সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) যেন একাই একশো। তাঁর ব্যাট একাই দরমুশ করে দিলো বেঙ্গালুরুকে (Bangalore)। শুধু একা সূর্য নন, মুম্বইয়ের (MI) ম্যাচে দাপট দেখিয়ে গেছেন ঈশান কিশান, নেহাল ওয়াদেহারারা।
টস জিতে এদিন ঘরের মাঠে আরসিবিকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু প্রথম ওভারেই জেসন বেহরেনডফের বলে মাত্র ১ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাট। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনে নামা অনুজ রাওয়াতের উইকেট হারায় আরসিবি।
মাত্র ১৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে দলের রাশ ধরেন অধিয়ানায়ক ফাফ ডু’প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই জুটির ১২০ রানের পার্টনাশিপ ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বেঙ্গালুরুকে। ডু’প্লেসিস করেন ৪১ বলে ৬৫। এবং ম্যাক্সওয়েল খেলেন ৩৩ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। তবে আরসিবির বাকি ব্যাটাররা তেমন রান পাননি। শেষে দীনেশ কার্তিকের ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে, ২০ ওভার শেষে বেঙ্গালুরু ৬ উইকেট খুইয়ে তোলে ১৯৯ রান।
মুম্বইয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন জেসন। একটি করে উইকেট পান ক্যামেরুন গ্রিন, ক্রিস জর্ডেন ও কুমার কার্তিকেয়া।
বেঙ্গালুরুর ১৯৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড় তোলেন ইশান কিশান। ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে যখন ইশান আউট হন তখন ৪ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৫০ পেরিয়ে গেছে।
তবে এদিনের ম্যাচেও রান পেলেন না রোহিত। এদিন মুম্বই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। পরপর ম্যাচে রোহিতের এই ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট মহলে। রোহিত আউট হতেই ম্যাচের হাল ধরেন সূর্য। নেহালকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে আসেন তিনি।
মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন সূর্য। তাঁর ব্যাটের ঝড়ের সামনে পড়ে কিছুটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। আর তাঁকে এই ম্যাচে যোগ্য সঙ্গত দেন নেহাল। ৩৪ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ম্যাচ জিতিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নেহাল। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে অনেকটাই ওপরে উঠে এল মুম্বই। ১১ ম্যাচে ৬টা জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে রয়েছেন রোহিতরা।