
কুসংস্কার (Superstition) এখন আর আমাদের দেশে নেই, এমনটা অনেককেই বলতে শোনা যায়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে এমন এমন কুসংস্কারে ভরা রীতি-নিয়ম রয়েছে, যা দেখে আপনি অবাক হতে বাধ্য। এমনই এক রীতির কথা জানা গেল, যা শুনে আকাশ থেকে পড়বেন আপনি। জানা গিয়েছে, এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে নাবালিকা-নাবালকদের শরীর থেকে ভূত তাঁড়াতে (Evil Spirit) কুকুরের (Dog) সঙ্গে বিয়ে (Marriage) দেওয়া হয়। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এই অদ্ভূত নিয়মটি ওড়িশার বালাসোর জেলার বাদশাহি গ্রামের।
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের মানুষরা হো নামক সম্প্রদায়ের। তাদের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে। দেখা গিয়েছে, হো সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি দারি সিং তাঁর ১১ বছরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন এক মেয়ে কুকুরের আবার তাঁর ৭ বছরের মেয়ে লক্ষীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন ছেলে কুকুরের। কোন কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হয় যখন সেই ছেলে-মেয়ের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত বেরোয়। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, শিশুদের উপরের চোয়ালে দাঁত বেরোনো অশুভ। ফলে এই সন্তানদের শরীর থেকে অশুভ শক্তিকে বের করার জন্য কুকুরদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এতে তাদের শরীরের অশুভ আত্মা কুকুরদের দেহে চলে যায়। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নানা নিয়ম-রীতি মেনে এই বিয়ে দেওয়া হয় ও হো সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশাল খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করে।
সেই সম্প্রদায়েরই একজন সদর সিং জানিয়েছেন, হো সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করেন, এই বিয়ে সম্পন্ন হলেই অশুভ আত্মা কুকুরের দেহে চলে যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কুসংস্কারে ভরা এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে মেনে চলা হচ্ছে। তবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।