
প্রসূন গুপ্ত: সোমবার বৃষ্টির সাথে এবং আহমেদাবাদের গুজরাত টাইটন্সের সঙ্গে লড়াই করে আবার টাটা আইপিএল কাপ এলো মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। এই নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফি জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস। বিশেষজ্ঞ মহলের মুখে ফের ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসা। হবে নাই বা কেন মাহি বারবার প্রমাণ করেছে দল ততটাই ভালো যতটা অধিনায়ক (Captain)।
অতি সাধারণ পরিবার থেকে ক্রিকেটে এসেছিলেন ধোনি। আসাই হতো না যদি না রাঁচি অধিবাসী এক অজানা বাঙালি না থাকতেন। বাবার তো মতই ছিল না। তাঁর বক্তব্য ছিল ছাপোষা পরিবারের ছেলে রেলে যা হোক একটা চাকরি করবে। এ ছাড়া ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্য থেকে কে আবার ক্রিকেটার হয়েছে। কিন্তু ধোনির জেদ ও অধ্যাবসায় তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়ায় স্বর্ণমুকুট পরিয়েছে।
২০০৪ এ একদিবসীয়তে আবির্ভাব এবং টেষ্ট দলে আসা পরের বছর। ৯০টি টেষ্ট খেলেছেন। অনায়াসেই শততম টেষ্ট অবধি যেতেই পারতেন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আচমকাই সরে দাঁড়ালেন। এর আগে নেতৃত্বও ছেড়েছিলেন। তবে একদিবসীয়তে রয়ে গেলেন। ২০১৯ এর পরে তাও ছেড়ে দিলেন। রইলো হাতে চেন্নাই সুপার কিংস।
রেকর্ড বইয়ে তাকালে যেমন প্রচুর রান রয়েছে তেমন উইকেটের পিছনে থেকে কেরামতিও প্রচুর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত তাঁর নেতৃত্বে টি২০ এবং একদিবসীয়তে। এই রেকর্ড আর কারুর নেই।
ঠান্ডা মাথায় সহ খেলোয়ারদের চনমনে রাখতে পেরেছিলেন। কোনও খেলাতে তাঁকে কেউ মাথা গরম বা উত্তেজিত হতে দেখে নি। ক্যাপ্টেন কুল নাম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। একটা সময়ে ভারত টেষ্টেও সেরা ছিল কিন্তু তখনও টেষ্টের বিশ্বকাপ ছিল না।
সোমবার ফের তাঁর নেতৃত্বে ট্রফি আসলো। ইদানিং তাঁর ব্যাটিংটি নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু কিপিং , স্ট্যাম্পিং আজও অসাধারণ। সোমবার তড়িৎ গতিতে গেলকে স্ট্যম্প করে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন দলকে। ক্রমাগত মিস ফিল্ডিং হয়েছে, ক্যাচ পরেছে। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন ধোনি। ব্যস ঐ অবধি। সামনের বছর আইপিএল খেলবেন কিনা জানা নেই তবে ধোনি যে কোনও মাঠে থাকলে গ্রাউন্ড ফুল হবে তা বাস্তব।