
বিয়ে (Marriage) চলাকালীন মণ্ডপে কনেকে এক ধাক্কা দিলেন বর। টাল সমালাতে না পেরে পড়ে যান কনে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) কনৌজে। এই ঘটনার জেরে বিঘ্ন ঘটল বিয়েতে। ভেঙে গেল বিয়ে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মমতো বিয়ের সব কাজ এগোচ্ছিল। চলছিল মালাবাদল। তখনই বর জানতে পারেন, কনের বাড়িতে যে পণ দেওয়ার কথা ছিল, তা পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। একটি এসি কম পড়েছে। তাতেই রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাত্র। রাগের মাথায় মালা খুলে ছুড়ে ফেলেন বর। এরপর কনেকে এক ধাক্কা দেন তিনি। ধাক্কার টাল সামলাতে না পেরে মণ্ডপ থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান কনে। মুহূর্তের মধ্যে বিয়েবাড়ি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাত্র এবং পাত্রীপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। বিচারের জন্য পঞ্চায়েতের কাছে যান দুই পরিবারের প্রতিনিধিরা। পঞ্চায়েতে থেকে এই বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সীমান্তের গ্রামে নাবালিকার (Minor) বিয়ে (Marriage) রুখলো বিএসএফ (BSF)। পুলিস ও চাইল্ড লাইনের পর এবার বিএসএফের তৎপরতায় বানচাল হল নাবালিকার বিয়ে। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানা পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাত্র সহ মেয়েটির বাবা সহদেব বারিক ও পাত্রের বাবা জগন্নাথ মণ্ডলকে আটক করে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। পুলিস নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার আটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৬-এর সোমনাথ মণ্ডলের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা সহদেব বারিক ও চম্পা বারিকের নাবালিকা কন্যার বিয়ের আসর বসেছিল পাত্রের বাড়িতেই। বিএসএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ১০৯৮-এ ফোন করে চাইল্ড লাইন, বাদুড়িয়া থানার পুলিস ও দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর এই দল নিয়ে তারা হানা দেয় বিয়ের আসরে। আর বন্ধ করে নাবালিকার বিয়ে।
বিয়ের আসর থেকেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাত্র সহ মেয়েটির বাবা সহদেব বারিক ও পাত্রের বাবা জগন্নাথ মণ্ডলকে। ধৃতদের জেরা করছে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। রাজ্য সরকারের নাবালিকা বিয়ের রুখতে একাধিক প্রকল্প থাকতেও কেন ১৮ বছর আগেই তার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল? এরকম নানান প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar) বলিউড জগতের চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন। হামি, গোয়েন্দা শবর, গোত্র-র মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে নাম কামিয়েছেন, আবার বংশ পরিচয়ও পরিচিতি এনে দিয়েছে তাঁকে। দেবলীনার বাবা পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অন্যদিকে মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতবৌ তিনি। গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন দেবলীনা। কিন্তু জানেন কি তাঁর কাছে মিশর থেকেও বিয়ের (Marriage) প্রস্তাব (Proposal) এসেছিল।
সম্প্রতি জনপ্রিয় এক চ্যানেলের রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিয়েছিলেন দেবলীনা কুমার। সেখানেই তাঁর জীবনের উদ্ভট বিবাহ প্রস্তাবের গল্প বলেছেন অভিনেত্রী। একবার মিশর বেড়াতে গিয়েছিলেন দেবলীনা। তাঁকে দেখেই বাড়ির বউ করবেন বলে ঠিক করেন সেখানকার এক স্থানীয় অভিজাত পরিবার। সেই পরিবারের ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে বসেছিলেন দেবলীনাকে। যৌতুক হিসেবে দেবলীনাকে ১০০ উট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এমন মোটা অঙ্কের উপহারেও অবশ্য মন মজেনি অভিনেত্রীর।
রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেবলীনা কুমার বলেন,' মিশর গিয়েও বিয়ের প্রস্তাব পাব ভাবিনি। ওরা বলেছিল ১০০ উট পণ হিসেবে দেবেন। তার বদলে আমাকে বাড়ির বউ করতে চেয়েছিলেন তারা।' এই বলে দেবলীনা নিজেই হাসিতে গড়িয়ে পড়েন।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একাধিক আর্জি জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এই নিয়ে কেন্দ্র ও কোর্টের মধ্যে দ্বিমত থাকায় এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবারে এই নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন, লিঙ্গ দেখে কখনও কারও পরিচিতি জানা উচিত নয়। তাঁর কাজই জীবনে পরিচিতি গড়ে তুলবে।
বলিউডের ক্যুইন প্রায়ই তাঁর সাহসী মানসিকতা বা বিতর্কের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এবারেও তিনি বিতর্কিত বিষয় থেকে সরে থাকেননি। দেশজুড়ে যখন সমলিঙ্গ বিয়ে চর্চায়, সেসময় কঙ্গনাও ট্যুইটারে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আপনি পুরুষ, মহিলা বা যা কিছুই হোন না কেন, আপনার লিঙ্গ কখনও কারোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে না।' কারণ এই মডার্ন যুগে আমরা মহিলা অভিনেতা বা মহিলা পরিচালক বলি না। তাঁদের শুধুমাত্র অভিনেতা বা পরিচালকই বলা হয়। আমরা জীবনে যা কাজ করি, তাই আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত, বিছানায় যা করি, সেটা আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত নয়।'
অর্থাত্ কঙ্গনাকে তাঁর ট্যুইটের মাধ্যমে এই বোঝাতে চেয়েছেন যে, একজন মানুষের পরিচিতি তাঁর লিঙ্গ থেকে নয়, কাজ বা অবদান থেকে জানা যাবে।
সমলিঙ্গে (Same Sex) বিয়ের অধিকার সংক্রান্ত মামলায় বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই)-র ‘পরামর্শ’ মানল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন, সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার মতো ‘অতি জটিল বিষয়’ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের।
গত রবিবার বিসিআই-এর তরফেও শীর্ষ আদালতের কাছে সমলিঙ্গে বিয়ের মতো ‘স্পর্শকাতর বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সংসদকে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম থেকেই সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের মত, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’
সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক, দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে একাধিক আর্জি জমা পড়েছে। প্রধান বিচারপতি অবশ্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রের মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বলেছেন, ‘সমকামিতা যে কেবল শহুরে বিষয়, এমন কোনও পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।’ কখনও বলেছেন, ‘সমকামী সম্পর্কগুলি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক, স্থিতিশীল সম্পর্কও।’ আবার কখনও তাঁর মন্তব্য, ‘নারী-পুরুষের সংজ্ঞা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।’
গণবিবাহের (Mass Marriage) আগেই কনেদের শারীরিক পরীক্ষা। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা! পরীক্ষা করে দেখা যায়, পাঁচ জন তরুণীর পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। অর্থাৎ, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। তাই তাঁদের বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (CM) কন্যা বিবাহ যোজনার আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। এই গণবিবাহ আয়োজিত হয়েছিল ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে। ২১৯ জন কন্যা সেই আসরে বিয়ের জন্য আগে থেকেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করিয়ে রেখেছিলেন। পাত্রও ঠিক ছিল সকলের জন্য। তবে বিয়ের আগে এই অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার রিপোর্ট নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। তাই এই গণবিবাহ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট কয়েকজনের ইতিবাচক আসার পর তাঁদের বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। বিয়ে বাতিল হওয়া কনেদের অভিযোগ, বিয়ে স্থির হয়েছে জেনে হবু স্বামীর সঙ্গে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। কিন্তু এভাবে আলাদা করে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে, বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, এতকিছু ঘটার কথা ভাবতে পারেননি কেউই। তবে সরকারের তরফে কেন এমন করা হল করা হল, তার কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, ‘অতীতে কখনও এভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা মহিলাদের অপমান। যাঁদের বিয়ে বাতিল হল, তাঁরা এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন?’
ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং রক্তাল্পতা বা অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কিনা, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন খাড়া করেছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন বেআইনি ভাবে গণবিবাহের আসরে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হল? কে-ই বা এই পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন?
একটি বিয়ের (wedding) মন্ডপে কনেকে কোলে তুলে সাতপাক ঘুরছেন বর, ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই বর-কনে নিজেরাই সেই বিয়ের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। এই ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বিয়ের ঠিক ৪৫ দিন আগেই পথ দুর্ঘটনায় পড়েন কনে। আর সেই দুর্ঘটনার পরই নিজের চলার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ওই কনে। তাই অস্ত্রোপচার করতে দু'মাস বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় দুই পরিবার। তবে অস্ত্রোপচার করেও কোনও উপকার হয়নি। চলার ক্ষমতা ফিরে পাননি ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত বর-কনে ঠিক করেন, দ্বিতীয়বার নির্ধারিত দিনেই বিয়ে করবেন তাঁরা। তাই বিয়ের দিন কনে চলতে না পারায় তাঁকে কোলে তুলেই সাত পাকে ঘোরেন বর।
সবমিলিয়ে অনেক বাধা সত্ত্বেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিয়ে করেছেন তাঁরা। আর নিজেদের সেই বিয়ের ভিডিও পোস্ট করে কনে লেখেন, ‘‘আমি জানি রূপকথার গল্প সত্যি হয়, কারণ তুমি রয়েছ আমার পাশে।’’ আবার কনের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে বর প্রথম মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘‘সারা জীবন এভাবেই ভার তুলব। এত শারীরিক কসরত কী এমনি এমনি করি!’’
মিষ্টি খাওয়ানো নিয়ে বিবাদ বর ও কনের মধ্য়ে। রণক্ষেত্রে পরিণত হল বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। পাত্রের মিষ্টি খাওয়ানোর পদ্ধতি নাকি পছন্দ হয়নি পাত্রীর। আর তাই রেগে গিয়ে সপাটে পাত্রকে এক চড় মারেন পাত্রী। এর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) সেই ভিডিও। টুইটারে ‘ঘর কে কলশ’ নামে এক টুইটার হ্যান্ডল থেকে এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, একটি মিষ্টি নিয়ে নতুন কনের মুখে প্রায় ঠুসে দিচ্ছিলেন পাত্র। মিষ্টি খাওয়া নিয়ে এমন জোর জবরদস্তি একদমই পছন্দ হয়নি কনের। তাই পাত্রকে এক চড় মেরে বসেন তিনি। পাত্রীর এই কাণ্ডে প্রথমে হকবাক হয়ে গেলেও থেমে থাকেননি।
Kalesh B/w Husband and Wife in marriage ceremony pic.twitter.com/bjypxtJzjt
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh) December 13, 2022
নিজেকে একটু সামলে নিয়েই হাত ওঠাতে শুরু করেন পাত্র। কনের চুলের মুঠি ধরে মারতে থাকেন পাত্র। এরপর জুতো খুলে নিয়ে পাত্রকে পাল্টা মারধর করেন পাত্রী। রীতিমতো দক্ষযজ্ঞ বেঁধে যায়। একে অপরের গলা ধরাধরি করে শুয়েও মারামারি করতে দেখা যায় দু’জনকে। আত্মীয়স্বজন থামানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি।
কুসংস্কার (Superstition) এখন আর আমাদের দেশে নেই, এমনটা অনেককেই বলতে শোনা যায়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে এমন এমন কুসংস্কারে ভরা রীতি-নিয়ম রয়েছে, যা দেখে আপনি অবাক হতে বাধ্য। এমনই এক রীতির কথা জানা গেল, যা শুনে আকাশ থেকে পড়বেন আপনি। জানা গিয়েছে, এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে নাবালিকা-নাবালকদের শরীর থেকে ভূত তাঁড়াতে (Evil Spirit) কুকুরের (Dog) সঙ্গে বিয়ে (Marriage) দেওয়া হয়। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এই অদ্ভূত নিয়মটি ওড়িশার বালাসোর জেলার বাদশাহি গ্রামের।
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের মানুষরা হো নামক সম্প্রদায়ের। তাদের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে। দেখা গিয়েছে, হো সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি দারি সিং তাঁর ১১ বছরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন এক মেয়ে কুকুরের আবার তাঁর ৭ বছরের মেয়ে লক্ষীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন ছেলে কুকুরের। কোন কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হয় যখন সেই ছেলে-মেয়ের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত বেরোয়। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, শিশুদের উপরের চোয়ালে দাঁত বেরোনো অশুভ। ফলে এই সন্তানদের শরীর থেকে অশুভ শক্তিকে বের করার জন্য কুকুরদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এতে তাদের শরীরের অশুভ আত্মা কুকুরদের দেহে চলে যায়। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নানা নিয়ম-রীতি মেনে এই বিয়ে দেওয়া হয় ও হো সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশাল খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করে।
সেই সম্প্রদায়েরই একজন সদর সিং জানিয়েছেন, হো সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করেন, এই বিয়ে সম্পন্ন হলেই অশুভ আত্মা কুকুরের দেহে চলে যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কুসংস্কারে ভরা এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে মেনে চলা হচ্ছে। তবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।
৫০ বছর বয়সে আবার বিয়ে (Marriage) করলেন মৌসুমি চক্রবর্তী। শিলং-এর (Shillong) বাসিন্দা মৌসুমি দেবী। দেবারতী তাঁর একমাত্র মেয়ে। মেয়ের যখন ২ বছর বয়স তখনই স্বামীকে (Husband Death) হারান তিনি। তখন একা হাতে হয়ে উঠেছিলেন ছোট্ট দেবারতীর মা-বাবা দুই'ই। ছোট্টো মেয়ের কথা ভেবে নতুন করে সংসার শুরু করার কথা ভাবেননি তিনি।
তবে ধীরে ধীরে সময় গড়িয়েছে অনেক। তবে মেয়ে দেবারতীই মাকে অনুপ্রাণিত করলেন নতুন সংসার শুরু করতে। দেবারতী বড় হয়ে চেয়েছিলেন মায়ের একটা নতুন সংসার হোক। তবে দেবারতী তাঁর মাকে বলেছিলেন, বিয়ের আগে বন্ধুত্বেই বেশি জোর দিতে। সবশেষে মায়ের বিয়ে হলে বিয়ের ছবিও ইন্সটাতে পোস্ট করেছেন দেবারতী। সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে অবশেষে মায়ের নতুন সংসার করে দিয়েছে গত মার্চেই। তবে মেয়ে দেবারতীর এমন আধুনিক মানসিকতা যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অবাক করা কাণ্ড! যাকে দাদা বলে ডাকতেন তাঁকেই বিয়ে করে বসলেন এক মহিলা। এমনই এক ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। সাধারণত বয়সের বড় হলে ছেলেদের দাদা বা মেয়েদের দিদি বলেই ডাকা হয়। আবার আমরা এও দেখে থাকি যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের তফাৎ রয়েছে। বিশেষ করে আগেকার দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের অনেকটাই পার্থক্য দেখা যেত, তবে বর্তমান প্রজন্মে বয়সের বিশাল তফাৎ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এবারে এক মহিলার শেয়ার করা ভিডিও দেখে ট্রোলের শিকার হয়েছেন এই দম্পতি।
জানা গিয়েছে, মহিলাটির নাম ভিনি ও তাঁর স্বামীর নাম জয়। তিনি একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে জানিয়েছেন, তিনি যাঁকে আট বছর ধরে বয়সের পার্থক্যের জন্য দাদা বলে ডাকতেন, তাঁকেই তিনি বিয়ে করেছেন। তাঁদের আবার এখন সন্তানও রয়েছে। ভিনির ক্যাপশন লিখেছেন, 'ভাইয়া টু সাইয়া'। ভিনির এমন ক্যাপশন মোটেও ভালো ভাবে নেননি নেটিজেনরা। এতে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষেরও বেশি ভিউ এসেছে। কমেন্ট এসেছে অগুনতি। অনেকেই লিখেছেন, 'বয়স বেশি হলেই ভাই হয়ে যায় না, ফলে তাঁর এমন ক্যাপশন দেওয়া ঠিক হয়নি।'
নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage) রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Delhi)। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে এটা জানতে চাওয়া হয়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice DY Chandrachud) বেঞ্চ কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য পেশের নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, জুলাই মাসেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০০৬ সালে নাবালিকার বিবাহ প্রতিরোধ আইনের প্রয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির অভিযোগ, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত ভাবে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এমনকি কেন্দ্রের নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রককে রাজ্যগুলির কাছ থেকে প্রকৃত বিষয়টি জানারও নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। ওই দুই সদস্য এই মামলায় কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন, নাবালিকা বিবাহ রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সত্বর আদালতকে জানাতে হবে।
তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মাধবী দিবান আদালতে জানান, 'কেন্দ্র সরকার দেশের সব মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স ২১ করার জন্য সংসদে বিল পাশ করিয়েছে।' এমনকি নাবালিকার বিবাহ আটকানোর জন্য রাজ্যগুলিকেই এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিবাহ আটকাতে আধিকারিক নিয়োগ করার দায়িত্বও রাজ্যগুলিকেই দিয়েছিন তিনি, জানালেন মাধবী দিবান।
বিয়ের মন্ডপে রিভলভার হাতে গুলি (Shooting) চালালেন কনে। ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি চালালেন কনে। কনের এইরকম কান্ডে চমকে গিয়েছে বিয়েতে উপস্থিত অতিথিরা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) সেই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরস এলাকায়।
শুক্রবার রাতে হাথরসের সালেমপুর গ্রামে একটি অতিথি নিবাসে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। মালাবদল হয়েছিল বর-কনের। বাকি রীতিনীতি পালনের জন্য একটি জায়গায় বসেছিলেন বর-কনে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কালো রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে রিভলভার বার করে কনের হাতে দিচ্ছেন। ঠিক তারপরে কনে সেই রিভলভার হাতে নিয়ে শূন্যে তাক করে গুলি চালাতে শুরু করলেন। কনের এই কান্ড দেখে কালো রঙের জামা পরা ব্যক্তি হাসছিল। কিন্তু কনের এমন কর্মকান্ডে দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন বর। তাঁর চোখেমুখে যেন ভয়ের ছাপ এবং কনের পাশে জড়সড় হয়ে বসে আছেন তিনি।
Hathras, U.P., 2023#WomenEmpowerment #ABLANARI
— Lady Of Equality 🇮🇳 (@ladyofequality) April 9, 2023
Are Indians without a gun licence allowed to use guns @Uppolice @kpmaurya1 @myogiadityanath @dgpup @hathraspolice @dm_hathras ⁉️
Please investigate such incidents@NCMIndiaa @realsiff @Das1Tribikram @RajNgc @KirenRijiju pic.twitter.com/UFgJRgowWT
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিস প্রশাসন। হাথরসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অশোককুমার সিং জানিয়েছেন যে, ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে ব্যক্তি রিভলভার নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার।
স্বেচ্ছায় চুরি (Theft) করে জেলে গেলেন এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। চুরির অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে চুরি করার কারণ জানার পর হতভম্ব পুলিসকর্মীরাও। এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (china) সাংহাই শহরে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম চেন। সাংহাই শহরের হুয়াশান রোডের একটি নাচের স্টু়ডিও থেকে ব্লুটুথ স্পিকার চুরি করেন চেন। যেই স্পিকারের বাজারমূল্য প্রায় ২১ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে চেন বলেন প্রেমিকার সঙ্গে সাতপাকে ঘুরতে চান না তিনি। তাই সবকিছু ভেবে চুরির ফন্দি এঁটেছেন তিনি। তবে তিনি চাননি, তাঁর এই পরিকল্পনার কারণে কেউ বড় কোনও ক্ষতির মুখে পড়ুক। সে কারণেই তিনি স্পিকার চুরি করেন। চেনের দাবি, চুরি করলে পুলিস তাঁকে ধরে ফেলবে। চুরির অভিযোগে চেন জেলে গেলে প্রেমিকা আর তাঁকে বিয়ে করতে চাইবেন না। তাই এমন কাজ করতে বাধ্য হইয়েছেন তিনি।
বি-টাউনে (Bollywood) একাধিক বিয়ের গুঞ্জন। এরই মধ্যে বিয়ের কারণে তুমুল চর্চায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া ও আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা। এবার শোনা যাচ্ছে, মালাইকা অরোরা (Malaika Arora) ও অর্জুন কাপুরের (Arjun Kapoor) বিয়ের গুঞ্জন। মালাইকা অনেক বছর ধরেই অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। প্রায় ৪ বছর ধরে চলা এই সম্পর্কে সিলমোহর বসিয়েছেন মালাইকা-অর্জুন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন, কটূক্তি শুনতে হলেও এসবের তোয়াক্কা না করে সম্পর্কে এগিয়ে গিয়েছেন দু'জনেই। এবার মালাইকা জানিয়েছেন, তিনি অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্ককে একটি নতুন ধাপে নিয়ে যেতে চান। ফলে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জোর জল্পনা তাঁদের বিয়ে নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা জানান, অনেকেই তাঁর দ্বিতীয় সম্পর্ক বা অর্জুনের সঙ্গে বয়সের পার্থক্যের জন্য কটাক্ষ করেছেন। তবে তিনি এসব নিয়ে চিন্তা করেন না ও দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর মানুষ কী বলবেন, এই নিয়েও ভাবেন না। কারণ তাঁর ভালোবাসা ও বিয়েতে বিশ্বাস রয়েছে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, অর্জুনের সঙ্গে তিনি কবে বিয়ে করতে চলেছেন, এটা তিনিও জানেন না। কিন্তু বিয়ে করার আগে তেমন কোনও পরিকল্পনাও করতে চান না কারণ এতে উৎসাহ কমে যায়।
তিনি অর্জুন সম্পর্কেও জানান, অর্জুন ও তাঁর মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকলেও অর্জুন বয়স অনুযায়ী অনেকটা পরিণত আবার যত্নশীলও। তাঁর কথায়, 'অর্জুনের মত মানুষ এখন দেখাই যায় না।' তবে মালাইকার এই সাক্ষাৎকার থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, মালাইকা-অর্জুন যেকোনও দিন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। কারণ তাঁরা সম্পর্কের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত। মালাইকাও চান অর্জুনের সঙ্গে এক নতুন জীবন গড়ে তুলতে, চুটিয়ে সংসার করতে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তারপর থেকেই অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেম মালাইকা আরোরার। প্রথম দিকে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে মুখ না খুললেও এখন আর কোনও লুকোচুরি নেই তারকা জুটির।