শুক্রবার সন্ধ্যার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইবেকার হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ব্রাজিলের (Brazil lost to Croatia)। ছ'টি বিশ্বকাপ (World Cup 2022) জেতার লক্ষ্যমাত্রা এই মুহূর্তে দেরাজে তুলে রাখতে হয়েছে নেইমারদের। এদিকে, রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে এক্সট্রা টাইম অবধি গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে ম্যাচ টাইবেকার অবধি নিয়ে যায় লুক মদ্রিচের দল। অপরদিকে ব্রাজিল ম্যাচের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ড (Brazil versus Netherland)। কমলা ব্রিগেড বনাম নীল-সাদা ম্যাচ দেখতে রাত জাগে কলকাতা। প্রথম অর্ধ আর্জেন্টিনা এক গোলে এগিয়ে গেলেও, প্রিয় টিমের খেলা দেখে মন ভরেনি ফুটবলপ্রেমীদের। দ্বিতীয় অর্ধে পেনাল্টিতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু খেলা শেষের ২০ মিনিট নীল-সাদার ডিফেন্সের উপর চাপ বাড়িয়ে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করে ডাচরা।
খেলা গড়ায় এক্সট্রা টাইম পর্যন্ত। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে নাটকের পর নাটক। নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্য়বধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেলেন মেসিরা। এই ম্যাচে মেসিকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ভাগ্য নিজের দিকে টানার চেষ্টা করেছিলেন ডাচ কোচ লুই ফান গল। জোনাল মার্কিংয়ে থাকা মেসি বল ধরলেই ছেঁকে ধরছিলেন তিন থেকে চার জন। কিন্তু ডাচ টিমের সব কৌশল ভোতা করে মলিনাকে দিয়ে গোল করালেন মেসি। নিজেও আবার পেনাল্টি থেকে গোল করলেন।
দু’দলই রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। নেদারল্যান্ডস দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল, প্রথম ২০ মিনিটে দু’বার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে পড়েন মেম্ফিস দেপাই, কোডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি এমিলিয়ানো মার্টিন। অন্যদিকে থ্রু বলে ধরে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল আর্জেন্টিনা। মেসির পায়ে বল পড়লেই অন্তত তিন জন মিলে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন।
দু’দলেরই খেলা তৈরি হচ্ছিল নিজেদের রক্ষণ থেকে নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছিলেন ফুটবলাররা। তার পরে আক্রমণে উঠছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণ জমাট থাকায় গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। মাঝে মধ্যে খেলার গতি খুব মন্থর হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মেসির জাদুতে ৩৪ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। ঘাড়ের কাছে চার জন ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তার পর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মলিনার দিকে। গোলরক্ষকের ডান দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন মোলিনা।