Breaking News
Deganga: গুরুতর অভিযোগ! মিড ডে মিলের চাল লুকিয়ে রাখা হচ্ছে স্কুলের শৌচালয়ে      Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন      Recruitment Scam: এবারে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি!      Jyotipriya: এসএসকেএম-এও নেই স্বস্তি! সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ আদালতের      CBI: কোথাও বিধায়ক, কাউন্সিলর, কোথাও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা, রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় সিবিআই      Mamata Banerjee: 'অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা', বিজেপি বিধায়কদের চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার      Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট      Suvendu: অসম্মানজনক আচরণ! শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু      Fraud: সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার, বৃদ্ধের ব্যাংক থেকে উধাও দেড় লক্ষ টাকা      ED: কখনও হৃদরোগ, কখনও বা মানসিক, কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে ইডির সঙ্গে লুকোচুরি এসএসকেএমের     

আই পি এল

IPL: নেতৃত্বে ফিরছেন রোহিত, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কি জিততে পারবে হায়দরাবাদ

দুই দলই আইপিএলের (IPL) প্রথম দু’টি ম্যাচে হেরেছে। দুই দলই আগের ম্যাচে জিতেছে। মঙ্গলবার আইপিএলে সেই মুম্বই (MI) এবং হায়দরাবাদ (SRH) একে অপরের বিরুদ্ধে নামছে। দুই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং আইডেন মার্করামের লক্ষ্য জয়ের ধারা বজায় রাখা। কিন্তু ম্যাচের আগে ধারেভারে কোনও দলকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। দুই দলই অবশ্য কলকাতাকে হারিয়েছে।

মুম্বইয়ের পক্ষে আশার কথা তাদের ব্যাটারদের ছন্দে ফেরা। কলকাতার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলেছেন ঈশান কিশন। মারকুটে খেলে অর্ধশতরান করেছেন। সূর্যকুমার যাদবের ছন্দ খারাপ যাচ্ছিল। তিনিও ২৫ বলে ৪৩ করে ছন্দে ফিরেছেন। প্লে-অফে যেতে গেলে এই দুই ব্যাটারকে ছন্দে থাকতেই হবে। একই সঙ্গে চাই রোহিতের ছন্দ। আগের ম্যাচে রোহিত পেটের সমস্যায় ফিল্ডিং করেননি। তবে ব্যাট করেছেন সাবলীল ভাবেই। অধিনায়কত্ব করেন সূর্যকুমার। হায়দরাবাদ ম্যাচে রোহিতেরই নেতৃত্বে ফেরার কথা।

বোলিং বিভাগে একটু পিছিয়ে থাকবে মুম্বই। আগের ম্যাচে অর্জুন তেন্ডুলকর এবং ডুয়ান জানসেনের অভিষেক হয়েছিল। কেউই প্রভাব ফেলতে পারেননি। জফ্রা আর্চার এই ম্যাচে ফিরলে যেকোনও একজনকে বসতে হবে। অর্জুনকে আর কোনও ম্যাচে খেলানো হয় কি না সেটাও দেখার।

হায়দরাবাদের হ্যারি ব্রুক শতরান করে ফুটছেন। আইপিএলের প্রথম শতরান এসেছে এই ১৩ কোটির ব্যাটারের থেকেই। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন অভিষেক ত্রিপাঠীও। অধিনায়ক মার্করামও যেকোনও দিন বিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেন। ডুয়ানের ভাই মার্কো জানসেন খেলেন হায়দরাবাদের হয়ে। ফলে মঙ্গলবার দুই ভাই একে অপরের মুখোমুখি। আইপিএলের ইতিহাসে তাঁরাই প্রথম যমজ হিসাবে খেলছেন। তবে মুম্বইয়ের ব্যাটিংকে বিপদে ফেলতে গেলে হায়দরাবাদের উমরান মালিক, ভুবনেশ্বর কুমারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।

8 months ago
CSK: কোহলিদের ঘরের মাঠেই, কোহলিদের বিজয় রথ থামালো ধোনিরা

বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) ঘরের মাঠে দাপট দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল (MS Dhoni)। টস হেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দাপুটে ব্যাটিং করে রান তুললেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ের তুলনায় তাঁদের দাপট ম্লান মনে হলেও শেষ হাসি হাসলেন ধোনিরাই। ধোনিদের ৬ উইকেটে ২২৬ রানের জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করল ৮ উইকেটে ২১৮।

৭৫ দিন আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের ২২ গজে। শুকনো এবং পাটা উইকেটে কত রান করলে নিরাপদে থাকা যাবে, তা নিয়ে ম্যাচের শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না ধোনি। তাই চেন্নাই অধিনায়কের নির্দেশ ছিল, যতটা সম্ভব বেশি রান তুলতে হবে। সেই মতোই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩) দ্রুত আউট হলেও প্রভাব পড়ল না চেন্নাইয়ের ইনিংসে। অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরাও একই রকম দাপটে খেললেন। কনওয়ে খেললেন ৪৫ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা রাহানে করলেন ২০ বলে ৩৭। এ বারের আইপিএলে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন রাহানে। শিবমকে সামলাতেও সমস্যায় পড়লেন আরসিবির বোলাররা। তাঁর ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।

এক সময় মনে হচ্ছিল ধোনিরা ২৪০ রানের কাছাকাছি তুলবেন। তা হল না শেষ দিকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয়। মইন আলি ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও অম্বাতি রায়ডু, রবীন্দ্র জাডেজারা ব্যাট হাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। রায়ডু ৬ বলে ১৪ এবং জাডেজা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শেষে মইনের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধোনি (১)।

বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হারসঙ্গ। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরুর সব বোলারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন।

জয়ের জন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বেঙ্গালুরুর। প্রথমেই আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ৪ বলে ৬ রান করে আকাশ সিংহের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা মহীপাল লোমরোরও (শূন্য)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় আরসিবিরা। সেই চাপ কাটল অধিনায়ক ডুপ্লেসির ব্যাটে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না তাঁরা। ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটির দাপটে কিছুটা দিশেহারা দেখাল অভিজ্ঞ ধোনিকেও। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৬১ বলে ১২৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করলেন ৩৬ বলে ৭৬ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ৮টি বিশাল ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না ডুপ্লেসিও। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৬২ রান। তিনি মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।

তাঁরা পর পর আউট হওয়ার পর আবার লড়াইয়ে ফেরেন ধোনিরা। যদিও বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। কার্তিক আউট হলেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। তাঁর পরই সাজঘরে ফিরলেন শাহবাজ়ও (১২)। এই দুই ব্যাটার আউট হতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে সুযশ প্রভুদেশাই চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান।

চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার দেশপাণ্ডে নিলেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ৪২ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেন আকাশ সিংহ, মাহিশ থিকসানা এবং মইন আলি।

8 months ago
Cricket: আইপিএলে মহারণ! ধোনির চেন্নাইয়ের মুখোমুখি বিরাটের ব্যাঙ্গালোর

সোমবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু। কোহলিদের বিরুদ্ধে ধোনিদের নজির ভাল। দু’দলের মধ্যে আইপিএলে ৩০টি ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে ২০টি ম্যাচ জিতেছে চেন্নাই। বেঙ্গালুরু জিতেছে ১০টি ম্যাচ। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দু’দলই ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। পয়েন্টও সমান (৪)। অর্থাৎ, পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য দু’দলের কাছেই এই ম্যাচ সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আইপিএলে চেন্নাইকে ২০০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। তার মধ্যে চেন্নাই জিতেছে ১২০টি ম্যাচ। হেরেছে ৭৯টি ম্যাচ। এই নজির গড়া সহজ নয় বলে মনে করে ক্রিকেট মহল। ক্রিকেট মহলের মতে, ২০০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া খুব কঠিন। কারণ, মাথার উপর বিশাল চাপ নিয়েও ভাল খেলতে হয়। নিজের ব্যাটিংয়ের দিকেও মন দিতে হয়। কিন্তু ধোনির বিষয়টা আলাদা। ও অন্য ধরনের অধিনায়ক। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে ওর মতো অধিনায়ক আর দেখতে পাব না।

ওদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ের দিকে। প্রথম থেকেই বিরাট কোহলি ও প্লেসিস ফর্মে রয়েছেন।  পাশাপাশি চেন্নাইয়ে ফর্মে রয়েছেন ঋতুরাজ। চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালোরের দুপক্ষই বোলিং দিক থেকে সমান মাপের।

8 months ago


KKR: রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই

রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে কলকাতাকে (KKR) ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই (MI)। ব্যাটারদের ব্যর্থতা, দলগঠনে পরিকল্পনার অভাব, জোরে বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং (IPL)। সব মিলিয়ে আরও এক বার আরব সাগরে জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল কলকাতার। আরও এক বার শাহরুখ খানের শহরে হারতে হল কলকাতাকে। বেঙ্কটেশ আয়ারের শতরান দিনের শেষে দাম পেল না। রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই। টানা দ্বিতীয় জয় পেল তারা। এ দিকে, কলকাতা টানা দু’টি ম্যাচে হেরে গেল।

মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল দিনটা কেমন হতে চলেছে। প্রথম ওভারে উমেশ যাদব ২ রান দিলেন বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকে স্বমূর্তি ধারণ করলেন ঈশান কিশন এবং রোহিত শর্মা। শার্দূল ঠাকুরের ওভার থেকে এল ১৬। তাঁকে দেখে তৃতীয় ওভারে উমেশও নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং শুরু করলেন। তাঁর ওভার থেকে ১৭ রান এল।

ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন তাণ্ডব চালাচ্ছেন ঈশান। মাঠের বিভিন্ন দিকে তাঁর মারা শট উড়ে যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন রোহিতও। পাওয়ার প্লে-তেই মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে ৭২ রান উঠে যায়। ম্যাচের ভবিষ্যৎ ওখানেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। অর্ধশতরান করে ঈশান ফিরতেও রান তোলার গতি কমেনি। সূর্যকুমার যাদব যেন কলকাতা ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন রানে ফেরার জন্য। পুরনো দলের বিরুদ্ধে আরও এক বার জ্বলে উঠতে দেখা গেল তাঁকে।

তার আগে অবশ্য ওয়াংখেড়ে জুড়ে ছিলেন শুধুই বেঙ্কটেশ এবং বেঙ্কটেশ। ইডব্লিউএ দিবস উপলক্ষে নানা পরিকল্পনা করেছিল মুম্বই। গোটা গ্যালারির রং নীল। পাশেই নীল সমুদ্র। গ্যালারি এবং সমুদ্রে একইসঙ্গে ঢেউ তুলে দিলেন কলকাতার ব্যাটার। ব্যাট হাতে এমনিতেই তিনি ধারাবাহিক। কিন্তু রবিবার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বেঙ্কটেশ। মুম্বইয়ের কোনও বোলারই তাঁর সামনে টিকতে পারেননি। অফসাইডে হোক লেগ সাইডে, সব দিকেই সমান স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যাট করলেন বেঙ্কটেশ।

কলকাতার ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা কবে মিটবে কেউ জানেন না। এ দিনও রহমানুল্লা গুরবাজ এবং নারায়ণ জগদীশন ওপেন করলেন। চলতি মরসুমে টানা তৃতীয় বার। কিন্তু সাফল্য এল না। জগদীশন যে ওপেন করার মতো যোগ্য ক্রিকেটারই নন, এটা হয়তো কেকেআরের বোঝার সময় এসেছে। এ দিন পাঁচটি বল খেলে খাতাই খুলতে পারলেন না। একই কথা বলা যেতে পারে গুরবাজের ক্ষেত্রেও। রিজার্ভ বেঞ্চে লিটন দাসের মতো ক্রিকেটার বসে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও খারাপ ছন্দে থাকা গুরবাজকে প্রতিটি ম্যাচে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি অর্ধশতরান ছাড়া পাঁচটি ম্যাচে কেকেআরের হয়ে কিছুই করতে পারেননি তিনি।

বেঙ্কটেশ না থাকলে এ দিন কেকেআরের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছত কিনা বলা মুশকিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আন্দ্রে রাসেলের ২১। একার হাতে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেলেন কেকেআরের ইনিংসকে। কলকাতার ইনিংসে ১০টা ছক্কার মধ্যে ৯টাই তাঁর। মুম্বই বোলারদের একার হাতে শাসন করলেন তিনি।

শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু মাঝের দিকে ওভারে হঠাৎই কলকাতার রানের গতি অনেকটা কমে গেল। শতরানের কাছাকাছি এসে বেঙ্কটেশ আর ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতে চাননি। খুচরো রান করার দিকে নজর দিয়েছিল। উল্টো দিকে থাকা রিঙ্কু সিংহকেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল না। রিঙ্কু এ দিন হতাশই করলেন। স্বভাববিরোধী ক্রিকেট খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে চার-ছয়ের প্রত্যাশাই করেন কেকেআরের সমর্থকরা। সেখানে রিঙ্কু ১৮টি বল খেলে মাত্র ২টি চার মেরেছেন।

8 months ago
IPL: হাইভোল্টেজ রবিবারে সন্ধ্যায় গুজরাতের মুখোমুখি হবে রাজস্থান

হাইভোল্টেজ রবিবারে সন্ধ্যায় গুজরাতের (GT) মুখোমুখি হবে রাজস্থান (RR)। গুজরাতের ঘরের মাঠে এই খেলা শুরু হবে সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ। এই মাঠে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যাটিং করা দলগুলো সফল হয়েছে। আইপিএল (IPL) ২০২৩-এর প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস ১৭৮/৭ স্কোর করার পরে টাইটানস ১৮২/৫ ছুঁয়েছে। গত রবিবার, নাইট রাইডার্স স্বাগতিক টাইটানদের বিরুদ্ধে ২০৫ রান তাড়া করে একটি বিখ্যাত বিজয় অর্জন করেছে। এই খেলার জন্য ব্যাটিং-বান্ধব অবস্থাও আশা করা যেতে পারে। দলগুলি এখানে তাড়া করতে পছন্দ করবে কারণ, এখানে খেলা চারটি ম্যাচ - গত সংস্করণে দুটি এবং এখন পর্যন্ত দুটি - দ্বিতীয় ব্যাট করা দলগুলি জিতেছে। এদিকে, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকবে। টাইটানরা রয়্যালসের বিপক্ষে একটি অপরাজিত রেকর্ড উপভোগ করছে, ফাইনাল সহ গত মৌসুমে তাদের তিনবার পরাজিত করেছে গুজরাত।

রশিদ খান এবং মোহিত শর্মা, তাদের মধ্যে, আইপিএলে পাঁচবার জস বাটলারকে আউট করেছেন এবং টাইটানরা পাওয়ারপ্লেতে তাদের ব্যবহার করতে পারে। রশিদ দেবদত্ত পাডিক্কল এবং শিমরন হেটমায়ারের বিরুদ্ধেও কার্যকরী, দুইবার করে তাদের উইকেট পেয়েছেন। মহম্মদ শামিও হেটমায়ারকে ১৭ ডেলিভারিতে চারবার আউট করেছে, ফলে হেটমায়ারকে আউট করার জন্য সাহায্য করতে পারেন।

পান্ডিয়া এবং ডেভিড মিলারের বিরুদ্ধে রয়্যালসের পক্ষে যুজবেন্দ্র চাহাল একটি অনুকূল ম্যাচ-আপ লেগস্পিনার। যিনি গুজরাত অধিনায়ককে দুইবার আউট করেছেন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে সঞ্জু স্যামসনকে আরও ৫৪ রান করতে হবে। পাশাপাশি হার্দিক পান্ড্য, যিনি ইতিমধ্যে আইপিএলে ৫০টি উইকেট নিয়েছেন, টুর্নামেন্টে ২০০০ রান ছুঁতে আরও ১৬ রান প্রয়োজন। আর মাত্র পাঁচজন খেলোয়াড় আইপিএলে ২০০০-র বেশি রান এবং পঞ্চাশের বেশি উইকেটে অর্জন করেছেন এবং পান্ডিয়া এটি করার জন্য সবচেয়ে কম বয়সী হবেন।

8 months ago


Arjun: মুম্বইয়ের মাঠে কেকেআরের বিরুদ্ধে অভিষেক সচিন পুত্রের, করলেন বলও

আজ অর্থাৎ রবিবার মুম্বইয়ের (MI) অধিনায়কত্ব করবে সূর্য যাদব। পাশাপাশি রবিবার দু'বছর পর আইপিএলে (IPL) অভিষেক হল অর্জুন তেন্ডুলকরের (Arjun Tendulkar)। রবিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতার বিরুদ্ধেই আইপিএলের প্রথম বল করলেন তেইশ বছরের অর্জুন। টস জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই অধিনায়ক সূর্য যাদব। প্রথম ওভার তুলে দেন অর্জুনের হাতে। ২০২১ সাল থেকে দলের সঙ্গে আছেন। গতবছর নিলামে তাঁকে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বই দলে নিয়মিত সুযোগ না পাওযার জন্য এ বছর গোয়ার হয়ে খেলছেন অর্জুন। এখনও পর্যন্ত ৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন অর্জুন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৯টি উইকেট। ব্যাট হাতে করেছেন ১৫১ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শতরান রয়েছে তাঁর। অর্জুনের সর্বোচ্চ রান ১২০। ২০১৩ সালে আইপিএলে শেষবার খেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। এক দশক পর সেই মুম্বইয়ের মাঠে রবিবার অভিষেক হল আর এক তেন্ডুলকরের।

প্রসঙ্গত রবিবার বিকেলের ম্যাচে মরশুমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে কলকতার ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। ২০ ওভারে মুম্বইয়ের সামনে ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল কেকেআর।


8 months ago
MI: মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামছে কেকেআর, রিঙ্কুকে কি রুখতে পারবে মুম্বই

মুম্বইয়ের (MI) ঘরের মাঠে আজ অর্থাৎ রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামছে কেকেআর (KKR)। এমনিতে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের (SRH) কাছে হারলেও কেকেআরের ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গাতেই রয়েছে। পর পর তিনটি ম্যাচে দুশোর উপর রান তুলেছে তারা। আগের ম্যাচে হারতে হলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। আর আমদাবাদে গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচ তো রিঙ্কু সিংহের সৌজন্যে লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। রবিবার মুম্বইকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরতে মরিয়া কেকেআর।

হায়দরাবাদকে হারালেও দলের পরিবেশ ভালই। শনিবার ছিল পয়লা বৈশাখ। সকালে হোটেলে ঢেলে খাওয়াদাওয়া হয়। বাঙালি উপকরণ ছিল মেনুতে। শার্দূল ঠাকুর জমিয়ে চিংড়ির মালাইকারি খেয়েছিলেন। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত আবার মিষ্টি দই বলতে অজ্ঞান। মাছ চেখে দেখেছিলেন লকি ফার্গুসন। দুপুরের বিমানে রওনা হয়ে বিকেলেই মুম্বই পৌঁছে গেল কেকেআর। তবে রবিবার দুপুরে খেলা হওয়ায় কোনও সাংবাদিক বৈঠক হয়নি।

মুম্বই এই ম্যাচে পাবে না জফ্রা আর্চারকে। তাই জোরে বোলিং সামলাতে হবে জেসন বেহরেনডর্ফ এবং রিলি মেরেডিথকে। স্পিন বিভাগে পীযূষ চাওলা রয়েছেন। এ ছাড়া টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিন, তিলক বর্মা এবং ঈশান কিশনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। রোহিতকেও ছন্দে থাকতে হবে। দিল্লি ম্যাচে অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়েছেন। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ড এমনিতেই ভাল।

এ দিকে, কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নামবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। আগের ম্যাচে বল করতে গিয়ে খোঁড়াতে দেখা গিয়েছে। ব্যাট হাতেও খুব খারাপ ছন্দে। তাঁকে বাদ দিলেও বলার কিছু নেই। লিটন দাসের অভিষেকের দিকে নজর থাকবে। বাকি দল মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

8 months ago
LSG: শেষ ওভারে ২ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পঞ্জাবের

শিখর ধাওয়ানের (Sikhar Dhawan) অনুপস্থিতিতে রুদ্ধশ্বাস জয় পাঞ্জাবের (PBKS)। শনিবারের টান টান উত্তেজনার ম্যাচে প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব কিংসকে ২ উইকেটে জয় এনে দিলেন শাহরুখ খান। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও হেরে গেল লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। রাহুলদের ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে পঞ্জাব করল ৮ উইকেটে ১৬১।

পঞ্জাবের ইনিংসে বোঝা গেল অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতি। চোটের জন্য তিনি শনিবারের ম্যাচ খেলতে পারেননি। পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিলেন স্যাম কারেন। তাতে অবশ্য জয় আটকাল না। জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পঞ্জাবের। ১৭ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। ব্যর্থ দুই ওপেনার অথর্ব তাইডে (শূন্য) এবং প্রভশিমরন সিংহ (৪)। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা যুধবীর সিংহ দুই ওপেনারকেই আউট করে পঞ্জাবকে ধাক্কা দিলেন শুরুতেই। এর পর দলের হাল ধরেন তিন নম্বরে নামা ম্যাথু শর্ট। তিনি করলেন ২২ বলে ৩৪ রান। মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। চার নম্বরে নেমে হরপ্রীত সিংহ করলেন ২২ বলে ২১। বল হাতে ৩ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ কারেন। ৬ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেন এ দিনের পঞ্জাব অধিনায়ক। পঞ্জাবকে লড়াইয়ে রাখল সিকান্দার রাজার ইনিংস। যদিও সতীর্থদের থেকে তেমন সাহায্য পেলেন না জ়িম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪১ বলে ৫৭ রান। ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কা মারলেন রাজা। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবকে জয় এনে দিলেন শাহরুখ খান। তিনি আট নম্বরে নেমে করলেন ১০ বলে অপরাজিত ২৩ রান। মারলেন ১টি চার এবং ২টি ছয়। রাজা আউট হওয়ার পর তিনিই ছিলেন প্রীতির দলের ভরসা। দলকে হতাশ করলেন না তিনি। লখনউয়ের সফলতম বোলার রবি বিষ্ণোই ১৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৯ রানে ২ উইকেট যুধবীরের। মার্ক উড ৩৫ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং ক্রণাল পাণ্ড্য।

শনিবার আবার চেনা ছন্দে রাহুল। তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়ের সুবাদে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করে লখনউ। অন্য ওপেনার কাইল মেয়ার্স এবং তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা আউট হওয়ার পরেও দায়িত্ব নিয়ে খেললেন লখনউ অধিনায়ক। এ বারের আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন রাহুল। মূলত তাঁর ইনিংসের উপর ভর করেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে লখনউ লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয়। রাহুলের ব্যাট থেকে এল ৫৬ বলে ৭৪ রান। মারলেন ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা। প্রায় শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংসকে টানলেন তিনি।

মেয়ার্স ভাল শুরু করলেও বড় রান পেলেন না। ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে গেলেন হরপ্রীত ব্রার বলে। মারলেন ১টি চার এবং ৩টি ছয়। তিন নম্বরে নামা দীপক (৩ বলে ২ রান) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। ৬২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর অধিনায়কের সঙ্গে দলের ইনিংস গড়ার কাজ করলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। তিনি মূলত উইকেটের এক দিক আগলে রাখার দায়িত্ব পালন করলেন। যদিও বড় রান করতে পারলেন না তিনি। ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন কাগিসো রাবাডার বলে। পাঁচ নম্বরে নামা নিকোলাস পুরানকে (শূন্য) প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরালেন রাবাডা। পর পর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। কমে যায় রান তোলার গতি। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর রাহুলের সঙ্গে জুটি বাধেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। তিনিও সাফল্য পেলেন না পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। ১১ বলে ১৫ রান করলেন তিনি। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয় লখনউ রান তোলার গতি কোনও সময়ই তেমন বাড়াতে পারেনি।

কারেন টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সাত জন বোলারকে ব্যবহার করলেন তিনি। কোনও বোলারের বিরুদ্ধে থিতু হওয়ার সুযোগ দিলেন না লখনউয়ের ব্যাটারদের। পঞ্জাবের সফলতম বোলার কারেন ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ৩৪ রানে ২ উইকেট রাবাডার। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ফিল্ডিং করলেন শাহরুখ। দু’টি ভাল ক্যাচ নেন তিনি।

8 months ago


DC: ৫টি ম্যাচ খেলেও জয় অধরা দিল্লির, প্রশ্নের মুখে সৌরভ-পন্টিংয়ের ভূমিকা

৫টি ম্যাচ খেলেও জয় অধরা দিল্লির (DC), শনিবার বিকেলে ব্যাঙ্গালোরের ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল দিল্লি। টসে জিতে প্রতিপক্ষ ব্যাঙ্গালোরকে (RCB) প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। প্রথম ব্যাট পেয়ে ভালো শুরু করে ব্যাঙ্গালোর। কোহলির (Virat Kohli) অর্ধশতরান ছাড়াও রান আসে ম্যাক্সওয়েল, লোমরো ও প্লেসিসের ব্যাটে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালোর মোট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে। ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, প্রথম পাওয়ার-প্লেতে ৪ উইকেট হারায় দিল্লি। তারপরে তাসের ঘরের মত উইকেট পড়তে থাকে। সব শেষে দিল্লি ২০ ওভারে বলে ৯টি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয়। ব্যাঙ্গালোরের কাছে ২৩ রানে হারতে হয় দিল্লিকে।

টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের কোহলির ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৫০ রান, প্লেসিস করে ১৬ বলে ২২ রান, লোমরো ১৮ বলে ২৬ রান করে, এছাড়া ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে ১৪ বলে ২৪ রান আসে, শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে আসে ১২ বলে ২০ রান। মোট ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাঙ্গালোরের রান ১৭৪।  ১৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট হারায় দিল্লি।

শুন্য রানে ফেরেন পৃথ্বী শ ও মিচেল মার্শ। উল্লেখযোগ্য মনীশ পাণ্ডে ৩৮ বলে ৫০ রান করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজে এল না তাঁর লড়াই। ওয়ার্নার করে ১৯ রান। ১৪ বলে ২১ রান করে অক্ষর প্যাটেল। পাশাপাশি নোকিয়ে ১৪ বলে ২৩ রান করে। টসে জিতে প্রথম বলে গিয়ে দিল্লির পক্ষে উল্লেখযোগ্য ২টি করে উইকেট নেয় মার্শ ও কুলদীপ যাদব। একটি করে উইকেট নেয় অক্ষর ও ললিত যাদব। পাশাপাশি ব্যাঙ্গালোরের হয়ে উল্লেখযোগ্য ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়। সিরাজ নেয় ২ উইকেট ও ১টি করে উইকেট নেয় পার্নেল, হাসারাঙ্গা ও হার্শল প্যাটেল। শনিবারের দিল্লির হারের পর প্রশ্নের মুখে কোচ পন্টিং ও মেন্টর সৌরভের ভূমিকা।

8 months ago
IPL: ঘরের মাঠে লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলছে পঞ্জাব, হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা

আইপিএলের (IPL) ২১তম ম্যাচে শনিবার লখনউয়ের (LSG) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে পঞ্জাব (PBKS)। লখনউয়ের ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জিততে চাইবে দুই দলই। খেলাটি স্কোয়ারের পিচ ৩-এ খেলা হবে এবং কিউরেটরের মতে উইকেটের পিছনের বাউন্ডারি ৫৫ মিটারের কম লম্বা। এই প্রান্তে আইপিএলের ২১তম ম্যাচে শনিবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে পঞ্জাব। লখনউয়ের ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জিততে চাইবে দুই দলই। খেলাটি স্কোয়ারের পিচ ৩-এ খেলা হবে এবং কিউরেটরের মতে উইকেটের পিছনের বাউন্ডারি ৫৫ মিটারের কম লম্বা।

এই প্রান্তে ব্যাটারদের থেকে প্রচুর হাতবদল এবং স্কুপ আশা করা যায় বলে ক্রিকেট বিশেষেজ্ঞদের মত। নেট প্র্যাকটিসের সময় লখনউয়ের ব্যাটিংয়ে এমন স্কুপ শট দেখা যায়। লখনউতে একটু উষ্ণ, মেঘলা সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং যদি সেই পূর্বাভাসটি সত্যি থাকে তবে শিশির ফ্যাক্টরটি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। এই মরসুমে তারা যে ধরনের জয় পেয়েছে তা দেখে উভয় দলই প্রথমে বল করতে চাইবে।

লখনউয়ের অমিত মিশ্র-রবি বিষ্ণোই একটি স্পিন জুটি তৈরি করেন, যা ধাওয়ানের বিরুদ্ধে একটি সহজ কৌশল হবে। এই মরশুমে ধাওয়ান একজন সবচেয়ে সফল ব্যাটার। বাম-হাতি এই ব্যাটার যিনি বর্তমানে ব্যাটিং চার্টের শীর্ষে বসে আছেন, আইপিএল ২০১৯ সাল থেকে ডানহাতি লেগ-ব্রেক বোলারদের বিরুদ্ধে গড় মাত্র ২৫ এবং বিশেষ করে মিশ্রের বিরুদ্ধে তাঁর পায়ের আঙুলে থাকতে হবে, যিনি তাঁকে ৩৩ বলে তিনবার পেয়েছেন। পাশাপাশি নজরে থাকবে নিকোলাস পুরান, যিনি বাঁহাতি সিমারদের বিরুদ্ধে সাফল্য লাভ করেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে এই খেলা শুরু হবে।

8 months ago


Nitish: হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং-বোলিংকে দুষলেন কেকেআর অধিনায়ক

হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং ও বোলিংকে দুষলেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক (Cptain) নীতীশ রানা (Nitish Rana)। শুক্রবারের হারের পর সাংবাদিকদের জানালেন, 'রিঙ্কু কি রোজ রোজ ম্যাচ জেতাবে নাকি!' ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক হয়নি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হারতে হয়েছে নীতীশ রানাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রান করেছিল হায়দরাবাদ। অনেক চেষ্টা করলেও সেই রান তাড়া করতে পারেনি কলকাতা। অর্ধশতরান করেছেন দলের অধিনায়ক নীতীশ ও রিঙ্কু সিং। কিন্তু আগের ম্যাচের অবিশ্বাস্য জয় এই ম্যাচে দেখা যায়নি। ম্যাচ হারার পরে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় রিঙ্কুর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। তারপরেই এমন মন্তব্য করেন অধিনায়ক নীতিশ রানা।

খেলা শেষে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয় যে, রিঙ্কুকে কি ব্যাটিং অর্ডারে আরও উপরে নামানো উচিত ছিল? বিশেষ করে যেখানে আন্দ্রে রাসেল এত খারাপ ছন্দে রয়েছেন। এই প্রশ্ন শুনে খানিক বিরক্ত হন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘২৩০ রান তাড়া করা সহজ নয়। সেটা যে মাঠেই হোক না কেন। আর রোজ রোজ তো রিঙ্কু আমাদের জেতাবে না। ১০ দিনে এক দিন ওর ওই ইনিংস দেখা যাবে। রোজ রোজ না।’ নীতীশ আরও বলেছেন, ‘আমরা ভাল ব্যাট করেছি। শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। ২০০ রান যে হবে সেটা মনে হয়েছিল। কিন্তু আরও অনেক বেশি রান হয়ে গেল। বোলারদের আরও ভাল বল করা উচিত ছিল।’

8 months ago
KKR: ব্যাট-বলে অসফল কেকেআর, ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের কাছে ২৩ রানে হার কলকাতার

শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেও অসফল রিঙ্কু (Rinku Singh) ও কেকেআর (KKR)। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের (SRH) কাছে ২৩ রানে হার কলকাতার। শুক্রবার টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। ব্যাটে নেমে ২২৯ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা সেট করে হায়দরাবাদ, ব্যাটে নেমে একদম ভালো করতে পারেনি কেকেআর। শেষ অবধি ম্যাচের হাল ধরে অধিনায়ক নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। শেষে রানা আউট হয়ে যাওয়ার পর একাই লড়ে যায় রিঙ্কু। কিন্তু পাহাড় সমান রানের লক্ষ্যমাত্রা একসময় অসম্ভব হয়ে যায়। শেষে ২৩ রানে হারতে হয় কলকাতাকে। রিঙ্কু ৩১ বলে ৫৮ রান করে নট আউট ছিল।

শুক্রবার ঘরের মাঠে টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় কলকাতা। ব্যাটে নেমে হ্যারি ব্রুক জ্বলে ওঠে। রান আসে অভিষেক শর্মা ও মার্ক্রমের ব্যাটেও। ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে হায়দরাবাদ। ওই ইনিংসে ব্রুক ৫৫ বলে ১০০ রান করে। যা আইপিএলের প্রথম শত রান। মার্ক্রমের ব্যাটে ২৬ বলে ৫০ রান আসে। শর্মা করে ১৭ বলে ৩২ রান। ২২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে জগদীশন ছাড়া রান পায়নি টপ অর্ডার কেউই। উল্লেখযোগ্য রানা ৪১ বলে ৭৫ রান করে, ও জগদীশন ২১ বলে ৩৬ রান করে। শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

প্রথমে বল করতে নেমেও ব্যর্থ কেকেআর, একমাত্র রাসেল ৩টি উইকেট পায় ও বরুন পায় একটি উইকেট। এ ছাড়া ফার্গুসন ২ ওভারে ৩৭ রান দেয়। উমেশ দেয় ৩ ওভারে ৪২ রান। ওদিকে ওদিকে বলে সফল হায়দরাবাদ। ১টি করে উইকেট পায় ভুবনেশ্বর, নটরাজন, ও উমরান। ২ টি করে উইকেট পায় জসেন ও মার্কণ্ডে। শনিবারের ম্যাচে অন্তত এটা স্পষ্ট যে রিঙ্কু সিং একদিনের জন্য আসেনি। রিঙ্কু যে লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা ও বুঝিয়ে দিয়েছে।

8 months ago
Rinku: 'একদিন হবে না, কিন্তু একদিন হবেই', সতীর্থদের বলেছিলেন রিঙ্কু

মণি ভট্টাচার্য: 'একদিন হবে না, কিন্তু একদিন হবেই' ড্রেসিং রুমে বসে সতীর্থদের সেদিনের কথা শোনাচ্ছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ২০২২ সালে একটুর জন্য ম্যাচটা (IPL) জেতাতে সফল হননি তিনি। ড্রেসিংরুমে ফিরে এসে সতীর্থদের বলেছিলেন, 'একদিন হবে না, কিন্তু একদিন হবেই।' সাতবছর পর সুযোগ পেয়ে শেষ ওভারে ৫টা ছক্কা মেরে, হারতে বসা ম্যাচ কেকেআরকে (KKR) জিতিয়েছেন রিঙ্কু সিং। হয়েছেন সেই রাতের নায়ক। শুক্রবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। রিঙ্কুর ঘনিষ্ঠ মাধ্যম সূত্রে খবর, রিঙ্কু তাঁর ঘনিষ্ঠ মাধ্যমে বলেছে, এই সবে নায়ক হওয়া শুরু। আরও নায়ক হওয়া বাকি।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাতের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে ওই ওভারটি। শেষ ৫ বলে ২৮ রানের জবাবে ৫ টাই ছক্কা মারে রিঙ্কু। ম্যাচ জিতে মনে করেন বাবা ও পরিবারকে। ম্যাচ জিতে রিঙ্কু এই জয় তার বাবাকে উৎসর্গ করেছিল। তাঁর বাবা পেশায় একজন ছোট্ট ব্যবসায়ী। আর্থিক অনটনে ঝাড়ুদার হতে হয়েছিল আজকের নায়ক রিঙ্কুকে। একেই হয়ত প্রত্যাবর্তন বলে। ঝাড়ুদার থেকে কেকেআর নায়ক রিঙ্কু হওয়ার লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু ও থেমে যায়নি।


২০২২ সালে লখনউয়ের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বলে ৪০ রান করে ঘরে ফিরতে হয়, একটুর জন্য হাতছাড়া হয় ম্যাচ। রিঙ্কুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ওই রাতে ড্রেসিং রুমে ফিরে সতীর্থদের বলেছিলেন, 'একদিন নয়, কিন্তু একদিন হবেই।' আজ অর্থাৎ শুক্রবার ঘরের মাঠে নামবে কলকাতা।  ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে ওই খেলার সমস্ত টিকিট। ৬৮ হাজারের ইডেন যে শুধু কেকেআর-কে নয়, বরং রিঙ্কু সিং নামক জ্বলজ্বলে নায়ককেও দেখতে আসবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটাই তো চেয়েছিল রিঙ্কু। চেয়েছিল রিঙ্কুর পরিবার। গোটা কলকাতা, ব্যতিরেকে গোটা খেলার মাঠ রিঙ্কুর জন্য চেঁচিয়ে উঠবে, এর থেকে বেশি রিঙ্কু কীই বা চেয়েছিল!

8 months ago


IPL: শুক্রের সন্ধ্যায় ইডেনে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামছে কেকেআর, ঘরের মাঠে কি বাজিমাত

কলকাতায় (Kolkata) ঘরের মাঠে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কেকেআর (KKR) খেলতে নামছে হায়দরাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে। সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টার সময় এই খেলা হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে । আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেকেআর। নাইটদের নেট রান রেট ১.৩৭৫। তিনটি ম্যাচের দু’টিতে জয় এসেছে। কিন্তু দ্রুত দুর্বলতা ঢাকতে না পারলে সমস্যা বড় হয়ে উঠতে পারে। রিঙ্কুর ব্যাটিং ছাড়া আশানুরূপ নয় তাদের ব্যাটিং।

তিনটি ম্যাচের একটিতেও কেকেআরের ওপেনিং জুটি দলকে ভরসা দিতে পারেনি। তিনটি ম্যাচে কেকেআর প্রথম উইকেটের জুটিতে তুলেছে যথাক্রমে ১৩, ২৬ এবং ৩০ রান। তিনটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লা গুরবাজ়। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই বদলে গিয়েছে তাঁর সঙ্গী। মনদীপ সিংহ, বেঙ্কটেশ আয়ার এবং এন জগদীশনকে দেখা গিয়েছে গুরবাজ়ের সঙ্গে। পাশাপাশি দলের যাঁরা বড় নাম এখনও পর্যন্ত তাঁরা তেমন কিছু করতে পারেননি। বিশেষত আন্দ্রে রাসেল। দীর্ঘ দিন কেকেআরের হয়ে খেললেও তাঁদের ছন্দে না থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে নাইটদের। প্রত্যাশিত ছন্দে নেই অধিনায়ক নীতীশ রানাও। দলকে ব্যাট হাতে তেমন ভরসা দিতে পারছেন না। প্রথম একাদশের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছেন কলকাতার জন্য। এছাড়া নজরে রয়েছে কলকাতার বোলিং, উমেশ যাদব, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি এবং শার্দূল ঠাকুর রয়েছেন দলে। এঁদের কেউই এখনও পর্যন্ত দলকে ভরসা দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ সম্ভবত পুরোনো একাদশের সাথে যেতে পারে এবং হ্যারি ব্রুক কেও খেলানো হতে পারে কম স্কোর থাকা সত্ত্বেও, বিশেষ করে কলকাতায় দ্রুত সারফেস সহ। তারা আবদুল সামাদকেও ফিনিশিং খেলোয়াড় হিসেবে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। রাহুল ত্রিপাঠি সানরাইজার্সের হয়ে ১৬৩ স্ট্রাইক করে ৩৪,৮৮ গড়, এবং ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের বিরুদ্ধে ৪৬-এর উপরে স্ট্রাইক রেটে ১৭৫ রান করে। আশা করা যায় যে তিনি শেষ ম্যাচে যেখান থেকে ছেড়েছিলেন সেখান থেকে দায়িত্ব নিতে পারবেন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালও ২০১৯ সাল থেকে স্পিনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, লেগ-ব্রেকের বিরুদ্ধে ১৪.৮৮ গড়, ২৭ ইনিংসে ১৬ বার আউট হয়েছেন।

8 months ago
GT: কেকেআরের হার ভুলে, জয়ে ফিরল গুজরাত

অল্প রানের জবাবে শেষ ওভারে গিয়ে জয় পেলো গুজরাত (Gujarat Titans)। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয়লাভ করল গুজরাত। বৃহস্পতিবার টসে জিতে, পঞ্জাবকে (Punjab) প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় হার্দিকরা (Hardik Pandya)। ব্যাটে নেমে খুব ভালো শুরু হয়নি পঞ্জাবের। প্রথম দিকে উইকেট হারানোর পর শর্ট, জিতেশ শর্মা ও স্যাম কারাণের ব্যাটের উপর ভরসা করে, ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে পঞ্জাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব ভালো শুরু করে গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু শেষের দিকে গিয়ে রান রেট স্লো হয়ে গেলে, শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিততে হয় গুজরাতের।

বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিকরা, ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাবকে। ব্যাটে নেমে ভালো শুরু হয়নি তাদের। শিখর ধাওয়ান রান না পেলেও, ২৪ বলে ৩৬ রান করেন শর্ট। পাশাপাশি শাহরুখ খান ও স্যাম কারাণ ২২ রান করে। স্যাম কারাণ ২২ বলে ২২ রান করে, ও শাহরুখ খান ৯ বলে ২২ রান করে।

ওদিকে ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, ভালো শুরু করে ঋদ্ধিমান সাহা ও গিল। গিল ৪৯ বলে ৬৭ রান করে এবং ঋদ্ধিমান ১৯ বলে ৩০ রান করে। এক বল বাকি থাকতেই নিজের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাত। প্রথমে বল করতে নেমে গুজরাতের শামী, লিটল, রশিদ ও জোসেফ একটি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান মোহিত শর্মা। ওদিকে পঞ্জাবের পক্ষে অর্ষদীপ, রাবাডা, হারপ্রীত ও স্যাম কারাণ একটি করে উইকেট নেন।

8 months ago