প্রেমের টানে প্যারিস (Paris) থেকে পান্ডুয়ায় এসে এক বাঙালি ছেলেকে বিয়ে (marriage) করে ফেললেন এক বিদেশিনী। তাঁদের বিয়ে দেখতে ভিড় যেন উপচে পড়ল মন্দির প্রাঙ্গনে। সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দির থেকে সামাজিক রীতি মেনেই বিয়ে করলেন দুজনে। প্রসঙ্গত, গত চার মাস আগে দিল্লিতে (Delhi) কর্মরত অবস্থায় অনলাইন সাইটে পরিচয় হয় পান্ডুয়ার যুবক কুন্তল ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্যারিসের বাসিন্দা প্যাট্রিসিয়ার।
প্যাট্রিসিয়ার বরাবরই ভারতে (India) আসার ইচ্ছা ছিল। সেইমতোই একদিন হঠাৎ কুন্তলকে সারপ্রাইজ দিতে দিল্লি চলে আসেন প্যারিস থেকে এবং ফোনে সেই কথা কুন্তলকে জানান। কুন্তল তাঁকে পরের বিমানে কলকাতা আসতে বলেন। কলকাতা এসে দুজনে দেখা করেন এবং তাঁকে নিয়ে পান্ডুয়ার বাড়ি আসেন কুন্তল। এরপরই দীর্ঘ একমাস যাবত কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অবশেষে সোমবার রাতে বিখ্যাত সিমলাগড় কালিমন্দিরে বিয়ে করলেন দুজনে।
অন্যদিকে প্যাট্রিসিয়ার খুবই ইচ্ছা ছিল তাঁরা কোনও মন্দির থেকে বিয়ে করবেন। সেইমতোই সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দিরে দুজনে বিয়ে করেন। আগামীদিনে দিঘা অথবা গোয়াতে হানিমুন যাবার ইচ্ছা রয়েছে দুজনের মধ্যে, এমনটাই জানান তাঁরা। অবশ্য এই বিয়েতে কুন্তলের বন্ধুরা ছাড়া দুই পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরে এরকম বিদেশিনী একজন মেয়ে বিয়ে করছে তাও একজন বাঙালি ছেলেকে, এটি দেখতে স্থানীয় মানুষজন উপস্থিত হয় সিমলাগড় মন্দির চত্বরে। তাঁদের মধ্যে এক অন্যরকম উত্তেজনাই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল সেদিন।
বলিউডের অন্যতম নবাব পাওয়ার কাপল সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) ও করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor)। ২০১২ সালের অক্টোবরে বিয়ে (Marraige) হয় করিনা-সইফের। ৪০ বছর বয়সী বলি (Bollywood) অভিনেত্রী (Actor) করিনা কাপুর খান সদ্যই দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন। তবে বিয়ে-সন্তান-সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই লাইমলাইটে থাকেন করিনা। তবে এবারে বিয়ে নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করে বসলেন অভিনেত্রী। বলেলেন, সইফের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব দু'দুবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন করিনা।
প্রথমে ‘এল ও সি কার্গিল’(২০০৩), তারপর ‘ওমকারা’ (২০০৬)। দু’টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সইফ আর করিনা। তবে ‘টশন’ (২০০৮) ছবিতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। তারপর বেশ কয়েকটি ছবিতেই একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই লাভ বার্ডসকে। দীর্ঘদিনের প্রেম পরিণতি পায় ২০১২ সালে। তারপর থেকে ১০ বছর ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন নবাব কাপল করিনা-সইফ। তার মধ্যে তাঁদের ঘরে এল ফুটফুটে দুই সন্তান। তৈমুর আর জাহাঙ্গির।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আমির খান এবং করিনা অভিনীত ‘লাল সিংহ চড্ডা’। মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে দর্শকদের থেকে। এই ছবিতে রূপা পর্দায় প্রেমিকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। বাস্তবেও তা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, 'হ্যাঁ'। সংবাদমাধ্যমকে জানান, এক বার নয়, দু’বারের বেশি। তবে 'হ্যাঁ' যে বলেছিলেন শেষে, এটাই তো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন করিনা।
কিন্তু কেন? তবে কি সইফকে ভাল লাগত না করিনার? এর জবাবে হেসে বেবো বলেন, ‘‘প্রেমে পড়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে চাইনি। মনে হয়েছিল, বড্ড আগে ভাবছে সইফ। তবে আমার মনে হয়, ওকে বিয়ে করব এ ব্যাপারে মনে মনে আমি নিশ্চিত ছিলাম তখনও।’’
ক্রিকেটের (Cricket) হেলমেট ছেড়ে এবার মাথায় পাগড়ি (Pheta)। দাদার মেয়ের বিয়েতে মাথায় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বেঁধে সাজলেন শচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। যে দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগী মহল। ভাইঝির বিয়ে (Marraige) বলে কথা।
মঙ্গলবার রাতে শচিন নিজে পাগড়ি পরার ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এই ভিডিওটির ক্যাপশনে শচিন তেন্ডুলকর বিয়ে, উৎসব, ট্র্যাডিশন এই শব্দ গুলি লিখেছেন। ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে পাগড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কোনও ব্যক্তি। আর শচিনকে পাগড়ি পরতে পরতে বলেন, “আমার দাদা নীতিনের মেয়ের বিয়ে। সেই জন্যই এই ফেটা (মহারাষ্ট্রে পাগড়িকে ফেটা বলে) পরছি।”
পাজামা-পাঞ্জাবি এবং পাগড়ি বেঁধে একেবারে নয়া লুকে দেখে কোনও কোনও অনুরাগী বলে বসেন, 'বরকেও হার মানাবে তাঁর এই লুক।' এমনকি ভিডিও দেখে খুনসুটি করতে ছাড়েননি যুবরাজ সিং। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'আরে সচিন কুমার যে...'। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভারতের সচিন স্যারের মুকুট।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন,‘আমার প্রিয়, আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা।’