
শ্যামল মিত্রর একটা গান ছিল 'আহা নীলা যেন কারু সয়ে কারুর সয়ে না।' নীলা এমন একটি রত্ন , কথায় আছে এটা সবাই ধারণ করতে পারে না। অবশ্য এসব জ্যোতিষের কথা, তবে ক্রিকেটে ভাগ্য বলে একটি কথা চালু আছে। যেমন মুম্বাইয়ের মাঠে রোহিত শর্মা তেমন ভালো খেলতে পারেন না। কিন্তু ইডেনে খেলতে নামলেই রোহিত বাঘ হয়ে যান। সৌরভ গাঙ্গুলির তেমনিই ইডেন পয়া মাঠ নয়। আবার ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভের কাছে আইপিএল কোনও ভাবেই পয়া টুর্নামেন্ট নয়। ভারতীয় দল থেকে মোটামুটি বিদায় নেওয়ার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সে শাহরুখ খান সৌরভকে অধিনায়ক করে নিয়ে আসেন।
তিন বছর খেলেছেন এই দলে প্রিন্স অফ কলকাতা। কিন্তু কোনও বছরই চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা সেরা তিনের মধ্যেও যেতে পারেনি কেকেআর। কার্যত বাদ পড়েন দল থেকে। এরপর কেনা বেচার অকশনে সৌরভ দলই পান নি প্রথমে। পরে পুনের একটি দল ( বর্তমানে অস্তিত্ব নেই ) সৌরভকে কিনে নেয় এবং অধিনায়ক করে। কিন্তু এখানেও অসফল হন মহারাজ।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। সৌরভ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে সিএবির সভাপতি হন। পরে ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআইয়ের সভাপতিও হন। ওই সময়ে ভারতে আইপিএল শুরু হয়েও করোনা প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুবাইয়ে সেই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সৌরভের সভাপতিত্ব চলে যায়। আশা করা গিয়েছিলো হয়তো তাঁকে কমেন্ট্রি বক্সে পাওয়া যাবে। কিন্তু তিনি দিল্লি আইপিএল দলের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ শুরু করেন। এখানেও অসফল সৌরভ গাঙ্গুলি। এ বছর যে কটি ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালস খেলেছে সবকটিতেই হেরেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রায় জেতা ম্যাচে দিল্লি হেরেছে এই আইপিএল-এ আরেক নিয়মিত হারা দল মুম্বাইয়ের কাছে। সৌরভের চিরশত্রু রবি শাস্ত্রী বোধ হয় এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে খেলা শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত সমালোচনা করেন সৌরভের।