প্রসূন গুপ্ত: এবারের ফুটবলে (World Football) সারা জাগিয়েছে কম বেশি সব দলই। কিন্তু তার মধ্যে নজর কেড়েছে জাপান, মরক্কো, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ইত্যাদি দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়। ফুটবলে টাকা কামাতে গেলে প্রথমত ইউরোপের নানা ক্লাবে (EPL) খেলাটাই বাঞ্চনীয়। তবে এটাও ঠিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিও প্রচুর অর্থ দিয়ে নানান দল করছে। এক্ষেত্রে একটি কথা বলতেই হবে, মধ্যপ্রাচ্য বা জাপান (J League) টাকা ঢেলে দল করলেও সেখানে চট করে কেউ যেতে চায় না। সাধারণত মদ্রিচদের (Luka Modrich) মতো বয়স্ক খেলোয়াড়দেরই স্থান হয় এই সব ক্লাবে।
জিকো কিন্তু তাঁর খেলোয়াড় জীবন শেষ করেছিলেন জাপানে পরে সেখানে কোচিংও করেন। আবার জার্মানির একসময়ের সেরা স্ট্রাইকার ক্লিন্সম্যান তাঁর শেষ খেলা খেলেছিলেন আমেরিকার একটি ক্লাবে। পরে আমেরিকার কোচও হয়েছিলেন। ফলে এবার বিশ্বকাপে যাঁরা নজর কেড়েছেন,তাঁদের অনেকেই আগামীতে ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলতে দেখা যাবে।
ইউরোপের ধনী দল কোনগুলি, স্বাভাবিক প্রশ্ন। বলে রাখা ভালো ও ভাবে বিচার করা যায় না। খেলোয়াড় বুঝে এরা ফুটবলার কিনে নেয়। তবে ইংলিশ লীগ সবচেয়ে বড়োলোক ক্লাব নিয়ে গঠিত। এমন নয় যে ম্যানচেস্টার, লিভারপুল বা চেলসিই নামি ক্লাব। এস্টন ভিলা, ম্যান সিটি থেকে আধা ডজন ক্লাব আছে ,যারা যখন তখন সেরার শিরোপা পেতে পারে। ইংলিশ লীগের ক্লাবগুলি যথেষ্ট ধনী এবং বিভিন্ন দেশের সেরা খেলোয়াড়রা এখানে খেলেন। এরপর আসে স্পেনের নাম। এখানেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে দল গঠন করা হয়। তাছাড়া জার্মানি , ফ্রান্স , ইতালি তো আছেই। বুনো, লিভাকোভিচ, রিৎসু দোয়ান ইত্যাদি খেলোয়াড়রা ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলেন ঠিকই কিন্তু দ্বিতীয় সারির। এবারে তাদের দর আকাশচুম্বী হবে। টাকার থলি নিয়ে ক্লাবগুলি প্রস্তুত খেলোয়াড় কিনতে।