মদের নেশা ভয়ংকর নেশা। রোজ রাতে এক পেগ লাগতো (alcohol)। আর গত কয়েকমাস ধরে এটাই হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের (New Zealand) কোকোর (Coco) রুটিন। বর্তমানে সে একটি অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এখন ভাবছেন নিশ্চই পশু চিকিৎসালয়ে কেন চিকিৎসাধীন? আসলে কোকো হলো দু'বছরের ল্যাবরেডর (Laborador)। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। নেশা (Addiction) মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে কোকোর। এই ধরনের ঘটনা সত্যি নজিবিহীন। কিন্তু, কীভাবে মদে আসক্ত হয়ে পড়ল এই পোষ্য সারমেয়টি?
গল্পের সূত্রপাত মালিকের থেকে। জানা গিয়েছে, মালিক নিজে রোজ সুরাপান করতেন। আর মদ খাওয়ার পর কিছুটা পড়ে থাকত গ্লাসে। একদিন কৌতুহলবশত সেই ফেলে রাখা মদ চেখে দেখে কোকো। তারপর থেকে রোজ কেবল অপেক্ষা করে থাকত কখন তার মালিক গ্লাস রেখে ঘুমোতে যায়। যেই মালিক শুয়ে পড়ত,তখনই চুপিসারে এসে মনের আনন্দে বাকি মদ খেয়ে নিত।
এরপর একদিন আচমকাই মৃত্যু হয় কোকোর মালিকের। কেউ দেখার ছিল না বলে কোকো ও আরও একটি কুকুরকে অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। প্রথম থেকেই কোকোর ব্যবহারে অসঙ্গতি পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে বুঝতে পেরে কোকোর নেশা মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। গত চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রিহ্যাবে রয়েছে সে। কোকোর সঙ্গে থাকা অপর কুকুরটির মৃত্যু হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোকো এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। কোনও পরিবার দত্তক নিতে চাইলেও নিতে পারে।