Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

আই পি এল

Dhoni: ছুটে গিয়ে জামায় মাহির অটোগ্রাফ নিলেন গাভাস্কার, মাহির অটোগ্রাফ পোস্ট রিঙ্কু-বরুনের

'মহেন্দ্র সিং ধোনি' (MSD) এই নামটা যে শুধু কোনও ক্রিকেটারের (Cricket) নাম নয়, নামটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে আবেগের সেটা প্রমাণ হয়েছে বহুবার। কখনও বিপক্ষের ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়ালকে দেখা গিয়েছে নমস্কার করতে, কখনও কোনও ধোনি ভক্তকে (Mahi Fan) মাঠে ঢুকে ধোনির পা ছুঁতে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। এমনিতেই গোটা দেশের যে মাঠেই খেলা হোক ধোনির জন্য একটা বড় সংখ্যক ভক্ত মাঠে আসেন। এমনকি ধোনির খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। ধোনি মাঠে নামতেই দর্শকের চিৎকার তা বুঝিয়ে দেয়।

ধোনি যে লিভিং লেজেন্ড সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে কথা স্বীকারও করেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব সহ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এবার ধোনিকে নিয়ে উচ্ছাস দেখা গেল ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য সুনীল গাভাস্কারের। রীতিমত অন্যান্য ভক্তদের মত ছুটে ধোনির থেকে অটোগ্রাফ নিলেন গাভাস্কার। রবিবার চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে খেলা ছিল ধোনির দলের। সেদিন মাত্র ২ বল আগে ব্যাট করার সুযোগ পায় ধোনি। নামেও ব্যাট করতে। ওদিকে ধোনিকে দেখার জন্য চিপক স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি।

ম্যাচ শেষে গোটা মাঠ পরিক্রমা করছিলেন ধোনি বাহিনী। অবশ্য কেকেআরের কাছে ওইদিনের ম্যাচ হারতে হয়েছিল ধোনিদের। হারলেও ধোনিকে একপলক দেখার জন্য ভক্তদের ভিড় ছিল। শেষে ধোনি যখন চিপক স্টেডিয়াম পরিক্রমা শুরু করে তখন অন্যদিকে স্টার স্পোর্টসের এক সঞ্চালকের সঙ্গে মাঠেই দাঁড়িয়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন ও প্রাক্তন ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। হঠাৎ দেখা যায় ওই অবস্থায় ধোনিকে দেখে দৌড়ে যায় গাভাস্কার। একটি অটোগ্রাফও দিতে বলেন তাঁর শার্টে। গাভাস্কারকে দেখে প্রথমেই ভীষণ খুশি হয় মাহি। তারপর গাভাস্কারের জামায় অটোগ্রাফ দেয় ধোনি। আর সেখানে লেখা 'মাহি'। যে ডাকনামে গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত তিনি। এরপর গাভাস্কারকে জড়িয়ে ধরেন মাহি।

ওদিকে ধোনির থেকে বিশেষ উপহার পেলেন নাইট তারকা রিঙ্কু সিং ও বরুণ চক্রবর্তী। এসবের মধ্যেই নেটিজেনদের মন জয় করেছে রিঙ্কু সিং ও বরুণ চক্রবর্তীর একটি ছবিও। তাঁদের জার্সিতেও অটোগ্রাফ দিয়েছেন মাহি। কেকেআর টুইট করে ধোনির সই করা রিঙ্কুর সেই জার্সির ছবি পোস্টও করেছে।


রবিবার ধোনিকে বাউন্ডারি লাইনের সামনে দেখে দৌড়ে আসেন রিঙ্কু সিং। তাঁর হাতে কেকেআরের একটি জার্সি। তাতে সই করেন ধোনি। রিঙ্কুর পিঠে বাহবা দেন সিএসকের সিইও কাশী বিশ্বনাথন। বরুণ চক্রবর্তী একটি সিএসকের ৭ নম্বর জার্সি নিয়ে আসেন। তাতেও অটোগ্রাফ দেন ধোনি।

11 months ago
Cancer:ক্যানসার জয়ীদের সন্মান জানাতে সোমবার আইপিএলে বিশেষ ব্যবস্থা গুজরাতের

সোমবার আমেদাবাদের রং হতে চলেছে ল্যাভেন্ডার। আইপিএলের ম্যাচে সোমবার বিশেষ জার্সি পরে মাঠে নামছে গুজরাত টাইটান্স। তারজন্য রবিবার থেকেই নতুন রঙে সেজেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। যুবরাজ সিং থেকে নীল আর্মস্ট্রং। সঞ্জয় দত্ত থেকে মণীশা কৈরালা। সব ক্যানসারজয়ীদের এই ল্যাভেন্ডার জার্সি গায়ে সম্মান জানাতে চলছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। একইসঙ্গে এদিন ম্যাচ থেকে ওঠা অর্থ দান করা হবে ক্যানসার নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনেও। উল্লেখ্য ক্যানসারকে জয় করেই এই আইপিএলে গুজরাত দলে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড। 

গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হারলেও, এই আইপিএলে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাতে সিলমোহর বসাতে চান হার্দিকরা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গুজরাত। তাই এদিনের ম্যাচের তেমন কোনও গুরুত্ব নেই। 

কারণ, এই আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকেই গিয়েছে হায়দরবাদ। এই ম্যাচ জিতলেও তাদের প্লে-অফ খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও মাক্রামরা চাইছেন এই ম্যাচে গুজরাতকে হারিয়ে শেষবেলায় দু পয়েন্ট কুড়িয়ে নিতে।

12 months ago
Fine: ফের বড় শাস্তির মুখে কেকেআর, শাস্তির মুখে গোটা দল, জানুন কারণ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট শাস্তি কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে। আইপিএলের গর্ভনিং বডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের অভিযোগে ২৪ লাখ টাকা ফাইন করা হয়েছে নীতীশ রানাকে। একইসঙ্গে ফাইন করা হয়েছে কেকেআরের বাকি ক্রিকেটারদেরও। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্লো-বোলিং করার অভিযোগ কেকেআরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল নীতীশের। নিয়ম অনুয়াযী, আরও একটি ম্যাচে স্লো-বল করলে একটি ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে রানাকে। রবিবার আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলবে কলকাতা। 

রবিবার ১১ বছর পর চিপক ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। কিন্তু সেই জয়ের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানে রুখতে গিয়ে সময়ের বেশি সময় বল করেছেন কেকেআর বোলাররা। আর তাতেই নজিরবিহীন জরিমানা করা হয়েছে কেকেআর অধিনায়ককে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম বার মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা ও তৃতীয় বার ভুল করলে এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়। সেই শাস্তির মুখে এ বার নীতীশ।

রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা। প্লে-অফে উঠতে হলে ওই ম্যাচ জিততে হবে কেকেআরকে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট এখন কেকেআরের ঝুলিতে।

12 months ago


KKR: ১১ বছর পর চেন্নাইয়ের মাঠে, চেন্নাইকে হারালো কলকাতা, আরও কঠিন প্লেঅফের অঙ্ক

১১ বছরের অপেক্ষা শেষ। সিংহগুহায় জিতে কলকাতা ফিরছেন নাইটরা। শেষবার ২০১২ সালে চেন্নাই গিয়ে চিপকে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের হারিয়েছিলেন নাইটরা। সেই দলের নেতা ছিলেন গৌতম গম্ভীর। রবিবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন দিল্লির আর এক ক্রিকেটার নীতীশ রানা। তবে, জিতলেও এখনই প্লে-অফে ওঠার ছাড় পাচ্ছেন না নাইটরা। তাঁদের এখন দীর্ঘ অপেক্ষা। উল্টোদিকে, প্লে-অফে ওঠার রাস্তায় এখন ২০ তারিখ শেষ ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। প্রতিপক্ষ দিল্লি। 

পরিসংখ্যানে কলকাতার থেকে অনেক এগিয়ে চেন্নাই। বিশেষ করে চেন্নাইয়ের মাটি ধোনিদের প্রতিপক্ষের কাছে সবসময় দুর্ভেদ্য। সেই মাঠে এই নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ জিতল কেকেআর। কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানা জানিয়েছেন, চিপকে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় সবসময় স্পেশাল। কারণ, এই মাঠের গ্যালারি ম্যাচের রং বদলে দেয়। 

গ্রুপ পর্যায়ে রবিবার এই মাঠে শেষ ম্যাচ খেলেছে সুপার কিংস। ম্যাচ শেষে সিএসকে সমর্থকদের বিশেষ উপহার দিয়েছেন ধোনি, জাডেজা, রাহানেরা। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকে অটোগ্রাফ নিচ্ছেন সুনীল গাভাসকর। এদিন সানির জামায় নিজের সই রাখলেন মাহি। নিজের জার্সিতেও নিলেন কিংবদন্তি গাভাসকরের সই।

12 months ago
RCB: আইপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর রাজস্থানের, ১১২ রানে জয় পেল বেঙ্গালুরু

বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৫৯ রানে অল আউট রাজস্থান রয়্যালস। বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে কার্যত প্লে-অফের দৌড় থেকে বিদায় রাজস্থানের। লজ্জাজনক এই হারের কারণ রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডার। এই জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলো বেঙ্গালুরু। ১১২ রানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালো বেঙ্গালুরু।

রবিবারের দুপুরের ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু অর্থাৎ বিরাট বাহিনী। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বেঙ্গালুরু। কোহলির ব্যাটে রান না এলেও ম্যাচের হাল ধরে ম্যাক্সওয়েল ও ডিউ প্লেসিস। দু'জনের ব্যাটেই অর্ধশতরান আসে। ডিউ প্লেসিস করে ৪৪ বলে ৫৫ রান। পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েল করে ৩৩ বলে ৫৪ রান। এই দুই উইকেট পড়ে গেলে একটু চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। ওদিকে পরপর আরও উইকেট পরে বেঙ্গালুরুর, শেষে অনুজ রাউতের ঝোড়ো ইনিংস অর্থাৎ ১১ বলে ২৯ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে বেঙ্গালুরু।

১৭২ রানের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের গোটা টপ অর্ডার, গোটা মিডিকেল অর্ডার ধসে পড়ে। রান আসে কেবল সিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে। হেটমায়ার ১৯ বলে ৩৫ রান করে। এ ছাড়া গোটা দলে দুই অংকের স্কোর কেবল করে জো রুট। রুট করে ১০ রান। এ ছাড়া গোটা দলের কেউ দুই অংকের স্কোর করতে পারে নি। রাজস্থান ১০ ওভার ৩ বল খেলে মোট ৫৯ রান করে। আইপিলের ইতিহাসে রাজস্থানের সর্বনিম্ন স্কোর এটা।

ওদিকে বল হাতে তেমন সফল না রাজস্থানের বোলাররা। দুটি করে উইকেট পেয়েছে জাম্পা ও আসিফ। একটি উইকেট পেয়েছে সন্দীপ শর্মা। ওদিকে বেঙ্গালুরুর ৩ টি উইকেট নেয় পার্নেল, ২ টি করে উইকেট নেয় ব্রেসওয়েল ও শর্মা। একটি করে উইকেট নেয় সিরাজ ও ম্যাক্সওয়েল।

12 months ago


KKR: চেন্নাইয়ের সঙ্গে মরণ-বাঁচন ম্যাচ, জিতলে কোন ছকে কেকেআর প্লে-অফে যেতে পারে

এখনও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR)। তবে, সেটা নির্ভর করছে না কলকাতার উপর। বরং কলকাতার প্লে-অফে যাওয়ার জন্য এবার নির্ভর করতে হবে অন্য দলের উপর।

চলতি মরশুমের আইপিএলে (IPL) কেকেআর মোট ১২টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে জিতেছে ৫টি ম্যাচ। ফলে তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ১০। এখনও চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলবে নাইটরা। দু'টি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। সেক্ষেত্রে তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট হবে ১৪। কিন্তু তার পরেও প্লে-অফে পৌঁছতে ভরসা করতে হবে অন্য দলের উপর।

ওদিকে আজ অর্থাৎ রবিবারের সন্ধ্যায় কেকেআরের মুখোমুখি হবে চেন্নাই। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ধোনিবাহিনীকে হারাতেই হবে তাঁদের। গত ম্যাচে রাজস্থানের কাছে হেরে বিপাক বেড়েছে। থমকে আছে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা। এই ম্যাচ জিততে খানিকটা জট ছাড়তে পারে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মোটামুটি যা আভাস, তাতে দলে খুব একটা পরিবর্তন নাও হতে পারে।

কলকাতা এসে ধোনিরা ইডেনে ২৩৬ রান করেছিলেন। চিপক তাঁদের নিজেদের মাঠ। যেখানে ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগেই এগিয়ে হলুদ সেনা। হাঁটুর চোট নিয়ে খেলে যাচ্ছেন চেন্নাই অধিনায়ক। তাঁর থামার কোনও লক্ষণ নেই। উইকেটে সামনে এবং পিছনে সমান সাবলীল মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনিতেই ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের সেকেন্ড বয় চেন্নাই। এই ম্যাচ জিতলেই কেল্লাফতে।

অতীত ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে শেষবার ২০১২ সালে চিপকে জয় পেয়েছিল কলকাতা। তারপর ১১ বছর কেটে গিয়েছে। ২০২১ সালে দুবাইয়ের মাঠে ফাইনালে উঠেও সুপার কিংসদের আটকাতে পারেননি নাইটরা। তবে এই ম্যাচ কিন্তু কেকেআরের কাছে মরণ-বাঁচন। প্লে-অফে উঠতে হলে এই ম্যাচ থেকে দু-পয়েন্ট খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের দিকেও। তাই কেকেআর যে এই ম্যাচে পরিবর্তনের পথে হাঁটবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না।

12 months ago
IPL: দিল্লিকে হারিয়ে প্লে অফের অঙ্ক জমিয়ে দিয়েছে পঞ্জাব, কার অবস্থান কি

পঞ্জাবের (PBKS) কাছে হেরে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো দিল্লি (DC)। দিল্লির এই মরশুমে যে অত্যন্ত খারাপ গেছে সেটা পরিষ্কার। ওয়ার্নার (David Warner) একার হাতে দায়িত্ব নিলেও খুব ভালো ফল হয় নি। একটা খেলোয়াড় কাহাতকই বা একটা দলকে জেতাতে পারে।

দিল্লি ক্যাপিটালস বোর্ড মেন্টর করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আনে। যদিও এতে কোনো বাড়তি লাভ হয় নি। কোচের দায়িত্ব ছিল পন্টিংয়ের। পাশাপাশি ওয়াটসনকে বিশেষ দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। এসবের পরেও লাভ হয়নি। প্রথম দল হিসেবে এই মরশুমের আইপিএল থেকে বিদায় নিল তাঁরা।

শনিবার দিল্লির ঘরের মাঠে হার পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৩১ রানে। পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাটিং করে প্রভুশিমরণ সিংয়ের ১০৩ রানের সুবাদে করেছিল ১৬৭/৭। জয়ের জন্য এই রান কোনও বিষয়ই নয়। কিন্তু দিল্লির জারিজুরি শেষ হয়ে গিয়েছে ১৩৬/৮। কিংস সিংহরা জিতে আইপিএলের প্লে অফের অঙ্ক জমিয়ে দিয়েছে।

পঞ্জাব বর্তমানে রয়েছে ৬ নম্বরে, পঞ্জাব ১২ টি ম্যাচ খেলে ছ'টি জিতেছে এবং ছটি হেরেছে পঞ্জাবের সংগ্রহে ১২ পয়েন্ট পাশাপাশি রাজস্থান ১২টি খেলে ছয়টি জিতেছে, ও ছটি হেরেছে ফলে রাজস্থানের সংগ্রহে ১২ পয়েন্ট। নেট রান রেটের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে পঞ্জাব। এখন দু'দলেরই  দুটো করে খেলা বাকি। পঞ্জাব কে প্লে অফ খেলতে গেলে হবে অপেক্ষা করতে হবে, যে মুম্বই ও লখনউ যারা ১২ টি করে খেলেছে, ওদের হারের। পাশাপাশি রাজস্থান ও যদি হারে তবে পঞ্জাবের প্লে অফ খেলা কিছুটা নিশ্চিত।

12 months ago
PBKS: পঞ্জাবের কাছে ৩১ রানে হার, প্লেঅফের আশা শেষ দিল্লির

পঞ্জাবের (PBKS) কাছে হেরে প্লেঅফের আশা শেষ দিল্লির (DC)। শনিবার পঞ্জাবের কাছে হেরে সেই আশা খোয়াল দিল্লি। শনিবার সন্ধ্যায় টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। এবং শেষে ৩১ রানে পঞ্জাবের কাছে হারতে হয় দিল্লিকে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করে পঞ্জাবের ওপেনার প্রভিস্বরম। ৬৫ বলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। যদিও টপ অর্ডারের কেউই তেমন রান পায় নি। এমনকি দুইয়ের অঙ্কও পৌঁছাতে পারেননি ধাওয়ান, লিভিংস্টোন, ও জিতেশ শর্মা।

প্রভিস্বরমের একার উপর ভর করে পঞ্জাব ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে। ১৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রশংসিত ইনিংস খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ার্নার ২৭ বলে ৫৪ রান করে। পাশাপাশি সল্ট করে ২১ রান, ওয়ার্নার ও সল্ট আউট হলে কার্যত ভেঙে পড়ে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যর্থ মার্শ, রুশো,অক্ষর প্যাটেল ও মনীশ পাণ্ডে। রান পেলেন প্রবীণ ও কুলদীপ যাদব, যদিও এতে শেষ রক্ষা হল না। ৩১ রানে হারতে হলো দিল্লিকে।

বল হাতে পঞ্জাবের হয়ে ৪ টি উইকেট পায় হারপ্রীত, ২ উইকেট পায় নাথন। ২ টি উইকেট পায় চাহার। ওদিকে দিল্লির হয়ে বল হাতে ইশান্ত ২ টি উইকেট পায়। ১ টি করে উইকেট পায় অক্ষর, প্রভিন, কুলদীপ যাদব, ও মুকেশ কুমার।

12 months ago


LSG: হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লেঅফের দৌড়ে এগিয়ে গেল লখনউ, আশাহত হায়দরাবাদ

লখনউয়ের (LSG) কাছে হেরে প্লে অফের দৌড় থেকে বিদায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। হায়দরাবাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের (Play Off) দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮২/‌৬ তুলেছিল হায়দরাবাদ। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ১৮৫/‌৩ তু্লে ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ।

প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে এদিন ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। এদিনও হায়দরাবাদের ওপেনিং জুটি বড় রান করতে ব্যর্থ। তৃতীয় ওরেই অভিষেক শর্মাকে (‌৫ বলে ৭)‌ তুলে নেন যুধবীর সিং। যদিও রানের গতি কমেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ষষ্ঠ ওভারে আবার ধাক্কা। রাহুল ত্রিপাঠিকে (‌১৩ বলে ২০)‌ ফেরান যশ ঠাকুর। এরপর আনমোলপ্রীতকে তুলে নেন অমিত মিশ্র। ২৭ বলে ৩৬ রান করে অমিতের হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন আনমোলপ্রীত।

এরপর হায়দরাবাদকে টানেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও হেনরিক ক্লাসেন। ১৩ তম ওভারের প্রথম বলেই লখনউ অধিনায়ক ক্রূণাল পান্ডিয়া মার্করামকে তুলে নেন। ২০ বলে ২৮ রান করে আউট হন মার্করাম। পরে বলেই গ্লেন ফিলিপসকে (‌০)‌ ফেরান। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন আব্দুল সামাদ। অন্যপ্রান্তে, হেনকির ক্লাসেনও আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। এই দুজনের সৌজন্যেই বড় রান তোলে হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ১৮২/‌৬। ২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ক্লাসেন। ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আব্দুল সামাদ। ২৪ রানে ২ উইকেট নেন ক্রূণাল পান্ডিয়া।

জয়ের জন্য ১৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১২ রান ওঠার ফাঁকেই হারাতে হয় কাইল মেয়ার্সের (‌২)‌ উইকেট। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে হলকে এগিয়ে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক ও প্রেরক মানকড়। ১৯ বলে ২৯ রান করে মায়াঙ্ক মারকান্ডের বলে আউট হল ডিকক। এরপর লখনউকে টানেন প্রেরক ও মার্কাস স্টয়নিস। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৩ রান। ১৬ ওভারের তৃতীয় বলে স্টয়নিসকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন অভিষেক শর্মা। ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন স্টয়নিস।

স্টয়নিস যখন আউট হন জয়ের জন্য লখনউর ২৭ বলে দরকার ছিল ৫৬ রান। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলে দলকে জয় এনে দেন নিকোলাস পুরান। ৪ বল বাকি থাকতে ১৮৫/‌৩ রান তুলে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণভাবে ঢুকে পড়ল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। মারেন ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। অন্যদিকে ৪৫ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রেরক মানকড়।

12 months ago
SRH: ঘরের মাঠে বড় রান করতে ব্যর্থ হায়দরাবাদ, লখনউয়ের সামনে টার্গেট ১৮৩ রানের

ঘরের মাঠে আইপিএলের (IPL) ম্যাচে বড় রান করতে ব্যর্থ হায়দরাবাদ (SRH)। শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লখনউয়ের (LSG) বিরুদ্ধে খুব দ্রুত উইকেট হারায় হায়দরাবাদ দল। আনমোলপ্রীতের সঙ্গে জমল না অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি। মাঝের সময়ে টানলেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং ক্লাসেন। ২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ক্লাসেন। ম্যাচে দুটি উইকেট লখনউয়ের অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার। 

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মনে করা হয়েছিল প্রথম ব্যাট করার সুযোগ তুলবেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। কিন্তু ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণের এই দল। আনমোলপ্রীত এবং রাহুল মিলে দলের ভিত মজবুতের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১১৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় হায়দরাবাদ। 

শেষ পর্যন্ত ক্লাসেনের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৮২ রান করে হায়দরাবাদ। ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন লখনউয়ের অধিনায়ক ক্রুণাল পান্ডিয়া।

12 months ago


IPL: হেরেও শীর্ষে গুজরাত, দৌড়ে রয়েছে মুম্বইও, আইপিলের সমীকরণ কোথায় দাঁড়িয়ে

মুম্বইয়ের (MI) বিজয় রথ দৌড়েই চলেছে, তাঁরা যে প্লে অফার লড়াইয়ে ভীষণ ভাবে ঢুকে পড়েছে সেটা পরিষ্কার। বৃহস্পতিবার মুম্বই ২৭ রানে হারিয়েছে গুজরাতকে (GT)। ১২ ম্যাচ খেলে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট ১৪। গুজরাতের কাছে হেরেও আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে হার্দিক পাণ্ড্যরা (Hardik Pandya)। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গুজরাত। বাকি ২ ম্যাচের একটি জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত গুজরাতের। ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। বাকি ২ ম্যাচের একটি জিতলেই প্লে অফে পৌঁছে যাওয়ার কথা সিএসকে-র।

গুজরাত টাইটান্সকে (MI vs GT) ২৭ রানে হারিয়ে আইপিএলে প্লে অফে ওঠার দৌড়ে ভালমতোই রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১২ ম্যাচ খেলে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট ১৪। পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এসেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রাজস্থান রয়্যালস। বাকি ২ ম্যাচ জিতলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবেন সঞ্জু স্যামসনরা। অন্তত দশ ম্যাচ খেলে ফেলেছে প্রত্যেকটি দল, অথচ দশ দলের কেউই প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যায়নি, কারও প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায়নি, আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে কখনও এ জিনিস হয়েছে?

পয়েন্ট টেবিলে ১২ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স। তবে হার্দিক পাণ্ড্যরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্লে অফের যোগ্যতা পায়নি। বাকি ২ ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত। এমনকী, ২ ম্যাচ হেরে গেলেও প্লে অফে পৌঁছে যেতে পারেন তাঁরা। ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। বাকি দুই ম্যাচের একটি জিতলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সহ তিন নম্বরে উঠে এল মুম্বই। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট লখনউ সুপার জায়ান্টসের। তারা রয়েছে পাঁচ নম্বরে। বাকি তিন ম্যাচের ৩টি জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত। ২টি জিতলেও ভাল সুযোগ থাকবে।

তিন দল রয়েছে ১০ পয়েন্টে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্লে অফে ওঠার। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। তারা রয়েছে ছয় নম্বরে। শেষ দুটি ম্যাচই হেরেছেন বিরাট কোহলিরা। বাকি তিন ম্যাচ জিততেই হবে তাঁদের। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সাতে রয়েছে কেকেআর। শেষ ২ ম্যাচের দুটি জিতলে প্লে অফের দরজা খুলতে পারে নাইটদের সামনে। তবে রান রেট ভাল রাখতে হবে। তার জন্য বড় ব্যবধানে জয় চাই। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের ওপর। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে পাঞ্জাব কিংস। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট সমান হলেও আরসিবি ও কেকেআরের চেয়ে পিছিয়ে পাঞ্জাব।

12 months ago
MI: সূর্যকুমারের দাপটে জয় মুম্বইয়ের, কাজে এলো না রশিদের লড়াই

কাজে এলো না রশিদের (Rashid Khan) চেষ্টা, কেন লীগ তালিকায় ১ নম্বর দল গুজরাত (GT) সেটা বুঝিয়ে দিল। প্রায় হেরে গিয়েও লড়াই ছাড়ে নি গুজরাতের রশিদ খান। টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক। এ বারের ওয়াংখেড়েতে মুম্বই রান তাড়া করে সব ম্যাচ জিতেছে। তাই সুযোগ পেয়ে রোহিতদের আগে ব্যাট করিয়ে নেন হার্দিক। কিন্তু তাতে যে সূর্যকুমার এমন ভাবে খেলবেন কে ভেবেছিল। আইপিএলে প্রথম বার শতরান করলেন সূর্যকুমার। এর আগে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান ছিল তাঁর।

গুজরাতের হয়ে রশিদ খান চার ওভারে ৩০ রান চার উইকেট নেন। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাই তিনি নিতে পারেননি। এক ওভারে রোহিত এবং ঈশানকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের স্পিনার। পরের ওভারেই নেন নেহাল ওয়াদেরার উইকেট। মোহিত শর্মা ফেরান বিষ্ণু বিনোদকে। টিম ডেভিডের উইকেটটিও নেন রশিদ। কিন্তু সূর্যকুমারের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। তিনি একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার।

রান তাড়া করতে নেমে গুজরাতের প্রথম তিন ব্যাটারই ১০ রানের গণ্ডি পার করতে ব্যর্থ হন। তাতেই বোঝা গিয়েছিল গুজরাতের পক্ষে এই বিশাল রান পার করা সম্ভব হবে না। ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিল এবং ডেভিড মিলারের উইকেট তুলে নেন মুম্বইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আকাশ মাধওয়াল। তাঁর বলে শুভমনের স্টাম্প ছিটকে যায়। এলবিডল্বিউ হন ওপেনার ঋদ্ধি এবং সবে ভয়ঙ্কর হতে চলা মিলার। হার্দিককে ফেরান জেসন বেহরেনডর্ফ। ১০৩ রানে ৮ উইকেট হারায় মুম্বই। জয় তখন মুম্বইয়ের কাছে সময়ের অপেক্ষা।

রশিদ খান এবং আলজারি জোসেফ সেই অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ করেন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এর মধ্যে ৭৯ রান একাই করেন রশিদ। ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। পায়ে চোট নিয়েই খেলে গেলেন রশিদ। তাঁর দাপটে গুজরাত জয়ের পথ খুলতে না পারলেও নেট রানরেটের দিক থেকে সুবিধাজনক জায়গায় থাকল। এই জয়ের ফলে মুম্বই লিগ তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এল। ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। গুজরাত শীর্ষেই রয়েছে। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের।

12 months ago
Rasid: রশিদে মুগ্ধ দুপক্ষ, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাপট রশিদের

তালিবান শাসনে দেশটা জর্জরিত না হলে এতদিনে আফগানিস্তান (Afghinstan) বিশ্বকাপ (World Cup) পেয়ে যেতে সেটা বলাই বাহুল্য। রশিদ খানের (Rasid Khan) ব্যাটিং, ফিল্ডিং ও বোলিং ঠিক এমনই কথা বলে। ব্যাটিং নিয়ে বিশেষণের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে। কী না খেললেন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ৩২ বলে করলেন অপরাজিত ৭৯ রান, ইনিংসে রয়েছে ১০টি ওভার বাউন্ডারি ও তিনটি কপিবুক বাউন্ডারি।

শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও নিলেন চার উইকেট। রশিদ যেন আইপিএলের পাওয়ারহাউস। তিনি হয়ে উঠলেন তারকার তারকা। রশিদের তাণ্ডবের পরেও হারল গুজরাত। কিন্তু তাঁর ইনিংস নিয়ে আলোচনা চলবে।

বলা যেতে পারে একই দিনে সূর্যকুমারের ১০৩ রানের ধামাকা সেঞ্চুরির পরে রশিদের ব্যাটিং যেন ক্রিকেট প্রেমীদের আনন্দের একঝলক টাটকা বাতাস। মুম্বই জিতল ২৭ রানে। দিল জিতলেন রশিদ খান।

শেষ ওভারে কুমার কার্তিকেয়র বলে ৩টি ছক্কা মারেন রশিদ। পঞ্চম বলে রশিদের ক্যাচ ছাড়েন জর্ডন। ওভারে ২০ রান ওঠে। মুম্বইয়ের ৫ উইকেটে ২১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রান তোলে। আফগান তারকা রশিদ দেখালেন দল হারলেও তিনি কী করে নায়ক হতে হয়।

12 months ago


Jersey: মোহনবাগানের জয়জয়কার, সবুজ মেরুন জার্সিতে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলবে লখনউ

আগামী ২০ মে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস আইপিএলের (IPL) সম্মুখ সমরে নামতে চলেছে। সেই দিন মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকদের জন্য রয়েছে বিশেষ চমক। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টসদের (lucknow Super Giants) নীল রঙের জার্সি বদলে যাবে সবুজ মেরুনের ছোঁয়ায়। কলকাতার মোহনবাগানের সমর্থক এবং ভক্তদের মন জিততে এই রণকৌশল নিয়েছেন, খোদ লখনউ দলের কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (যিনি আবার মোহনবাগানের চেয়ারম্যান)। সবুজ মেরুন সমর্থকদের আবেগ নিয়ে যে তিনি সচেতন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। ভক্তদের অনুরোধে মোহনবাগান নামের সামনে থেকে 'এটিকে' শব্দটি সরিয়েছিলেন তিনিই। এবার আইপিএল এবং মোহনবাগানকে এক সূত্রে বাঁধতে নয়া মাস্টারস্ট্রোক গোয়েঙ্কার।

লখনউ সুপার জায়ান্টসদের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। এই গৌতম গম্ভীরই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দু'বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ট্রফি জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর কেকেআর, গম্ভীরকে একপ্রকার ছুড়ে ফেলে দিয়েছে বললে খুব একটা ভুল হবে না বোধহয়। কেকেআর কর্তারা গম্ভীরকে দলে নেননি, নিদেন পক্ষে মেন্টর হিসেবেও গুরুত্ব দেননি। এই গৌতম একসময় কলকাতার প্রেমে নিমজ্জিত হয়ে এই শহরেই একটি ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন। ২০ মে কলকাতায় আইপিএলের সিজনের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচেই চেক মেট করতে চাইছেন গম্ভীর।

ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইডেনের বুকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে লখনউ সুপার জায়ান্টসদের এই ম্যাচ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কলকাতার বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়ে নামবেন গৌতম গম্ভীরের সৈনিকরা। স্ট্রাটেজিতেও কলকাতার থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে লখনউ। কিন্তু দল ময়দানে নামার আগেই মোক্ষম চাল চললেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ইডেনের ময়দানে আইপিএল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের এক করতে পারলে লখনউয়ের যুদ্ধ যে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০ মে শেষ চালে কে বাজিমাত করে এখন সেইটাই দেখার।

12 months ago
IPL: ভেঙেছেন দ্রুততম অর্ধশত রানের রেকর্ড, আরও একটি বড় রেকর্ড থেকে সামান্য দূরে যশস্বী

যশস্বী জয়সওয়াল  (Yashasvi Jaiswal) এখন আইপিএলে (IPL) স্বপ্নের নাম। এখনো জাতীয় দলের হয়ে খেলার শিঁকে ছেড়েনি। কিন্তু তিনি গোটা ভারতে অভূতপূর্ব খেলোয়াড় হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের (RR) যশস্বী ইডেনে ৪৭ বলে ৯৮ রানের যে ইনিংস খেলেছেন, তাতে করে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। এখনও ভেঙেছেন দ্রুততম অর্ধশত রান করার রেকর্ড। সামনেও দূরে একটি বড় রেকর্ডের।

 ২১ বছর বয়সী ছয় ফুট উচ্চতার বাঁহাতি এই ওপেনারের মোট রান ১২টি ম্যাচে ৫৭৫। আর মাত্র ৪২ রান করলেই তিনি আইপিএলে মোট রানের দিক থেকে সবাইকে টপকে যাবেন। শন মার্শের মোট রান হল ৬১৬। এর আগে আইপিএলে সব থেকে কম বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল লোকেশ রাহুলের। তিনি ২০১৮ সালে পঞ্জাব কিংসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ওই নজির গড়েছিলেন। আইপিএলে একটি মরশুমে কোনও অবাছাই ক্রিকেটারের সব থেকে বেশি রান করার রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শন মার্শের নামে। তিনি ২০০৮ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ১১টি ইনিংসে ব্যাট করে ৬১৬ রান করেছিলেন।

আইপিএলের একটি মরশুমে অনামী ক্রিকেটার হিসেবে সব থেকে বেশি রানের নিরিখে যশস্বী এখনই টপকে গিয়েছেন ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদবকে। ঈশান ২০২০ সালে ৫১৬ ও সূর্যকুমার ২০১৮ সালে ৫১২ রান করেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল,  মার্শ ২০০৮ সালে আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে অরেঞ্জ ক্যাচ জিতেছিলেন। যশস্বীও এবার অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন। ফ্যাফ ডু’প্লেসির (৫৭৬) পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাজস্থানের ওপেনার।

12 months ago