
চার-ছক্কা বা উইকেট নয়। আইপিএলের (IPL 2023) প্লে-অফে যত ডট বল হবে ততই লাভ পরিবেশের। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। তিনটি প্লে-অফ এবং ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে ডট বল পিছু ৫০০টি করে চারাগাছ লাগাবে ভারতীয় বোর্ড।
এমনিতে ক্রোড়পতি লীগের খেলায় প্রচুর জল নষ্ট নিয়ে অতীতে বহু বিতর্ক হয়েছে। এমনকী মহারাষ্ট্রে খরার সময় খেলার মাঠে প্রচুর জল ‘নষ্ট’ নিয়ে মামলাও হয়েছে। কিন্তু এবার তেমন কোনও বিতর্ক দেখা যায়নি। উলটে বিসিসিআই (BCCI) অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে যাতে বিশ্ব উষ্ণায়ণ রোধে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করা যায়।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, প্রথম কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে যতগুলি ডট বল হবে তার জন্য চারাগাছ লাগাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ডট বলের জন্য ৫০০টি চারাগাছ লাগানো হবে। অর্থাৎ মহম্মদ শামি বা দীপক চাহাররা যত ডট বল করবেন, ততই লাভ পরিবেশের। টুর্নামেন্ট শেষে গোটা দেশে এই চারাগাছগুলি লাগানো হবে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করবে বোর্ড।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, প্রথম কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে যতগুলি ডট বল হবে তার জন্য চারাগাছ লাগাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ডট বলের জন্য ৫০০টি চারাগাছ লাগানো হবে। অর্থাৎ মহম্মদ শামি বা দীপক চাহাররা যত ডট বল করবেন, ততই লাভ পরিবেশের। টুর্নামেন্ট শেষে গোটা দেশে এই চারাগাছগুলি লাগানো হবে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করবে বোর্ড।
এবারের আইপিএল-ই (IPL) কি শেষ? নাকি পরের বারও মাঠে দেখা যাবে তাঁকে? মহেন্দ্র সিং ধোনির (Dhoni) অবসর নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠে এসেছে। এবার উত্তর দিলেন মাহি (Mahi) নিজেই।
মঙ্গলবার আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাতকে হারানোর পরপরই ফের অবসর নিয়ে প্রশ্ন করা হল ধোনিকে। এ বার জবাব দিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক। জানালেন, তাঁর হাতে এখনও অনেক সময় রয়েছে ভাবার জন্য।
ধোনি জানিয়েছেন, হাতে ৮ থেকে ৯ মাস সময় আছে। এখন থেকে চিন্তা বাড়াতে চান না মাহি আগামী আইপিএল খেললে জানুয়ারি মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করার কথা তাঁর। তাই এখন থেকে কিছু ভেবে রাখতে চাইছেন না।
ঠিক হয়ে গেল আইপিএলের (IPL) প্লে-অফের লাইনআপ। নিয়ম অনুযায়ী, একের প্রতিপক্ষ দুই। তিনের প্রতিপক্ষ চার। সেইমতো, গুজরাত খেলবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। লখনউ খেলবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২৩ মে মুখোমুখি হবে গুজরাত ও চেন্নাই। এই ম্যাচ যে জিতবে, তারাই সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। বুধবার ২৪ তারিখ চিপকেই মুখোমুখি হবে লখনউ এবং মুম্বই। এই ম্যাচে যারা হারবে, তারা সরাসরি ছিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। শুক্রবার ২৬ তারিখ প্রথম ম্যাচের পরাজিত দল এবং দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচ থেকে যারা জিতবে, তারা ফাইনালে উঠবে। আক্ষরিক ভাবে রবিবার আইপিএল ফাইনালের আগে শুক্রবার হতে চলেছে আইপিএলের আসল সেমিফাইনাল।
এই আইপিএলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দল হিসাবে প্লে-অফ খেলবে চার বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ও লখনউ সুপার জায়েন্টস। আরসিবির হারে বরাত খুলেছে গত পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসাবে তারা প্লে-অফ খেলার যোগ্যতা পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এই আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে অরেঞ্জ ক্যাপ নিজের মাথায় রেখেছেন আরসিবি অধিনায়ক ফাপ ডুপ্লেসি। তিনি রান করেছেন ৭৩০। দু নম্বরে গুজরাতের শুভমন গিল এবং তিন নম্বরে আরসিবির বিরাট কোহলি। তাঁদের রান ৬৮০ এবং ৬৩৯। ২৪ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাম্প গুজরাতের মহম্মদ সামির মাথায়। সমসংখ্যক উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় গুজরাতের রশিদ খান। ২১ উইকেট নিয়ে তৃতীয় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া গতবারের রানার্স রাজস্থানের যজুবেন্দ্র চাহাল।
আগেই তারা ছিটকে গিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল খোলা মনেই। মুম্বইয়ের (MI) বিরুদ্ধে নিজেদের ব্যাটিং শক্তি দেখাল হায়দরাবাদ (SRH)। রবিবার টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বই। কুড়ি ওভারে রানের পাহাড়ে উঠে ইনিংস শেষ করলেন মাক্রামরা। এই প্রথম টুর্নামেন্টে ১০০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ তৈরি করল হায়দরাবাদ। বিভ্রান্ত এবং মায়াঙ্কের ব্যাটে প্রথম উইকেটে ১৪০ রান করে হায়দরাবাদ।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ৬৯ রান করেন বিভ্রান্ত শর্মা। ৪৬ বলে ৮৩ রানে আউট হন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এই দুই ব্যাটার আউট হতে একটু স্বস্তি পান মুম্বইয়ের বোলারা। ওয়াংখেড়ে পাটা পিচের সুযোগ নিয়ে শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাট করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। মূলত তাঁদের ব্যাটেই ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০০ রান করে দক্ষিণের এই দল।
তবে ঘরের মাঠে এদিনও বল হাতে নজর কারলেন আকাশ মাধওয়াল। এই ম্যাচেও ৩৭ রানে চার উইকেট আকাশের। একটি উইকেট জর্ডনের।
পরপর পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরকে (KKR) জেতানো হোক বা বিদায় জেনেও চোয়াল চাপা লড়াই, ২৫ বছরের রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ফের হৃদয় জিতলেন। ঘরের মাঠে শনিবার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন নাইটদের। রিঙ্কুর হার না মানা লড়াই বলছিল, এই ম্যাচটা জেতা উচিত কলকাতার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হল না। শেষ ম্যাচটা রাঙাতে না পারলেও মন জয় করে নিলেন রিঙ্কু। ২০২৩ আইপিএল থেকে ফের শূন্য হাতে ফিরল কেকেআর। তবে চলতি মরসুমে দলটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আলিগড়ের রিঙ্কু। আইপিএলের বিপক্ষের টিমগুলিও তা এককথায় মেনে নিচ্ছে। কেকেআরের বিদায় ও লখনউয়ের জয় সত্ত্বেও সবার মুখে রিঙ্কুর নাম।
ম্যাচের ১৯ ওভারে লখনউয়ের পেসার নবীন উল হককে কার্যত মাটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনটি চার ও একটি ছয়। শেষ ২ বলে ১২ রানের প্রয়োজন ছিল। রিঙ্কু থাকলে সবই সম্ভব, ধরে নিয়ে গোটা ইডেনের গ্যালারি রিঙ্কুর নামে ধ্বনি দিল। বিপক্ষের স্নায়ুর চাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে শেষমেশ হার মানলেন। কী মনে হচ্ছিল তখন? ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, 'পাঁচ ছক্কার ম্যাচটার কথা মনে পড়ছিল। আমি একেবারে রিল্যাক্স মুডে ছিলাম। যা হবে দেখা যাবে। শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল। ১টা বলে চার হয়।' তিনি আরও বলেন,' শেষ ইনিংসটার (গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে) পর লোকে আমাকে চিনতে শুরু করেছে। পাঁচটি ছয় হাঁকানোর পর প্রচুর সম্মান পেয়েছি। আজও তেমনটা হলে খুব ভালো হত।' ৩৩ বলে ৬৭ রান। নিজের ইনিংসে খুশি। তবে ম্যাচ না জেতায় বেশি আনন্দের বহিঃপ্রকাশ চাইছেন না রিঙ্কু।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, রিঙ্কুর ব্যাট নিয়ে টানাটানি করছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ওপেনার করণ শর্মা। তিনিও উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। তাঁর নেতৃত্বে খেলেন রিঙ্কু। ব্যাট নিয়ে টানাটানি করায় রেগে যাচ্ছিলেন রিঙ্কু। কী ঘটেছিল তখন? রিঙ্কু বললেন, 'ও আমার কাছে ব্যাট চাইছিল। আমি বললাম, এই ব্যাট দিয়েই তো আমি রান করেছি। আমার লাকি ব্যাটও বলতে পারেন।
আইপিএলের (IPL) লিগ পর্বের আর দুই ম্যাচ বাকি। মুম্বই বনাম হায়দরাবাদ ও গুজরাত বনাম বেঙ্গালুরু। ইতিমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় টিম হিসেবে জায়গা পাকা করে ফেলেছেন গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। কোয়ালিফায়ার পর্বে খেলবে এই দুই টিমই। এলিমিনেটর পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। রবিবার মুম্বই ও আরসিবির মধ্যে কে কোয়ালিফাই করে, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম প্লে-অফ খেলতে নামবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্স। তিনেই শেষ করেছে লখনউ। কেকেআর-কে ৯৭ রানে হারালে কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পেত তারা। মুম্বই অথবা আরসিবি, এই দুই দলের মধ্যে যে কোনও একটি টিমের মুখোমুখি হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
আইপিএল প্লে-অফে কোয়ালিফায়ারের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে চলে যায়। আগামী ২৬ মে এলিমিনেটর ম্যাচ। এদিনই খেলতে নামবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বই বা বেঙ্গালুরু দুই টিমই হারলে চার নম্বর টিম হিসেবে উঠে আসতে পারে রাজস্থান রয়্যালসও।
দিল্লির সঙ্গে মরণ বাচন ম্যাচ চেন্নাইয়ের (CSK)। আপাতত চেন্নাই লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৩ টি ম্যাচ খেলে তাঁদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। আপাতত দিল্লির (DC) প্লেঅফের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও দিল্লির সঙ্গে এই ম্যাচ চেন্নাইয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকতে গেলে চেন্নাইকে এই দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করতেই হবে। তবেই তাঁরা প্লেঅফ এবং লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। নচেৎ বিদায় নিতে পারে চেন্নাই।
পাশাপাশি চেন্নাইয়ের ঘাড়ে নিঃস্বাস ফেলছে লখনউ এবং ব্যাঙ্গালোর। যদিও একই ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে লখনউ ৩ নম্বরে রয়েছে। তারা আজ কলকাতার সঙ্গে খেলতে নামবে ইডেনে। ওদিকে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। প্রথম পাওয়ার প্লেতে চেন্নাইয়ের দাপট বজায় আছে। ৬ ওভারে তাঁদের সংগ্রহ ৫২ রান। এখনও কোনও উইকেট তাঁরা হারান নি। কনওয়ে খেলছেন ২৮ রানে, ও ঋতুরাজ ২২ রানে খেলছেন।
আইপিএলের (IPL) মহারণ আজ কলকাতায় (Kolkata)। কলকাতার ইডেনে যেন আজ মুখোমুখি হবে কলকাতা বনাম কলকাতা। একদিকে যখন ইডেনে খেলতে নামছে কলকাতা, তখন অন্যদিকে মোহনবাগানের জার্সি পড়ে খেলতে নামবে গোয়েঙ্কার দল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। আজকের খেলার গুরুত্ব দুদলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে এখনও খাতায় কলমে টিকে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু সামনে অঙ্কটা খুব কঠিন। শুধু নিজেদের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারালেই চলবে না, তার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচের দিকে। আবার লখনউকে শুধু হারালে হবে না, বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। তবে হার-জিত তো পরের কথা, টসের উপরই কলকাতার প্লে-অফ ভাগ্য নির্ভর করছে।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় নজর রাখলে দেখা যাবে আরসিবি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্ট ১৪। আরসিবি ও মুম্বইয়ের একটি করে ম্যাচ বাকি। কলকাতা শনিবার জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ১৪। আরসিবি ও মুম্বই পয়েন্ট নষ্ট করলে তখন একটা সুযোগ আসবে কেকেআরের সামনে।
বৃহস্পতিবার হায়রাবাদের (SRH) রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলারদের নিয়ে কার্যত খেলা করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। দীর্ঘ চার বছর পরে আইপিএলে (IPL) সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এর আগে আইপিএলে তাঁর ব্যাট থেকে শেষ শতরান এসেছিল ২০১৯ সালে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতরানকারী হলেন কোহলি। মোট ৬টি শতরান করেছেন বিরাট। আইপিএলে সমসংখ্যক শতরান করেছেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থ ক্রিস গেইলও।
৫টি শতরান করে দ্বিতীয় স্থানে জস বাটলার। ম্যাচে হেনরিক ক্লাসেনের শতরানে ভর করে ১৮৬ করে হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে ১৭২ রানের পার্টনারশিপ করেন কোহলি ও দুপ্লেসি। ৭১ রান করেন ডুপ্লেসি। ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে আরসিবি। উল্লেখ্য এই জয়ের ফলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় আরসিবি পাঁচ নম্বর থেকে উঠে এল চারে। তাদের প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত। চার থেকে নেমে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চলতি আইপিএলে প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের।
শুক্রবার ধর্মশালায় মুখোমুখি হয়েছে পঞ্জাব কিংস (PBKS) ও রাজস্থান রয়্যালস (RR)। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ মরণ-বাঁচনের। কারণ, যে দলই জিতবে, সেই দলই প্লে-অফের (PlayOff) লড়াইতে টিকে থাকবে। এই দুই দলই তাদের শেষ ম্যাচে হেরে গিয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলেও তাদের স্থান বেশ কিছুটা নড়বড়ে। একটি জয় অনেক কিছু বদলে দিতে পারে, এ কথা যেমন ঠিক, তার সঙ্গে এ কথাটিও সত্যি যে, এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে নেট রানরেট।
তাদের শেষ ম্যাচের ১১২ রানে হেরে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। মাত্র ৫৯ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের দলের। অতএব, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে রাজস্থানের ব্যাটারদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। বড় ভূমিকা নিতে হবে বোলারদের। যুজবেন্দ্র চাহাল ছাড়া আর কোনও বোলারই ধারাবাহিক নন।
অন্যদিকে, ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তা সত্ত্বেও, নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৫ রানে হার স্বীকার করতে হয় শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংসকে। দায়িত্ব নিয়ে হবে পাঞ্জাবের বোলারদেরও। শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বজায় রেখে ২১৩ রান তুলেছিল ২০ ওভারে। যদিও এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এখনও অবধি পঞ্জাবের স্কোর ৯ ওভারে ৬২ রানে ৪ উইকেট।
পিচ নিয়ে ঘন হচ্ছে ইডেন (Eden) ও নাইটদের (KKR) যুদ্ধের মেঘ। পিচ নিয়ে পূর্বেই অভিযোগ এনেছিল নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশের দাবি সব দল নিজেদের ঘরের মাঠে সুবিধা মতো পিচ বানাচ্ছে। একমাত্র কলকাতা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি নাইটদের দেওয়া হচ্ছে না পছন্দ মতো উইকেটও। লখনউ ম্যাচের আগে একথা জানানা কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। যা নিয়ে কেকেআর এবং বঙ্গ ক্রিকেট দুই দলের মধ্যে তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ।
আসলে, ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
তবে, নাইটদের এই অভিযোগ নিয়ে ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও দলের কথা শুনে পিচ তৈরি করতে বাধ্য নন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।
ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
বৃহস্পতিবার লখনউ সুপার জায়ান্টের (LSG) নতুন জার্সি (Jersey) উদ্বোধন করলেন লখনউ কতৃপক্ষ। এবার যেন একই মঞ্চে আইপিএল (IPL) ও আইএসএল (ISL)। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ফুটবল ক্লাবের জার্সি পরে মাঠে নামবে কোনও আইপিএল দল। এবার আইএসএলে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে মোহনবাগান। বুধবার সবুজ-মেরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।
শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের জার্সি পরে খেলতে নামছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সেই নতুন জার্সির উদ্বোধন করল লখনউ টিম ম্যানেজমেন্ট। আগেই ঠিক ছিল, ইডেনে কলকাতার বিরুদ্ধে এই জার্সি পরে মাঠে নামবে লখনউ। সেই জার্সিরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল লখনউ টিম।
আইপিএলের (IPL) শেষ লড়াই। মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। পয়েন্ট টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে গেল তাঁরা। যার ফলে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন।
লখনউর বিরুদ্ধে হেরে ১৪ পয়েন্টেই আটকে মুম্বই। শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শনিবার লখনউর বিরুদ্ধে শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে কলকাতাকে। পাশাপাশি মুম্বইয়ের হারের দিকেও নজর থাকবে কলকাতার। পঞ্জাব ও রাজস্থান ম্যাচের উপরেও নির্ভর করতে হবে কলকাতাকে। রাজস্থান অল্প ব্যবধানে জিতলে সুযোগ থাকবে কলকাতার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামবে আরসিবি। সানরাইজার্স আগেই ছিটকে গিয়েছে। আরসিবি হারলে, সুবিধা পাবে কলকাতা। বেঙ্গালুরু সব ম্যাচ জিতলে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার কোনও সুযোগই থাকবে না।
সোমবারের গুজরাত (GT) ও হায়দরাবাদের (SRH) ম্যাচের পরে প্লে অফার দৌড়ে রয়েছে ৭ দল। ২০২৩ মরশুমের আইপিএলে (IPL) যা হচ্ছে তা নজিরবিহীন মানছেন সকলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ৬৩ তম ম্যাচ। এখনও অবধি এই ম্যাচের আগে ৭ টি দল রয়েছে প্লে অফার দৌড়েই। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত, এমনটা এর আগে কোনও আইপিএলে হয় নি।
রবিবার প্লেঅফে উঠে গেছে হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত। গুজরাত ১৩ টি ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্টে রয়েছে। ওদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ধোনির চেন্নাই, চেন্নাই ১৩ টি ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্টে রয়েছে। এখনও প্লে অফ নিশ্চিত নয় চেন্নাইয়ের। শেষ ম্যাচ দিল্লির সাথে, দিল্লির সঙ্গে হারলে বিদায় নিতে পারে ধোনিরা। জিতলে প্লেঅফে চেন্নাই। ৩ নম্বরে রয়েছে মুম্বই। ১২ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্টে রয়েছে রোহিতদের দল। বাকি রয়েছে দুটি খেলা। একটিতে হারলেও চান্স আছে কিন্তু দুটোই হারলে সম্ভাবনা ক্ষীণ। পরেই রয়েছে লখনউ, রাহুলের অস্ত্রপ্রচার হওয়ায় দায়িত্বে রয়েছে পুরান। পুরানরাও ১২ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্টে রয়েছে। দুটো ম্যাচের দুটিতেই জিতলে তবেই প্লেঅফ। একটায় হারলে অন্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে বিরাটের ব্যাঙ্গালোর। বিরাটরা ১২ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে রয়েছে। জিতলে রানরেটের দরুন প্লে অফে যেতে পারেন কিন্তু একটায় হারলে সমস্যায় পড়বেন। ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শামসনের রাজস্থান। শেষ ম্যাচ জিতলেই হবে না শুধু। সাঞ্জুদের নির্ভর করে থাকতে হবে অন্যদের খেলার উপরে। সাত নম্বরে রয়েছে নাইট রাইডার্স। ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে রয়েছেন তাঁরা। প্লে অফ যাওয়া কঠিন কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের ফলের উপরে। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। এখনও দুটির দুটি জিতলে সম্ভাবনা রয়েছে প্লেঅফে যাওয়ার।
ওদিকে আইপিএল ভালো যায়নি হায়দরাবাদের ও দিল্লির। দুজনেই ১২ টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৮ পয়েন্টে রয়েছে। যদিও চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচ দিল্লির সঙ্গে সেক্ষেত্রে দিল্লি চেন্নাইয়ে হারিয়ে দিলে পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে। মঙ্গলের সন্ধ্যায় খেলতে নামবে মুম্বই ও লখনউ।
সানরাইজার্সকে (SRH) ৩৪ রানে হারাল গুজরাত টাইটান্স (GT)। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের (IPL) প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে কোয়ালিফাই করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স। মহম্মদ শামি ও মোহিত শর্মা। ৪টি করে উইকেট নিলেন। বেগুনি টুপির মালিকও হলেন শামি।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিলের ব্যাটে ফের রানের ফুলঝুরি। আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৫৮ বলে ১০৮ রান করেন তিনি। সাই সুদর্শনের ব্যাটে এলে ৩৭ বলে ৪৭ রান। ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে বিধ্বংসী বোলিং গুজরাতের। ২০ ওভারে ১৫৪ রানে শেষ হয় সানরাইজার্সের ইনিংস।
ডেথ ওভার কাকে বলে, এই ম্যাচে দেখিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। শেষ ওভারে বল করতে আসেন তিনি। সেই ওভারেই ৪টি উইকেট পড়ে। গোটা ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিলেন। পেস সহায়ক উইকেটে বদলাই নিলেন মহম্মদ শামি ও মোহিত শর্মা জুটি।