
মণি ভট্টাচার্য: 'একদিন হবে না, কিন্তু একদিন হবেই' ড্রেসিং রুমে বসে সতীর্থদের সেদিনের কথা শোনাচ্ছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ২০২২ সালে একটুর জন্য ম্যাচটা (IPL) জেতাতে সফল হননি তিনি। ড্রেসিংরুমে ফিরে এসে সতীর্থদের বলেছিলেন, 'একদিন হবে না, কিন্তু একদিন হবেই।' সাতবছর পর সুযোগ পেয়ে শেষ ওভারে ৫টা ছক্কা মেরে, হারতে বসা ম্যাচ কেকেআরকে (KKR) জিতিয়েছেন রিঙ্কু সিং। হয়েছেন সেই রাতের নায়ক। শুক্রবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। রিঙ্কুর ঘনিষ্ঠ মাধ্যম সূত্রে খবর, রিঙ্কু তাঁর ঘনিষ্ঠ মাধ্যমে বলেছে, এই সবে নায়ক হওয়া শুরু। আরও নায়ক হওয়া বাকি।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাতের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে ওই ওভারটি। শেষ ৫ বলে ২৮ রানের জবাবে ৫ টাই ছক্কা মারে রিঙ্কু। ম্যাচ জিতে মনে করেন বাবা ও পরিবারকে। ম্যাচ জিতে রিঙ্কু এই জয় তার বাবাকে উৎসর্গ করেছিল। তাঁর বাবা পেশায় একজন ছোট্ট ব্যবসায়ী। আর্থিক অনটনে ঝাড়ুদার হতে হয়েছিল আজকের নায়ক রিঙ্কুকে। একেই হয়ত প্রত্যাবর্তন বলে। ঝাড়ুদার থেকে কেকেআর নায়ক রিঙ্কু হওয়ার লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু ও থেমে যায়নি।
২০২২ সালে লখনউয়ের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বলে ৪০ রান করে ঘরে ফিরতে হয়, একটুর জন্য হাতছাড়া হয় ম্যাচ। রিঙ্কুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ওই রাতে ড্রেসিং রুমে ফিরে সতীর্থদের বলেছিলেন, 'একদিন নয়, কিন্তু একদিন হবেই।' আজ অর্থাৎ শুক্রবার ঘরের মাঠে নামবে কলকাতা। ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে ওই খেলার সমস্ত টিকিট। ৬৮ হাজারের ইডেন যে শুধু কেকেআর-কে নয়, বরং রিঙ্কু সিং নামক জ্বলজ্বলে নায়ককেও দেখতে আসবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটাই তো চেয়েছিল রিঙ্কু। চেয়েছিল রিঙ্কুর পরিবার। গোটা কলকাতা, ব্যতিরেকে গোটা খেলার মাঠ রিঙ্কুর জন্য চেঁচিয়ে উঠবে, এর থেকে বেশি রিঙ্কু কীই বা চেয়েছিল!