
শেষ ২ বলে বাকি ছিল ১০ রান। গ্যালারিতে তখন প্রার্থনা করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD)। একটি ৬ ও একটি ৪। খেলা শেষ করেন 'জাদুকর' জাদেজা (Jadeja)। ডাগআউটে জাদেজাকে কোলে তুলে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মঙ্গলবার সকালে ধোনিকে নিয়ে একটি টুইট করেন জাড্ডু। সঙ্গে পোস্ট করলেন ড্রেসিংরুমের ছবি।
জাদেজা টুইটে লেখেন, "আমরা এক এবং একমাত্র ধোনির জন্য এটা করেছি। মাহি ভাই, তোমার জন্য সবকিছু দেওয়া যায়।" জাদেজার এই টুইট মন ছুঁয়ে যায় আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদের। টুইটের সঙ্গে ট্রফি হাতে স্ত্রী ও মাহির সঙ্গে একটি ড্রেসিংরুমের ছবিও পোস্ট করেন। পাশাপাশি সেই ডাগআউটে ধোনির উচ্ছ্বাসের ছবিও ও দুই তারকার ছবিও পোস্ট করেন জাড্ডু।
প্লে-অফের আগেই ধোনি ও জাদেজার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। ফাইনালে টিমকে জেতানোর পর, সেই জল্পনার অবসান ঘটল। ধোনির জন্য তিনি কী করতে পারেন, দেখালেন জাদেজা।
প্রসূন গুপ্ত: সোমবার বৃষ্টির সাথে এবং আহমেদাবাদের গুজরাত টাইটন্সের সঙ্গে লড়াই করে আবার টাটা আইপিএল কাপ এলো মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। এই নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফি জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস। বিশেষজ্ঞ মহলের মুখে ফের ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসা। হবে নাই বা কেন মাহি বারবার প্রমাণ করেছে দল ততটাই ভালো যতটা অধিনায়ক (Captain)।
অতি সাধারণ পরিবার থেকে ক্রিকেটে এসেছিলেন ধোনি। আসাই হতো না যদি না রাঁচি অধিবাসী এক অজানা বাঙালি না থাকতেন। বাবার তো মতই ছিল না। তাঁর বক্তব্য ছিল ছাপোষা পরিবারের ছেলে রেলে যা হোক একটা চাকরি করবে। এ ছাড়া ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্য থেকে কে আবার ক্রিকেটার হয়েছে। কিন্তু ধোনির জেদ ও অধ্যাবসায় তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়ায় স্বর্ণমুকুট পরিয়েছে।
২০০৪ এ একদিবসীয়তে আবির্ভাব এবং টেষ্ট দলে আসা পরের বছর। ৯০টি টেষ্ট খেলেছেন। অনায়াসেই শততম টেষ্ট অবধি যেতেই পারতেন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আচমকাই সরে দাঁড়ালেন। এর আগে নেতৃত্বও ছেড়েছিলেন। তবে একদিবসীয়তে রয়ে গেলেন। ২০১৯ এর পরে তাও ছেড়ে দিলেন। রইলো হাতে চেন্নাই সুপার কিংস।
রেকর্ড বইয়ে তাকালে যেমন প্রচুর রান রয়েছে তেমন উইকেটের পিছনে থেকে কেরামতিও প্রচুর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত তাঁর নেতৃত্বে টি২০ এবং একদিবসীয়তে। এই রেকর্ড আর কারুর নেই।
ঠান্ডা মাথায় সহ খেলোয়ারদের চনমনে রাখতে পেরেছিলেন। কোনও খেলাতে তাঁকে কেউ মাথা গরম বা উত্তেজিত হতে দেখে নি। ক্যাপ্টেন কুল নাম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। একটা সময়ে ভারত টেষ্টেও সেরা ছিল কিন্তু তখনও টেষ্টের বিশ্বকাপ ছিল না।
সোমবার ফের তাঁর নেতৃত্বে ট্রফি আসলো। ইদানিং তাঁর ব্যাটিংটি নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু কিপিং , স্ট্যাম্পিং আজও অসাধারণ। সোমবার তড়িৎ গতিতে গেলকে স্ট্যম্প করে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন দলকে। ক্রমাগত মিস ফিল্ডিং হয়েছে, ক্যাচ পরেছে। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন ধোনি। ব্যস ঐ অবধি। সামনের বছর আইপিএল খেলবেন কিনা জানা নেই তবে ধোনি যে কোনও মাঠে থাকলে গ্রাউন্ড ফুল হবে তা বাস্তব।
নো-ইউ টার্ন। অর্থাৎ পিছনে ফিরে তাকানোর কিছু নেই। রবিবার তখন আমেদাবাদ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে। এমন সময়েই আইপিএলকে (IPL) বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছিলেন আম্বাতি রায়ডু (Raydu)। সোমবার মধ্যরাতে চেন্নাইয়ের (CSK) হয়ে তিনি যখন ট্রফি নিলেন, তখন শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ছ বার আইপিএল জেতার নজির গড়লেন হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার। তিনবার জিতেছেন মুম্বইয়ের হয়ে, তিনবার চেন্নাইয়ের হয়ে। এই কৃতিত্ব এতদিন একজনের ছিল। তিনি রোহিত শর্মা। প্রথম আইপিএল জিতেছিলেন তৎকালীন ডেকান চার্জাসের হয়ে। আর পাঁচটি জয় মু্ম্বইয়ের হয়ে। স্বপ্নের মতো লাগছে। ম্যাচ শেষে এইটুকুই জানিয়ে গেলেন রায়ডু।
ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তারকা হয়ে উঠে আসা। একসময় নিয়মিত ছিলেন ভারতীয় দলে। বছরের শুরুতেই অবসর ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন। এ ভাবেই নিজের ক্রিকেট জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন রায়ডু। ম্যাচ শেষে বন্ধু ধোনি জানালেন, একসঙ্গে তাঁদের কেরিয়ার শুরুর কথা। মাহির মতে, তাঁর দেখা প্রথম ব্যাটার যিনি একসঙ্গে পেস এবং স্পিন দুটোই খেলতে পারেন। কিন্তু রায়ডুকে দলে রাখা মানে অধিনায়ক কোনও দিন ফেয়ার প্লে জিততে পারবেন না। কারণ, হঠাৎ হঠাৎ মাথা গরম করে সেই সুযোগ হাতছাড়া করে দেবেন রায়ডু।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আবেগঘন আম্বাতি। প্রায় তিরিশ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার। স্বল্পভাষী এই হায়দরাবাদির মতে, ঠিক যেন ফেইরিটেল মনে হচ্ছে।
মণি ভট্টাচার্য: 'ধোনি' নামটার সাথেই যেন জড়িয়ে আছে আবেগ। নিজের ক্রিকেট জীবনের শেষ বয়সে এসেও তিনি যে সেই 'ক্যাপ্টেন কুল'ই রয়ে গেলেন সেটা আবার প্রমাণিত। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর যা অবদান সেটা অনস্বীকার্য। হয়ত শেষবারের মত আইপিএল (Indian Premiere League) চ্যাম্পিয়ন হলেন ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। হয়ত এরপরে আইপিলের জমক অনেক কমে যাবে। এটাই কি ধোনির শেষ ম্যাচ! এই প্রশ্ন ওঠে আসছে ২০১৯-২০ সাল থেকে। এবারের এই একই প্রশ্নে ধোনির উত্তর, এখনও হাতে ৯ মাস আছে। নিজেকে ফিট রাখতে পারলে অবশ্যই খেলব। কিন্তু ধোনির কৃতিত্ব যে হৃদয়ের পাতায় লিখে রাখার মতই সেটা ক্রিকেট বিশ্ব জানে।
ভারতীয় ক্রিকেটকে আইসিসির শ্রেষ্ঠ ট্রফি দিয়েছে চেন্নাই। নিজের দল চেন্নাইকে দিয়েছে বহু সাফল্য। যে সাফল্য হয়ত ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম ও যুগান্তকারী। মাত্র ১.৩ কোটি টাকার বোলিং ডিপার্টমেন্ট চেন্নাইয়ের। অবশ্যই দীপক চাহারকে বাদ দিয়ে। যদিও পঞ্চম বারের আইপিএলে দীপকের ভূমিকা ছিল সামান্যই। চোট থেকে ফিরে দীপকের পারফরম্যান্স নজরকাড়া বটে। পঞ্চম বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ধোনির মুখে যেন চেনা অবিচলতা। কেবল দুটো দৃশ্য যা অচলায়তন ভেঙে নতুন দেখা গিয়েছে এবার। প্রথম শেষ বলে যখন ৪ রান দরকার। সেই যে তখন ঈশ্বর চোখ বুঝলেন, চোখ খুললেন না জেতার পরেও। জাদেজা চার মেরে যখন উচ্ছাস শুরু করে দিয়েছে তখন ধোনি চোখ খুললেন। হয়ত প্রার্থনাই করছিলেন। কিন্তু এ দৃশ্য ক্রিকেটপ্রেমীরা বহুদিন মনে রাখবে। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ জিতে মাহি ভাইয়ের ভক্ত জাড্ডু যখন মাহির কাছে এলো। তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে কোথাও যেন সন্তর্পনে মাহিকে দেখা গেল আবেগঘন হতে। যা সচরাচর ক্রিকেট বিশ্ব দেখেনি।
ম্যাচ জিতে এই জয় তাঁর মাহি ভাইকে উৎসর্গ করেন জাদেজা। যদিও ধোনি প্রথম বলেই আউট হয়ে ঘরে ফেরেন। সোমবারের দিন হয়ত ধোনিদের নামেই ছিল। নইলে গুজরাতের এমন বোলিং বিভাগের সামনে ১৫ ওভারে ১৭১ রান তোলা সহজ ছিল না। এই ম্যাচ জয়ে ধোনির ভূমিকা অবশ্য অসীম। উইকেটের পিছনের দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বেগে স্ট্যাম্প করলেন গিলকে। যদিও অন্যদিকে আর একটু হলেই চেন্নাই সমর্থকদের চোখে খলনায়ক হয়ে যেতে পারতেন ধোনি। অম্বাতি রায়ডু আউট হওয়ার সময় চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৫ বলে ২২। ভেবেছিলেন আবার নিজের পুরনো ফিনিশার রূপ ফেরাবেন। কিন্তু ক্রিকেট কোনও চিত্রনাট্য মেনে হয় না। তাই ধোনিরও ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো নায়ক হওয়া হল না। প্রথম বলেই কভারে ক্যাচ এবং আউট।
যদিও ১৪ টি মরশুমে ১০ বার ফাইনালিস্ট, ও ৫ বার চ্যাম্পিয়ন ধোনিবাহিনী। সময় বদলেছে, দল বদলেছে, সঙ্গী বদলেছে কিন্তু ধোনির কেরামতি বদল হয় নি। সেই কেরামতির জোরেই হয়ত ২০১০, ২০১১, ২০১৮,২০২১,২০২৩। পাঁচবারের ভারত সেরা চেন্নাই এবং গোটা দলের পিছনে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ কৃতিত্ব টাই ধোনির। ধোনির এই অবদান অবশ্যই মনে রাখার মত। মনে রাখা হবে।
এ যেন এক স্বপ্নে লেখা ইতিহাস। শেষ বলে চার, তার আগের বলে ছয় মেরে হার্দিকের মুখ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে এনে ধোনির হাতে তুলে দিল জাদেজা। শেষ ওভারে গুজরাতের মোহিত শর্মা তার আগের চারটি বলে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা গুজরাত টাইটান্সের। মাঠে দাঁড়িয়ে হেসে ফেলেন হার্দিক পাণ্ড্যও। কিন্তু শেষ ২ বলে বদলে গেল খেলার ছবি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারলেন রবীন্দ্র জাডেজা। শেষ বলে চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন জাডেজা। পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)।
প্রথম ইনিংসে সুদর্শন, ঋদ্ধিদের দাপট দেখে মনে হয়েছিল আইপিএল চ্যাম্পিয়ন বোধহয় গুজরাত টাইটান্স। কিন্ত ২ ঘণ্টা বৃষ্টির পরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই বুঝিয়ে দিয়েছিল দিল্লি কিন্তু দূরই আছে। যদিও ম্যাচ জিততে তৎপর ছিল হার্দিকরা। বৃষ্টির দাপটে ২০ ওভারের খেলা কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে। লক্ষ্য কমে হয় ১৭১। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই।
খেলা শুরু হওয়ার পরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। তাঁরা জানতেন প্রতি ওভারে ১২ রান করে তুলতে হবে তাঁদের। খেলা ১৫ ওভারের হওয়ায় পাওয়ার প্লে-ও কমে হয় ৪ ওভার। পাওয়ার প্লে-তে ৫২ রান করেন দুই ওপেনার। বড় শট খেলা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। ৬ ওভারে ওঠে ৭২ রান।
জেতার জন্য ৯ ওভারে ৯৯ রান করতে হত চেন্নাইকে। লক্ষ্য কঠিন ছিল। ভাল বল করছিলেন গুজরাতের স্পিনার নুর আহমেদ। এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। প্রথমে ২৬ রানের মাথায় গায়কোয়াড় ও পরে ৪৭ রানের মাথায় কনওয়েকে ফেরান তিনি। এক ওভারেই চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন।
প্রতি ওভারে জরুরি রানরেট বাড়ছিল চেন্নাইয়ের। সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে টানলেন শিবম দুবে, অজিঙ্ক রাহানে ও অম্বাতি রায়ডু। বিশেষ করে রাহানে ও রায়ডু ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। রাহানের ২৭ ও রায়ডুর ১৯ দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ধোনি। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ১৩ রান। জাডেজার ব্যাটে সেই রান তাড়া করে জিতে যায় চেন্নাই।
বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল আইপিএল ফাইনাল (IPL Final)। রাত ১০টা ৫২ মিনিটে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন, খেলা শুরু হওয়া সম্ভব নয়। কাট-অফ টাইম ছিল রাত ১২টা ০৬ মিনিট। কিন্তু পৌনে ১১টা থেকে ফের বৃষ্টি নামায়, ফাইনাল বাতিল ঘোষণা করল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রিজার্ভ ডে-তে ফের নামবে চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাত টাইটান্স।
সন্ধে ৭টার সময় টস হওয়ার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। তার আগে ভেস্তে যায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানও। সাড়ে ৭টার সময় জানানো হয়, ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাতে পারে। কাট-অফ টাইম হবে ১২টা ০৬ মিনিট। রাতে একবার বৃষ্টি কমলে আশা করা হয়েছিল, খেলা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি।
সোমবার একই সময় খেলা শুরু হবে। সাড়ে সাতটা থেকে। সোমবারও আকাশের মুখ ভার থাকবে। যদি দুই টিম না নামতে পারে, তা হলে আইপিএলে নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে গুজরাত টাইটান্সকে।
আইপিএল (IPL) ফাইনালের আগে হার্দিককে (Hardik) প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। চোট থেকে ফিরেই আইপিএলের নতুন টিম গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। গত এক বছরে টিম ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছে। ধোনি ও রোহিতের পর টানা দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়তে পারেন। তাই হার্দিকের মধ্যে ধোনির ছায়া দেখছেন গাভাসকর।
গাভাসকরের মতে, যারা ধোনির কেরিয়ার দেখেছেন, তারা জানেন। টস করার সময় হাসিমুখে থাকেন। মাঠে নামলেই পরিবেশই যেন বদলে যেন। স্টার স্পোর্টসের একটি সাক্ষাৎকারে গাভাসকর জানিয়েছেন, হার্দিকও ধোনির মতো সেই বিষয়টি তাড়াতাড়ি শিখে নিয়েছেন। গতবছর প্রথম বার নতুন দলকে নেতৃত্ব দিতে এসেছিলেন। কী প্রত্যাশা থাকতে পারে। কিন্তু গতবছর থেকে টিমে যে শান্ত পরিবেশ তৈরি করেছেন, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব হার্দিকের।
টানা দুবার গুজরাত টাইটান্সকে ফাইনালে তুলেছেন। এবার হার্দিকদের প্রতিপক্ষ ধোনিব্রিগেড। গতবার রাজস্থানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাত। এবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কাজটা সহজ হবে না।
রবিবার আইপিএলের (IPL) মেগা ফাইনাল (Final)। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও গুজরাট টাইটান্স (GT)। ধোনির অভিজ্ঞতা বনাম হার্দিকের সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ফাইনালে জিতবে কোন দল ? অপেক্ষার প্রহর গুনছে ক্রিকেট বিশ্ব। এদিকে, মেগা ফাইনালে আহমেদাবাদে কিন্তু বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকছে। ফলে ভেস্তে যেতে পারে ফাইনাল ম্যাচ। কী বলছে আজ আহমেদাবাদে সন্ধ্যার আবহাওয়া ?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার সন্ধেবেলায় আহমেদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে প্রায় ৪০ শতাংশ। টানা দু'ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আহমেদাবাদের আকাশ সারাদিন মেঘলা থাকবে। তবে, ভারী নয়, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাই থাকছে এদিন। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচ ভেস্তে গেলে কোন দলকে কীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে, এখন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, কোনও ওভার খেলা না গেল আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের উপরে চোখ রাখা হবে। যে দল সবথেকে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, সেই দলকেই শেষপর্যন্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এবার আইপিএলে কিন্তু সেই চেনা ছন্দে নেই চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক ধোনির ক্ষুরধার মস্তিষ্কে হারছে বিপক্ষ। সৌরভও প্রশংসা করেছেন ধোনির নেতৃত্বের। এবার জিতলে রোহিত শর্মার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মাহি। দলকে পঞ্চমবার খেতাব এনে দেবেন তিনি। অন্যদিকে, গুজরাট আর একটা ম্যাচ জিতলে চেন্নাই, মুম্বইয়ের সঙ্গে একই আসনে উঠে যাবে। পরপর দুই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই দুই টিমই।
রবিবার আইপিএলের (IPL) মেগা ফাইনাল। দেড় মাসের টুর্নামেন্টের যবনিকা পতন। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও গুজরাত টাইটান্স (GT)। ম্যাচে কে জিতবে, আগে থেকেই অনুমান করতে রাজি নন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
রবিবার আইপিএলের মেগা ফাইনাল। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে নামবেন জাদেজা। তাই প্রত্যাশা কিছুটা বেশি। চেন্নাই টিমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গাইকোয়াড় ফর্মে আছেন। আহমেদাবাদেও এই দুইয়ের উপরই ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখছেন ধোনি। টুর্নামেন্টের মাঝের অংশে ভাল ফর্মে ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে ও শিবম দুবে।
ফাইনালে তাঁদের ব্যাটের উপরও তাকিয়ে থাকবে টিম। মইন আলি গোটা টুর্নামেন্টে সেভাবে সফল হতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার দুই বোলার থিকসানা ও পাথিরানা। এই দুই বোলারকে নিজের হাতে ঘষেমেজে নিয়েছেন মাহি। গুজরাতের ব্যাটিংকে ভাঙার জন্য ফাইনালে তারাই হয়ে উঠতে পারেন চেন্নাইয়ের আসল অস্ত্র।
শুভমান গিলের (Shubman Gill) বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। মোহিত শর্মার (Mohit Sharma) একাই ৫ উইকেট। এ মরশুমে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন শেষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI)। ৬২ রানে জয়ী হার্দিক ব্রিগেড। রবিবার আহমেদাবাদে আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নামবে গুজরাত টাইটান্স।
শুক্রবার এলিমিনেটার্সের লড়াইয়ে বৃষ্টিতে দেরি করে ম্যাচ শুরু হয়। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আউট হয়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন শুভমান গিল। ৬০ বলে ১২৯ রান করেন শুভমান গিল। ৩১ বলে ৪৩ রান করেন সুদর্শন। ১৩ বলে ২৮ রান করেন হার্দিক। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান তোলে গুজরাত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ বলে ৩০ রান করেন ক্যামেরুন গ্রিন। ৩৮ বলে ৬১ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। ১৪ বলে ৪৩ করেন তিলক ভার্মা। তবে গুজরাতের ২৩৩ রান তাড়া করা সম্ভাব হয়নি মুম্বইয়ের। ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। ১৮ ওভার ২ বলে ১৭১ রানে মুম্বই অলআউট হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে রোহিত শর্মা জানান, 'শুভমান ছন্দে আছে। আশা করি ওর ছন্দ বজায় থাকবে। গুজরাতের এই জয়ের জন্য শুভমানকে শুভেচ্ছা।' মুম্বইকে পাঁচবার আইপিএল জেতালেও দেশের জার্সিতে আইসিসি ট্রফি জেতা হয়নি। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জয়ের সুযোগ ভারতের কাছে। ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই কারণেই শুভমানের ছন্দে থাকার প্রার্থনা করছেন রোহিত।
গুজরাতের (GT) বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য ইনিংস। বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি ছাড়া কথাই বললেন না তিনি। যেন একাই ধুয়ে দিলেন গোটা মুম্বইয়ের (MI) বোলারদের। আইপিএলের মরসুমে তৃতীয় সেঞ্চুরি। শুক্রবারের ম্যাচের পর থেকে একটাই নাম আলোচনার কেন্দ্রে। তিনি শুভমন গিল (Shubman Gill)। ৬০ বলে ১২৯ রান করেন তিনি। আর এটাই তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের 'সম্ভবত' সেরা ইনিংস বলে মনে করেন শুভমন।
গুজরাত ওপেনার মনে করেন, তিনি তাঁর ব্যাটিংয়ে যে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এনেছেন, তা অনেক লাভ দিয়েছে। তিনি বলেন, 'গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। গত আইপিএলের আগে আমি চোট পেয়েছিলাম। কিন্তু, খেলাতেই ব্যস্ত থেকেছি, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে গিয়েছি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনি।'
শুভমন শুক্রবারর ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রতিটা বল ধরে এগোচ্ছিলাম। পরিস্থিতি বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক ওভারে তিনটে ছয় মারার পরই উপলব্ধি করি, দিনটা আমার ছিল। পিচে ব্যাটারদের জন্য সুবিধা ছিল, আমি শুধু সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।' তিনি আরও বলেন, ' নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা খুব জরুরি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করার পর আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটা আরও বেশি প্রয়োজন ছিল। সাফল্য অনেক কিছুর মিশ্রণে তৈরি।'
রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) পাঁচবার আইপিএল (IPL) জিতে ফেলেছে। এবার আইপিএল জিতলে রোহিতের রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD) ও চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। এই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অনেক কৃতিত্ব রেখেছেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিসা পাথিরানা।
গত মরশুমে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এই মরশুমে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। গড় ১৯.২৪। ফাইনালের আগে পাথিরানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মাহি। তাঁর বোন ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন। ধোনিকে নিয়ে লেখা কিছু লাইন মন জিতে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, "মালিকে নিয়ে এবার আমরা নিশ্চিন্ত। থালা বলল, ওকে নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ও সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। এই মুহূর্তগুলো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।"
২০ বছরের পাথিরানার সামনে এবার চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে। রবিবার আহমেদাবাদে ফাইনাল খেলতে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস।
চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) অধিনায়ক (Captain) মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি আইপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবার পঞ্চমবার আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে ধোনিদের সামনে। নেতা হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন ধোনি। একই সুর দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর তথা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। ধোনির প্রশংসায় ফের পঞ্চমুখ সৌরভ।
সৌরভ এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'চেন্নাই সুপার কিংস এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এ মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। আর ধোনির অধিনায়কত্বের তো তুলনাই হবে না। কীভাবে বড় ম্যাচ জিততে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন।' ধোনি ছাড়া এবারের আইপিএল মরসুমে নজরকাড়া আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করেছেন সৌরভ । সেই তালিকায় রয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, রিংকু সিংরা।
মুম্বইয়ের (MI) কাছে কোয়ালিফায়ার হেরে বিদায় লখনউয়ের (LSG)। একেবারে নতুন বোলার আকাশ মাধওয়ালের স্বপ্নের স্পেলে শেষ হয়ে গেল লখনউর ইনিংস। শুক্রবার গুজরাত টাইটান্সের (GT) বিরুদ্ধে আহমেদাবাদে নামবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিলেন আকাশ। ৮১ রানে লখনউকে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
প্রথম স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের আগে ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান ছিল। পরপর উইকেট হারিয়ে ভেঙে পড়ে লখনউর ব্যাটিং। ৫ উইকেট পান আকাশ। মেডেন ওভার পান ক্রিস জর্ডন। গোটা ম্যাচে ৩টি রান আউট করে মুম্বই। ওভারঅল পারফরম্যান্স করে জয় ছিনিয়ে নিল মুম্বই।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ রান তোলেন রোহিতরা। ৪ উইকেট পান নবীন উল হক। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কুইন্টন ডি কক কেন নেই, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কাইলি মেয়ার্সের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন প্রেরক মানকাড়। তিনে নামেন ক্রুনাল। ১৮ রান করে ফেলেন মেয়ার্স। ২৭ বলে ৪০ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। আর ৪ উইকেট তুলে নেন মেধওয়াল।
চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) সঙ্গে নাকি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (Rabindra Jadeja)। প্লে-অফের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। প্লে-অফে ম্যাচের পর বিশেষ সম্মান পাওয়ার পর টুইটে মুখ খুললেন জাদেজা।
বেশ কিছুদিন আগে জাদেজা জানান, সাত নম্বরে তিনি ব্যাট করতে আসলে, সমর্থকরা হতাশ হয়ে যান। কারণ, ওই ৭ নম্বরে তাঁরা ধোনিকে দেখতে চান। প্লে-অফের আগে তাঁর একটি টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতেও মাঠে ধোনি ও জাদেজাকে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। মনে করা হয়, অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়েছে। এই ম্যাচে জিতে জাদেজা লেখেন, তিনি যে দলের সেরা সম্পদ, সেটা কিছু সমর্থক জানেন না।
প্লে-অফে জাদেজার ব্যাট থেকে ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস আসে। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।