
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এবারে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে (Bushra Bibi) নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির বিবাহ ইসলামিক শরিয়া আইন (Islamic Sharia Law) মেনে হয়নি। ফলে ইসলাম ধর্ম মেনে তাঁদের বিয়ে হয়নি বলে আদালতে এক পিটিশন দায়ের করেছিলেন মহম্মদ হানিফ নামের এক ব্যক্তি। এরপরেই মৌলবি মুফতি সঈদ আদালতে এই বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন। ইনিই ইমরান ও বুশরার নিকাহ করিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মুফতি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরার নিকাহ ইসলামিক শরিয়া আইন মেনে হয়নি, কারণ তাঁদের বিয়ে 'ইদ্দত' সময়ের মধ্যে হয়েছিল। উল্লেখ্য, যখন কোনও মুসলিম মহিলার আগের পক্ষের স্বামীর মৃত্যু বা বিচ্ছেদ হয়ে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টাকেই 'ইদ্দত' বলা হচ্ছে। এই 'ইদ্দত'-এর তিনমাস সময়ের মধ্যে সাধারণত নিকাহ করা যায় না। কিন্তু মৌলবি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরা এই ইদ্দত সময়ের মধ্যেই বিয়ে করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরান বুশরা এই বিষয়টি জানতেন কিন্তু তবুও তাঁরা নিকাহ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আর ইমরানের সঙ্গে তাঁর নিকাহ হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মৌলবি মুফতি সঈদের এমন দাবি শুনে আদালত এই মামলার শুনানিতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ এপ্রিলের পরেই হবে।