Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

ICS

BRICS Summit: দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদী-শি জিনপিং বৈঠক! সীমান্ত সমাধানে সম্মত দুই রাষ্ট্রপ্রধান

ভারত এবং চিনের 'নরম গরম' সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে কী কথোপকথন হয়, সেদিকেই নজর ছিল দেশবাসীর। বৃহস্পতিবার দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। সেখানে উভয় নেতাই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করার ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য ব্রিকস নেতাদের সঙ্গে মত বিনিয়ম করেন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বরাবর অমীমাংসিত সমস্যাগুলি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। আর দু-পক্ষই দ্রুত সীমান্ত-সমস্যা সমাধান করতে সম্মত হয়েছেন। যদিও এটা সরকারি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল না বলেও জানান বিদেশসচিব।

২০২০ সালে লাদাখে LAC-এ লাল ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হলেন। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় উত্তজনাকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তর অবনতি হয়।

8 months ago
BRICS Summit: ব্রিকসের সম্প্রসারণে সম্মতি ভারতের! আমন্ত্রিত কোন কোন দেশ

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলেনে (BRICS Summit) এক বড় ঘোষণা করা হল। এবারে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে ব্রিকসে। আর এর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একমত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা। জানা গিয়েছে, ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব, আফ্রিকার মিশর, ইথিওপিয়া ও আর্জেন্টিনাকে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে ১৫ তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই ব্রিকস সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত ২২ অগাস্ট অর্থাৎ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনেই চিনের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ব্রিকসের সম্প্রসারণের জন্য়। এরপর আজ অর্থাৎ সম্মেলনের শেষ দিনে সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ব্রিকেসের সদস্য দেশগুলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ জানিয়েছেন, 'এই তিনদিনের বৈঠকে অনেক ইতিবাচক ফলাফল বেরিয়ে এসেছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত খুশি। ভারত সবসময়  ব্রিকসের সম্প্রসারণের জন্য সমর্থন দিয়েছে।' জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই দেশগুলো ব্রিকসে যোগ দেবে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একসঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সেই থেকেই জল্পনা তুঙ্গে যে, ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনে কি দুই দেশের রাষ্ট্রেনতারা কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবে? তবে এখনও পর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁরা কোনও বৈঠক আদৌও করবেন কিনা।

8 months ago
Modi: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে পাড়ি প্রধানমন্ত্রীর

আজ দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতেই তিনি যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের থেকে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি জানান, একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন। ব্রিকসের সদস্য হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন চিনা প্রেসিডেন্টও। ফলে তাঁর সঙ্গেও এ যাত্রায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এখানেই শেষ নয়, ব্রিকস সম্মেলনের পর তিনি ২৫ অগাস্ট গ্রিসেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী, সূত্রের খবর।


সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে পৌঁছবেন। আজই তিনি ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এরপর ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন। ২৪ অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রিকস এবং আফ্রিকান দেশগুলির সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী মূলত সেদেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে সেই দেশে গিয়েছেন। তবে ব্রিকস সম্মেলন ছাড়াও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মসূচি। সূত্রের খবর, আজ দুপুর ৩টে ৫৫ নাগাদ স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টার পৌঁছবেন তিনি। দুপুর ৪টে যোগ দেবেন ব্রিকস বিজনেস ফোরাম লিডার'স ডায়লগে। বিকাল ৬টায় ব্রিকসের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে নৈশ্যভোজে যোগ দেবেন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে তিনি উড়ে যাবেন গ্রিসেও। প্রধানমন্ত্রী খোদ জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি সেখানে পা রাখবেন। ফলে তিনি সেখানে যেতে পেরে খুব সম্মানিত অনুভব করছেন।


8 months ago


Bindeshwar Pathak: প্রয়াত হলেন 'সুলভ ইন্টারন্যাশনাল'-এর প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধেশ্বর পাঠক, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন 'সুলভ ইন্টান্যাশনাল'-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সমাজকর্মী বিন্ধেশ্বর পাঠক (Bindeshwar Pathak)। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।


সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হার্ট অ্যাটাকের জেরে মৃত্যু হয়েছে বিন্ধেশ্বর পাঠকের। তাঁকে পালমোনারি রেসপিরেশনে রাখার চেষ্টা করা হলেও, শেষমেশ তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেননি। হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

১৯৭০ সালে বিন্ধেশ্বর পাঠক প্রতিষ্ঠা করেন 'সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিস অর্গানাইজেশন'। এর মূল উদ্দেশ্য, খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে ভারতের সাধারণ মানুষকে বিরত রাখা। সে জন্য তিনি দেশ জুড়ে অসংখ্য সুলভ শৌচালয় তৈরি করান। দেশের বিরাট অংশের মানুষের শৌচালয় তৈরির আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে তাঁদের কথা ভেবেই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি প্রায় ৫৪ মিলিয়ন সুলভ শৌচালয়, ১.৩ মিলিয়ন বাড়ির জন্য শৌচালয় তৈরি করার উদ্যোগ নেন এছাড়াও মানবাধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শিক্ষাদান করার ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সমাজকর্মী বিন্ধেশ্বর পাঠকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংগঠনে।

9 months ago
Student: ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত বলেই ফাঁসানো হল ছেলেকে! অভিযোগ মনোতোষের মায়ের

ছেলে ছাত্র রাজনীতি করতেন বলে শুনেছিলেন। সেই কারণেই কি ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এখন এই প্রশ্নই তোলপাড় করছে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত মনোতোষ ঘোষের মায়ের মনে। কারণ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পিছনে তাঁদের ছেলের কোনও হাত থাকতে পারে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁদের। 

মনোতোষের বাড়ি হুগলির আরামবাগে। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পরেই কার্যত হতবাক তাঁর বাবা-মা। 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনোতোষ। তাঁর বাবা শান্তিনাথ এবং মা টগর ঘোষ একটি ‘ফাস্ট ফুড’-এর দোকান চালান। মনোতোষের বাবার কথায়, তাঁদের ছেলে বলেছিল পুলিশ আমাকে ডাকতে পারে। চিন্তা না। করতে।  অন্যদিকে, মনোতোষের মা টগরের দাবি, ছেলে ছাত্ররাজনীতি করেন বলেই হয়তো তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

9 months ago


Woman: বিনা চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়ায় হাসপাতাল

বিনা চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রসূতির নাম শাহিদা খাতুন। দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই গর্ভবতী অবস্থায় প্রাণ হারালেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। 

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাহিদা খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে প্রথমে স্থানীয় মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর সোমবার, সকালে সেখান থেকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয় ওই প্রসূতিকে। অভিযোগ, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই প্রসূতির কোনও চিকিৎসা হয়নি। বারংবার বলা সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসক পর্যন্ত দেখতে আসেনি তাঁকে। চিকিৎসার অভাবে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। 

এরপর প্রসূতির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়না তদন্ত করানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। যদিও মৃত প্রসূতির পরিবার ময়না তদন্ত করতে রাজি নয়। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান এমএসভিপি পলাশ দাস। পাশাপাশি ময়না তদন্ত করে সঠিক মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেন তিনি। 

9 months ago
Friendship: 'ছোটবেলার বন্ধুত্ব ছিল সেরা', সেচমন্ত্রী জানালেন তাঁর ছোটবেলার গল্প

পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী-পশ্চিমবঙ্গ সরকার): সিএন পোর্টাল থেকে বললো যে রবিবার বন্ধুত্বের দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমাদের যুগে এতশত বুঝতাম না যে এটারও আবার একটা দিন হতে পারে। একটা কথাই বাস্তব, ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা-খেলাধুলা সবেতেই বন্ধুত্ব থাকতো যা কিনা আজকেও আছে। আমি হয়তো আজ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হতে পারি, হয়তো সরকারি সিকিউরিটি নিয়ে অফিস যেতে হতে পারে, কিন্তু এখনও অফিসে যাওয়ার পথে কাউকে দেখলে থেমে যাই বা হাত নাড়িয়ে ডেকেনি।

এ অভ্যাস আমার আর পাঁচ জনের মতো। মানে বন্ধুত্বের কথা বলি। মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুল জীবনের কথা। ক্লাস করার থেকে টিফিনে দুস্টুমিই বেশি মনে পড়ে। খেলাটা আমার নেশা ছিল স্কুলে তো ফুটবল খেলতামই। কিন্তু ছুটির পর পাড়ার মাঠে খেলাটাই বেশি পছন্দের ছিল। লাল হলুদ জার্সির আকর্ষণ তো ছিলই। লাইন দিয়ে বিস্তর খেলা দেখেছি। দলবল নিয়েই যত কাণ্ড আমার ছিল। এমন কোনও দিন থাকতো না যেদিনটা বন্ধুহীন হয়ে থাকতাম।একটু বড় হওয়ার পর তো আমাদের পুজোর মধ্যে চলে এলাম। তখন পড়ার বাইরে খেলা আড্ডা এবং পুজোতে কাজ করাটাই ছিল আসল। অষ্টমীতে দল বেঁধে সবার বাড়িতে খিচুড়ি বিতরণ এবং কালী পুজোতে তো দায়িত্ব আরও বেড়ে যেত। আমাদের নৈহাটিতে কালী পুজো বিখ্যাত। ফলে অন্য ক্লাবের পুজোর সঙ্গে টক্কর তো থাকতো।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে গন্ধ দূর করার একটা আর্ট ছিল। ধরা পরে মার খাবার কথাও ভুলিনি। ইস এতো বছর বাদে ওই দিনের কথা লিখতে বসে কত কথা মনে পরে চোখে জল এসে যাচ্ছে। আমার মনে হয়ে ছোটবেলার বন্ধুই সেরা বন্ধু। যদিও কলেজে ঢুকে নিজেকে অনেকটাই স্বাধীন মনে হয়েছিল। এরপর তো কলেজের আড্ডা, রাজনীতি, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা ইত্যাদির সঙ্গে ভীষণ ভাবে যেটা ভালো লাগলো তা হচ্ছে নাটক। আজকেও শত কাজের মধ্যে নাটকটা সুযোগ পেলে করি। এখানকার বন্ধুরা আবার একটু গম্ভীর মেজাজের। আমার গিন্নি দারুন সংগীত শিল্পী, কাজেই ওর সঙ্গে আগে অনেকটা সময় কাটতো সংস্কৃতি মানসে। ও তো আমার প্রিয় বন্ধুই বটে, এ ছাড়া আমার সন্তানরাও আমার বন্ধু।

রাজনীতি করি, যাদের সঙ্গে করি তাঁরা আমার বন্ধু। এখন তো ওদের সঙ্গেই কাজ। এ ছাড়া দপ্তরে তো কাজের ফাঁকে যোগাযোগ রাখি বন্ধুদের সাথে। মনে হয়ে ভগবানকে বলি, আমি যেন সকলের পার্থ হয়েই থাকতে পারি এবং আপনারা আমার বুদ্ধিদাতা কৃষ্ণ। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)

9 months ago
Central Politics: কেন্দ্রীয় রাজনীতির হযবরল

প্রসূন গুপ্ত: পরপর অনেকগুলি ঘটনা কিন্তু ফের কেন্দ্রীয় রাজনীতিকে জনতার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রথমত কেন্দ্রীয় এনডিএ জোট বনাম ইন্ডিয়া জোটের কে কোথায় অবস্থান করছে তা কখনও পরিষ্কার কখনও ধোঁয়াশা করে তুলেছে। সম্প্রতি এক সভায় একই মঞ্চে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্ষীয়ান গান্ধীবাদী নেতা শারদ পাওয়ার। লোকমান্য তিলকের নামাঙ্কিত পুরস্কারে নাকি এবারে নাম ছিল শারদ পাওয়ারের। এদিকে বিরোধী জোটের অন্যতম কারিগর এই পাওয়ারই। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দল এনসিপিতে ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। যেমন শিবসেনা ভেঙে দুটি দল হয়েছে এবং বিদ্রোহী শিন্ডে দল ভেঙে শিবসেনা (শিন্ডে) তৈরি করে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে, নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার তৈরি করেছে। এরপর ফের রাজনীতির ট্যুইস্ট ভাঙলো পাওয়ারের দলটিও। শারদের ভাইপো অজিত পাওয়ার দল ভাঙিয়ে, তাঁর দল নিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এই ডিগবাজিতে আতংকিত একদিকে পাওয়ার অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডেও। নিজেদের অবস্থান এবং শক্তি নিয়ে চিন্তায় দুটি দল। এরই মধ্যে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে থেকে এবং তাঁর হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে বিরোধী জোটের ব্যাডবুকে চলে গিয়েছেন।

অন্যদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারে চলে যাওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল নাকি "সব মোদী একই রকম" গোত্রীয় ভাষণ দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে কোনও এক মোদী গুজরাটের একটি আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। বিচারপতি আদেশ দেন যে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হবে এবং দুই বছর অবধি জেল হতে পারে। ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম করতে যায় কংগ্রেস।  শুক্রবার গুজরাটের আদেশকে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই উলহাস শুরু হয় কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুলকে অভিনন্দিত করেন আবার খুশির বার্তা জানান পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।

অন্যদিকে দিল্লির প্রশাসন নিয়ে কেজরিওয়ালকে সমর্থন জানায় কংগ্রেস আবার মোদীর জোটে নতুন মুখ হিসাবে আসতে চাইছে অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু। কাজেই বোঝাই দায়, কে কোথায়!

9 months ago


Corrupction: রকেট ছোড়ার মত ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি

সৌমেন সুর: মানুষ যাবে কোথায়! কাকে বিশ্বাস করবে! বিশ্বাস তো কখনো কাউকে করতেই হবে, নইলে বেঁচে থাকার মানে কি! সমাজ বদলায়। বদলায় মানুষ। পরিবর্তন হয় সমাজ-মানসিকতার। আজ একদিকে কিছু মানুষের বিপুল ঐশ্বর্য বিলাস, অন্যদিকে অসংখ্য মানুষের দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও শোষণের জ্বালা। একদিকে সভ্যতার উজ্জ্বল চিত্র, অন্যদিকে দূর বিস্তৃত জমাট অন্ধকার। আজও মানুষের প্রতিকার হীন বিচারের বাণী, নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আজ ধর্মে ধর্মে বিভেদের প্রাচীর। সম্প্রদায়িকতার বিষ নিঃশ্বাসে, জাত-পাতের বজ্জাতি, যুদ্ধের মহড়া, অশুভ বুদ্ধিরই আজ আধিক্য। এইরকম ডামাডোলে সমাজের কোনায় কোনায় ছেয়ে গেছে দুর্নীতি।

দুর্নীতির সমাজ বললে অত্যুক্তি হয় না। আর বলব নাই বা কেন! শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, প্রাণীতে দুর্নীতি, কয়লায় দুর্নীতি, রেশনের দুর্নীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দুর্নীতি, আর কত বলব! এরপর ভেজাল আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বললে তো সামান্য এইটুকু অংশে ফুরোবে না। এরকম অন্ধকার সময় সমাজে আগে ছিল না। কম্বলের লোম বাছলে যেমন 

কম্বলের অস্তিত্ব থাকে না, তেমনই সমস্ত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের মহলকে যদি ধরা হয় তাহলে মানুষের অস্তিত্ব থাকবে কিনা সন্দেহ। তবুও বলব মানুষ আজ জীবনে বিশ্বাস হারায়নি, এখনও বিশ্বাস করে হিংসায় উন্মক্ত পৃথিবীর বুকে প্রেমের দেবতার অভিষেক হবে। মনুষ্যত্বের মহিমাকে  হারালে তার যে আর কিছুই থাকেনা। তাই এখন মানুষকে প্রকৃত সৎ হতে হবে, দেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে। আপামর মানুষ তাকিয়ে থাকে প্রতিনিধিত্বকারী মানুষের দিকে, তাই যতদিন না পর্যন্ত নির্লোভ ও সৎ মানসিকতায় কেউ না ফিরছেন, ততদিন দুর্নীতি সমাজ থেকে মুছবে না। মনে রাখা উচিত, দেশবাসী নির্বাচিত করে আপনাদের পাঠিয়েছেন, তাই মানুষের প্রতি একটু দয়াশীল হোন নইলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে।

9 months ago
Special: ছকবাজি বা স্টান্টবাজি নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানো অভ্যাস করুন

সৌমেন সুর: যে রং তখন ছিল আজও সেই রং বহমান। প্রাচীন লগ্নে মানুষের গুহাবাসকালে হিংস্রতায়, গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে দ্বন্দ্বের কারণে জীবন হয়ে উঠেছিল অতিষ্ঠ-আজও তেমনি বার্তা বয়ে চলেছে। সারা দেশ জুড়ে ক্ষমতার লড়াই। কে কাকে কোনঠাসা করতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষ হিংসার ছোবলে প্রাণ হারাচ্ছে। আজও কত রক্তপাত, কত খুন, নির্লজ্জ বেআব্রুর বীভৎস ছবি। এত খুন এত রক্তপাত স্রেফ হিংসার জন্য। সভ্যতার সেই আদি যুগেও মানুষ মানুষের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে চেয়েছে, এই প্রাধান্য বিস্তারের জন্যই সেদিন মারামারি কাটাকাটির শেষ ছিল না। পাশাপাশি রাজ্যগুলোর মধ্যে পরস্পর পরস্পরে ঠোকাঠুকি লেগেই থাকতো। 

রাজ্য জয়ের নেশায় মেতে উঠতো দল। শুরু হতো ঘরবাড়ি জ্বালানো, মুড়ি মুড়কির মতো খুন। যুদ্ধ আর রক্তপাতের মধ্যে দিয়েই সূচনা হতো জয়যাত্রা। এমনি করেই দিন বদলায়। সমাজ বদলায়। মেন্টালিটি বদলায়। যুদ্ধ কিন্তু থামেনা। রূপ বদলে নতুন কৌশলে আবার আক্রমণ। আবার রক্তে হোলি খেলা। শুরু হয় অন্য মুডে খেলা। কত যে নিরীহ মানুষের প্রাণ অকালে চলে যায় সেদিকে দলের ভ্রুক্ষেপ নেই। সর্বত্র চলছে স্টান্টবাজির খেলা। বর্তমানে চলছে সমস্ত মানুষের শান্ত রিপুগুলোকে মিথ্যে ভাষণ দিয়ে ধ্বংস করে ফেলে, দলে তুলে নিয়ে এসো তাকে। তারজন্য তৈরি করে হিংসার ছক। যে ছকে পা দিলেই আজ নয়তো কাল মৃত্যু। দেওয়ালে ছবি হয়ে দলের সৌন্দর্য বাড়াও। যত ছবি টাঙ্গানো হবে-তত দলের আপডেট। দলের লোক খারাপ হলেও ভাল। আবার ভাল লোক অন্য দলের হলে খারাপ। এক অদ্ভুত খেলা। অদ্ভূদ যুক্তি।

আমার মতে, যদি আপনার মন সত্যি সত্যি মানুষের কাঁদে তাহলে নিঃস্বার্থভাবে আত্মশুদ্ধি করে, মানুষের পাশে দাঁড়ান। হিংসা দিয়ে সাময়িক ক্ষমতার জয় করা যায় অবশ্য, কিন্তু সেটা কখনো চিরস্থায়ী হয় না। আজ নয়তো কাল সরে যেতেই হবে। এটাই নিয়ম। কেউ যদি ভাবেন আমি সব পাল্টে দেব ক্ষমতার বলে, হিংসার আশ্রয়ে-তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে, হিংসা মানুষের জীবনে সত্য, কিন্তু শেষ সত্য নয়। হিংসা দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না।

9 months ago


Mamata Banerjee: বেঙ্গালুরু জোট বৈঠকে কংগ্রেসের বিশেষ আমন্ত্রণ মমতাকে

প্রসূন গুপ্ত: সোমবার দ্বিতীয় জোট বৈঠক হচ্ছে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। ২৬টি ছোট বড় দল উপস্থিত হয়েছে এই বৈঠকে। কংগ্রেস (National Congress) বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) গুরুত্ব দিচ্ছে এই সভাতে। এ ছাড়া এই সভাতে উপস্থিত হতে পারবেন না বলে আপ পার্টি থেকে বলা হয়েছিল। মমতা নিজে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং একই সাথে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মালিকার্জুন খার্গের সাথেও। মমতার বিশেষ অনুরোধে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উপস্থিত হয়েছেন এবং তাঁর যে দাবি ছিল দিল্লির প্রশাসন নিয়ে তারও সমাধান হচ্ছে বলেই সংবাদ।

বেঙ্গালুরুর এই বৈঠকের আয়োজক এবারে সদ্য ক্ষমতা পাওয়া কংগ্রেস দল কাজেই তাদের লক্ষ যে ভাবেই হোক বিজেপি বিরোধীদের একাট্টা করা। অবিশ্যি নূন্যতম মোদী ঘনিষ্ঠদের পাটনা সভা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। মজার বিষয় আপ দল যেমন কংগ্রেস বিরোধিতা করে ক্ষমতায় এসেছে তেমনই সিপিএম বিরোধিতা করে আজ বাংলার মসনদে মমতা কিন্তু এসব অঙ্ক বাদ দিয়ে বিরোধিতার প্রশ্নে আজ সকলেই এক টেবিলে।

সম্প্রতি বাংলায় হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস বাম পর্যদস্তু হয়েছে তৃণমূলের কাছে।ভোট নিয়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েক ডজন কর্মীর। রাজ্য কংগ্রেসের আপত্তি তৃণমূলের জোটে থাকা নিয়ে। তাদের বক্তব্য তাদের কর্মীরা খুন হয়েছে তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীদের হাতে।

একই বক্তব্য সিপিএমেরও। এ বিষয় প্রবল কটাক্ষ আসছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে এই দুই দলের দিকে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটকে আমল দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় কংগ্রেস বা অন্য জোটের দলগুলি। কংগ্রেস এবারে প্রবলভাবে তৃণমূলকে পাশে চাইছে। তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়ান অবিশ্যি জানিয়েছেন যে, কংগ্রেসের ইদানিং কাজের ধারা খুবই সন্তোষজনক।

এদিকে জোটের অন্যতম উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা ভেঙে গিয়েছে অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের অন্যদল এনসিপিও সম্প্রতি ভেঙে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে কাজেই এই দুই দল এখন সম্পূর্ণ কংগ্রেস নির্ভর হয়ে পড়েছে।

সোনিয়া গান্ধী সোমবার সন্ধ্যায় সমস্ত দলকে ডিনারে ডেকেছেন, কিন্তু মমতা জানিয়েছেন যে সম্প্রতি তাঁর পায়ের সংকট হওয়াতে হয়তো থাকতে পারবেন না কিন্তু হয়তো সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হবে বলেই সংবাদ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে যে মেঘালয়ে যদি কংগ্রেস তাদের সঙ্গে জোট করে তবে এ রাজ্যে তারা কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে রাজি আসন্ন লোকসভায়। নাটকীয় ঘটনার কিছু ঘটতেই পারে।

10 months ago
Abhisekh Bachchan: অভিষেকের রাজনীতিতে 'অভিষেক!' কী বলছে বচ্চন পরিবার?

বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের বাবা-মা দু'জনেই একসময় রাজনীতি করেছেন চুটিয়ে। মা জয়া তো এখনও সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ। বছর তিনেক আগে তৃণমূলের হয়ে কলকাতার মাটিতে প্রচারও করেছেন। বাবা বিগ-বি, অর্থাৎ অমিতাভ অবশ্য রাজনীতির পাট চুকিয়ে দিয়েছেন আগেই। আর এখন জল্পনার কেন্দ্রে নাম চলে এসেছে অভিষেক বচ্চনের (Abhisekh Bachchan)। শোনা যাচ্ছে নাকি তিনিও রাজনীতিতে যোগ দেবেন।

এমনটা একেবারেই নয় যে সিনেমার কাজ তাঁর হাতে নেই। পরিচালক আর বাল্কীর 'ঘুমর' ছাড়াও রেমো ডিস্যুজার একটি প্রজেক্টে কাজ করছেন অভিষেক। তবে এরই মধ্যে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মা-বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিষেকও নাকি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন এবং সেটা হবে খুব তাড়াতাড়িই।

এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন, অমিতাভ বচ্চনের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল কংগ্রেস পার্টির হাত ধরে। ১৯৮৪ সালে পারিবারিক বন্ধু ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আহ্বানে তিনি তৎকালীন এলাহাবাদ তথা অধুনা প্রয়াগরাজ থেকে লোকসভা নির্বাচন লড়েন ও বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। এরপর সমাজবাদী পার্টির প্রয়াত নেতা অমর সিংয়ের সঙ্গে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার দৌলতে এই দলের কাছাকাছি আসেন বচ্চন দম্পতি। 

তাহলে কি অভিষেকও রাজনীতিতে আসছেন! সহজ কথায় বললে আপাতত 'সে গুড়ে বালি।' কারণ, এই জল্পনা নিয়ে যখন বচ্চন পরিবারের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন একটি পারিবারিক সূত্র জানায়, 'সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। এমন কোনও সম্ভাবনাই নেই।'

২০১৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারের দরুণ যখন অভিষেকের কাছে রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখন তিনিও এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি জানান, 'আমার অভিভাবক রাজনীতি করেছেন। কিন্তু ওই জায়গায় আমি নিজেকে দেখি না। আমি পর্দায় রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় অভিনয় করতেই পারি। কিন্তু আসল জীবনে নয়। আমি কোনও দিন রাজনীতিতে যাব না।'

10 months ago
Rayudu: ক্রিকেট জীবনে ইতি টেনে সক্রিয় রাজনীতিতে নামতে চান রায়াডু

আইপিএল (IPL) ফাইনালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়াডু (Ambati Rayadu)। নিজের জেলা গুন্টুরে (Guntur) চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। রাজনীতিতে (Politics) নামার ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের সব জেলায় গিয়ে ঘুরছেন রায়াডু। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের রায়াডু জানিয়েছেন, মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে যোগ দিতে চান তিনি। পোক্ত পরিকল্পনা করে রাজনীতির ময়দানে নামতে চান তিনি। কোন দলে যোগ দেবেন, তা যদিও ঠিক করেননি রায়াডু। তবে মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্র্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসেই যোগ দেবেন।

সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে দুবার দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী চান, লোকসভা নির্বাচনেই লড়াই শুরু করুক রায়াডু। বিধানসভা না লোকসভা থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন, তা যদিও স্পষ্ট নয়। লোকসভায় দাঁড়ালে মছলিপত্তনম কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি।

10 months ago


Court: কয়েক দফা দাবি নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের বিরোধিতা করে আদালতে বিজেপি-কংগ্রেস

পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি (Politics)। একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (HighCourt) জনস্বার্থ মামলা করল বিজেপি ও কংগ্রেস (BJP-CONGRESS)। দুই দলেরই দাবি প্রায় এক। মোট পাঁচটি দাবি নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেখানে মনোনয়ন জমা থেকে সর্বদলীয় বৈঠক, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট-সহ একাধিক দাবি উঠে এসেছে।

এদিন, বিজেপির আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর তরফে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। সেই অনুমতি দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই সেই মামলার আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। পাঁচটি দাবি কী কী ?

প্রথমত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার বরাদ্দ সময় নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, প্রতি কেন্দ্রে মনোনয়নের জন্য ৩৯ সেকেন্ড সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। হাতে মাত্র ৫ দিন সময়। সেক্ষেত্রে এত প্রার্থী কীভাবে মনোনয়ন জমা দেবে? দ্বিতীয়ত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আদালতের। তৃতীয়ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেইসঙ্গে সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্যও আর্জি জানানো হয়েছে। চতুর্থত, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়নি কেন, সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পঞ্চম ও শেষ দাবি, কেন্দ্রীয় অফিস ছাড়াও অন্যত্র মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

11 months ago
BJP: রাজ্য নেতায় ভরসা বিজেপির, জোটে কংগ্রেসের

নবম বর্ষপূর্তির প্রচার চলেছে বিজেপির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের যে নরেন্দ্র মোদীকেই দলের মুখ করা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু লোকসভার আগে চার রাজ্যের ভোটের কাঁটা রয়েছে তাদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানা। কর্ণাটক এবং হিমাচল তাদের হাতে নেই, কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে। কাজেই এই চার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা থাকাই স্বাভাবিক।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা রয়েছে যে কর্ণাটক এবং হিমাচলে মোদীকে সামনে রেখে ফল অতি খারাপ হয়েছে। জনগণের কাছে কে হবে রাজ্য নেতা তার কোনও পরিষ্কার বার্তা ছিল না। আমল দেওয়া হয়নি ইয়াদুরাপ্পাকে। কাজেই সেই ভুল আর করতে চায় না কেন্দ্রীয় বিজেপি। আপাতত রাজস্থান জয়ের বিষয়ে কিছুটা স্বস্তিতে তারা। এর অন্যতম কারণ রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। একই সঙ্গে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। মধ্যপ্রদেশে গতবারে ক্ষমতায় এসেছিলো কংগ্রেস কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে দেওয়াতে এবং কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরিয়ে কমলনাথের মন্ত্রিসভা ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবারে কিন্তু হওয়া উল্টো পথে।

অবস্থা বুঝে আদবানি ঘনিষ্ঠ শিবরাজকেই মুখ করছে বিজেপি। ছত্রিশগড়ের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজেই ওই রাজ্যে পুরাতন মুখকেই ভরসা করছে দল। রইলো বাকি তেলেঙ্গানা। এখানে মূল লড়াই এতদিন ছিল কংগ্রেস এবং টিআরএসের মধ্যে। বিজেপি সংগঠন বাড়ালেও এমন শক্তিশালী হয়নি যে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কাজেই স্থানীয় মুখের সন্ধানে দল।

অন্যদিকে, কর্ণাটক দখল করে কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আবার ওই রাজ্যের। কিন্তু এটাও বাস্তব বহু রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি হ্রাস পেয়েছে কাজেই যে যে রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল, সে রাজ্যে তারা বন্ধুর খোঁজে রয়েছে। নিয়মিত তাদের ম্যানেজাররা যোগাযোগ রাখছে নীতীশ কুমার সহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে। আসন্ন চার রাজ্যের নির্বাচন কিন্তু দুই দলের কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচ।

12 months ago