
হেরে গিয়েও, হারের থেকে জয় ছিনিয়ে আনলো কেকেআরের (KKR) রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ৫ বলে দরকার ২৮ রান, গুজরাতের (GT) বোলার দয়ালকে শেষ ৫ বলে ৫টাই ছক্কা মারলেন রিঙ্কু। গুজরাতের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনলেন হেরে যাওয়া ম্যাচ। এখন কলকতার কাছে, রিঙ্কু সিং যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সেটা বলাই বাহুল্য। ২১ বলে ৪৮ রান করে এই ম্যাচকে জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ করে রাখলেন এই খেলোয়াড়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তোলে তারা। জবাবে কলকাতা শুরু ভালো করলেও রশিদের বোলিংয়ের সামনে পরে মুহূর্তে ভেঙে পড়ে তাদের মিডল অর্ডার। শেষে এমন মনে হয়েছিল রশিদ খান ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে লাস্ট ওভারে ৫টা ৬ মেরে ম্যাচ বার করে নেয় রিঙ্কু সিং।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রশিদ, হার্দিক বিহীন এই ম্যাচে শুভমন গিল ও সুদর্শনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পরে বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে ৬৩ রান করে, ২০০ এর উপরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। গিল করেন ৩১ বলে ৩৯ রান, সুদর্শন করেন ৩৮ বলে ৫৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করতে পারেনি কলকাতা, কিন্তু ম্যাচের হাল খুব সহজেই ধরে নেয় ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ভেঙ্কটেশের দুর্দান্ত ৪০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস কেকেআর-কে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে, ভেঙ্কটেশকে সঙ্গ দেয় অধিনায়ক নীতিশ রানা। রানা রবিবার ২৯ বলে ৪৫ রান করে। ১৬তম ওভারে রশিদ যখন বলে এলো। তখন ২৪ বলে ৫০ রান দরকার কেকেআরের।
ক্রিজে তখন রাসেল এবং রিঙ্কু সিং। স্ট্রাইকে তখন রাসেল, রশিদের প্রথম বলে খোঁচা লেগে উইকেট রক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন রাসেল। পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন নারাইন, ব্যাট করতে আসে শার্দুল ঠাকুর। শার্দুলকেও লেগ বিফোর হয়ে ঘরে ফিরতে হয় রশিদের ওভারে। অর্থাৎ রশিদের হ্যাট্রিক হলেও শেষরক্ষা হলো না। তখন মুহূর্তের জন্য খেলার মোড় ঘুরে গেলেও, শেষ ওভারে রিঙ্কুর ঝড়ে কুপোকাত গুজরাত।
টসে হেরে প্রথমে বোলিংয়ে যায় কেকেআর। উল্লেখযোগ্য, ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেয় নারাইন, একটি উইকেট নেয় শর্মা। পাশাপাশি গুজরাতের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয় রশিদ খান। ২ উইকেট নেয় জোসেফ এবং একটি করে উইকেট নেয় শামি ও লিটল।