শিলিগুড়ির (Siliguri) পাচার হওয়া আদিবাসী নাবালিকা উদ্ধার হল সোদপুরে (Sodepur)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিস (police)। আরও জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি বিধাননগর এলাকার এক আদিবাসী নাবালিকাকে পাচার করে পাচারকারীরা। এরপর তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল সোদপুরে। তবে সোদপুর ৮ নম্বর রেলগেট এলাকায় নাবালিকাকে ছেড়ে রেখে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। মেয়েটি কিছু বুঝতে না পেরে এলাকাতেই ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তারা নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সময় নাবালিকা মেয়েটি যথেষ্ট ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও পরে এলাকাবাসীদের তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত বিষয়ে জানায় সে। পাচারকারীদের খোঁজে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় তল্লাশি চালান। কিন্তু না পাওয়াতে তাঁরা খড়দহ থানার পুলিসকে (Khardah police station) খবর দেন। খড়দহ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে নাবালিকা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে জানায়, সে তার এক দাদার সঙ্গে ঘর থেকে বের হয়। তার ওই দাদা তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুলিয়ে শিলিগুড়ির বিধাননগর এলাকা থেকে এখানে নিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করায় এই এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তার বাড়ি শিলিগুড়ি বিধাননগর এলাকায়।
গোটা ঘটনায় যথেষ্টই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। নাবালিকাকে উদ্ধার করে খড়দহ থানায় নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোদপুর ৮ নম্বর রেলগেট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
মর্মান্তিক ঘটনা! মেয়ের বিয়ের একদিন আগেই মৃত্যু বাবার (Father Death)। বিয়ের অন্যতম রীতি মেহেন্দিতে নাচতে নাচতে হঠাৎ হৃদরোগে (Heart attack) আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আনন্দের মধ্যে নেমে এল শোকের ছায়া। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আলমোড়ায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মেয়ের। রীতি অনুযায়ী শনিবার আয়োজন করা হয়েছিল মেহেন্দির অনুষ্ঠানের। এলাহি আয়োজন, হৈচৈ-এ মেতে উঠেছিল গোটা বিয়েবাড়ি। সকলের সঙ্গে নাচ-এর তালে পা মেলান মেয়ের বাবাও। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদ্রোগের কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিস তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও মেয়ের বিয়ে নির্ধারিত দিনই হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত আড়ম্বর, সমস্ত আয়োজন বাতিল করা হয়। আর সম্প্রদানের অনুষ্ঠান সারলেন মামা।
বিয়ের রিসেপশনের দিনই বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানার দ্বারস্থ স্ত্রী। শুনে একটু অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাম্ভালে। তবে কী এমন ঘটল যে বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে সোজা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে ছুটলেন কনে?
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয় গত ২৬ নভেম্বর। আর নিয়ম অনুযায়ী ২৮ শে নভেম্বর তাঁদের রিসেপশনের অনুষ্ঠান ছিল। সেদিনই এই ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রী থানায় জানায়, এদিনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ জন অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। আর সকলের সামনে তাঁর বর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খান। আর তাতেই বেজায় চটে যান কনে। রিসেপশনের মঞ্চ থেকে নেমে সোজা চলে গেলেন নিজের ঘরে। পরিবারের সকলে কনেকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু আরো রেগে যান কনে। বাড়ি ও বিয়েবাড়ি ছেড়ে হাজির হন থানায়।
কনে জানান, ‘‘আমি আর আমার বরের সঙ্গে থাকতে চাই না। আমি আমার বাড়িতেই থাকতে চাই। আমার বরের আচরণ আমার মোটেই ভাল লাগেনি। ৩০০ লোকের সামনে যে এমন কাজ করতে পারে তার চরিত্র মোটেও ভাল নয়। ওর বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার আর্জি জানাচ্ছি।’’
পুরো ঘটনার বিষয়ে বর বলেন, তিনি যে সকলের সামনে তাঁর বউকে চুমু খাবেন, তা তাঁর বউ আগেই জানতেন। কারণ তাঁদের মধ্যে একটা শর্ত হয় যে, তিনি যদি সকলের সামনে তাঁর স্ত্রীকে চুমু খেতে পারেন, তাহলে স্ত্রী তাঁকে ১৫০০ টাকা দেবে। আর তিনি যদি এই কাজটা না করতে পারেন, তাহলে ৩০০০ টাকা উল্টে তিনি দেবেন। এই অলিখিত চুক্তির বসেই তিনি এ কাজ করেন।
পুলিশ এই বিষয়টা কনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই রকম কোনও কথাই হয়নি তাঁদের মধ্যে। দীর্ঘ বচসার পর সিদ্ধান্ত নেয় দুজনের কেউ কারোর সঙ্গে থাকবেন না।স্থির করেন যে শীঘ্রই তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের আর্জি জানাবেন।
দ্বিতীয়বার বিয়ে (marriage) করায় প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হাতেই খুন (murder) হন স্বামী, এমনটাই অনুমান। শনিবার রাতভর মারধরের পর রবিবার সকালে বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ (deadbody)। মর্মান্তিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদহের (Maldah) ইংলিশবাজার থানার কাঞ্চনটারের রায়পাড়া এলাকায়। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে এবং মৃতের প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে (wife) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম চাঁদ রায়। পেশায় একজন শ্রমিক তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে তাঁদের অশান্তি চলছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। তবে শনিবার তা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং স্বামীর মধ্যে ব্যাপক বচসা ও পরে মারধর চলে। এরপরই রবিবার সাত সকালেই বাড়ির উঠোনে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাঁকে খুন করেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্ত্রী। মৃতের স্ত্রী ঋতুক রায়কে আটকে রেখে গ্রামবাসীরা খবর দেয় স্থানীয় থানায়।
পরে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গ্রামবাসীরা জানান, চাঁদ রায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা শনিবার রাতভর তাঁকে মারধর করে। এরপর রবিবার সকালে বাড়ির উঠোন থেকে তাঁর মৃত উদ্ধার হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিয়ে বাড়ি (Marriage House) যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু ভাই-বোনের। এই দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জন, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত দশটায় পুরাতন মালদার (Old Maldah) আদমপুরের মহামায়া মন্দিরের সামনে ঘটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জনের নাম অসীম সরকার (৪০) ও ছবি কর্মকার(৪৫)। এরা দুজনেই ভাই-বোন। বাড়ি হবিবপুর থানার আইহোফিল্ড পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, পরিবারের এক আত্মীয়র মেয়ের বাড়িতে বিয়ে ছিল এবং সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিতে যাচ্ছিল। আর এই শুভ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনা। এরা প্রত্যেকে একটা অটোয় ছিল।
জানা গিয়েছে, আইহো থেকে মালদা আসার সময় একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোর পিছনে ধাক্কা মারলে অটো পাল্টি খায় এবং তাতেই মৃত্যু হয় দু'জনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি শোকের ছায়া ওই এলাকায়।
বাল্য বিবাহের (Child marriage) গোপন খবর পেয়ে একেবারে ছাদনাতলায় হাজির পুলিস (police)। পাত্র-সহ পাত্রের বাবা, কাকা ও পুরোহিতকে গ্রেফতার (arrest) করল ঘাটাল থানার পুলিস। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal)। জানা গিয়েছে, পার্থ গুছাইত নামে বনহরিসিংহপুর এলাকার এক পাত্রের সঙ্গে গোপমহল মনোহরপুর এলাকার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। বিয়ে হচ্ছিল বাঘানালার সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয় বাড়িতে। এই সনৎবাবুই আবার ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত।
বিয়ের খবর পায় ঘাটাল থানার পুলিস। এরপর শনিবার রাতেই বাঘানালা এলাকায় বিয়ের আসরে গিয়ে হাজির হয় ঘাটাল থানার পুলিস। ছাদনাতলা থেকে পাত্র পার্থ গুছাইত-সহ পিতা অশোক গুছাইত, কাকা হারাধন গুছাইত এবং এই বিয়ের পুরোহিত অর্থাৎ সনৎ চক্রবর্তীকে পাকড়াও করে পুলিস। পাত্রীর প্রকৃত বয়স যাচাই করে ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে রবিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, নাবালিকা বিয়ে বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে অপরাধ জেনেও মাঝে মধ্যেই ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই বিয়ের খবর শোনা যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে পুলিস। এই নিয়ে দফায় দফায় ঘাটাল শহরজুড়ে সচেতনতা শিবির থেকে শুরু করে মাইক প্রচার চলছে।
তারপরেও এই নাবালিকা বিয়ের অভিযোগ শুনে চুপ করে বসে থাকেনি প্রশাসন। প্রশাসনের সাফ কথা, সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে নাবালিকা বিয়ে। আর বালিকা বিয়ের খবর পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।
প্রসূন গুপ্ত: কত ঘটনাই ঘটে দুনিয়াতে। কিন্তু আমরা জানি কতটুকু? আমরা পড়ে থাকি রাজনীতির কচকচানিতে, ক্রিকেট বা ফুটবলে। নিদেন খবরে জানতে চাই কোনও সেলিব্রেটির কিস্যা। কিন্তু রবি ঠাকুর থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রেমের গল্প আজকাল কি আদৌ উৎসাহিত করে মানুষকে? বোধহয় না। সময় কম কাজেই যা কিছু জানার দেখে নেওয়া যাবে সামাজিক মাধ্যমে (social media)। প্রেম (love), প্রতিক্রিয়া, বিকৃত প্রেম কাহিনীর স্বর্গ আজকের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এমন প্রেম অতঃপর বিবাহের (marriage), যার মধ্যে রসদ আছে এমনই ঘটনা সুপ্তি ও কৌশিকের। তাঁদের জন্মদিন থেকে জন্মবর্ষ একই দিনে। এবারে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন "কেমনে মিলিলো দোঁহে?"
দক্ষিণ দমদমের (South Dumdum) বাসিন্দা সুপ্তি দত্ত ও কৌশিক ভট্টাচার্য। কিন্তু প্রথম যৌবনে কেউ কারুর খবরও রাখতেন না। সুপ্তির বাবা ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং লক্ষী সেনের ঘনিষ্ঠ। সরকারি চাকরি করতেন আবার ভারতের খ্যাতনামা ব্রিজ খেলোয়াড়ও ছিলেন। ৩৫ বছর চাকরি করেও নিজের বাড়ি বানানোর টাকা ছিল না। এমনকি তাঁর মৃত্যুর সময় দাহকার্যের টাকাও ছিল না। অন্যদিকে কৌশিক উচ্চমাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল করা ছাত্র। পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা। তাঁর বাবাও ছিলেন সরকারি কর্মচারী এবং অসম্ভব গোড়াপন্থী।
নব্বইয়ের গোড়ায় এক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখা হয় দুজনের। অতঃপর প্রেম। একটা সময়ে দুজনেই জানতে পারলেন তাঁদের জন্ম তারিখ ১২ নভেম্বর ১৯৭৪। এবারে সময়? দুজনেই জন্মেছেন দ্বিপ্রহরে। কিন্তু কে আগে কে পরে নিয়ে আর বেশি ঘাটাঘাটি করেননি তাঁরা। করেই বা কি লাভ, বিয়ে যখন করতেই হবে। ইতিমধ্যে দুই বাড়ির মধ্যে একটাই সমস্যা, তা হল দুজনের একই বয়স, পরে আবার সমস্যা হবে না তো? আমাদের পূর্বতন বাঙালিরা মনে করতেন বাড়ির বৌ যেন কোনওভাবেই স্বামীর উপর দিয়ে না যায়। এরপর বিয়ে হলো। আপাতত দুই পুত্র সন্তানের পিতামাতা তাঁরা। দুটি ছেলেই কলকাতার নামি স্কুলে পড়াশুনা করে। কৌশিক বর্তমানে শিক্ষকতা করেন। রোজগার ভালোই কিন্তু এখনও তাঁরা ভাড়া বাড়িতেই থাকেন। দিব্বি আছেন, একই সময়ে একই দিনে জন্মানো কর্তা গিন্নি। আজ তাঁদের ৪৮ বছর পূর্ণ হল।
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর (husband) বাড়ির সামনে ধর্নায় এক গৃহবধূ। রবিবার সকালে এমনই এক দৃশ্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খয়রামারি অঞ্চলের বাগিচা পাড়া গ্রামে। আর সাত সকালেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধর্নায় বসে থাকেন ওই গৃহবধূ।
তিনি জানান, গত এক মাস আগে ভালোবেসে করে বিয়ে (marriage) করেন ওই গৃহবধূ ও হাসানুর মোল্লা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, ছেলের পরিবার সেই বিয়ে অস্বীকার করলে বাড়ির ছেলেকে অন্যথায় লুকিয়ে রাখা হয়। আর এই কারণেই রবিবার ধর্নায় বসেন গৃহবধূ। গৃহবধূর দাবি, তাঁর স্বামীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্যথায় লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়ার জন্য।
যদিও ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ছেলের বাবা হানিপ মোল্লা। তাঁর কথায়, কোনও বিয়ে হয়নি তাঁর ছেলের। মিথ্যা কথা বলে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন ওই গৃহবধূ।
এদিকে, সাত সকালেই এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা জানান, তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
এবার এক কিশোরীর বিয়ে (marriage) আটকালো চাইন্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসন। তাঁদের এমন উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের রাতেই নবম শ্রেনীর কিশোরীর বিয়ে আটকে দিয়ে স্থানীয়দের বাহবা কুড়িয়েছে চাইন্ড লাইন (child line) ও ব্লক প্রশাসন।
জানা যায়, মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বেউরঝাড়ি এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সেই সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চাইল্ড লাইন ও পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িয়ে হাজির হয় চাইন্ড লাইনের সদস্যরা। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেন নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছেন?
নাবালিকার বিয়ে দিলে কী ধরণের ক্ষতি হতে পারে, তা পরিবারের লোকদের বোঝানো হয়। কন্যা সন্তানদের সুবিধায় রাজ্য সরকারের রুপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয় কিশোরীর পরিবারকে। এরপর তাঁরা মুচলেকা দেন মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিবেন না। এরপরেই ব্লক প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করে পরিবার।
স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রথম স্বামীর। অভিযুক্তকে গণধোলাই স্থানীয়দের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার কাড়লা শালবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকান্ত ভদ্র। তিনি হাবরা (Habra) থানার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই দু'জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় (Kolkata) রেফার করা হয়েছে।
অভিযোগ, সুকান্তের স্ত্রীকে বিয়ে করার আক্রোশে শনিবার রাতে বিশ্বজিৎ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় সুকান্ত। তাঁর মাথা, ঘাড়, হাত সহ একাধিক জায়গায় কোপ বসায় সুকান্ত। এরপর বিশ্বজিতের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে। অভিযুক্ত সুকান্তকে বেধকড় মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিস গিয়ে সুকান্তকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
বিয়ের বাড়ির আনন্দে মেতেছিল দুই পরিবার। সেই পরিবেশ মুহূর্তে বদলে গেল শোকে। ভয়াবহ দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কোতদ্বার জেলায়। মঙ্গলবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে (Bus Accident)। ৫০০ মিটার নীচে খাদে পড়ে যায় বাস। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্য ও কেন্দ্র বিপর্যয় মোকাবিলা দল (Disaster Response Force)। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে এবং ২১ জন গুরুতর আহত। আনুমানিক প্রায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি উত্তরাখণ্ডের একটি পাহাড়ি রাস্তা ধরে যাচ্ছিল। রাজ্য পুলিস প্রধান অশোক কুমার জানান, 'ধুমাকোটের বিরোখাল এলাকায় ঘটে যাওয়া পাউরি গাড়ওয়াল বাস দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাতারাতি ২১ জনকে উদ্ধার করেছে। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু টুইট করেছেন, এ দুর্ঘটনার খবরে তিনি শোকস্তব্ধ। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর থেকে টুইট করে এই দুর্ঘটনাকে 'হৃদয়বিদারক' বলে অভিহিত করেছেন এবং সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামিও। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার, এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পৃথিবীর যে প্রান্তে যা ঘটুক, তা এখন মুহূর্তে চলে আসে সকলের মুঠোফোনে। ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। তার মধ্যে যেমন থাকে চাঞ্চল্যকর কিছু ভিডিও (Video)। তেমনই থাকে হাস্যকর, আশ্চর্যজনক কিছু ভিডিও। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে রীতিমত অবাক নেটদুনিয়ার (Social Media) মানুষ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। যেখানে হুলুস্থুল ঝগড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, একপ্রকার হাতাহাতি, মারামারি লেগে গিয়েছে দু'দলের মধ্যে। পাল্টা লাঠি, ঘুষি চলছে। এমনকি নিমন্ত্রিতদের জন্য রাখা খাবারভর্তি থালা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সকলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে চলেছে।
তবে কী কারণে এই শুভ অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত পাত্রপক্ষের কয়েকজন অতিরিক্ত পাঁপড় চেয়েছিলেন, সে নিয়ে। যাঁরা খাবার পরিবেশন করছিলেন, তাঁরা পাঁপড় আর দিতে পারবেন না বলেন। এরপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ হাতাহাতিতে পৌঁছয় ঘটনা। পাত্র এবং কনেপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে কেরলের (Kerala) আলাপ্পুঝার মুত্তমের।
In the great 100% literate state of Kerala, a fist fight broke out at a wedding after friends of the bridegroom demanded papad during the feast. This triggered a verbal spat and ended up in an ugly brawl. No wonder Mallus belo papad. 😆 pic.twitter.com/HgkEUYMwfy
— Rakesh Krishnan Simha (@ByRakeshSimha) August 29, 2022
রাকেশকৃষ্ণ সিংহ নামে এক টুইটার গ্রাহক মারামারির সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত, সেখানে পাঁপড় নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ালেন বরের বন্ধুরা।’ পুলিস সূত্রে খবর, এবিষয়ে তারা একটি অভিযোগ পেয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আপাতত ১০ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এ যেন এক আজব কাণ্ড! বাস্তব অনেক সময় সিনেমাকে (cinema) হার মানায়, আর আজ সেই কথা যেন প্রমাণ করে দিলেন এক যুবক। নিয়ে ফেললেন এমন এক সিদ্ধান্ত যা অবিশ্বাস্য। কিন্তু করলেন কী ওই যুবক? নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই দিলেন বিয়ে (marriage)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনা বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া থানার শালগাড়ার। যার জেরে পুরো এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপক চাঞ্চল্য।
জানা যায়, বড়জোড়ার শালগাড়ায় নিজের স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী এবং জল দিয়ে সিঁদুর মুছে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রীকে। গ্রামেরই এক মন্দিরে এই বিয়ের সাক্ষী থাকলো গোটা গ্রাম। সত্যি এ এক নজিরবিহীন ঘটনা!
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শালগাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাখি বাগদির বিয়ে হয় আউসগ্রামের অভিরামপুরের প্রদীপ বাগদির সঙ্গে। ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হওয়ার পর বর্তমানে একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এদিকে রাখি শালগাড়া গ্রামেরই সুরেশ বাউরি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পর রাখির স্বামী তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তাঁর স্বামী। বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবু স্ত্রীর সেই প্রেমিকের সঙ্গে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। স্ত্রীর বিবাহ দিয়ে নিজের বাড়ি আউসগ্রামে ফিরে যান তিনি।
প্রথম অভিযোগ, বিযের (Marriage) সময় স্ত্রী (Wife) বয়স (Age) অনেক কমিয়ে বলেছিল। এক-দু বছর নয়। অভিযোগ, একেবারে দশ বছর। ফলে আখেরে দেখা গেল, তাঁর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। সেই রাগ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে একদিন বিস্ফোরণ হল, যখন তাঁর স্ত্রী যৌন মিলনে (Physical Relation) অস্বীকার করেন। আর এর পরিণতি হল ভয়ানক। স্ত্রীকে খুনই (Murder) করে বসলেন। শুধু খুন করাই নয়, দেহ পুঁতে দিলেন স্থানীয় একটি ঘাটে। তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পরে অবশ্য তাঁর এই নাটক ধোপে টেকেনি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। এখন তাঁর ঠাঁই গরাদের পিছনে।
আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বসবাস করতেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রুথবিরাজ সিং। মাত্র ন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন জ্যোতি কুমারীকে। পুলিসকে তিনি এইটুকুই জানিয়েছেন, বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বয়স অনেক কমিয়ে বলেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে অসামাজিক বলে থাকে এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করে।
পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, বয়স ২৮ বছর। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল, আসল বয়স ৩৮ বছর। অর্থাত্, তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড়। একইসঙ্গে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অসামাজিক বলে কার্যত গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোতিকে সে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার বন্ধুকে বিহার থেকে ডাকে। তারপরই দুজন মিলে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন। পরদিনই তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
আমরা দেখেছি বিয়ে (Marriage) মানে সানাই, ঢাকঢোল, জাঁকজমক। কিন্তু এবার সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে ছাপিয়ে এক ঐতিহাসিক বিয়ের সাক্ষী রইলেন চোপড়াবাসী। মনের শক্তি ও একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই যে সবার উর্ধ্বে, তা প্রমাণ করে দিলেন এই নবদম্পতি।
চোপড়া ব্লকের সোনাপুর অঞ্চলের মোহম্মদ সাইন আনোয়ারের বড় মেয়ে সবল পারভীন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা নওশাদ আলির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল এক অন্য দৃশ্য, শোনা গেল এক অন্য কাহিনী। মেয়েটি টানা ২২ বছর ধরে এক কঠিন রোগে (Serious Disease) জর্জরিত, যে রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা (Treatment) মেলেনি। সেই মেয়েই ইউটিউবের (You tube) দৌলতে এবার বিয়ের আসরে বসলেন।
মেয়ের উচ্চতা মাত্র দু ফুট, হাঁটতেও পারেন না। কিন্তু এতদিনে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার বিয়ের আসরে বসলেন। বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা সাইন বেশ কয়েক বছর থেকে চোপড়া ব্লকের সোনাপুরের জিয়াখুরি এলাকায় থাকেন। তাঁর গ্রারাজের ব্যবসা রয়েছে। ছয় মেয়ে, সবল সবার বড়।
তিনি বলেন, মেয়ে বিরল রোগে ভুগছে, নওশাদ আলি নামে ছেলেটির সঙ্গে ইউটিউবে তাদের আলাপ হয়। দুজনের সহমতে এদিন বিয়ে সম্পূর্ণ হল। বিয়ের কাজিনামা পড়লেন সোনাপুর বড় মসজিতের ইমাম বদরুল হাসান। অন্যদিকে সবলের মা গজালা পারভীন মেয়ের সম্পর্কে বলতে গেলে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। জামাই নওশাদ আলির কথা বলতে গেলেই ভাবুক হয়ে পড়লেন। বললেন, আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি যে কোনওদিন কেউ আমার এই মেয়েকে গ্রহণ করবে। জামাই সম্পর্কে আমার কিছু বলার ভাষা নেই।
নওশাদ আলি বলেন, আমরা যুবসমাজ যদি এই জটিল সমস্যাগুলোর পাশে না দাঁড়াতে পারি, তাহলে কিভাবে হবে? আমি সবাইকে আহ্বান করছি, তারাও যেন এমন কাজে সামিল হয়।