
সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে আজ অর্থাৎ রবিবারই, নাইট (Kkr) শিবিরে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশি (Bangladesh) খেলোয়াড় লিটন দাস (Litton Das)। নাইট রাইডার্স দলে প্রথম থেকে লিটনকে পাওয়া যায়নি। ফলে লিটনের যোগদান যে বাড়তি সুবিধা দেবে কলকাতাকে সেটা ঠিক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে।
সূত্রের খবর, কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফে জানানো হয়েছে যে, লিটন দাস রবিবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল ম্যাচ রয়েছে কলকাতার। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ওপেন করতে পারেন। কলকাতা দলে রয়েছেন আফগানিস্তানের রহমনউল্লাহ গুরবাজ। আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষকও ওপেন করেন।
কলকাতার হয়ে ওপেন করেছেন প্রথম দু’টি ম্যাচে। ইডেনে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অর্ধশতরানও করেন। তাঁর হাতে যে শট রয়েছে তা প্রমাণ করে দিয়েছে। আমেদাবাদেও যদি রান পেয়ে যান, তা হলে দলে নিজের জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলতে পারবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে লিটনের দলে ঢোকার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে। কলকাতা কাকে বেছে নেয়, সেটার দিকে নজর থাকবে।
চেন্নাই অর্থাৎ ধোনি (Dhoni) বাহিনীর কাছে ৭ উইকেটে হার রোহিতদের (Rohit)। এই নিয়ে টানা দুটো ম্যাচ হারল মুম্বই (CSK)। শনিবার টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে মুম্বই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় চেন্নাই। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় রবীন্দ্র জাদেজা।
মরশুমের প্রথম ম্যাচ হেরে একটু চাপেই ছিল মুম্বই বাহিনী। ওদিকে আগের ম্যাচে জয়লাভ করে একটু ফুরফুরেই ছিল ধোনি বাহিনী। শনিবারের এই হারের পর মুম্বইয়ের মাথায় যে চাপ আরো বাড়বে, সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ১৫৭ রান করে। মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও, রোহিতের উইকেট পড়ে যাওয়ার পর, কেউই আর ম্যাচের হাল ধরতে পারেননি। শনিবার মুম্বইয়ের হয়ে ১৩ বলে ২১ রান করে রোহিত শর্মা, ২১ বলে ৩২ রান করে ঈশান কিষান। তিলক বর্মা করে ১৮ বলে ২২ রান ও টিম ডেভিড করে ২২ বলে ৩১ রান। মোট আট উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে মুম্বই। জবাবে, প্রথম ওভারেই কনওয়ের উইকেট হারায় চেন্নাই। তারপরেই অজিঙ্কা রাহানে এবং ঋতুরাজ খেলার হাল ধরে ২৭ বলে ৬১ রান করে। তার ইনিংসে সাতটা বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি রয়েছে। ঋতুরাজ করে ৩৬ বলে ৪০ রান, পাশাপাশি ২৬ বলে ২৮ রান করে শিবম দুবে।
টসে জিতে, প্রথম বল নিয়ে ভালোই শুরু করেছিলেন তুষার দেশপান্ডে। ৩ ওভারে দু উইকেট নেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা চার ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। শ্যান্টনার চার ওভারে ১৮ রানে দুই উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন মঙ্গলা। পাশাপাশি মুম্বইয়ের হয়ে উল্লেখযোগ্য একটি করে উইকেট নেন জিসান, পিযুষ চাওলা ও কোমার কার্থকিয়া।
তৃতীয় ম্যাচেও হার ধুঁকতে থাকা দিল্লির (DC)। শনিবার আইপিএলের (IPL) ১১ তম ম্যাচ রাজস্থানের (RR) কাছে ৫৭ রানে হার দিল্লির। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান চার উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে। ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে দিল্লি ১৪২ রান তোলে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটা দারুন হয়। জস বাটলার ও জয়সওয়াল দুজনেই অর্ধশত রান করে। জয়সওয়ালের ব্যাটে আসে ৩১ বলে ৬০ রান। পাশাপাশি বাটলারের ব্যাটে ৫১ বলে ৭৯ রান আসে, এছাড়া রাজস্থানের পক্ষে হেটমায়ার ২১ বলে ৩৯ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকে ছন্দ হারিয়ে ফেলে তাঁরা। ওয়ার্নার হাল ধরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। চাহল তাঁকে এলবিডব্লিউ করে ঘরে ফিরিয়ে দেন। ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে ৫৫ বলে ৬৫ রান আসে। পরে ললিত যাদব চেষ্টা করলেও দিল্লির ইনিংস ১৪২ রানেই সমাপ্ত হয়।
ওদিকে টসে জিতে বল করতে নেমে দিল্লির হয়ে ২টি উইকেট পায় মুকেশ কুমার। ও একটি করে উইকেট পায় কুলদীপ ও পাওয়েল। পাশাপাশি রাজস্থানের হয়ে ট্রেন বোল্ট ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। চাহল ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়। ২টি উইকেট নেয় অশ্বিন, একটি উইকেট নেয় সন্দীপ শর্মা। এই জয়ের পর রাজস্থান লিগ টেবিলের প্রথম স্থানে রয়েছে।
রাজস্থান রয়্যালস (RR) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) ম্যাচ। সেখানে দু’টি ম্যাচ হেরে ধুঁকতে থাকা দিল্লি নামবে রাজস্থানের বিরুদ্ধে (IPL)। সঞ্জু স্যামসনের দল প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হেরে যায়। সেই ম্যাচে প্রায় ১৯৭ রান তাড়া করে ফেলেছিল তারা। কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে হারতে হয় রাজস্থানকে। গুয়াহাটিতে দিল্লির বিরুদ্ধে খেলবে রাজস্থান। দিল্লির এবারের আইপিএলে শুরুটা ভাল হয়নি। পাশাপাশি প্রথম ম্যাচে হেরে কিছুটা পিছিয়ে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে এবার চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মাদের হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে। এবার সামনে মহেন্দ্র সিং ধোনি। জয়ের স্বাদ পেয়ে যাওয়া চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে মুম্বইয়ের লড়াইটা খুব সহজ হবে না। অন্য ম্যাচে খেলবে রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারের পর বেশ কিছু দিন বিশ্রাম পেয়েছে মুম্বই। হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সময় পেয়েছে তারা। ঘরের মাঠে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই সমর্থকদের চিৎকারকেও অস্ত্র হিসাবে চাইবেন রোহিতরা। সেই সঙ্গে চেন্নাইয়ের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের সুযোগ নিতে চাইবেন তাঁরা। রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর এবং তুষার দেশপাণ্ডেকে ধোনি আগের ম্যাচেই সতর্ক করে দিয়েছেন অতিরিক্ত রান দেওয়ার বিষয়ে। চেন্নাইয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে মইন আলি এবং মিচেল স্যান্টনারের বোলিং। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রোহিতরা কিন্তু সহজে ছেড়ে দেবেন না ধোনিদের। যদিও তাঁরাও চার বারের আইপিএলজয়ী। সৌরভদের দল ঋষভ পন্থকে পাচ্ছে না। অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষককে হারিয়ে আইপিএল শুরু আগেই জোড়া ধাক্কা খেয়েছিল দিল্লি। ডেভিড ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করেছে তারা।
কিন্তু এখনও তিনি জয় এনে দিতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক পোড়েলকে উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলায় দিল্লি। মনে করা হচ্ছে শনিবারের ম্যাচেও দেখা যাবে অভিষেককে। বাংলার দুই ক্রিকেটার রয়েছে দিল্লি দলে। মুকেশ কুমার এবং অভিষেকের দিকে নজর থাকবে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের।
৩ প্রোটিয়া দিয়েও শেষরক্ষা হল না হায়দরাবাদের (SH)। ২৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে লখনউয়ের (LSG) কাছে হার হায়দরাবাদের (IPL)। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে 8 উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তোলে হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাহুলের দল। শুক্রবার হায়দরাবাদের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল। এই নিয়ে মরশুমের প্রথম দুটি ম্যাচই পরপর হারল হায়দরাবাদ। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে ক্রুনাল পাণ্ড্য।
শুক্রবার হায়দরাবাদের দলে যোগ দেয় মার্কামরা। প্রথম ম্যাচে অনুপস্থিত থাকায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়ে ভুবনেশ্বরের উপর। ওই ম্যাচে ৭২ রানে হেরে যায় তারা। শুক্রবার, হায়দরাবাদের অধিনায়ক ছিল এডেন মার্কাম। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ক্রুনালের বলে উইকেট হারায় ময়ঙ্ক আগারওয়াল। পরে খুব ধীর গতিতে এগোতে থাকে তাদের ইনিংস। আনমোলপ্রীত ২৬ বলে ৩১ রান করেন। এছাড়া রাহুলে ধীর গতির ইনিংসে আসে ৪১ বলে ৩৫ রান। অধিনায়ক মার্কামকে প্রথম বলেই বোল্ড আউট করে ফিরিয়ে দেয় ক্রুনাল। হায়দরাবাদের ইনিংসের শেষে উল্লেখযোগ্য ১০ বলে ২১ রান করে সামাদ। জবাবে লখনউয়ের কে এল রাহুল ও ক্রুনালের ব্যাটেই জয় আসে রাহুলদের। শুক্রবার মায়ারস ১৪ বলে ১৩ রান করেন। রাহুল ৩১ বলে ৩৫ রান করে। ক্রুনাল ২৩ বলে ৩৪ রান করেন।
বোলিংয়ে লখনউয়ের উল্লেখযোগ্য ৩ উইকেট নেন ক্রুনাল। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট নেন ক্রুনাল। ২ উইকেট নেন অমিত মিশ্র। ১টি করে উইকেট নেন বিশ্নোই এবং ঠাকুর। বিশ্নোই ৪ ওভারে ১৬ রান দেয়। পাশাপাশি হায়দরাবাদের হয়ে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নেন আদিল। ১ টি করে উইকেট নেয় ভুবনেশ্বর, ফারুকী, ও উমরান মালিক।
সবে শুরু হয়েছে আইপিএল (IPL 2023), প্রতি দল কমবেশি দুটি করে ম্যাচ খেলেছেন। এই পর্বে আইপিএল-র দু’টি ম্যাচ খেলে দেশে ফিরছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিদেশি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। কারণ জানলে আপনিও অবাক হবে। চোট বা অসুস্থতা নয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের এই বোলার (Mitchel Marsh) দেশে ফিরছেন বিয়ে করতে। ফলে ডিসির হয়ে আইপিএল-র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন না তিনি।
এ প্রসঙ্গে চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছেন মিচেল মার্শ। এবার সাত পাকে বাঁধা পড়তে কয়েক দিনের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি। যেহেতু আইপিএল-র মাঝেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। তাই আপাতত তাঁকে পাবেন না ডেভিড ওয়ার্নাররা। দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএল-এ এখনও পর্যন্ত লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলেছে। প্রতি ম্যাচেই প্রথম একাদশে ছিলেন মার্শ। এই প্রসঙ্গে দিল্লির বোলিং কোচ জেমস হোপস বলেন, 'মার্শকে আমরা পরের কয়েকটা ম্যাচে পাব না। ও বিয়ে করতে দেশে ফিরছে।' যেহেতু মার্শ আগে থেকেই ছুটি চেয়ে রেখেছেন, তাই অনুপস্থিতিতে দিল্লি দলের অসুবিধা হলেও বিকল্প ভাবছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
চোট সারিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে মাঠে ফিরেছেন মার্শ। দিল্লি দলের বোলিং কোচ হোপস বলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ় থেকে বল করছেন মার্শ। আরও আগেই বল করতে পারত। একটু দেরিই করেছে ও। আইপিএলের দুটো ম্যাচেই দারুণ বল করেছে। আশা করছি, আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে মার্শ।'
শুক্রবার আইপিএলের (IPl) দশম ম্যাচে কেএল রাহুলের (KL Rahul) সামনে মার্কাম (Markam), অর্থাৎ লখনউয়ের সামনে হায়দরাবাদ। শুক্রবার হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দেবেন মার্কাম। প্রথম খেলায় রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৭২ রানে হেরেছে হায়দরাবাদ। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে তারা। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ক্রিকেটার হায়দরাবাদ দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের দিয়েই আইপিএল বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে হায়দরাবাদ।
হায়দারাবাদের অধিনায়ক এডেন মার্কাম আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি নেতা হিসাবে একেবারেই সফল হননি। ৭২ রানে হেরে যায় তাঁর দল। এই ম্যাচে মার্কামই দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন। শুধু তাই নয়, মার্কো জানসেন এবং হেনরিখ ক্লাসেনও হায়দরাবাদ দলে যোগ দিচ্ছেন। জানসেন যেমন বোলিং বিভাগে দলের শক্তি বাড়াবেন, তেমনই ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ক্লাসেনের আগ্রাসী মানসিকতা সাহায্য করবে হায়দরাবাদকে।
রাজস্থান ম্যাচে টি নটরাজন ছাড়া আর কেউ সেভাবে বল হাতে সফল হতে পারেননি। ফজল হক ফারুকি এবং উমরান মালিক অনেক রান দিয়ে ফেলেছেন। স্পিন বিভাগেও ওয়াশিংটন সুন্দর এবং আদিশ রশিদ কাজে লাগেননি। ব্যাটে কিছুটা সফল মায়াঙ্ক আগরওয়াল, রাহুল ত্রিপাঠি।
লখনউ দলেও রয়েছেন এক প্রোটিয়া। তিনি কুইন্টন ডি’কক। তাঁরও প্রথম একাদশে ফেরার কথা। তবে কেএল রাহুলের ছন্দ চিন্তার কারণ হতে পারে। বল হাতে রবি বিষ্ণোই দু’টি ম্যাচেই ভরসা দিয়েছেন। লখনউ ২টি ম্যাচ খেলে ১টি জিতেছে ও ১টি ম্যাচ হেরেছে। অপরপক্ষে হায়দরাবাদ ১টি ম্যাচ খেলে হেরেছে।
শার্দুল ঠাকুর যে লম্বা রেসের ঘোড়া, কেকেআরের ঘরের মাঠে কিং খানের উপস্থিতিতে সেটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটে ভর করে, বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ৮১ রানে ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাশাপাশি কেকেআরের নয়া অধিনায়ক নীতিশ রানার প্রশংসাও প্রাপ্য। খুব চেনা ছকেই যেন তিনি নিজেদের ঘরের মাঠে, বিরাটকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিলেন ডগ আউটে।
বৃহস্পতিবার কেকেআরের ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথম বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বল হাতে ভালোই শুরু করেছিল আরসিবি। প্রথম ওভারে পরপর দুটি উইকেট নেন উইলি, কিন্তু ম্যাচের হাল ধরেন গুরবাজ তারপর গুরবাজ ও অধিনায়ক নীতিশ ও রাসেলের উইকেট পড়ে গেলে, ব্যাট হাতে ম্যাচের হাল ধরেন শার্দুল ঠাকুর ও রিঙ্কু সিং। শার্দুল ঠাকুর ২৯ বলে ৬৮ রান করেন, তাঁর ঝড়ো ইনিংসে বাউন্ডারির সংখ্যা নটি এবং ওভার বাউন্ডারি তিনটি। পাশাপাশি রিংকু সিং করেন ৩৩ বলে ৪৬ রান, তার ইনিংসে দুটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। এছাড়া গুরবাজ উল্লেখিত ৫৭ রান করেন ৪৪ বলে। তার ইনিংসে ছটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি রয়েছে।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে কলকাতা ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে। ২০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে বিরাটের দল ১২৩ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে বিরাট কোহলি এবং ডিউ প্লেসিস আউট হয়ে গেলে, তাসের ঘরের গুটিয়ে যায় আরসিবি টিম। ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে বিরাট কোহলি ১৮ বলে ২১ রান করে এবং ডিউ প্লেসিস ১২ বলে ২৩ রান করে।
প্রথমে বল করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। উইলি তার প্রথম ওভারেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং মন্দীপ সিংয়ের উইকেট ছিটকে দেয়। প্রথম ইনিংসে সিরাজ চার ওভারে ৪৪ রান দিয়ে একটি উইকেট উইকেট। এবং করণ শর্মা তিন ওভারে ২৬ রানে দুটো উইকেট তোলে। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছে ব্রেসওএল এবং হর্স প্যাটেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক চেনা ছন্দেই নীতিশ রানা, তাদের ব্রহ্মাস্ত নারাইনকে ব্যবহার করে, এবং নারাইনের প্রথম ওভারেই বিরাট কোহলির উইকেট ছিটকে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে এসে বরুণ চক্রবর্তী তিন ওভার চার বলে ১৫ রানে চারটি উইকেট তুলে নেয়। সুনীল নারাইন চার ওভারে ১৬ রানে দুটি উইকেট, সুয়াশ শর্মা ৪ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেয়। এদিনের ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় শার্দুল ঠাকুর।
এ মরশুমে আরসিবি অর্থাৎ ব্যাঙ্গালোরের (RCB) প্রথম ম্যাচেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে কিং কোহলি (Virat Kohli)। দীর্ঘ ৮৩ দিন পর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইডেনে (Eden Gardens) নামছেন কোহলি, কেকেআরের (KKR) বিরুদ্ধে ভালো ট্রাক রেকর্ড নিয়ে নামছেন তিনি। কোহলির ফর্ম নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় থাকবে কেকেআর। কেকেআরের বোলিং নিয়েও একই চিন্তায় আছে কেকেআর। সাকিবের অনুপস্থিতি যে ভাবাচ্ছে কেকেআরকে সেটা স্পষ্ট।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আরসিবিআর হয়ে বিরাট কোহলি, নট আউট থেকে ৪৯ বলে ৮২ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি। বৃহস্পতিবার ইডেনের ম্যাচে বিরাটকে আটকানোর সুপরিকল্পনা করবে কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে বিরাটকে ম্যাচের প্রথম দিকেই আউট করতে, প্রথম থেকেই টিম সাউদির বলে সুইং দরকার। এছাড়া ব্যবহার করা যেতে পারে সুনীল নারিনকে। নারিনের বিরুদ্ধে বিরাট আইপিএলে বিরাট ৩ বার আউট হয়েছেন। এবং ৯৮ বল খেলে ১০১ রান করেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নারাইনকে দিয়ে বিরাট কে আউট করার অস্ত্র হিসেবে লাগাতে পারে। এ ছাড়া বরুন চক্রবর্তীকে কাজে লাগাতে পারে কেকেআর।
ইডেনে আরসিবির রেকর্ড যেমন ভালো তেমনিই মোলায়েম। এখানে বিরাটের দলের সর্বনিন্ম ৪৯ রানের টোটাল আছে। সূত্রের খবর, ইডেনে বিরাট ১১ টি ম্যাচ খেলে ৩৩২ রান করেছে, একটি করে সেঞ্চুরি ও একটি করে অর্ধসেঞ্চুরির রেকর্ড আছে, এবং আইপিএলে ইডেনে বিরাটের স্ট্রাইকরেট ৪১,৫০। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডেনে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান ২৩২। এছাড়া ইডেনে দ্বিতীয় ব্যাটিং অর্থাৎ রান তাড়া করে জেতার সংখ্যা ৭৮টি ম্যাচের মধ্যে ৪৭ টি। কেকেআর আইপিএলে ৭৪টি ম্যাচের মধ্যে ৪৫টি ম্যাচ জয়লাভ করেছে, এবং ২৯ টি ম্যাচ হেরে গিয়েছে।
বিরাট ম্যাচের আগে যে কার্যত উন্মাদনা রয়েছে শহর জুড়ে সেটা স্পষ্ট। বুধবার সন্ধ্যাতেই আইপিএলে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলতে কলকাতায় এসেছেন কিং কোহলি। বৃহস্পতিবার ইডেনে ৭.৩০ থেকে এই খেলা শুরু হবে।
কাজে এলো না হেটমায়ারের (Shimron Hetmyer) লড়াই, রান আউট হয়ে ঘরে ফেরার পর হার (Ipl) নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল রাজস্থানের (Rajsthan Royals)। এবং হলও তাই। দুর্দান্ত লড়াই করেও পঞ্জাবের কাছে ৫ রানে হারতে হলো রাজস্থান রয়্যালসকে। রাজস্থানের রান যখন ১২৪, তখন উইকেট পরে দেবদূত পাড়িকলের। ব্যাট করতে আসেন সিমরন হেটমায়ার। তখন রাজস্থানের ৩৩ বলে ৭৪ রান দরকার। ওপর প্রান্তে তখন জুরেল। ১৮ বল খেলে ৩৬ রান করে সিমরন হেটমায়ার। ১৯ ওভার ৩ বলের মাথায় পঞ্জাবের শ্যাম কারান তাকে রান আউট করে ডাগআউটে ফিরিয়ে দেয়।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানা তোলে। পঞ্জাবের পক্ষে প্রভিশ্বরণ ৩৪ বলে ৬০ রান করেন। এবং ধাওয়ান করে ৫৬ বলে ৮৬ রান। ধাওয়ানের ইনিংসে ছিল ৩টি ওভার বাউন্ডারি এবং ৯ টি বাউন্ডারি। এছাড়া পঞ্জাবের পক্ষে ১৬ বলে ২৭ রান করে জিতেশ শর্মা। ১৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ভালো না হলেও ম্যাচের হাল ধরে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ২৫ বলে ৪২ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরে সঞ্জু, বিশেষ কিছু করতে পারেননি পাড়িকল ও রিয়ান পরাগ এবং জুরেল করে ১৫ বলে ৩২ রান। শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানেই থামতে হয় রাজস্থানকে।
প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, রাজস্থানের পক্ষে হোল্ডার ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেয়। একটি করে উইকেট নেন অশ্বিন এবং চাহল। পাশাপাশি পঞ্জাবের তরফে ৩০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেয় ইলিস। এবং ৪৭ রানা দিয়ে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হন এলিস।
বিক্রেতা: দাদা আইপিএলের টিকিট লাগবে?
ক্রেতা: কত?
বিক্রেতা: কোন টিকিট লাগবে?
ক্রেতা: ১০০০ টাকার টিকিট!
বিক্রেতা : ৩৫০০ টাকা।
ক্রেতা: একটু কম হবে না।
বিক্রেতা: না।
তেমন কিছু না, এটা ইডেনে আইপিএল-র টিকিট নিয়ে দরদামের কথোপকথন সিএন ডিজিটালের প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্য ও একজন অসৎ ব্যবসায়ী অর্থাৎ টিকিটের কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির। কোথাও এই টিকিট বিক্রির চেষ্টা চলছে ৩০০০ টাকায়, কোথাও আবার ৩৫০০ টাকা। এই মরশুমের আইপিএলে ইডেনে প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার। কলকতার ঘরের মাঠের বিপক্ষে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অর্থাৎ বিরাট কোহলির দল, ৮৩ দিন পর ইডেনে নামছেন কিং কোহলি। এছাড়া ২০১৯-এর পর এই ২০২৩, কলকাতা নাইট রাইডার্স ঘরের মাঠে আইপিএল খেলতে নামছে। ফলে স্বাভাবিক কোহলির ঝড়ে এবং নাইট রাইডার্সের ভাবেই মেতে রয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। এরই মধ্যে ইডেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠল একদল অসৎ কারবারীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ইডেনে খেলার আগে উন্মাদনা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিক ভাবেই শহরের ক্রিকেটপ্রেমী জনতার মধ্যে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। এরই মধ্যে অভিযোগ মাঠের পিছন দিকে ৭০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে কারও কাছে ২০০০ টাকা। আবার কারও কাছে ১৫০০ টাকা।
বুধবার গোটা দিন এভাবেই চললো আইপিএল টিকিটের কালোবাজারি। বৃহস্পতিবার আইপিএলে ইডেনে ৬৮ হাজার আসন যে টইটম্বুর থাকবে নিশ্চিত। কিন্তু এই কালোবাজারি নিয়ে অভিযোগ তুলছে সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীরা। এ বিষয়ে নিয়ে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) অষ্টম ম্যাচ হবে রাজস্থান রয়্যালস (RR) ও পঞ্জাব কিংসের (PBKS) মধ্যে। বুধবার গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে এই ম্যাচ। এই দুই দলই ২০২৩ আইপিএলের ওপেনিং ম্যাচে দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয় পায় পঞ্জাব কিংস। অন্যদিকে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তাই আজ, বুধবার যে ম্যাচ জমে উঠবে, তা নিয়ে নিশ্চিত ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই দারুণ ফর্মে রয়েছে। আগের ম্যাচে পঞ্জাব কিংসরা তাঁদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা লিয়াম লিভিংস্টোন ও কাগিসো রাবাডার অনুপস্থিতিতেও ভালো ফল করেছে। অর্শদীপ সিং, রাহুল চাহার ও সিকান্দর রাজার বোলিং সাফল্যের চাবিকাঠি হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসের টপ অর্ডার ভালোই সাজিয়েছে। আগের ম্যাচে জোস বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়াল খেলার শুরুতে গতি দিয়েছে। বুধবারের ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তা দেখার মতো হবে।
পঞ্জাব কিংসের হয়ে আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন প্রভসিমরণ সিং, শিখর ধাওয়ান, ভানুকা রাজাপক্ষ, জিতেশ শর্মা, সিকান্দার রাজা, স্যাম কারেন, শাহরুখ খান, নাথান এলিস বা কাগিসো রাবাডা, হরপ্রীত ব্রার, রাহুল চাহার, এবং অর্শদীপ সিং। দলের সদস্যদের চোটজনিত সমস্যা নেই।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন, জোস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, দেবদত্ত পাড়িক্কাল, রিয়ান পরাগ, সিমরন হেটমেয়ার, জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচরণ অশ্বিন, কেএম আসিফ ও যুজবেন্দ্র চাহেল। রয়্যালসদের দলে চোটজনিত সমস্যা নেই।
দিল্লিকে (DC) ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও (IPL) জয়ী গুজরাত (GT)। মঙ্গলবার টসে জিতে দিল্লিকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৮ উইকেট হারিয়ে রান তোলে ১৬২। ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৮ উইকেট হারিয়ে রান তোলে ১৬২। গোটা ইনিংসে দিল্লির হয়ে ওয়ার্নার ৩২ বলে ৩৭ রান করেন। সরফরাজ খান করেন ৩৪ বলে ৩০ রান এবং অক্ষর প্যাটেল করে ২২ বলে ৩৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে ঋদ্ধিমান ও গিলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ম্যাচের হাল ধরে সুদর্শন ও মিলার। সুদর্শনের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৬২ রান। মিলার করেন ১৬ বলে ৩১ রান। প্রসঙ্গত, বিজয় শঙ্কর ২৩ বলে ২৯ রান করেন।
প্রথমে বল করতে নেমে, গুজরাতেরর পক্ষে ৪১ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি উইকেট নেন শামি। রশিদ খান ৩১ রান দিয়ে পান ৩ টি উইকেট। পাশাপাশি, জোসেফ ২৯ রান দিয়ে নেয় ২ উইকেট। দিল্লির পক্ষে নোকিয়ে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়, খলিল ও মার্শ ১ টি করে উইকেট নেয়। মঙ্গলবারের খেলায় সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সাই সুদর্শন। ২ টির মধ্যে দুটি জিতে লীগ টেবিলে শীর্ষে গুজরাত।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের এক কিংবদন্তি। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কও বটে। তাঁর হাতেই উঠেছিল টি-২০ বিশ্বকাপ এবং সীমিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও। আইপিএল ট্রফিও উঠেছে বেশ কয়েকবার তাঁর হাতে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে। মাঝখানে ১ বছর চেন্নাই দল না থাকায় অন্য দলে খেললেও ফের ফিরেছেন শ্রীনিবাসনের চেন্নাইতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলা শুরু সেই ২০০৪-এ, আজকে ২০ বছর বাদেও খেলে চলেছেন মাহি। ভারতের হয়ে ধাপে-ধাপে খেলা ছেড়েছেন প্রায় ৩-৪ বছর। বর্তমানে ধোনির বয়স ৪১-এর বেশি।
এই বয়সে সকলেই ক্রিকেট ছেড়ে দেন এমন নয়। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় তিনি ব্যাটার-উইকেট রক্ষক, যা তাঁকে ভয়ঙ্কর ব্যস্ত রাখে মাঠে। অনেকেই ভেবেছিলেন গত বছর হয়তো ধোনি খেলা ছেড়ে কমেন্ট্রি বক্সে চলে যাবেন। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি খেলবেন। ওই যে বার্তা আছে 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো'। এ বছর ধোনিকে মাঠে খুবই ক্লান্ত লেগেছে। প্রথম খেলা পড়েছিল গুজরাত দলের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকের অধিনায়ক তথা ভারতীয় দলের তরুণ তুর্কি হার্দিক পান্ডিয়াকে যতটা চনমনে লেগেছিল, ততটাই ক্লান্তি ছিল গুরু ধোনির মধ্যে।
ওই ম্যাচে হেরেছিল কিন্তু সোমবারের লখনৌ ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। খেলাটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চিত বলবেন, ধোনি কেন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। এটা ঠিক তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। কিন্তু ফিনিশার মানে অন্তত ২০ ওভার ম্যাচে ১৫ ওভারের মধ্যে নামা উচিত, যা আগে নামতেন। কিন্তু এ বছর কোথায় তাঁর অবস্থান। যদিও ১২ রান করলেন দু'বলে এবং শেষ বলে আউট হলেন। তাই আরও আগে নামলে কী হতো জানা গেল না। এছাড়া উইকেটরক্ষক উইকেটের পিছনে বারবার বসবেন-উঠবেন। কিন্তু দেখা গেল ধোনি মোটামুটি দাঁড়িয়ে কিপ করছেন। এটা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক বয়স তো হলো এবার নোঙ্গর ফেলো ধোনি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) চলতি সিজনে এই প্রথম ঘরের মাঠে খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালস (DC)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানসের (GT) বিরুদ্ধে আইপিএল-র সপ্তম ম্যাচ খেলবে তাঁরা। ৩১ মার্চ লখনউ সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি ক্যাপিটালসরা। ৫০ রানে হেরে গিয়েছিল সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে। তাই হোম ম্যাচে টাইটানসদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই ময়দানে নামবে দিল্লি ক্যাপিটালসরা।
অন্যদিকে গুজরাট টাইটানস, তাদের ওপেনিং ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জিতেছে। টাইটানসরা যদি মঙ্গলবারের ম্যাচেও একই ফর্মে থাকে, তবে ঘরের ম্যাচেও সমস্যায় পড়তে পারে দিল্লি ক্যাপিটালসরা। শুভমন গিল, মহম্মদ সামিরা জোর টক্কর দেবে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। আজকের ম্যাচ নিয়েও তাঁরা আশাবাদী।
দিল্লি ক্যাপিটালসের নেতৃত্বে ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন পৃথ্বী সাউ, মিচেল মার্শ, মনীশ পান্ডে, রোভম্যান পাওয়েল, রিলি রসউ, উইকেটকিপার সরফরাজ খান, উইকেটকিপার ফিল সল্ট, অভিষেক পোড়েল, অক্ষর প্যাটেল, কূলদীপ যাদব, ললিত যাদব, রিপাল প্যাটেল, ইশান্ত শর্মা, চেতন সাকারিয়া, খলিল আহমেদ, আমন হেকিম খান, পারভিন দুবে, কমলেশ নগরকোটি, জোশ ধুল, মুকেশ কুমার ও ভিকি অস্টওয়াল।
অন্যদিকে গুজরাট টাইটানসের হয়ে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর সঙ্গে প্রথম একাদশে ময়দানে নামতে পারেন, শুভমন গিল, কোনা ভারত, ঋদ্ধিমান সাহা, রাহুল তেউটিয়া, অভিনব মনোহর, মহম্মদ সামী, প্রদীপ সাংওয়ান, আর সাই কিশোর, বিজয় শংকর, সাই সুদর্শন, রশিদ খান, শিবম মাভি, ম্যাথিউ ওয়াডে, ওডিয়ান স্মিথ, উরভিল প্যাটেল, দর্শন নালকাণ্ডে, ডেভিড মিলার, জোশ লিটল, যশ দয়াল, জয়ন্ত জাভেদ , ওডিয়ান স্মিথ, নূর আহমেদ এবং আলজারি জোসেপ।
ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটানসদের প্রথম ম্যাচে জয় তাঁদের পালে বাড়তি হাওয়া যোগাবে। অন্যদিকে পেসারদের নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের কপালে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাড়ির মাঠে দিল্লিকে গুজরাটরা প্রতিহত করে, নাকি আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালসরা এখন সেটাই দেখার।