
আইপিএল (IPL) ফাইনালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়াডু (Ambati Rayadu)। নিজের জেলা গুন্টুরে (Guntur) চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। রাজনীতিতে (Politics) নামার ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের সব জেলায় গিয়ে ঘুরছেন রায়াডু। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের রায়াডু জানিয়েছেন, মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে যোগ দিতে চান তিনি। পোক্ত পরিকল্পনা করে রাজনীতির ময়দানে নামতে চান তিনি। কোন দলে যোগ দেবেন, তা যদিও ঠিক করেননি রায়াডু। তবে মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্র্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসেই যোগ দেবেন।
সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে দুবার দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী চান, লোকসভা নির্বাচনেই লড়াই শুরু করুক রায়াডু। বিধানসভা না লোকসভা থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন, তা যদিও স্পষ্ট নয়। লোকসভায় দাঁড়ালে মছলিপত্তনম কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি (Politics)। একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (HighCourt) জনস্বার্থ মামলা করল বিজেপি ও কংগ্রেস (BJP-CONGRESS)। দুই দলেরই দাবি প্রায় এক। মোট পাঁচটি দাবি নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেখানে মনোনয়ন জমা থেকে সর্বদলীয় বৈঠক, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট-সহ একাধিক দাবি উঠে এসেছে।
এদিন, বিজেপির আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর তরফে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। সেই অনুমতি দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই সেই মামলার আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। পাঁচটি দাবি কী কী ?
প্রথমত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার বরাদ্দ সময় নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, প্রতি কেন্দ্রে মনোনয়নের জন্য ৩৯ সেকেন্ড সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। হাতে মাত্র ৫ দিন সময়। সেক্ষেত্রে এত প্রার্থী কীভাবে মনোনয়ন জমা দেবে? দ্বিতীয়ত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আদালতের। তৃতীয়ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেইসঙ্গে সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্যও আর্জি জানানো হয়েছে। চতুর্থত, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়নি কেন, সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পঞ্চম ও শেষ দাবি, কেন্দ্রীয় অফিস ছাড়াও অন্যত্র মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
নবম বর্ষপূর্তির প্রচার চলেছে বিজেপির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের যে নরেন্দ্র মোদীকেই দলের মুখ করা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু লোকসভার আগে চার রাজ্যের ভোটের কাঁটা রয়েছে তাদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানা। কর্ণাটক এবং হিমাচল তাদের হাতে নেই, কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে। কাজেই এই চার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা থাকাই স্বাভাবিক।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা রয়েছে যে কর্ণাটক এবং হিমাচলে মোদীকে সামনে রেখে ফল অতি খারাপ হয়েছে। জনগণের কাছে কে হবে রাজ্য নেতা তার কোনও পরিষ্কার বার্তা ছিল না। আমল দেওয়া হয়নি ইয়াদুরাপ্পাকে। কাজেই সেই ভুল আর করতে চায় না কেন্দ্রীয় বিজেপি। আপাতত রাজস্থান জয়ের বিষয়ে কিছুটা স্বস্তিতে তারা। এর অন্যতম কারণ রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। একই সঙ্গে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। মধ্যপ্রদেশে গতবারে ক্ষমতায় এসেছিলো কংগ্রেস কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে দেওয়াতে এবং কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরিয়ে কমলনাথের মন্ত্রিসভা ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবারে কিন্তু হওয়া উল্টো পথে।
অবস্থা বুঝে আদবানি ঘনিষ্ঠ শিবরাজকেই মুখ করছে বিজেপি। ছত্রিশগড়ের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজেই ওই রাজ্যে পুরাতন মুখকেই ভরসা করছে দল। রইলো বাকি তেলেঙ্গানা। এখানে মূল লড়াই এতদিন ছিল কংগ্রেস এবং টিআরএসের মধ্যে। বিজেপি সংগঠন বাড়ালেও এমন শক্তিশালী হয়নি যে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কাজেই স্থানীয় মুখের সন্ধানে দল।
অন্যদিকে, কর্ণাটক দখল করে কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আবার ওই রাজ্যের। কিন্তু এটাও বাস্তব বহু রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি হ্রাস পেয়েছে কাজেই যে যে রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল, সে রাজ্যে তারা বন্ধুর খোঁজে রয়েছে। নিয়মিত তাদের ম্যানেজাররা যোগাযোগ রাখছে নীতীশ কুমার সহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে। আসন্ন চার রাজ্যের নির্বাচন কিন্তু দুই দলের কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচ।
ভিন রাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার উত্তাল হল বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে এ রাজ্যে কাজ করতে এসে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারালেন মথুরার দুই ভাই বিষ্ণু এবং বিকাশ তানওয়ার। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিসকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। ধান কাটার কাজে এই রাজ্যে এসেছিলেন বিষ্ণু এবং বিকাশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ধানকাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুংচি গ্ৰাম থেকে কাজ সেরে সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্ৰামের দিকে রওনা দেন। রাস্তায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার তাঁদের গাড়ির সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সদাইপুর থানার পুলিসকর্মীরা। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের এলাকাছাড়া করে ক্ষিপ্ত জনতা। এলাকাবাসীদের দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা না আসা পর্যন্ত দেহ দুটি ছাড়া হবে না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্য দেহ পুলিসের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। দুপুরের দিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে (Minor) যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি (Politics)। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকা মৃত্যু নিয়ে একাধিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের দাবি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়ো বা প্ররোচনামূলক তথ্য ছড়াতে পারে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় সেই জন্যই আগামী কয়েকদিন প্রশাসনের তরফে এই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ফোন, এসএমএস বা খবরের কাগজ পৌঁছনো নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। কালিয়াগঞ্জের মানুষ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। খবরের কাগজও পৌঁছাবে। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারধর করা হয় পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির ভূমিকা আছে বলে মনে করছেন। তাঁর দাবি, বিহার থেকে লোক এনে এই অশান্তি করা হয়েছিল। মহিলা পুলিশ কর্মীদের গায়ে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিও নষ্ঠ করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবার থেকে খবরের বাজারে চমকদার বিষয় মুকুল রায়। বেশ কিছুদিন ধরে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন রাজনীতি থেকে। যদিও তিনি বর্তমানে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনের পরে তিনি হারান স্ত্রীকে। পরবর্তীতে ইনি সপুত্র যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তাঁকে বরণ করে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করতে চান। কিন্তু বিজেপির তরফে তীব্র আপত্তি এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা তুলে এই প্রস্তাব সায় পায়নি। তবে মুকুলের দলবদলের পরপরই আরও অনেক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এই তালিকায় নামজাদা নাম।
এদিকে, শোনা যায় মাঝেমধ্যে মুকুল রায় নাকি সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতে থাকছেন। তাঁর ছেলের দাবি, বাবা পারকিনসন ও ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। অবশ্য মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সামনে একাধিকবার সাক্ষৎকারে দিয়েছেন মুকুল রায়। সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। এরপরে সোমবার সকাল থেকে ফের খবরের শিরোনামে মুকুল রায়। তিনি হঠাৎ রবিবার সন্ধ্যা থেকে 'নিখোঁজ' হয়ে যান। পরে সিসিটিভিতে তাঁর ছবি ধরা পরে দিল্লি বিমানবন্দরে। জল্পনা ওঠে তিনি নাকি ফের ফেরত যাচ্ছেন বিজেপিতে। এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পুত্র শুভ্রাংশু জানান, তাঁর বাবা অসুস্থ। তিনি পুলিসে অপহরণ ডায়রি করেন। অবশ্য ততক্ষণে মুকুল রায় রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এরপর বিভিন্ন মিডিয়া জানাতে শুরু করে, মুকুল রায়ের সঙ্গে নাকি অমিত শাহের কথা হয়েছে।
যদিও মুকুল রায় সিএন-কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বিজেপির এমএলএ।' কিন্তু এখানেই রাজনৈতিক টুইস্ট। একেবারে দলের অন্দর থেকে জানা গিয়েছে, নাড্ডা বা শাহ মুকুলকে প্রাথমিকভাবে আমল দেয়নি। মুকুলের কথা হয়েছে নাকি পুরোনো বন্ধু কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে। অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির একটি গোষ্ঠীর নাকি ঘোরতর আপত্তি আছে মুকুলের বিষয়। আবার অন্য গোষ্ঠীর ইচ্ছা তিনি ফিরুন। তবে জল্পনা যাই হোক না কেন, আজকের মুকুল কিন্তু প্রাক্তন মুকুলের ছায়া মাত্র। অতএব ...
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কালিমালিপ্ত করতে বাবাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি (Politics) চলছে। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাঁর দাবি, অভিষেককে বদনাম করতে একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। শুভ্রাংশু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ হয়নি। রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা প্রসঙ্গে শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ। একটা সুস্থ মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর মানসিকভাবে সুস্থ নয় এমন মানুষের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মধ্যে ফারাক আছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। দু'টি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রাংশু। যদিও পরে জানা যায়, দিল্লি গিয়েছেন 'মুকুল'।
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। কিন্তু মুকুলের দিল্লি যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না শুভ্রাংশু। না বলেই তাঁর বাবাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মুকুল রায়কে কে দিল্লি নিয়ে গেল, বিমানে কীভাবে টিকিট কাটলেন মুকুল, এখন সেসব কথাই ভাবাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে ৫০ হাজার টাকার প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শুভ্রাংশু জানান, পুরো বিষয়ে টাকার খেলা রয়েছে। মুকুল পুত্রের দাবি, বাবার কাছে এখন বেশি টাকা নেই। মাসিক আয় ২১ হাজার টাকার মতো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি এজেন্সির তরফে এক অবাঙালি ব্যক্তিকে বলা হয়, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসার জন্য। বাবার শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। শুভ্রাংশুর দাবি, মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন তাঁর বাবা। ভাল করে হাঁটতে পারছেন না। দিনে ১৮টি ওষুধ খান। এখনও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।
ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারে মুকুল রায়। সেকারণেই দিল্লি গিয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুলকে প্রশ্ন করতেই তাঁর উত্তর, এমনই দিল্লি এসেছেন। কিছু আছে। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। কাজ মিটলেই তিনি ফিরে যাবেন।
মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লিতে (Delhi) গমন নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। তবে কি ফের বিজেপিতে মুকুল! রাজ্য রাজনীতির (Politics) এই সরগরম পরিস্থিতে মুকুলের দিল্লি যাওয়াকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি।
সোমবার রাতের নিখোঁজ বিতর্ক উড়িয়ে মুকুল রায় ছিলেন দিল্লিতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার তিনি বলেন, 'আমি একজন বিধায়ক, আমি কি দিল্লি যেতে পারি না।' প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে হঠাৎ চাঞ্চল্য ছড়ায় মুকুল রায়ের গুম হয়ে যাওয়াকে নিয়ে। সূত্রের খবর, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশ নাকি এয়ারপোর্ট থানা এবং বীজপুর থানায় মুকুল রায় সম্বন্ধে নিখোঁজ ডায়রি করেন। যদিও বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়।
মুকুল রায়ের এই অন্তর্ধান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। এ বিষয়ে সিপিআইএমের শতরূপ ঘোষ বলেন, 'চোর চুরি হয়ে গিয়েছে। কিংবা অভিষেকের হয়ে বিজেপির সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছে।' যদিও এ বিষয়ে মুকুল পুত্রের সঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি।
পাট ক্ষেতে জল দিতে গিয়ে শর্ট সার্কিটে (Electric shock) মৃত্যু হয় এক কৃষকের। বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাগুন্ডি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয়রা ওই কৃষককে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই কৃষকের নাম এসারুল সাহাজি (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির পাশের মাঠে, একটি পুকুর থেকে পাট ক্ষেতে জল দেওয়ার জন্য মোটর লাগিয়েছিলেন তিনি। মোটর লাগানোর পরে বিদ্যুতের তার সংযোগ করছিলেন নিজের ইলেকট্রিক মিটার থেকে। সেই সময়ই বৈদ্যুতিক তারের একটি অংশ কাটা থাকায় শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।
এমনকি এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকত ওই কৃষক। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ। তাই রাজ্য সরাকারের তরফ থেকে পরিবারটিকে কিছু অনুমোদন দিয়ে সাহায্য করলে তাঁদের খুব উপকার হবে, দাবি স্থানীয়দের।
বাংলার বকেয়া টাকা দিয়ে দিলে রাজনীতি (Politics) ছেড়ে দিতে রাজি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার বীরভূমে সিউড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তারই জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিন, তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তো দূর, আমি রাজনীতিও ছেড়ে দিতে রাজি।' শুক্রবার দু'দিনের সফরে রাজ্যে পা রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শুক্রবার রাজ্যে পা রেখে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে, তিনি একটি সভা করেন। সেখানেই রাজ্যের দুর্নীতি, অশান্তি-হিংসা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেন। ওই সভা থেকেই স্পষ্টতই বলেন, 'ভাইপো যতই চাক না কেন, ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না।' এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন টুইটে হৈ-চৈ ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ইত্যাদি নিয়ে বাংলার বকেয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় সরব হয়েছেন মমতা এবং অভিষেক। সম্প্রতি রেড রোডে বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধারনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন। হুংকার দিয়েছেন দিল্লি অচল করে দেওয়ার। সামনেই পঞ্চায়েত, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। যদিও শুক্রবার ৩৫টি আসন নিয়ে ২৪ সালে, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর দাবী জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এ অবস্থায় বাংলাকে বঞ্চনা করার দাবিতে বকেয়া অর্থ চেয়ে অভিষেকের টুইট, সেটা যে কেন্দ্রকে তোপ সেটা স্পষ্ট করলেন ওই টুইটেই।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এবারে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে (Bushra Bibi) নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির বিবাহ ইসলামিক শরিয়া আইন (Islamic Sharia Law) মেনে হয়নি। ফলে ইসলাম ধর্ম মেনে তাঁদের বিয়ে হয়নি বলে আদালতে এক পিটিশন দায়ের করেছিলেন মহম্মদ হানিফ নামের এক ব্যক্তি। এরপরেই মৌলবি মুফতি সঈদ আদালতে এই বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন। ইনিই ইমরান ও বুশরার নিকাহ করিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মুফতি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরার নিকাহ ইসলামিক শরিয়া আইন মেনে হয়নি, কারণ তাঁদের বিয়ে 'ইদ্দত' সময়ের মধ্যে হয়েছিল। উল্লেখ্য, যখন কোনও মুসলিম মহিলার আগের পক্ষের স্বামীর মৃত্যু বা বিচ্ছেদ হয়ে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টাকেই 'ইদ্দত' বলা হচ্ছে। এই 'ইদ্দত'-এর তিনমাস সময়ের মধ্যে সাধারণত নিকাহ করা যায় না। কিন্তু মৌলবি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরা এই ইদ্দত সময়ের মধ্যেই বিয়ে করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরান বুশরা এই বিষয়টি জানতেন কিন্তু তবুও তাঁরা নিকাহ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আর ইমরানের সঙ্গে তাঁর নিকাহ হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মৌলবি মুফতি সঈদের এমন দাবি শুনে আদালত এই মামলার শুনানিতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ এপ্রিলের পরেই হবে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electric shock) যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারালেন যুবক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া যুবকে বাঁচাতে পারলেও, তিনি নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) মাদিওয়ালা এলাকায়।
মঙ্গলবার, মধ্যরাতে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে খোলা তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন এক যুবক। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন আকবর আলি। তিনি এক যুবককে ছটফট করতে দেখে সামনে এগিয়ে দেখেন যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। বিদ্যুতের তারটি থেকে ধাক্কা মেরে ওই যুবককে সরিয়ে দেন আকবর। যুবককে সরিয়ে দিতে গিয়ে তিনি নিজেই বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। তিনি ওই যুবকের মতো একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি টহলদারি গাড়ি এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে আকবরকে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক হলেন কেরলের বাসিন্দা। একটি মোবাইলের দোকান ছিল তাঁর। ব্যবসার জিনিসপত্র কিনতে প্রায়ই বেঙ্গালুরুতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবারও মোবাইলের যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে যে সংস্থার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার খোলা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে, জানিয়েছে পুলিস। আস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতদিন তো শুনেছেন ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি (Bombshell), কখনও ভিন রাজনৈতিক (Politics) মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি দেখেছেন? বিস্মিত হয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের ওই এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, ছেলে তৃণমূল নেতা। বাবা আবার কংগ্রেসের কট্টর সমর্থক। সেই ‘পিতা-পুত্রের’ ঝামেলায় বোমাবাজি। শনিবার রাতে বাবা-ছেলের মারামারিতে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণে এলাকা ভরল ধোঁয়ায়, উড়ে গেল বাড়ির টিনের চাল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি আনসার আলি শেখ। তাঁর স্ত্রী শেফালি শেখ আবার পঞ্চায়েত প্রধান। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে গোটা পরিবারই শাসক দলের সমর্থক। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছেন আনসারের বাবা জহিরউদ্দিন শেখ। তিনি কংগ্রেসের সমর্থক। এখন এই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছে। শনিবার গভীর রাত থেকে বোমাবাজি শুরু হয় জহিরউদ্দিন এবং আনসারের বাড়িতে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা-ছেলের রাজনৈতিক ঝগড়ায় বোমাবাজি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বাবার উপর। ছেলে আনসারের অভিযোগ, বাবা তাঁকে খুন করতে চান। তাঁর কথায়, ‘আমি তৃণমূল করি। এই আক্রোশে বাবা আমাকে মেরে ফেলতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মূলচক্রী আমার বাবা। আমাকে সরিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, জহিরউদ্দিন বলেন, ‘খুন-জখমের রাজনীতি তৃণমূলের সংস্কৃতি হতে পারে, কংগ্রেসের নয়।’ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিস বাহিনী। রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির কাছে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। যদিও কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।
'অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।' কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) এই বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক (Politics) শোরগোল। শিক্ষা নিয়োগকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কুন্তল ঘোষের অভিযোগ সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে। বৃহস্পতিবার কুন্তলকে ব্যাঙ্কশালে স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। সে সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'জোর করে আমাকে দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ইডি।' এমনকি তিনি আরও বলেন, 'গোটা ঘটনা বিচারককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।' কুন্তলের এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য কুন্তল আগেই দাবি করেছিলেন যে, ‘প্রভাবশালী’দের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।' তবে সেই সময় কোনও নাম উল্লেখ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার অভিষেকের নাম করলেন তিনি। তাঁর আইনজীবীও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার এই কাণ্ডে তাপস মণ্ডলকে প্রভাবশালীর নাম বলবেনা কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'কুন্তলের মুখেই শুনুন।' যদিও এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে, প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আনলেন কুন্তল। এর আগেও কুন্তল অভিষেকের দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করছেন। দাবি করেছেন, তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এনেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির নাম।
সৌমেন সুর: ছাত্র সমাজ সামাজিক মানুষেরই একটি বিশেষ অধ্যায়। আধুনিক সমাজ নানা ঘাত প্রতিঘাতে অস্থির। বিরোধ চারিদিকে লাগাতার। বিরোধ, সামাজিক প্রথাচারে, ধর্মীয় বিশ্বাসে। শোষন নির্যাতন আজ নানা ছদ্মবেশে। কত জেহাদ, কত রক্তপাত। এছাড়া জীবন জীবিকার নিরন্তর সংগ্রাম। নানা সমস্যার ছবি। সমাজ জীবন প্রতিনিয়ত আন্দোলিত। আন্দোলনের ঢেউ শিক্ষা অঙ্গনেও আছড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র সমাজ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না, তাদের রক্তে ঝড়ের মাদন। তারা চিরসবুজের অগ্রদূত। তারা তারুণ্যের প্রতীক। সমাজের নানা পালাবদলের অধ্যায়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে।
সেকাল ও একালের ছাত্রসমাজের ছবি রীতিমতো ভিন্ন। সেকালে একমাত্র অধ্যয়নই ছিল তপস্যা। গুরুগৃহেই হতো বিদ্যাশিক্ষা শুরু ও শেষ। কিন্তু সমাজ এক জায়গায় থেমে থাকলো না। সামাজিক জীবন রাজনীতি অর্থনীতিবাদ দিয়ে নয়। বির্বতনের পথে সেখানেও এলো রুপান্তর। রাজনীতি এখন সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি। বর্তমানে সমাজ জীবন রাজনীতি নির্ভর। রাজনীতিতে ছাত্রদের অংশ নিয়ে এখনও বিস্তর মতপার্থক্য। প্রাচীনপন্থীরা মনে করেন, রাজনীতিতে ছাত্রের অতিমাত্রায় উৎসাহ তাঁদের জ্ঞান অর্জনের বাধা সৃষ্টি করে। নানা উত্তেজনা ও উন্মাদনায় শিক্ষায়তনের পরিবেশ অগ্নিগর্ভ করে। আবার অন্যপক্ষ মনে করেন, সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জগতের পরিধি বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে তার প্রকৃতি। কিন্তু ছাত্রসমাজ সব যুগেই বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। তারা প্রাণশক্তিতে ভরপুর। রাজনীতিতে ঢেউ তাদের হৃদয়ে আঘাত করে। তারা অস্থির হয়। ছাত্রসমাজ রাজনীতি সর্বস্ব হয়ে উঠুক এ যেমন অনভিপ্রেত, তেমনি রাজনীতির স্পর্শ বাঁচিয়ে অনেক দূরে থাকুক, এও অবাস্তব কল্পনা।
আসলে ছাত্রসমাজ হবে ধীর স্থির, অবিচলিত বুদ্ধি এবং বিবেচনা প্রবণ। রাজনীতির প্রথমিক দীক্ষা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর না হয় তাহলে অশুভ শক্তিই তাকে গ্রাস করবে। রাজনীতির চোরাবালিতে জীবন হয় সংশয়। ভবিষ্যত জীবন ডুবে যায় অনিশ্চিয়তার অন্ধকারে। ভুল রাজনীতির কবলে পড়ে এরা হয় সমাজের আতঙ্ক। এখন একদল অন্যদলের প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ তাদের হাতেই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। দলমত নির্বিশেষে ছাত্রসমাজ হবে অন্যায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠ। হবে নতুন দিনের অঙ্গীকারে দুর্বার, প্রাণশক্তিতে উত্তাল।