
বড়দিনে (Christmas) ‘বম্ব সাইক্লোন’-র (Bomb Cyclone) দাপটে বিপর্যস্ত আমেরিকা (America)। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তুষার ঝড়। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নীচে। তাপমাত্রার পারদ রয়েছে মাইনাস ১১ থেকে মাইনাস ২৩ ডিগ্রির মধ্যে। তুষার ঝড়ের জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩৪ জনের। রাস্তাঘাট বরফের চাদরে মুড়ে রয়েছে। কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ।
উল্লেখ্য, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্ক, বুফালো, পেনসিলভ্যানিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও কেন্টাগির এলাকার। মার্কিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখানে ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেনের গতিতে আছড়ে পড়ে তুষারঝড় ‘বম্ব সাইক্লোন’। এর জেরে ভেঙে পড়ে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। চলতি সপ্তাহ জুড়েই বইবে এই তুষারঝড়। ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, বম্ব সাইক্লোনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি। রাস্তাঘাটে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল।
The view out my parents garage in Prince Edward County. The drift is up to their second story patio #ONstorm #BombCyclone pic.twitter.com/ocbD9KPuZF
— Smith (@RileyZSmith) December 25, 2022
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, বম্ব ঘূর্ণিঝড়ে আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বরফের স্তূপের কারণে বাসিন্দারা বাড়ির ভিতর আটকে পড়েছে। লক্ষাধিক বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এক লাখেরও বেশি মানুষ ব্ল্যাকআউট এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছে। বুফালোতে বড়দিনে ১৬% বাসিন্দাদের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘূর্ণিঝড়কে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান ঘর বন্দি। দুর্যোগের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বুফালোর নিয়াগারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাতিল করা হয়েছে ২ হাজার ৩৬০টি উড়ান। সোমবার পর্যন্ত এখানে কোনও বিমান ওঠা-নামা করবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।