
অবাক করা কাণ্ড! যাকে দাদা বলে ডাকতেন তাঁকেই বিয়ে করে বসলেন এক মহিলা। এমনই এক ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। সাধারণত বয়সের বড় হলে ছেলেদের দাদা বা মেয়েদের দিদি বলেই ডাকা হয়। আবার আমরা এও দেখে থাকি যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের তফাৎ রয়েছে। বিশেষ করে আগেকার দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের অনেকটাই পার্থক্য দেখা যেত, তবে বর্তমান প্রজন্মে বয়সের বিশাল তফাৎ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এবারে এক মহিলার শেয়ার করা ভিডিও দেখে ট্রোলের শিকার হয়েছেন এই দম্পতি।
জানা গিয়েছে, মহিলাটির নাম ভিনি ও তাঁর স্বামীর নাম জয়। তিনি একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে জানিয়েছেন, তিনি যাঁকে আট বছর ধরে বয়সের পার্থক্যের জন্য দাদা বলে ডাকতেন, তাঁকেই তিনি বিয়ে করেছেন। তাঁদের আবার এখন সন্তানও রয়েছে। ভিনির ক্যাপশন লিখেছেন, 'ভাইয়া টু সাইয়া'। ভিনির এমন ক্যাপশন মোটেও ভালো ভাবে নেননি নেটিজেনরা। এতে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষেরও বেশি ভিউ এসেছে। কমেন্ট এসেছে অগুনতি। অনেকেই লিখেছেন, 'বয়স বেশি হলেই ভাই হয়ে যায় না, ফলে তাঁর এমন ক্যাপশন দেওয়া ঠিক হয়নি।'
নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage) রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Delhi)। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে এটা জানতে চাওয়া হয়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice DY Chandrachud) বেঞ্চ কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য পেশের নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, জুলাই মাসেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০০৬ সালে নাবালিকার বিবাহ প্রতিরোধ আইনের প্রয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির অভিযোগ, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত ভাবে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এমনকি কেন্দ্রের নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রককে রাজ্যগুলির কাছ থেকে প্রকৃত বিষয়টি জানারও নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। ওই দুই সদস্য এই মামলায় কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন, নাবালিকা বিবাহ রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সত্বর আদালতকে জানাতে হবে।
তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মাধবী দিবান আদালতে জানান, 'কেন্দ্র সরকার দেশের সব মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স ২১ করার জন্য সংসদে বিল পাশ করিয়েছে।' এমনকি নাবালিকার বিবাহ আটকানোর জন্য রাজ্যগুলিকেই এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিবাহ আটকাতে আধিকারিক নিয়োগ করার দায়িত্বও রাজ্যগুলিকেই দিয়েছিন তিনি, জানালেন মাধবী দিবান।
বিয়ের মন্ডপে রিভলভার হাতে গুলি (Shooting) চালালেন কনে। ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি চালালেন কনে। কনের এইরকম কান্ডে চমকে গিয়েছে বিয়েতে উপস্থিত অতিথিরা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) সেই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরস এলাকায়।
শুক্রবার রাতে হাথরসের সালেমপুর গ্রামে একটি অতিথি নিবাসে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। মালাবদল হয়েছিল বর-কনের। বাকি রীতিনীতি পালনের জন্য একটি জায়গায় বসেছিলেন বর-কনে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কালো রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে রিভলভার বার করে কনের হাতে দিচ্ছেন। ঠিক তারপরে কনে সেই রিভলভার হাতে নিয়ে শূন্যে তাক করে গুলি চালাতে শুরু করলেন। কনের এই কান্ড দেখে কালো রঙের জামা পরা ব্যক্তি হাসছিল। কিন্তু কনের এমন কর্মকান্ডে দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন বর। তাঁর চোখেমুখে যেন ভয়ের ছাপ এবং কনের পাশে জড়সড় হয়ে বসে আছেন তিনি।
Hathras, U.P., 2023#WomenEmpowerment #ABLANARI
— Lady Of Equality 🇮🇳 (@ladyofequality) April 9, 2023
Are Indians without a gun licence allowed to use guns @Uppolice @kpmaurya1 @myogiadityanath @dgpup @hathraspolice @dm_hathras ⁉️
Please investigate such incidents@NCMIndiaa @realsiff @Das1Tribikram @RajNgc @KirenRijiju pic.twitter.com/UFgJRgowWT
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিস প্রশাসন। হাথরসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অশোককুমার সিং জানিয়েছেন যে, ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে ব্যক্তি রিভলভার নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার।
স্বেচ্ছায় চুরি (Theft) করে জেলে গেলেন এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। চুরির অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে চুরি করার কারণ জানার পর হতভম্ব পুলিসকর্মীরাও। এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (china) সাংহাই শহরে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম চেন। সাংহাই শহরের হুয়াশান রোডের একটি নাচের স্টু়ডিও থেকে ব্লুটুথ স্পিকার চুরি করেন চেন। যেই স্পিকারের বাজারমূল্য প্রায় ২১ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে চেন বলেন প্রেমিকার সঙ্গে সাতপাকে ঘুরতে চান না তিনি। তাই সবকিছু ভেবে চুরির ফন্দি এঁটেছেন তিনি। তবে তিনি চাননি, তাঁর এই পরিকল্পনার কারণে কেউ বড় কোনও ক্ষতির মুখে পড়ুক। সে কারণেই তিনি স্পিকার চুরি করেন। চেনের দাবি, চুরি করলে পুলিস তাঁকে ধরে ফেলবে। চুরির অভিযোগে চেন জেলে গেলে প্রেমিকা আর তাঁকে বিয়ে করতে চাইবেন না। তাই এমন কাজ করতে বাধ্য হইয়েছেন তিনি।
বি-টাউনে (Bollywood) একাধিক বিয়ের গুঞ্জন। এরই মধ্যে বিয়ের কারণে তুমুল চর্চায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া ও আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা। এবার শোনা যাচ্ছে, মালাইকা অরোরা (Malaika Arora) ও অর্জুন কাপুরের (Arjun Kapoor) বিয়ের গুঞ্জন। মালাইকা অনেক বছর ধরেই অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। প্রায় ৪ বছর ধরে চলা এই সম্পর্কে সিলমোহর বসিয়েছেন মালাইকা-অর্জুন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন, কটূক্তি শুনতে হলেও এসবের তোয়াক্কা না করে সম্পর্কে এগিয়ে গিয়েছেন দু'জনেই। এবার মালাইকা জানিয়েছেন, তিনি অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্ককে একটি নতুন ধাপে নিয়ে যেতে চান। ফলে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জোর জল্পনা তাঁদের বিয়ে নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা জানান, অনেকেই তাঁর দ্বিতীয় সম্পর্ক বা অর্জুনের সঙ্গে বয়সের পার্থক্যের জন্য কটাক্ষ করেছেন। তবে তিনি এসব নিয়ে চিন্তা করেন না ও দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর মানুষ কী বলবেন, এই নিয়েও ভাবেন না। কারণ তাঁর ভালোবাসা ও বিয়েতে বিশ্বাস রয়েছে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, অর্জুনের সঙ্গে তিনি কবে বিয়ে করতে চলেছেন, এটা তিনিও জানেন না। কিন্তু বিয়ে করার আগে তেমন কোনও পরিকল্পনাও করতে চান না কারণ এতে উৎসাহ কমে যায়।
তিনি অর্জুন সম্পর্কেও জানান, অর্জুন ও তাঁর মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকলেও অর্জুন বয়স অনুযায়ী অনেকটা পরিণত আবার যত্নশীলও। তাঁর কথায়, 'অর্জুনের মত মানুষ এখন দেখাই যায় না।' তবে মালাইকার এই সাক্ষাৎকার থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, মালাইকা-অর্জুন যেকোনও দিন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। কারণ তাঁরা সম্পর্কের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত। মালাইকাও চান অর্জুনের সঙ্গে এক নতুন জীবন গড়ে তুলতে, চুটিয়ে সংসার করতে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তারপর থেকেই অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেম মালাইকা আরোরার। প্রথম দিকে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে মুখ না খুললেও এখন আর কোনও লুকোচুরি নেই তারকা জুটির।
পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা এবং বাল্যবিবাহ (Child Marriage) রোধে শিথিলতার অভিযোগ। আর সেকারণেই বাংলার নারী-শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে (Principal Secretary) দিল্লিতে তলব। সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায়, পুলিসকে ইনফরমেশন দেওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এমনকি প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, বাল্যবিবাহ রুখতে তৎপর নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরও খবর, কালেক্টরদের থেকে তথ্য না পাওয়ার কারণে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিবকে তলব করা হয়েছিল।
প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে ৬৭৩৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনা পুলিসের নজরে এসেছে। ৫০৯৩টি ঘটনায় পুলিসের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ রোধ করা গিয়েছে। চেয়ারপার্সন প্রশ্ন, ১৬৯০টি ঘটনায় পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এছাড়া প্রিয়াঙ্কের আরও অভিযোগ, প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্যে এফআইআর সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য নেই। সে জন্যই সংশ্লিষ্ট দফতরের সেক্রেটারিকে তলব করা হয়েছে।
মৃত্যুর আগে বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল ছেলের বিয়ে (Marriage) দেখে যাবেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি। ছেলের বিয়ে নিজের চোখে দেখার আগেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। তবে বাবার শেষ ইচ্ছে বলে কথা। তাই বেঁচে থাকা অবস্থায় না হলেও মৃত্যুর পর সেই ইচ্ছাপূরণ করলেন ছেলে। বাবার শেষকৃত্যের আগে মৃতদেহের (DeadBody) সামনে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন ছেলে। এরপর বাবার সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করলেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কাল্লাকুড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রৌঢ়ের নাম ভি রাজেন্দ্রন (৬৫)। যিনি একজন সমাজকর্মী এবং ডিএমকে-র একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে আরও বিপত্তি ঘটায়। এরপর থেকেই ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ভর্তি করানো হয়েছিল স্থানীয় একটি হাসপাতালে।
পরিবার সূ্ত্রে খবর, ওই সমাজকর্মীর ছেলে আর প্রবীণ (২৯) তামিলনাড়ুতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। বাবার কথা রাখতে চেন্নাইয়ের মেদাভাক্কাম এলাকার বাসিন্দা তথা সহকর্মী এস সৌরনামালিয়া (২৩)-র সঙ্গে ২৭ শে মার্চ বিয়ে দিন ফাইনাল করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই এই পরিণতির জেরে বাবার নিথর দেহের সামনেই সারলেন বিয়ে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। কেউ কেউ বলেন, বাবার মৃতদেহের সামনে কীভাবে কেউ বিয়ে করেন? যদিও এসব আলোচনাকে পাত্তা না দিয়ে বাবার ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন ছেলে ও পরিবার।
বিয়ের (Marriage) ৬ বছর পর প্রকাশ্যে এল অবাক করা সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কাঁপছে আশ্চর্য এই ঘটনায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল (Viral) হয়েছে এই আজব ঘটনা, যা ঘিরে হইচই পড়েছে নেট দুনিয়ায়। ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, ছয় বছরের বিবাহিত সম্পর্ক। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। এত বছর পর ওই ব্যক্তি জানতে পারলেন তাঁর স্ত্রী রক্তের সম্পর্কের বোন।
ওই ব্যক্তি নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ছেলের জন্মের পরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। এরপর বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করে জানা গিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। তবেই সুস্থ হবেন তিনি। কিন্তু সেসময় কিডনি ডোনার হিসেবে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি নিজেই কিডনি দেবেন। নিজের সিদ্ধান্তের কথা তিনি চিকিৎসকদের জানান। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তিনি কিডনি দিতে সক্ষম।
তবে চিকিৎসকরা কিছু সন্দেহ করেছিলেন। এরপর ডাক্তাররা বলেন, 'ওই ব্যক্তিকে ‘এইচএলএ’ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষা করতে হবে। সেই মতো পরীক্ষাও করান। এক্ষেত্রেও তাঁর সঙ্গে মিল পাওয়া যায় স্ত্রীর।' চিকিৎসকরা জানান, 'শরীরে একই রক্ত যাঁদের, এমন দু’জনের ক্ষেত্রে এইচএল পরীক্ষার ফল মিলে যায়। পুরো ঘটনাটি স্ত্রীকে জানালে দু'জনেই চমকে যান। কী করবেন বুঝে উঠতেও পারছিলেন না। কারণ, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই মা-বাবা আগেই মারা গিয়েছেন।'
নেটমাধ্যমে বিষয়টি জানাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানান, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবার কিছু নেই। এত বছর একসঙ্গে থাকার পর এই ঘটনাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। বরং ছেলের উপর যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
এক পুলিসকর্মীকে(Police) জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেলেন এক যুবক। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল(Viral Video) হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিও দেখে নেট নাগরিকরা দারুণ মজা পেয়েছেন। দেখা গিয়েছে, বিয়ে উপলক্ষে বরযাত্রী হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে একদল মানুষ নাচছেন। বাজনার তালে তালে তাঁদের উত্তাল নৃত্য দেখতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েও পড়েছিলেন লোকজন। অনেকে আবার বরযাত্রীর দলকে এড়িয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ওই রাস্তা দিয়েই বরযাত্রীদের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলেন এক পুলিসকর্মী।
Wholesome kalesh in Marriage🥰 pic.twitter.com/NnHd4jdIDt
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh) March 13, 2023
ভিডিওতে দেখা যায়, নাচতে নাচতে পুলিসকর্মীর সামনে চলে আসে এক যুবক। যুবকটি মত্ত (Drunk Person) অবস্থায় ছিলেন। তিনি পুলিসকর্মীর পথ আটকে তাঁকে জাপটে ধরেন এবং তাঁর মুখে চুম্বন করেন। চুম্বনের পরে আবার ওই যুবক নাচতে শুরু করেন।
যুবকের এই কাণ্ডে পুলিসকর্মী অসন্তুষ্ট হয়ে যুবকের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু যুবক পুলিসকর্মীকে পাত্তা না দিয়ে বাজনার তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচ চালিয়ে যান। তবে বরযাত্রীর সঙ্গে থাকা ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিসকর্মী। যুবককে ধমক দিয়ে তিনি নিজের কাজে ফিরে যান।
দেশে সমলিঙ্গের বিবাহে (Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি মামলা এবার ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে (Constitutional Bench) পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৮ এপ্রিল ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। সোমবার এই মামলাকে আদালত ‘মৌলিক গুরুত্বের’ বিষয় বলে উল্লেখ করে। ভারতেও সমলিঙ্গের বিবাহে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
তবে এই বিষয় নিয়ে শীর্ষ আদালত কেন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল। তবে কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে সমলিঙ্গের বিবাহে আপত্তির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে সামাজিক বুনোট নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করেছে কেন্দ্র। তারপরই এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই নিয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা সমাজে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সমলিঙ্গের বিবাহে আইনি স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। যদিও কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।
মদ্যপান করে বিয়ের (Marriage) পিঁড়িতে বসেলেন হবু বর। বিয়ে করতে আসার আগে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে ফেলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের (Assam) নলবাড়ি এলাকায়।
মদ্যপান করে সেই রেশ না কাটতেই বিয়ে করতে হাজির হয় হবু বর। হবু বরের নাম প্রসেনজিত হালোই। নিয়ম অনুযায়ী, সবটাই ঠিক-ঠাক ভাবেই চলছিল। কিন্তু হবু বরের এমন আচরণ বিয়েবাড়ির সকলকে হতবাক করে তোলে। বিয়ের পিঁড়িতে বসে একটাও মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারছেন না। কিছুসময় পিঁড়িতে বসলেও কিছুক্ষণ বাদেই নেশায় টাল সামলাতে না পেরে লুটিয়ে পড়েন বিয়ের মন্ডপে। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও দেখতে পাওয়া যায় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
হবু বরের এমন আচরণ দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি কনে। তখনি বিয়ে বাতিল করে দেয় কনে। কনেকে যথাযথ বোঝানো হলেও সে এই বিয়ে করতে একদমই নারাজ।তারপরেই দু-পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। পুলিসকে খবর দেওয়া হলে, পুলিস এসে জানায় বরপক্ষের বেশির ভাগ লোক মদ্যপান করেছিলেন। রীতিমতো জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল হবু বর প্রসেনজিতকে। পাত্রের এইরকম বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নলবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কনেবাড়ির পক্ষ থেকে।
ফেব্রুয়ারিতেই সইসাবুদে বিয়ে সেরেছেন বলিউড অভিনেতা স্বরা ভাস্কর (Swara Vaskar Marriage)। বিয়ে করেছেন রাজনৈতিক কর্মী তথা সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে (Fahad Ahmed)। দুই হৃদয়ের ভালবাসা পরিণতি পেয়েছে। তবে বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কাকপক্ষীকে জানত না এই সুখবর। কিন্তু চলতি মাসেই সামাজিক বিয়ে (Social Marriage) সারছেন স্বরা। আর সেটাও ধুমাধাম করে। রীতিমতো সমাজমাধ্যমে বিয়ের প্রস্তুতি ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
And the celebrations begin for @ReallySwara & @FahadZirarAhmad shaadi! And the official wedding hashtag is #SwaadAnusaar ❤️✨😘 pic.twitter.com/HDvpxhse66
— Faraz Arif Ansari (@futterwackening) March 10, 2023
দিল্লিতে দিদার বাড়িতে সব আচার-রীতি মেনে ফাহাদের সঙ্গে সাত পাকে ঘুরবেন স্বরা। দিল্লিতে তাঁর দিদিমার বাড়িতে শুরু বিয়ের অনুষ্ঠান। আইনি বিয়ের সময় স্বরা-ফাহাদের পাশে ছিলেন দু'পক্ষের পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দেয় বলিউড।
এবার দিল্লিতে সামাজিক অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকছেন যুগলের আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুরা। জানা গিয়েছে, ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। ভিন্ন দুই ধর্মের মিলন ঘটেছে, তাই সেভাবেই সাযুজ্য রেখে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি।
নাবালিকার বিয়ের (Child Marriage) আসরে পুলিস। গ্রেফতার বাবা-সহ পাত্র। বিয়ে দিয়ে নাবালিকা পাত্রীকে লুকিয়ে রেখেও শেষ রক্ষা হলো না পরিবারের। বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার বায়লানি-বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিয়ের আসরেই হাজির হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় ও হাসনাবাদ থানার পুলিস। পাশাপাশি পাত্র ও পাত্রের বাবাকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের নাবালিকা পাত্রীর বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জের ভান্ডারখালি গ্রামে। পাত্রীর বাবা নিরঞ্জন খলুয়া পেশায় একজন কৃষক। তিনি ইদানিং পাত্রের সন্ধান করছিল মেয়ের বিয়ের জন্য। সেই মতো বিশপুরের বছর ২১-এর মৃন্ময় মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধও করেছিল পাত্রীর বাবা।
এমনকি পাত্রীর বয়স ১৮ না হওয়ায় বিশপুর গ্রামে পাত্রের মামার বাড়িতে লুকিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তাকে। এমনকি সেই তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিল দুই পরিবার। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের আসরেই হাজির হয় হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় ও হাসনাবাদ থানার পুলিস। তাঁরা যৌথভাবে তদন্ত করে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পাত্রীকে আটক করে তারা।
এমনকি পাত্র মৃন্ময় মন্ডল ও পাত্রের বাবা মনোরঞ্জন মন্ডলকে গ্রেফতারও করেছে পুলিস। কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক ও পুলিস সূত্রে খবর, পাত্রী নাবালিকা এখনও ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। তার বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাত্রীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এমনকি কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা দেখবো ওই নাবালিকা যাতে আবার স্কুলে ফিরে যেতে পারে।'
হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্রপাত্রীদের এক করে গণবিবাহ কর্মসূচি। ধর্ম নির্বিশেষে ১৭ জোড়া বিয়ে অনুষ্ঠিত বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকের বেঁকিবাজার এলাকায়। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়, যার যার ধর্ম-রীতি মেনে সম্পাদন হলো বিয়ের কাজ। এই সম্প্রতির বার্তার নেপথ্যে নূর আহমেদ ঔরঙ্গজেব আগা।
জানা গিয়েছে, বিয়ে উপলক্ষে একেবারে মেলার রূপ নেয় বসিরহাটের বেঁকি এলাকা। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্র-পাত্রীদের বিবাহ একই মঞ্চে দেখলো বসিরহাটবাসী। জাঁকজমকভাবে ১৭ জোড়া ছেলে মেয়ের চার হাত এক হওয়ার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী থাকলো বসিরহাট।
বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের বেঁকিবাজার এলাকায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ১৭ জোড়া বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে হওয়ায় খুশি পাত্র-পাত্রীরাও। উদ্যোক্তা নূর আহমেদ ঔরঙ্গজেব আগা বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আইন মেনে দুঃস্থ পাত্র-পাত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে এবং নবদম্পতিদের হাতে নতুন সংসার জীবনের জন্য গৃহসজ্জা ও সাংসারিক জিনিসপত্রও উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, 'অর্থহীন অসহায় বাবা-মার পাশে দাঁড়াতেই তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।'
সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Actress Swara Vaskar)। বৃহস্পতিবার এই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ অভিনেত্রী। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে আইনি মতে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। এবার তন্নু ওয়েডস মন্নুর (Tannu weds Mannu) সহ-অভিনেত্রীকে বিয়েতে শুভেচ্ছা জানান কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। বলিউডের ক্যুইন লেখেন, 'ঈশ্বরের আশীর্বাদে তোমাদের দু’জনেই হাসিখুশি আর সুখী মনে হচ্ছে। বিয়ে তো হৃদয়ের হয়, বাকি সবই আনুষ্ঠানিকতা।'
টুইটারে বেশির ভাগ সময়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফিরেছেন কঙ্গনা। কিন্তু নতুন ভাবে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়ে সেভাবে আক্রমণাত্মক নয় অভিনেত্রী। এর আগে দু’জন একসঙ্গে কাজ করেছেন ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’ ও ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু রিটার্নস’ এই দুই ছবিতে। ছবিতে তাঁরা ছিলেন একের অপরের প্রিয় বান্ধবী।
কিন্তু একটা সময়ে স্বরার তীব্র সমালোচনা করতে শুরু করেন কঙ্গনা। এমনকি, একবার স্বরাকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির অভিনেত্রী’ বলে কটাক্ষও করেন কঙ্গনা। এবার কঙ্গনার শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আপ্লুত স্বরার জবাব, 'ধন্যবাদ কঙ্গনা, তোমার জীবন খুশিতে, আনন্দে ভরে উঠুক।'