পুরাতন ঢাকার চকবাজারের দেবী ঘাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড(fire)। প্লাস্টিক কারখানায়(plastic factory) ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ছয় জনের মৃত্যুর(death) খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, নিহত ছয়জনই কারখানার নিচে অবস্থিত একটি হোটেলের শ্রমিক। সোমবার দুপুরে আগুন লাগে বলে জানা গেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, রাতে ডিউটি করে হোটেলের উপরের একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন কর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ওই আগুন ছড়িয়ে পুড়ে যায় হোটেল এবং ঘরগুলি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপরেই সেখান থেকেই কর্মীদের দেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত একটি হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসে ওয়্যার হাউস পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছজন মারা গিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, যে ঘর থেকে আগুন ছড়ায় সেখানে এবং আশপাশের কোনও ভবনেই নির্মাণের কোনও নিয়মনীতি মানা হয়নি। এই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দেরি হয়েছে। অন্যদিকে, লালবাগ পুলিসের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে ওই ঘর এবং হোটেলগুলি করা হয়েছে। অবৈধভাবে এইসব হোটেল এবং অন্যান্য কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মৃত্যুদিন। বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস থাকায় সবাই ছিলেন ছুটিতে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেলা ১২টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এসে দেখেন ওই হোটেলে আগুন জ্বলছে। এরপর সেখান থেকে আগুন আশপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। তারা আরও জানান, সরকারি জমি লিজ নিয়ে সেখানে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। যে হোটেল থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, সেখানে আগে গ্যাসের লাইন ছিল। বিল বকেয়া থাকায় হোটেলটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। কিন্তু সংকীর্ণ জায়গায় নিয়ম না মেনেই সব কিছু করার ফলে আগুন লাগে বলে দাবি তাদের।