বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি অতি গভীর নিম্নচাপ। যার জেরে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। এই ঝড় আছড়ে পড়বে বাংলাদেশে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোটা অগাস্ট মাস জুড়েই ভারী বৃষ্টিপাত (Rain) হওয়ার আশঙ্কা বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।
ল্যান্ডফলের পরে, সাধারণত পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপে পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। সতর্কতায় বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা এবং এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। অন্যান্য অঞ্চলগুলির উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
যার জেরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলিকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারগুলিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। যশোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।