রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine war) প্রায় দেড় বছর পার, তবুও এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। বরং এই যুদ্ধ এক নতুন মোড় নিল বুধবার। রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পুতিনকে (Vladimir Putin) উদ্দেশ্য করে প্রাণঘাতী হামলার পরেই নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন। রাশিয়ার অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা মেনে নেয়নি রাশিয়া। বরং উল্টে এসেছে প্রাণনাশের হুঁশিয়ারি। এরপরেই খবরে এসেছে যে, বুুধবার রাতেই ইউক্রেনের খেরসনে (Kherson) ভয়ানক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সূত্রের খবর, খেরসনের সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনেও একাধিক জায়গায় লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। মিসাইল হামলায় এখনও অবধি কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। আবার কিয়েভেও দুটি বড় বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। এই জোরালো বিস্ফোরণের পরই ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আবার রাশিয়ার মিসাইল হামলার পর থেকে ইউক্রেনের যে জায়গাগুলোতে রেড অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে, সেগুলো হল- কিয়েভ, সুমি, চেরনিহিভ, পোলটাভা, খারকিভ, ওডেসা ইত্যাদি।
🕯️Today, Russia launched one of its deadliest attacks on #Kherson, hitting a supermarket, a railway station other civilian targets.
— KyivPost (@KyivPost) May 3, 2023
At least 21 people were killed and 48 injured.
📷: Telegram / Zelensky pic.twitter.com/HE0XNVhzca
বুধবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের উপর। রাশিয়ার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, রুশ প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দু’টি ড্রোন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেই ওই ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল বলেই দাবি রাশিয়ার। যদিও হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন পুতিন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাশিয়ার বিবৃতিতে। হামলাকারী ড্রোনদুটি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে এই ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের কোনও হাত নেই জানালেও থেমে থাকেনি রাশিয়া। প্রতিশোধ নিতে হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।