগ্য বলে একটি কথা চালু আছে। যেমন মুম্বাইয়ের মাঠে রোহিত শর্মা তেমন ভালো খেলতে পারেন না। কিন্তু ইডেনে খেলতে নামলেই রোহিত বাঘ হয়ে যান। সৌরভ গাঙ্গুলির তেমনিই ইডেন পয়া মাঠ নয়। আবার ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভের কাছে আইপিএল কোনও ভাবেই পয়া টুর্নামেন্ট নয়। ভারতীয় দল থেকে মোটামুটি বিদায় নেওয়ার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সে শাহরুখ খান সৌরভকে অধিনায়ক করে নিয়ে আসেন।
তিন বছর খেলেছেন এই দলে প্রিন্স অফ কলকাতা। কিন্তু কোনও বছরই চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা সেরা তিনের মধ্যেও যেতে পারেনি কেকেআর। কার্যত বাদ পড়েন দল থেকে। এরপর কেনা বেচার অকশনে সৌরভ দলই পান নি প্রথমে। পরে পুনের একটি দল ( বর্তমানে অস্তিত্ব নেই ) সৌরভকে কিনে নেয় এবং অধিনায়ক করে। কিন্তু এখানেও অসফল হন মহারাজ।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। সৌরভ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে সিএবির সভাপতি হন। পরে ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআইয়ের সভাপতিও হন। ওই সময়ে ভারতে আইপিএল শুরু হয়েও করোনা প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুবাইয়ে সেই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সৌরভের সভাপতিত্ব চলে যায়। আশা করা গিয়েছিলো হয়তো তাঁকে কমেন্ট্রি বক্সে পাওয়া যাবে। কিন্তু তিনি দিল্লি আইপিএল দলের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ শুরু করেন। এখানেও অসফল সৌরভ গাঙ্গুলি। এ বছর যে কটি ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালস খেলেছে সবকটিতেই হেরেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রায় জেতা ম্যাচে দিল্লি হেরেছে এই আইপিএল-এ আরেক নিয়মিত হারা দল মুম্বাইয়ের কাছে। সৌরভের চিরশত্রু রবি শাস্ত্রী বোধ হয় এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে খেলা শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত সমালোচনা করেন সৌরভের।
রিঙ্কুর দাপটে হারতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) বিরুদ্ধে। সেই ধাক্কা ভুলে আবার জয়ে ফেরার লক্ষ্যে গুজরাত টাইটান্স (GT)। প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস। শিখর ধাওয়ানদের দলও নিজেদের আগের ম্যাচে হেরেছে। তাই তাঁরাও বৃহস্পতিবার জিততে মরিয়া (IPL)।
আইপিএলের শুরুটা ভাল হয়েছিল গুজরাতের। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস ও দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়েছিল তারা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছে দলকে। ঘরের মাঠে কলকাতার বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। অসুস্থতার কারণে কলকাতার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি হার্দিক পাণ্ডে। অধিনায়কত্ব করেছেন রশিদ খান। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হার্দিক।
অন্যদিকে, পঞ্জাবও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল। প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছিলেন ধাওয়ানরা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চলেনি দলের ব্যাটিং। একমাত্র অধিনায়ক ধাওয়ান ৯৯ রান করেছেন। ধাওয়ান ছন্দে থাকলেও গুজরাতকে হারাতে গেলে দলের বাকি ব্যাটারদেরও রান করতে হবে। কারণ, গুজরাত ভাল দল। তাই সবাই মিলে ভাল না খেললে জেতা কঠিন হয়ে যাবে পঞ্জাবের।
বৃহস্পতিবার মোহালিতে খেলতে নামবে দু’দল। সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে খেলা শুরু। তাই টসের গুরুত্ব থাকবে। কারণ, পরের দিকে শিশির পড়তে পারে। মোহালিতে প্রথম ম্যাচে অনেক রান হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় রান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ বারের আইপিএলের প্রায় সব ম্যাচ শেষ ওভারে গড়াচ্ছে। তাই একটি উত্তেজক ম্যাচ হয়তো দেখতে পাবেন দর্শকরা।
২০০ তম ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করেও শেষ রক্ষা হলো না ধোনির (MS Dhoni)। ৩ রানে হারতে হলো দলকে। ১৭ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। শেষ তিন ওভারে ৫৪ রানের দরকার ছিল সিএসকের (CSK)। শেষ দুই ওভারে ৪০ রান এবং শেষ ওভারে ২১ রানের দরকার ছিল। শেষ ওভারে দুটো ছয় মারার পরেও, শেষ বলে পাঁচ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। সন্দীপ শর্মার (Sandeep Sharma) দারুন ইয়র্কারের জেরে, শেষ বলে চার বা ছয় মারতে পারেনি ধোনি। এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ধোনিরা।
প্রথমে ব্যাটে নেমে রাজস্থানের ইনিংস খুব ধীরগতিতে শুরু হলেও, শেষে অশ্বিনের ব্যাটে এবং হিট মায়ারের ব্যাটের উপর ভরসা করে, ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে রাজস্থান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরু ভালো হলেও, মাঝের ওভারগুলোতে স্পিন বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল তাদের। সেই সময় পরপর মইন আলী, ডেভিড কনওয়ে, রাহানে, শিবম দুবের উইকেট পড়ে যায়। শেষ তিন ওভারে ব্যাটে ঝড় তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং জাদেজা। একসময় দেখে মনেই হয়েছিল এ ম্যাচ রাজস্থানের হাতছাড়া হয়ে গেল। কিন্তু শেষ তিনটে বল অসাধারণ ইয়র্কার করে সন্দীপ। তিন বলে সাত রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের কিন্তু অসাধারণ ইয়র্কারের জেরে সেই রান তুলতে পারেনি ধোনিরা। ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে সিএসকে, শেষমেষ তিন রানে হারলো সিএসকে।
প্রথম ব্যাটে নেমে শুরু ধীরগতিতে হলেও, বাটলার ৩৬ বলে ৫২ রান করে, দেবদূত ২৬ বলে ৩৮ রান করে, পাশাপাশি অশ্বিন ২২ বলে ৩০ ও হেটমায়ার ১৮ বলে ৩০ রান করে। ২৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্র নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ভালই করে তারা। ঋতুরাজ তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও ডেভিড কনওয়ে ও রাহানে ম্যাচের হাল ধরেন। ৩৮ বলে ৫০ রান করেন কনওয়ে, রাহানে ১৯ বলে ৩১ রান করে। জাদেজা ১৫ বল খেলে ২৫ রান করে, এবং ধোনি ৩২ রান করে ১৭ টি বল খেলে।
প্রথম বল করতে নেমে আকাশ দ্বীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার দেশপান্ডে দুটো করে উইকেট নেয়। একটি উইকেট নেন মঈন আলী। পাশাপাশি বল করতে নেমে রাজস্থানের পক্ষে, চাহল ও আশ্বিন দুটো করে উইকেট নেয়। একটি করে উইকেট নেয় অ্যাডাম জাম্পা ও সন্দীপ শর্মা।
ধোনির (Dhoni) ২০০তম ম্যাচ, জয় দিয়ে উপহার দিতে চান জাদেজা (Jadeja)। বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসের (Csk) হয়ে ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস বুধবার খেলতে নামবে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে টসের সময়ই একটি মাইলফলক ছোঁবেন ধোনি। ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামবেন তিনি। সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চান রবীন্দ্র জাডেজা।
২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় আইপিএল। সেই সময় থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধোনি। চেন্নাই দলের অধিনায়ক তিনি সেই সময় থেকেই। মাঝে দু’বছর চেন্নাইকে আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হলে সেই সময় অন্য দলে খেলেছিলেন ধোনি। গত বছর চেন্নাই দলের নেতৃত্ব ছাড়েন তিনি। দায়িত্ব দেওয়া হয় জাডেজাকে। কিন্তু মাঝপথেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ধোনি আবার অধিনায়ক হন।
জাডেজা বলেন, 'ধোনি একজন কিংবদন্তি। শুধু চেন্নাই সুপার কিংস নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। ধোনিকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি আমরা রাজস্থানের বিরুদ্ধে জিতব। অধিনায়ক হিসাবে ২০০তম ম্যাচ খেলবে ধোনি, জয়টাই সব থেকে বড় উপহার হতে পারে ওর জন্য। আশা করব ধারাবাহিক ভাবে জিততে পারব আমরা।'
আইপিএলের (IPL) ১৭তম ম্যাচে চেন্নাইয়ের (CSK) মুখোমুখি রাজস্থান (RR)। অর্থাৎ ধোনিদের (MS Dhoni) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে স্যামসনরা। বর্তমানে চেন্নাই লিগ টেবিলের পঞ্চম ও রাজস্থান লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দুজনে ৩টি করে ম্যাচ খেলে একটি হেরে দুটিতে জয়লাভ করেছে। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে রাজস্থানকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে যেতে চাইবে ধোনিদের দল।
এবারের আইপিএলে ঋতুরাজ গায়কওয়াড় খুব ভালো শুরু করেছিলেন। যদিও ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে তার রেকর্ডটি আত্মবিশ্বাসী নয়। কারণ তিনি, ২১ বলের মধ্যে তিনবার নিউজিল্যান্ডের সিমারের দ্বারা আউট হয়েছেন। ধোনিদের দলেই তার নিউজিল্যান্ড সতীর্থ ডেভন কনওয়ে রয়েছেন। ধোনিদের নিশ্চিত করতে হবে যে বোল্টের বল তার নিউজিল্যান্ড সতীর্থ ডেভন কনওয়ের দ্বারা মোকাবিলা করা হবে। পাশাপাশি ট্রেন্ট বোল্ট ২০২০ সাল থেকে আইপিএলে প্রথম ওভারে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের পক্ষে, ২০২২ সাল থেকে, মহেশ থিকসানা ৭.৩৩ ইকোনোমি রেটে, টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে ১২ উইকেট নিয়েছেন।
এই মরসুমে পাওয়ার প্লে-তে ধোনিদের সবচেয়ে খারাপ ইকোনমি রেট ১১.৪৪। যদিও যশস্বী জয়সওয়াল রয়্যালসের হয়ে পাওয়ার প্লে-র লাভ নেওয়ার জন্য আদর্শ ব্যাটার রয়েছে। তরুণ বাঁ-হাতি, বেশ অবিশ্বাস্যভাবে, এই মৌসুমে পাওয়ারপ্লেতে ২০০-র কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে রান করছে এবং এই ট্র্যাকটি ধীর হয়ে গেলে সেই পর্বটি পার্থক্য সৃষ্টিকারী হতে পারে।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে (IPL 2023) লাস্ট বলে জয় মুম্বইয়ের (MI versus DC)। দিল্লির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার, দিল্লির ঘরের মাঠে ছয় উইকেটে জেতে মুম্বই। শেষ ওভারে প্রতিটি বলে নাটকীয় মোড়। শেষ বলে দুই রান নিয়ে মুম্বইকে জেতায় ডেভিড ও গ্রীন। শেষ ওভারে মুম্বইয়ের জিততে পাঁচ রান দরকার ছিল। নোকিয়ের অসাধারণ বোলিংয়ে, শেষ ওভারে কোন বড় শর্ট মারতে পারেনি, মুম্বইয়ের ব্যাটাররা।
টসে জিতে প্রথম বল করা সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি মোট ১৯ ওভার ৪ বলে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই হয়েছিল মুম্বাইয়ের, কিন্তু স্লগ ওভারে রোহিত শর্মা, তিলক বর্মা, সূর্য কুমার যাদবের উইকেট পড়ে যাওয়ায়, রীতিমতো চাপে পড়েছিলেন রোহিতরা। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজকে দুটো ছয় মেরে, ম্যাচ কিছুটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেও লুকিয়ে অসাধারণ বোলিং পারফরমেন্সে জিততে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় মুম্বাইকে।
টসে জিতে দিল্লিতে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় রোহিতরা। প্রথমটা সামান্য ভালো হলেও, তারপরেই আস্তে আস্তে ভেঙে পড়তে থাকে দিল্লির ব্যাটিং। দায়িত্বে থাকা অধিনায়ক ওয়ার্নারের ব্যাটে আসে রান। গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরান আসে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে। মঙ্গলবার অক্ষর প্যাটেল ২৫ বলে ৫৪ রান করে এবং ৫১ রান করে ঘরে ফেরে ডেভিড ওয়ার্নার ও সঙ্গ দেয় মনীশ পান্ডেরা। ১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে, রোহিত-ইসান কিসনের ব্যাটে ও আসে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রান। তারপরে ম্যাচের হাল ধরে নেয় তিলক বর্মা ও রোহিত দুজনেই। রোহিত আউট হলে, মোক্ষম সময় প্রথম বলেই থার্ড ম্যানের কাছে ক্যাচ দেন সূর্যকুমার যাদব। শেষে ডেভিড ও গ্রিনের ব্যাটে আসে ম্যাচ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান।
টসে জিতে প্রথম বলের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। একটি উইকেট নেয় ঋত্বিক ও দুটো উইকেট নেয় মেরিট। ওদিকে দিল্লির পক্ষে দুজন বলার ছাড়া কারোর ঝুলিতেই নেই কোন উইকেট গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। নোকিয়ে ও মুস্তাফিজুর রহমান ও দুটো উইকেট নেয় মুকেশ কুমার। মঙ্গলবার তিনটে ম্যাচ খেলে প্রথম জয় পেল মুম্বাই এবং টানা চারটে ম্যাচ হারতে হলো সৌরভের দল অর্থাৎ দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসকে।
আইপিএলের (IPL) ১৬তম ম্যাচে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ধুঁকতে থাকা দিল্লির (DC) মুখোমুখি মুম্বই (MI)। দিল্লির ঘরের মাঠে প্রথম জয়ের খোঁজে দিল্লি। পাশাপাশি দুটি ম্যাচই হেরে রয়েছে মুম্বই। ফলে তারাও প্রথম জয়ে খোঁজে চেষ্টা চালাবে। দিল্লির খলিল আহমেদ চোটের জন্য মাঠের বাইরে থাকায় বাড়তি সুযোগ খুঁজবে মুম্বই। ফলে পেসারদের নিয়ে শঙ্কায় থাকবে দিল্লি।
দিল্লি, অক্ষর প্যাটেলকে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ব্যবহার করতে পারে। রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে উচ্চ সাফল্যের কারণে অক্ষর প্যাটেলকে প্রথম দিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাঁহাতি স্পিনার উভয় ব্যাটারকেই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন, তাদের যথাক্রমে মাত্র ৮৩ এবং ৮৬ স্ট্রাইক রেটে স্কোর করতে দিয়েছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে বোলিং করলে চেতন সাকারিয়াকে একাদশে ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট হিসেবে পরে আসতে পারেন।
মুম্বইয়ের চিন্তা থাকবে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে। এমনকি ডেভিড ওয়ার্নার যেমন ভালো হারে স্কোর করতে লড়াই করেছেন, তিনিই একমাত্র দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটার যিনি রানের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর কৃতিত্বে দুটি ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। জোফরা আর্চার, ওয়ার্নার এবং পৃথ্বী শ উভয়ের সঙ্গে একের পর এক সফল লড়াই করেছেন। আইপিএলে যথাক্রমে ১৯ এবং ১৬ বলে দুবার তাদের আউট করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথম বোলিং করলে বা লক্ষ্য নির্ধারণ করলে দ্বিতীয় ইনিংসে ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট হিসেবে জেসন বেহরেনডর্ফ প্রথম একাদশে নামতে পারেন।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে, বিরাটদের (Virat Kohli) সঙ্গে ১ উইকেটে জয় রাহুলদের (KL Rahul)। বেঙ্গালুরু (Rcb) অর্থাৎ বিরাটদের বোলিং নিয়ে আশঙ্কা ছিলই, এবার তাই সত্যি হলো। নিকোলাস পুরাণ এবং স্টয়নিসের ব্যাটে ভরসা করে শেষ বলে ম্যাচ যেতে রাহুলরা। টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ সুপার জায়ান্ট। বলে তারা খুব ভালো শুরু করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে বিরাট, ম্যাক্সওয়েল এবং ডিউ প্লেসির উপর ভরসা করে, কুড়ি ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি রাহুলদের। পরে ম্যাচের হাল ধরে মার্কাস স্টয়নিস। সঙ্গ দেয় নিকোলাস পুরাণ এবং আয়ুষ বাদোনি। নিকোলাস পুরাণের ঝড়ো ইনিংসে শেষ বলে এক উইকেটে ম্যাচ যেতে লখনউ।
শেষ ওভারে ৫ রান দরকার ছিল রাহুলদের। হার্শল প্যাটেলের ২ নম্বর বলে আউট হয় মার্ক উড। পঞ্চম বলে আউট হয় উনাদকাট। শেষ বলে ১ রান দরকার ছিল লখনউয়ের। আবেশ খান তখন স্ট্রাইকে। শেষ বলে ব্যাটে লাগাতে না পারলেও ছুটে বাই রান হিসেবে ১ রান নিয়ে নেন তিনি।
টসে হেরে বেঙ্গালুরুকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় লখনউ। দারুন শুরু করে বেঙ্গালুরু কোহলি ৪৪ বলে ৬১ রান করে, প্লেসিস ৪৬ বলে ৭৯ রান করে, পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলে ৫৯ রান করে। ২ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরু তোলে ২১২ রান। রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে উইকেট হারায় লখনউ। রাহুল করে ২০ বলে ১৮ রান। রান আসে স্টয়নিসের ব্যাটে, ৩০ বলে ৬৫ রান করে স্টয়নিস। পরে যখন স্টয়নিস আউট হয়ে ফেরে ম্যাচ হাতের বাইরে মনে হয়েছিল লখনউয়ের। তখনই পুরানের ব্যাটে ১৯ বলে ৬২ রান আসে।
প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে লখনউয়ের পক্ষে ১ টি করে উইকেট পায় অমিত মিশ্র ও মার্ক উড। পাসপাশি বেঙ্গালুরুর সিরাজ ও পার্নেল ৩ টি করে উইকেট নেয়। ২ টি উইকেট নেয় হার্শল প্যাটেল, ১ টি উইকেট নেয় করন শর্মা।
এবারের আইপিএল মরশুমে ১৫ তম ম্যাচে সোমবার বিরাটের সামনে রাহুলরা। বেঙ্গালুরু অর্থাৎ বিরাটদের ঘরের ম্যাচে এই ম্যাচ জিততে মরিয়া হবে বিরাটরা। শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর কাছে হেরে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন বিরাটরা। এই অবস্থায় বিরাটদের দলে আজ, সোমবার যোগদান করবে ওয়াইন পার্নেল। যদিও ওয়াইন পার্নেল প্রথম একাদশে সুযোগ পাবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি লখনউয়ের হয়ে খেলতে পারেন মার্ক উড, ফিটনেস সংক্রান্ত কারণে গত ম্যাচ খেলেননি তিনি।
ব্যাঙ্গালোর এবং লখনউ দুটি দলেই সমান ভারসাম্য রয়েছে। সোমবারের ম্যাচের আগে লখনউ লীগ টেবিলে তিন নম্বর জায়গা এবং ব্যাঙ্গালোর সাত নম্বর জায়গায় রয়েছে। লখনউ তিনটি ম্যাচ খেলে দুটি জিতেছে এবং একটি ম্যাচ হেরেছে। শেষ ম্যাচে কলকাতার কাছে হেরে অবশ্যই এই ম্যাচ জিততে চাইবে বিরাটরা। এবং চেন্নাইয়ের কাছে শেষ ম্যাচে হেরেছে লখনউও। ফলে রাহুলরাও এই ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে রয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের তরফে প্লেসিস এবং বিরাট ফর্মে থাকলেও চিন্তায় রয়েছে ব্যাঙ্গালোরের বোলিং নিয়ে। কারণ স্পিনার করণ শর্মা ছাড়া কাউকেই তেমন ফর্মে পায়নি ব্যাঙ্গালোর।
ব্যাঙ্গালোররের বিরুদ্ধে বারোটি ইনিংসে খেলে কে এল রাহুল সংগ্রহ তিনটে অর্ধশত রান এবং একটি শত রান। বিশেষত এবারের মরশুমে ব্যাঙ্গালোরের প্রথম পাওয়ার প্লের ইকোনমি রেট ৬.৩৩, যা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় থাকবে রাহুলরা।
প্রসূন গুপ্ত: ক্রিকেট মানেই বড়লোকদের খেলা এমনই এক প্রবাদ ছিল একসময়। হবে নাই বা কেন, সাহেবসুবোরা খেলতো মাঠে আর এ দেশে বল কুড়তো হতচ্ছারা নেটিভরা। রঞ্জিত সিংজি তো ব্রিটিশ ছিলেন। অবশ্য তারপরে ভারতীয়রা ক্রিকেটের হাল ধরলেন। কিন্তু এখানেও মজা, খেলতেন রাজারাজরারা কিংবা এদেশের বিত্তশালীরা। ৬০-এর দশকে কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো তৎকালীন বম্বের এক মালির ছেলে। মিডিয়া দুনিয়া তাঁর খেলার থেকে বেশি প্রচার দিল তাঁর দারিদ্রকে' কিন্তু সেই খেলোয়ার অপরিহার্য হয়ে উঠলেন টাইগার পতৌদির দলে। নাম একনাথ ঢুন্ডুরাম সোলকার। তখন থেকে শুরু গরীবরাও ক্রিকেট খেলে।
ভারতের সর্বকালের অন্যতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও তো নিম্নবিত্ত পরিবারের। আসলে দরিদ্র যারা রয়েছে, চ্যালেঞ্জ তারাই তো নেয়। রিঙ্কু সিংও তাই। অজানা অখ্যাত এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে। ক্রিকেটের বিলাসিতা যাদের মানায় না, এমনই এক পরিবার। বাবা এলপিজি গ্যাস লোকের বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসেন। মাইনে আর বকশিসে যা রোজগার হয় আর কী। ছেলে ক্রিকেট খেলতো বটে তবে বিশাল উত্তর প্রদেশে একপ্রান্তে পড়ে থাকা এক খুদে মাত্র। বাবার কোনও এক গ্রাহককে ধরে শক্ত বলের মাঠে পাঠানো গেল ছেলেকে। খেলো নতুবা ঝাড়পোছের চাকরি নাও। এরপর প্রথমে ক্লাব তারপর রাজ্য দলে সুযোগ।
ওই থেকে কিছু রোজগার বাড়লেও বাড়ির টিনের চালকে ঢালাইয়ে নিয়ে যেতে পারেনি সিং পরিবার। শেষে আইপিএল-এ সুযোগ। আইপিএল আর যাই হোক খেলোয়ারদের টাকার মুখ দেখিয়েছে। খেলতে পারলে সুযোগ নইলে গেট-আউট| আগের বছরগুলিতে দুর্দান্ত ছিল এমন নয়, কিন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন রিঙ্কু। এবারে এল ঐতিহাসিক ৯ এপ্রিল। গতবারে চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটন্সের সঙ্গে ম্যাচ তাও রবিবারের দুপুরে।
প্রথমে ব্যাট করে গুজরাতের সংগ্রহ ২০৪। যথেষ্ট চাপের রান, কলকাতা নাইট রাইডার্স।কিন্ত দু'উইকেট হারিয়ে মন্দ খেলছিল না। বিশেষ করে ভেঙ্কটেশ ও নীতীশ রানা। কিন্তু পরপর উইকেট হারায় তারা। শেষ ওভার, দরকার ২৯ রান, যা বিশ্বে কেউ করেনি। এক রান নিয়ে যাদব খেলতে দেয় রিঙ্কুকে। এরপরেই স্বপ্ন দেখলো ক্রিকেট প্রেমীরা। ৬ ৬ ৬ ৬ ৬। এ-ও হয়।
রাহুল ত্রিপাঠির ব্যাটে ভর করে প্রথম জয় হায়দরাবাদের। রবিবার হাই ভোল্টেজ দিনের শেষের ম্যাচে, টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাবকে। প্রথম ব্যাটে শুরুটা ভালো হয়নি পঞ্জাবের। একদিক দিয়ে শিখর ধাওয়ান হাল ধরার চেষ্টা করলে অন্যদিক থেকে উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব। ২০ ওভারে ৯ উইকেট দিয়ে পঞ্জাবের সংগ্রহ ১৪৩ রান। যেখানে শিখর ধাওয়ানের একার রান ৯৯। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
প্রথম দুটো ম্যাচ টানা হেরে, তৃতীয় ম্যাচে পঞ্জাবের সঙ্গে খেলায়, টসে জিতে প্রথম বল করা সিদ্ধান্ত নয় হায়দরাবাদ। শুরুতে হায়দ্রাবাদের টপ অর্ডার প্রভিস্মরণ, শর্ট, জিতেশ শর্মা, প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই ঘরে ফিরে যায়। ১৫ বলে ২২ রান করে স্যাম কারান। রানের ক্ষেত্রে পঞ্জাবের হয়ে আর কেউই তেমন দুই অংক পেরোতে পারেনি। শিখর ধাওয়ানের একার ব্যাটে ভর করে, পঞ্জাব মোট ২০ ওপারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে। যেখানে শিখর ধাওয়ান ৬৬ বলে ৯৯ রান করেন। ১৪৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ভালো শুরু করে হায়দ্রাবাদ। প্রথমদিকে ব্রোক ও ময়ঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট পড়ে গেলে, রাহুল ত্রিপাটি ম্যাচের হাল ধরে। রাহুলের সঙ্গ দেয় সাউথ আফ্রিকান মার্কাম। রাহুল ৪৮ বলে ৭৪ রান করে, এবং মার্কাম ২১ বলে ৩৭ রান করে।
প্রথম বল নিয়ে হায়দরাবাদের শুরু ভালোই হয়, মার্কণ্ডে ও জাসেন ভালো বল করে। মার্কণ্ডে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয়। জাসেন ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়। উমরানও ২ উইকেট পায় ৩২ রান দিয়ে। ১টি উইকেট নেয় ভুবনেস্বর। পাশাপাশি বল হাতেও তেমন সফল নয় পঞ্জাব। পঞ্জাবের পক্ষে অর্ষদীপ সিং ও রাহুল চাহার ১টি করে উইকেট নেয়।
হেরে গিয়েও, হারের থেকে জয় ছিনিয়ে আনলো কেকেআরের (KKR) রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ৫ বলে দরকার ২৮ রান, গুজরাতের (GT) বোলার দয়ালকে শেষ ৫ বলে ৫টাই ছক্কা মারলেন রিঙ্কু। গুজরাতের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনলেন হেরে যাওয়া ম্যাচ। এখন কলকতার কাছে, রিঙ্কু সিং যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সেটা বলাই বাহুল্য। ২১ বলে ৪৮ রান করে এই ম্যাচকে জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ করে রাখলেন এই খেলোয়াড়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তোলে তারা। জবাবে কলকাতা শুরু ভালো করলেও রশিদের বোলিংয়ের সামনে পরে মুহূর্তে ভেঙে পড়ে তাদের মিডল অর্ডার। শেষে এমন মনে হয়েছিল রশিদ খান ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে লাস্ট ওভারে ৫টা ৬ মেরে ম্যাচ বার করে নেয় রিঙ্কু সিং।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রশিদ, হার্দিক বিহীন এই ম্যাচে শুভমন গিল ও সুদর্শনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পরে বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে ৬৩ রান করে, ২০০ এর উপরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। গিল করেন ৩১ বলে ৩৯ রান, সুদর্শন করেন ৩৮ বলে ৫৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করতে পারেনি কলকাতা, কিন্তু ম্যাচের হাল খুব সহজেই ধরে নেয় ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ভেঙ্কটেশের দুর্দান্ত ৪০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস কেকেআর-কে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে, ভেঙ্কটেশকে সঙ্গ দেয় অধিনায়ক নীতিশ রানা। রানা রবিবার ২৯ বলে ৪৫ রান করে। ১৬তম ওভারে রশিদ যখন বলে এলো। তখন ২৪ বলে ৫০ রান দরকার কেকেআরের।
ক্রিজে তখন রাসেল এবং রিঙ্কু সিং। স্ট্রাইকে তখন রাসেল, রশিদের প্রথম বলে খোঁচা লেগে উইকেট রক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন রাসেল। পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন নারাইন, ব্যাট করতে আসে শার্দুল ঠাকুর। শার্দুলকেও লেগ বিফোর হয়ে ঘরে ফিরতে হয় রশিদের ওভারে। অর্থাৎ রশিদের হ্যাট্রিক হলেও শেষরক্ষা হলো না। তখন মুহূর্তের জন্য খেলার মোড় ঘুরে গেলেও, শেষ ওভারে রিঙ্কুর ঝড়ে কুপোকাত গুজরাত।
টসে হেরে প্রথমে বোলিংয়ে যায় কেকেআর। উল্লেখযোগ্য, ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেয় নারাইন, একটি উইকেট নেয় শর্মা। পাশাপাশি গুজরাতের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয় রশিদ খান। ২ উইকেট নেয় জোসেফ এবং একটি করে উইকেট নেয় শামি ও লিটল।
হার্দিক (Hardik Pandya) নেই দলে (GT), অতিরিক্ত সুবিধা কি নিতে পারবে কেকেআর (KKR)? রবিবার দুপুরে হঠাৎ হার্দিকের বদলে টস করতে এলো রশিদ খান। তখনিই খটকা হয়েছিল, টস শেষে রশিদই জানিয়ে দিল হার্দিক নেই, সামান্য অসুস্থতার জন্য ওকে বাইরে রাখতে হয়েছে।
আইপিএলে কলকাতার বিরুদ্ধে টস করতে নামেন রশিদ খান। টসে জেতেন রশিদ। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তারপরেই গুজরাতের পরিবর্ত অধিনায়ক বলেন, ‘হার্দিক একটু অসুস্থ। তাই এই ম্যাচে ও খেলছে না। খুব একটা ভয়ের কিছু নেই। ওকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছি না। অনেক বড় প্রতিযোগিতা। আশা করছি পরের ম্যাচেই ওকে পাব আমরা।’
এ বারের আইপিএলের শুরু থেকেই গুজরাতের অধিনায়কত্ব করেছেন হার্দিক। দল জিতলেও ব্যাটে-বলে খুব একটা ভাল খেলতে পারেননি তিনি। অবশ্য হার্দিক যে খেলবেন না তা আগে থেকে জানায়নি গুজরাত। ম্যাচের আগে কিছু জানা যায়নি। একেবারে টসে বোঝা যায়, অধিনায়ক ছাড়াই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে গুজরাত।
ব্যাটে-বলে খুব বেশি ছন্দে না থাকলেও হার্দিক থাকা মানে প্রতিপক্ষ চাপে থাকবে। অধিনায়ক হিসাবে সফল তিনি। তাই হার্দিক না থাকায় কিছুটা হলেও সুবিধা হবে কেকেআরের।
এবারের আইপিএল (IPL) মরশুমে দ্বিতীয় রবিবার হাইভোল্টেজ হতে চলেছে। আজ অর্থাৎ রবিবারে দুপুরে কলকাতার মুখোমুখি হবে গুজরাট টাইটান্স (GT) এবং রাতে হায়দরাবাদ (SH) মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংসের। অর্থাৎ দিনের প্রথম খেলাই হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। একদিকে আজই অর্থাৎ রবিবার কেকেআর শিবিরে যোগ দেবেন বাংলাদেশী ব্যাটার লিটন দাস। পাশাপাশি ঘরের মাঠে বিরাটের দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ওদিকে গুরবাজের ফর্ম থাকলেও, রান নেই কলকাতার নয়া অধিনায়ক ও রাসেলের ব্যাটে।
যদিও কলকাতাকে চিন্তায় রাখবে কলকাতারই প্রাক্তন খেলোয়াড় শুভমন গিলের ফর্ম। দু'দলেরই শ্রেষ্ঠ স্পিনার নারায়ন ও রশিদ। এছাড়া কলকতার বিরুদ্ধে হার্দিকের রান কেকেআরকে চিন্তায় রাখবে। কলকাতার বিরুদ্ধে হার্দিক ৩৬৬ রান করেছে, ৬১ রান গড় হিসেবে। কলকাতার বিরুদ্ধে হার্দিকের শ্রেষ্ঠ রান ৯১। পাশাপাশি নারাইন ও রশিদ খান, দুজনেই সফল বিদেশী খেলোয়াড়। নারাইনের ঝুলিতে রয়েছে ১৫৫ টি উইকেট ও রশিদের ঝুলিতে রয়েছে ১১৭ টি উইকেট।
ওদিকে সন্ধ্যার খেলায় পঞ্জাবের রাবাডার সামনে হতে চলেছে হায়দরাবাদের ময়ঙ্ক আগারওয়াল। রাবাডার বিরুদ্ধে ৩৮ বল খেলে ময়ঙ্কের স্ট্রাইক রেট ১৫০, ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে চিন্তায় আছে হায়দরাবাদ, রান নেই রাহুল ত্রিপাঠীর ব্যাটে। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে, জেতার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে তাঁরা। হায়দরাবাদের হয়ে নজরে থাকবে, ফারুকী ও আদিল রাশিদ। ওদিকে পঞ্জাবের ব্যাটিংয়ে হয়ে নজরে থাকবে রাজাপক্ষ ও প্রভিশ্বরম।