
নবম বর্ষপূর্তির প্রচার চলেছে বিজেপির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের যে নরেন্দ্র মোদীকেই দলের মুখ করা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু লোকসভার আগে চার রাজ্যের ভোটের কাঁটা রয়েছে তাদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানা। কর্ণাটক এবং হিমাচল তাদের হাতে নেই, কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে। কাজেই এই চার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা থাকাই স্বাভাবিক।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা রয়েছে যে কর্ণাটক এবং হিমাচলে মোদীকে সামনে রেখে ফল অতি খারাপ হয়েছে। জনগণের কাছে কে হবে রাজ্য নেতা তার কোনও পরিষ্কার বার্তা ছিল না। আমল দেওয়া হয়নি ইয়াদুরাপ্পাকে। কাজেই সেই ভুল আর করতে চায় না কেন্দ্রীয় বিজেপি। আপাতত রাজস্থান জয়ের বিষয়ে কিছুটা স্বস্তিতে তারা। এর অন্যতম কারণ রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। একই সঙ্গে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। মধ্যপ্রদেশে গতবারে ক্ষমতায় এসেছিলো কংগ্রেস কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে দেওয়াতে এবং কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরিয়ে কমলনাথের মন্ত্রিসভা ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবারে কিন্তু হওয়া উল্টো পথে।
অবস্থা বুঝে আদবানি ঘনিষ্ঠ শিবরাজকেই মুখ করছে বিজেপি। ছত্রিশগড়ের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজেই ওই রাজ্যে পুরাতন মুখকেই ভরসা করছে দল। রইলো বাকি তেলেঙ্গানা। এখানে মূল লড়াই এতদিন ছিল কংগ্রেস এবং টিআরএসের মধ্যে। বিজেপি সংগঠন বাড়ালেও এমন শক্তিশালী হয়নি যে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কাজেই স্থানীয় মুখের সন্ধানে দল।
অন্যদিকে, কর্ণাটক দখল করে কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আবার ওই রাজ্যের। কিন্তু এটাও বাস্তব বহু রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি হ্রাস পেয়েছে কাজেই যে যে রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল, সে রাজ্যে তারা বন্ধুর খোঁজে রয়েছে। নিয়মিত তাদের ম্যানেজাররা যোগাযোগ রাখছে নীতীশ কুমার সহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে। আসন্ন চার রাজ্যের নির্বাচন কিন্তু দুই দলের কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচ।